পৌরনীতিতে সহজেই এ প্লাস পাওয়া যায়
দেওয়ান সামছুর রহমান
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিনিয়র শিক্ষক, গোয়ালপাড়া হাইস্কুল, সোনারগাঁ
সুপ্রিয় পরীক্ষার্থীরা, তোমরা প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছ। সামনের যে দিনগুলো রয়েছে সেগুলোকে ভালোভাবে কাজে লাগাবে। মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য পৌরনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফলাফল উন্নয়নের ক্ষেত্রে পৌরনীতি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তুলনামূলক সহজ একটি বিষয় এটি। পূর্বপ্রস্তুতি ভালো থাকলে, সামনের সময়গুলো সঠিকভাবে কাজে লাগালে আর পরীক্ষার সময় তা যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারলে এ বিষয়ে সহজে ভালো ফলাফল করা সম্ভব। এ বিষয়ে (সৃজনশীল ৭০+ নৈর্ব্যক্তিক ৩০)=১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। ১০০ থেকে ৮০ বা তদূর্ধ্ব নাম্বার পেলে এ প্লাস মানে ৫ পয়েন্ট। এ বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাদ দিয়ে পূর্ণ সিলেবাসে পূর্ণমানেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময় সৃজনশীল এ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট আর বহুনির্বাচনিতে ৩০ মিনিট মোট ৩ ঘণ্টা। পৌরনীতির বিষয় কোড ১৪০। সৃজনশীল অংশে ৭০ নম্বর। মোট ১১টি প্রশ্ন থাকবে এবং যে কোনো ৭টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০। অন্যান্য সৃজনশীল প্রশ্নের মতো প্রতিটি প্রশ্নের চারটি ভাগ থাকবে। ‘ক’ জ্ঞানমূলক মান-১, ‘খ’ অনুধাবনমূলক মান-২, ‘গ’ প্রয়োগমূলক মান-৩, ‘ঘ’ উচ্চতর দক্ষতামূলক মান-৪। বহুনির্বাচনি অংশে ৩০টি প্রশ্ন থাকবে, ৩০টি প্রশ্নেরই উত্তর করতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। পৌরনীতির অধ্যায়গুলোর মধ্যে ১ম, ২য়, ৪র্থ, ৫ম, ৮ম, ১০ম, ১১শ অধ্যায়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অধ্যায়গুলো থেকে সৃজনশীল প্রশ্ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই এ অধ্যায়গুলোকে ভালোভাবে আয়ত্ব করা উচিত। নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের জন্য তো সব অধ্যায়কে ভালোভাবে পড়তেই হবে। উদ্দীপকগুলো ভালোভাবে পড়ে সঠিকভাবে খাতায় উপস্থাপন করতে পারলে অবশ্যই পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব। সব প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। কোনো প্রশ্ন ছেড়ে আসা উচিত নয়। কাটাছেঁড়া কম করা, হাতের লেখা স্পষ্ট করা উচিত, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লেখা। এভাবেই পৌরনীতিতে সহজেই এ প্লাস পাওয়া যেতে পারে।
