Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ : বাংলা প্রথমপত্র

Icon

ড. সনজিত পাল

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিনিয়র শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা

আঠারো বছর বয়স

-সুকান্ত ভট্টাচার্য

‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি পড়ার সময় যে দিকগুলো ভালো করে খেয়াল করতে হবে :

‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি তারুণ্যশক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। সমাজ-সংসার, পরিবেশ ও জাতীয় রাজনৈতিক আবহ থেকে বয়ঃসন্ধি কালে তরুণ মনে কোন ধরনের প্রভাব পড়ে, কবিতাটি যেন তারই একটি বর্ণনা। এ কবিতাটি পড়ার সময় বয়ঃসন্ধিকালের মনন গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে। এ বয়স মানসিকভাবে কতটা শক্তিসম্পন্ন, কতটা আবেগনির্ভর, কতটা বাস্তবমুখী তা জানতে হবে। কবিতায় বর্ণিত আঠারো বছর বয়সের বৈশিষ্ট্যগুলো তারুণ্যশক্তিকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে, কোন দিকে প্রভাবিত করতে পারে- তা বুঝতে হবে। কবি এ কবিতায় আঠারো বছর বয়সকে কেন প্রত্যাশা করেছেন তা জানতে হবে। কবির ব্যক্তিজীবনে দেশপ্রেম, মানবতা ও মানবিকতা ছাপ এ কবিতায় কতটুকু পড়েছে, কেন পড়েছে- তা বুঝতে হবে। আঠারো বছর বয়সের নেতিবাচক দিকগুলো প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা বিচার করতে হবে। আবার এ বয়সের ইতিবাচক দিকগুলো কীভাবে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে তা বিশ্লেষণের মাধম্যে বুঝতে হবে।

অনুধাবন প্রশ্ন

১. আঠারো বছর বয়সকে দুঃসহ বলা হয়েছে কেন?

২. আঠারো বছর বয়সে স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

৩. আঠারো বছর বয়সে বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

৪. ‘আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়’- ব্যাখ্যা কর।

৫. আঠারো বছর বয়সে পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা- ব্যাখ্যা কর।

৬. আঠারো বছর বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়- কেন বলা হয়েছে?

৭. ‘আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা’- ব্যাখ্যা কর।

৮. ‘এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

৯. সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে- কারা? ব্যাখ্যা কর।

১০. ‘আঠারো বছর বয়স ভয়ঙ্কর/ তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা’- কেন বলা হয়েছে?

১১. আঠারো বছর বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা- ব্যাখ্যা কর।

১২. আঠারো বছর বয়সকে দুর্বার বলা হয়েছে কেন?

১৩. আঠারো বছর বয়সে ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

১৪. আঠারো বছর বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

১৫. ‘এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো’- ব্যাখ্যা কর।

১৬. কবি আঠারোর জয়ধ্বনি শুনেছেন কেন?

১৭. আঠারো বছর বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝরে- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

১৮. আঠারো বছর বয়সকে কবি বিপদের মুখে অগ্রণী বলা হয়েছে কেন?

১৯. ‘এ বয়স জেন ভীরু, কাপুরুষ নয়’- ব্যাখ্যা কর।

২০. ‘এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে’- কবি এ আহ্বান জানিয়েছেন কেন?

২১. কবি আঠারো বছর বয়সকে ভয়ঙ্কর বলেছেন কেন?

২২. কবি আঠারো বছর বয়সের জয়গান করেছেন কেন?

২৩. আঠারো বছর বয়সের জীবনবোধকে কবি কেন তীব্রতা ও প্রখরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন?

সৃজনশীল প্রশ্নের দিকগুলো

১. আঠারো বছর বয়সের গঠনমূলক বা ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য।

২. আঠারো বছর বয়সের ধ্বংসাত্মক বা নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য।

৩. কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের বৈশিষ্ট্য।

৪. আঠারো বছর বয়স অদম্য প্রাণশক্তি ও তারুণ্যের প্রতীক।

৫. জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হিসাবে এ বয়সকে কবির কামনা।

৬. পরিচালনার অভাবে/ দেখাশোনার অভাবে এ বয়সের বৈশিষ্ট্য কখনো কখনো জীবনব্যাপী ধ্বংসকেও বহন করে।

৭. আঠারো বছর বয়সের দেশপ্রেম/ জীবনবোধ/ আত্মসম্মান/ দেশের জন্য আত্মোৎসর্গের আকাঙ্ক্ষা।

মূলদিক : জাতীয় জীবনে বৃহত্তর পরিবর্তনের জন্য আঠারো বছর বয়সের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগানোর আকাঙ্ক্ষা।

মডেল সৃজনশীল প্রশ্ন

কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাজেশ আর সৈকত একটি মানিব্যাগ দেখতে পায়। ব্যাগের মালিককে তারা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। ব্যাগের ভেতর একটি পাসপোর্ট ও অনেক টাকা দেখে রাজেশ ধারণা করে ব্যাগটি কোনো বিদেশগামী ব্যক্তির হবে। ব্যাগটি হারিয়ে ব্যাগের মালিক কতটা কষ্টে আছে তারা তা অনুভব করে ব্যথিত হয়। অবশেষে তারা তা থানায় জমা দিয়ে আসে এবং পত্রিকায় একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রকৃত মালিককে ব্যাগটি ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেয়।

ক) ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

খ) ‘এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে’- কবি এ আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন কেন?

গ) উদ্দীপকে রাজেশ ও সৈকতের উদ্যোগ ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার সঙ্গে কোনদিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ? বর্ণনা কর।

ঘ) উদ্দীপকে আলোচ্য কবিতার বিশেষ একটি দিকের প্রতিফলন হয়নি- মন্তব্যের সঙ্গে তুমি কি একমত?

যুক্তি দাও।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম