Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বাংলা প্রথমপত্র

Icon

ড. সনজিত পাল

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিনিয়র শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা

বিদ্রোহী

- কাজী নজরুল ইসলাম

কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) বাংলা কাব্যজগতের এক অন্যন্য শিল্পী। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। মাত্র আট বছর বয়সে পিতাকে হারিয়ে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে তিনি লেটোর দলে যোগ দেন। তখন থেকেই তিনি সৃষ্টিশীল সত্তার অধিকারী হয়ে ওঠেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ১৯১৭ সালে তিনি বাঙালি পল্টনে সৈনিক হিসাবে যোগ দেন এবং করাচিতে যান। ১৯২০ সালে বাঙালি পল্টন ভেঙে গেলে তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং পরিপূর্ণ সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। সাপ্তাহিক ‘বিজরী’ পত্রিকায় ‘বিদ্রোহী’ কবিতা প্রকাশিত হলে চারদিকে তার কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ‘লাঙল’, ‘নবযুগ’, ‘ধূমকেতু’সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সম্পাদনার কাজে যুক্ত ছিলেন। দেশাত্মবোধক গান, শ্যামাসংগীত, গজল রচনায় তার জুড়ি মেলা ভার। তার রচিত ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’ থেকে সংকলিত হয়েছে। এটি কাব্যের দ্বিতীয় কবিতা। ‘বিদ্রোহী’ বাংলা সাহিত্যের একটি শ্রেষ্ঠ কবিতা। রবীন্দ্রযুগে এ কবিতার মধ্য দিয়ে এক প্রতিবাদী কবিকণ্ঠের আত্মপ্রকাশ ঘটে- যা বাংলা কবিতার ইতিহাসে এক বিরল স্মরণীয় ঘটনা। ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় আত্মজাগরণে উন্মুখ কবির সদম্ভ আত্মপ্রকাশ ঘোষিত হয়েছে। কবিতায় সগর্বে কবি নিজের বিদ্রোহী কবিসত্তার প্রকাশ ঘটিয়ে ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষের শাসকদের শাসন ক্ষমতার ভিত কাঁপিয়ে দেন। এ কবিতায় সংযুক্ত রয়েছে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে কবির ক্ষোভ ও বিদ্রোহ। কবি সব অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে গিয়ে বিভিন্ন ধর্ম, ঐতিহ্য, ইতিহাস ও পুরাণের শক্তি উৎস থেকে উপকরণ উপাদান সমীকৃত করে নিজের বিদ্রোহী সত্তার অবয়ব রচনা করেন। কবিতার শেষে ধ্বনিত হয় অত্যাচারীর অত্যাচারের অবসান কাম্য। বিদ্রোহী কবি উৎকণ্ঠ ঘোষণায় জানিয়ে দেন যে, উৎপীড়িত জনতার ক্রন্দনরোল যতদিন পর্যন্ত প্রশমিত না হবে ততদিন এ বিদ্রোহী কবিসত্তা শান্ত হবে না। এ চির বিদ্রোহী অভ্রভেদী চির উন্নত শিররূপে বিরাজ করবে।

‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি পড়ার সময় যে দিকগুলো ভালো করে খেয়াল করতে হবে :

কাজী নজরুল ইসলাম একাধারে প্রেমের কবি, দ্রোহের কবি, আবার সাম্যেরও কবি। তার চেতনায় দ্রোহের আগুন যেমন সদা প্রজ্বলিত, তেমনি তার চিত্তে প্রেমের কোমল অনুভূতিও চির জাগরুক ছিল। তিনি শোষণের বিরুদ্ধে মানবতার পক্ষে যেমন দাঁড়িয়েছেন, তেমনি ধর্মের নামে শোষণ, ভণ্ডামির বিরুদ্ধেও লড়াই করে সাম্যের জয়গান গেয়েছেন।

‘বিদ্রোহী’ কবিতার যে দিকগুলো ভালো করে পড়তে হবে তা নিচে তুলে ধরা হলো :

কবি যে কারণে বিদ্রোহী হয়েছেন, যে কারণে নিজের ক্ষোভ ও বিদ্রোহ মনোভাব দেখিয়েছেন, তৎকালিন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শোষণের স্বরূপ/ ভারতবর্ষে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের শোষণের প্রেক্ষাপট, কবি নিজেকে কবিতায় যেভাবে তুলে ধরেছেন, কবি বিদ্রোহী সত্তায় নিজেকে কী কী বলে তুলনা করেছেন, কবিতায় পৌরাণিক, ঐতিহাসিক, ঐতিহ্যমূলক ও নানা ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন বিষয়কে যেভাবে তুলেছেন, কবিতায় মানবতার পক্ষে কবির বিদ্রোহী মনোভাবের পরিচয়, বিশ্বব্যাপী উৎপীড়িত জনতার পক্ষে কবির অবস্থানের কারণ ইত্যাদি।

অনুধাবন প্রশ্ন :

১. ‘বল উন্নত মম শির’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

২. ‘শির নেহারি’ আমারি, নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

৩. কবি নিজেকে চিরদুর্দম, দুর্বিনীত ও নৃশংস বলেছেন কেন?

৪. ‘মহা-প্রলয়ের আমি নটরাজ’/ আমি সাইক্লোন- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

৫. ‘আমি অভিশাপ পৃথ্বীর’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

৬. ‘আমি মানি না কো কোন আইন’- কেন বলা হয়েছে?

৭. ‘আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!’- বলতে কী বোঝাতে হয়েছে?

৮. ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ-তূর্য’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

৯. ‘আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ!’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

১০. ‘আমি ইস্রাফিলের শিঙ্গার মহা √ঙ্কার’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

১১. ‘আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

১২. ‘আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীণে গান গাওয়া’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

১৩. ‘আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী’- কেন বলা হয়েছে?

১৪. ‘আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী’- ব্যাখ্যা কর।

১৫. ‘ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

১৬. কবি নিজেকে পরশুরামের কঠোর কুঠার বলেছে কেন?

১৭. ‘আমি উপাড়ি ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

১৮. ‘আমি সেই দিন হব শান্ত’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

১৯. ‘অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম