এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বাংলা প্রথমপত্র
ড. সনজিত পাল
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিনিয়র শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা
তাহারেই পড়ে মনে
-সুফিয়া কামাল
সুফিয়া কামাল (১৯১১-১৯৯৯) বাংলাদেশের বিশিষ্ট মহিলা কবি ও নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লায়। সুফিয়া কামাল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাননি। পারিবারিক নানা উত্থান-পতনের মধ্যে তিনি স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। তারই মধ্যে তিনি বাংলাভাষা ও সাহিত্যের চর্চায় আত্মনিয়োগ করেছেন। পরবর্তীকালে সাহিত্য সাধনা ও নারী আন্দোলনে ব্রতী হয়ে তিনি শুধু কবি হিসাবেই বরণীয় হননি, জননী সম্ভাষণে ভূষিত হয়েছেন। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবি সুফিয়া কামালের ব্যক্তি জীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে। স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে তার জীবনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়, তা কবিমনকে আচ্ছন্ন করে রাখে রিক্ততার হাহাকারে। প্রকৃতিতে নব বসন্তের আগমনও কবি হৃদয়ের সেই বিষাদময় রিক্ততার সুরকে মুছে ফেলতে পারেনি। তাই বসন্ত এলেও উদাসীন কবির অন্তর জুড়ে থাকে রিক্ত শীতের করুণ বিদায়ের বেদনা। প্রকৃতির সঙ্গে মানব মনের সম্পর্ক নিবিড় ও আনন্দপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কবির শোকাচ্ছন্ন হৃদয়ে বসন্ত-প্রকৃতির প্রভাব কোনো ভাবেই সে সম্পর্ককে জাগিয়ে তুলতে পারেনি এবং কবির অন্তরকেও স্পর্শ করতে পারেনি। গঠনরীতির দিক থেকে নাটকীয় রসপূর্ণ এ কবিতার সংলাপনির্ভর কথোপকথন একে বিশেষ তাৎপর্যময় করে তুলেছে।
‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি পড়ার সময় যে দিকগুলো ভালো করে খেয়াল করতে হবে :
‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি সংলাপনির্ভর রচনা। এখানে কবি ও কবি-ভক্তের মধ্যে সংলাপ হয়েছে। কবি ও কবি-ভক্তের পাল্টা-পাল্টি যুক্তি ও ভাবের প্রকাশ কবিতাকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এ কবিতাটি পড়ার সময় আমাদের বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে কবি-ভক্ত কী বলেছে এবং কেন বলেছে? তার কথার পাল্টা উত্তরে কবি কী বলেছে? যুক্তি দেখানের পেছনে কবি যা বলেছেন তার সঙ্গে প্রকৃতির সৌন্দর্যের ও প্রাকৃতিক উপাদানের মিল রয়েছে কি না? কবি-ভক্ত কবিকে অনুরোধ করেছে কেন? তার অনুরোধ রাখা কবির পক্ষে সম্ভব হয়নি কেন? কবির মনের এরূপ অবস্থার কারণ কী? বসন্ত ঋতুর বৈশিষ্ট্য বা বসন্ত ঋতুর আগমনী প্রভাব কেমন? ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার গঠনরীতি, এর মাধুর্যময় ছন্দ ও ভাষা, কবিতায় কবির আবেগ ও কবি-ভক্তের আকাঙ্ক্ষা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে।
অনুধাবন প্রশ্ন
১. ‘বসন্ত-বন্দনা তব কণ্ঠে শুনি এ মোর মিনতি’- ব্যাখ্যা কর।
২. ‘শুনি নাই, রাখিনি সন্ধান’- কবির এমন উন্মনার কারণ ব্যাখ্যা কর।
৩. কবি কেন বসন্তের আগমন লক্ষ করেননি?
৪. প্রকৃতিতে বসন্ত এলেও কবি তাকে কেন বরণ করতে পারেননি?
৫. কবি-ভক্তের মতে বসন্তের আবেদন গুরুত্ব হারিয়েছে কেন?
৬. ‘অলখের পাথার বাহিয়া তরী তার এসেছে কি?’- কেন বলা হয়েছে?
৭. শীতের রিক্ততার কথা কবির বার বার মনে হয়েছে কেন?
৮. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটিকে নাটকীয় গুণসম্পন্ন কবিতা বলা হয়েছে কেন?
৯. কবি ফাগুন মাসেও নীরব রয়েছেন কেন?
১০. ‘বাতাবি নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল?’-কবির এ প্রশ্ন করার কারণ ব্যাখ্যা কর।
১১. কবি-ভক্ত কেন কবিকে গীতি রচনা করতে বলেছেন?
১২. কবি কেন বসন্ত বরণের জন্য গান গাহিতে চান না?
১৩. ‘ওগো কবি, অভিমান করেছ কি তাই?’- কেন বলা হয়েছে?
১৪. কবি-ভক্ত প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনকে কেন বৃথা বলেছেন?
১৫. ‘মাধবী কুঁড়ির বুকে গন্ধ নাহি? করে নাই অর্ঘ্য বিরচন’?- কেন বলা হয়েছে?
১৬. ‘উপেক্ষায় ঋতুরাজে কেন কবি দাও তুমি ব্যথা’?- কেন বলা হয়েছে?
১৭. ‘কুহেলী উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
১৮. কবি কাকে ভুলতে পারেন না এবং কেন?
১৯. ‘পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
২০. কবিতায় কবি সুফিয়া কামালের ব্যক্তিজীবন কীভাবে ধরা পড়েছে?
২১. ‘তাহারেই পড়ে মনে’- কাকে এবং কেন? ব্যাখ্যা কর।
২২. ‘তাহারেই পড়ে মনে’- কবিতায় কবি-ভক্তের প্রত্যাশা ব্যাখ্যা কর।
২৩. শীত ঋতুকে কবি মাঘের সন্ন্যাসী বলেছেন কেন?
সৃজনশীল প্রশ্নের দিকগুলো
১. মানবমনে/ কবি সত্তায় প্রকৃতির প্রভাব।
২. প্রকৃতির সঙ্গে মানবমনের সম্পর্ক।
৩. প্রকৃতিতে বিরাজিত বসন্তের বৈশিষ্ট্য।
৪. প্রিয়জন হারানোর বেদনা।
৫. কবি ও কবি-ভক্তের চমৎকার সম্পর্ক / ভাবের আদান-প্রদান।
শীত ঋতুর বৈশিষ্ট্য।
৬. কবির কাছে কবি-ভক্তের চাওয়া/ প্রার্থনা।
৭. কবির ব্যক্তিজীবনের বেদনার জাগরণ।
মূলদিক : প্রকৃতিতে বিরাজিত বসন্তের ছবির মাধ্যমে কবির প্রিয়জন হারানোর বেদনাকে জাগিয়ে দেয়ার বর্ণনা।
