প্রিয় ক্যাম্পাস
জাতীয় পর্যায়ে ভাবমূর্তিতে উজ্জ্বল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
“আমি নিয়মিতভাবে শ্রেণিকক্ষ ঘুরে দেখা ও মনিটরিং করার ফলে শিক্ষকদের ক্লাসে অনুপস্থিতি এখন শূন্যের কোঠায়। এসব কারণে গত দুই একাডেমিক সেশনে কোনো জট সৃষ্টি হয়নি। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিয়মিতভাবে কাউন্সেলিং প্রদানসহ র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়” -ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, উপাচার্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
সেলিম কামাল
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে দুই বছর পূর্ণ করেছেন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে ২২ বছর এবং অস্ট্রেলিয়ার দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে ড. মঈন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি উপাচার্য হিসাবে যোগদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনের দুই বছরের অভিজ্ঞতা ও অর্জন নিয়ে যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন।
উপচার্য বলেন, ‘আমি যোগদানের সঙ্গে সঙ্গে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি লিডিং ও মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ শুরু করি।’ তিনি সর্বপ্রথমেই ‘উদ্ভাবনে নেতৃত্ব, সমাজের ক্ষমতায়ন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা, মানব কল্যাণ, সম্প্রদায়কে সমৃদ্ধকরণ এবং টেকসই প্ল্যানেট গঠনের’ অঙ্গীকার নিয়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি ভিশন তৈরি করেন বলে জানান।
এ ভিশন অর্জনের জন্য গত দুই বছরে নিরলসভাবে কাজ করে তিনি অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার ভাবমূর্তি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। গত দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গৃহীত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং অর্জন রয়েছে।
গবেষণা ও আন্তর্জাতিক জার্নালে মানসম্পন্ন প্রবন্ধ প্রকাশনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য মর্যাদাসম্পন্ন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড ও স্বীকৃতি চালু করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আয় থেকে অর্জিত তহবিলের অর্থ দিয়ে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্ভবত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ই সর্বপ্রথম, যারা ভর্তি তহবিলের অর্থ দ্বারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন গবেষণা ও প্রকাশনায় প্রণোদনা দিয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ অ্যাওয়ার্ড ১৭ জন শিক্ষককে প্রদানের মাধ্যমে শুরু হয়। এর ফলে শিক্ষকদের মধ্যে, বিশেষ করে প্রারম্ভিক ও মধ্যম পর্যায়ের শিক্ষকদের মধ্যে মানসম্পন্ন গবেষণা ও প্রকাশনার প্রতি উৎসাহ ও অর্জন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর ৫২ জন শিক্ষক ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন করেন। এখানে উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২৬২ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ তহবিল থেকে শিক্ষকদের প্রকাশনার জন্য Editorial Supportসহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য IELTS, GMAT ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য একবার রেজিস্ট্রেশন ফিস প্রদান করা হয়।
একইভাবে, মানসম্পন্ন গবেষণা ও প্রকাশনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানের বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। এ লক্ষ্যে ২০২৩ সালে BCSIR এবং মালয়েশিয়ার Sunway University ও UNIMAS-এর সঙ্গে বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গঙট স্বাক্ষরিত হয়। তা ছাড়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একাডেমিক কনফারেন্স ও সেমিনারের আয়োজন ও অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়।
গবেষণা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য ভর্তি পরীক্ষা থেকে অর্জিত আয়ের অর্থ দিয়ে মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মতো মর্যাদাপূর্ণ ভাইস চ্যান্সেলর বৃত্তি চালু করা হয়। উপাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমরাই প্রথম এ ধরনের বৃত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করি, যার লক্ষ্য হচ্ছে ‘মেধা’ ও ‘অন্তর্ভুক্তিকরণ’কে প্রমোট করা। আমরা দুই বছরে ৭০৩ শিক্ষার্থীকে এ বৃত্তি প্রদান করি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগানো ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে এ বৃত্তি প্রদান ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।’
একইসঙ্গে, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ২০২৩ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আয় থেকে স্পোর্টস বৃত্তি প্রচলন করা হয়। ষোলজন খেলোয়াড়কে বৃত্তি প্রদান করে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তাছাড়া, নারী শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ছাত্রীদের জন্য ক্রিকেট, ভলিবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলার সংস্কৃতি প্রচলন করা হয়। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আমার মেয়াদের প্রথম বছরে ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন শুরু করা হয় এবং এর সঙ্গে ২০২৩ সালে ভলিবল প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও, খেলার মাঠের উন্নয়ন ও স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়, যাতে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার মানোন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায়। এ ধরনের সুবিধাদি নিশ্চিত করার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই প্রথম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হকি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের নিয়মিত চর্চা, উন্নতি ও প্রসারের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতোপূর্বের দীর্ঘ সেশনজট হ্রাস করতে বহুমুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে একটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়মিত অনুপস্থিতির কারণে সৃষ্ট সেশনজট নিরসনে শিক্ষকদের ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি ও পাঠদানকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় আনা হয়। ড. মঈন বলেন, ‘আমি নিয়মিতভাবে শ্রেণিকক্ষ ঘুরে দেখা ও মনিটরিং করার ফলে শিক্ষকদের ক্লাসে অনুপস্থিতি এখন শূন্যের কোঠায়। এসব কারণে গত দুই একাডেমিক সেশনে কোনো জট সৃষ্টি হয়নি।’
যেসব শিক্ষক উচ্চতর ডিগ্রি করার পরেও দেশে ফিরে আসেননি, কিন্তু বিদেশে থেকে পদ ধরে রাখার কারণে এখানে শিক্ষক সংকট তৈরি হয়েছে তাদের ৮ জনের কাছ থেকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা বাবদ ১.৫৮ কোটি টাকা ফিরিয়ে এনে পদগুলো শূন্য করা হয়েছে। এ ধরনের সরকারি অর্থ আদায়ের ঘটনা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রথম এবং বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত বিরল। ওই শূন্য পদগুলোতে বিধি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান উপাচার্য।
স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার জন্য তিন ধরনের বর্জ্যরে জন্য তিন রঙের (লাল-সাধারণ বর্জ্যরে জন্য, হলুদ-রিসাইকেল বর্জ্যরে জন্য এবং সবুজ-কম্পোস্টের জন্য) অপসারণযোগ্য বিন স্থাপন করা হয়। তা ছাড়া নিজেদের ব্যবস্থাপনায় নিয়মিতভাবে মশক নিধন করে মশাবিহীন ক্যাম্পাস ও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিয়মিতভাবে কাউন্সেলিং প্রদানসহ র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এছাড়া, নান্দনিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষার অনুকূল ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। প্রাইভেট সেক্টরের সহায়তায় মেডিকেল সেন্টারে আধুনিক উপকরণ ও ওষুধ সংগ্রহ করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা দানের জন্য রাত ৮টা পর্যন্ত সেবা চালু রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
উপাচার্য বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পরে ৬ মাসের মধ্যে দুর্নীতির কারণে ২০১৪ সাল থেকে চলমান স্থবির একটি উন্নয়ন প্রকল্প কঠোর পরিশ্রম করে সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করি। তা ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পটি ২০১৮ সালে গৃহীত হলেও নানা জটিলতায় তা অগ্রসর হচ্ছিল না। আমি দায়িত্ব নেওয়ার চার মাসের মধ্যে ভূমি গ্রহণের বাধা দূর করে ভৌত অবকাঠামোর কাজ শুরু করি। বর্তমানে প্রকল্পটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’
এসব নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে গত দুই বছরে নানা সূচকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দৃশ্যমান। যেমন, এখন গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বৈশ্বিক অউ ইনডেক্সের গবেষকদের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে মাত্র ৫ জন শিক্ষকের সংখ্যা ছিল, তা এ দুই বছরে ১৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ জনে উন্নীত হয়েছে। তা ছাড়া, ‘এপিএ’তে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২তম ছিল, যা গত দুই বছরের মধ্যে ১০ম স্থানে উন্নীত হয়েছে। এ বছর ‘এপিএ’তে শীর্ষ ৫-এর মধ্যে অবস্থানের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছেন ড. মঈন। সামগ্রিকভাবে, জাতীয় পর্যায়ে আজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একটি ভালো ইমেজের বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এলাকার জনগোষ্ঠীর সম্পর্ক দুর্বল ছিল। এ কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনার শিকার হতো। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এলাকার দরিদ্র জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের সহায়তায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প গঠন করা হয়। এ কর্মসূচির মাধ্যমে সহস্রাধিক প্রান্তিক জনগণকে সেবা প্রদান করার ব্যবস্থা করা হয়। এ ধরনের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এলাকার জনগোষ্ঠীর সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। মানবকল্যাণের জন্য গৃহীত এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমি একটি অর্থপূর্ণ কাজ করতে পেরেছেন বলে বিশ্বাস করেন উপাচার্য।
মানসম্মত উচ্চশিক্ষা হওয়া উচিত গঠনমূলক, অর্থপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও জীবনব্যাপী। এ দর্শনে বিশ্বাস রেখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ লার্নিং, অথেনটিক লার্নিং, এক্সপেরিয়েন্টিয়াল লার্নিং এবং ক্রিটিকাল থিংকিংয়ের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক ও ক্লাসরুমের বাইরে আজীবন শেখার আবেগকে জাগিয়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সঙ্গে অভিযোজন করতে পারবে এবং নিজেদেরকে নেতৃত্বস্থানীয় পদে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে জাতীয় ও বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য সম্পদ হিসাবে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’
