Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

এইচএসসি পরীক্ষা

ইসলাম শিক্ষায় সহজেই এ প্লাস পাওয়া যায়

Icon

মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রভাষক, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ

প্রিয় পরীক্ষার্থীরা

শুভেচ্ছা নিও, আশা করছি তোমরা সবাই ভালো ও সুস্থ আছ। তোমাদের জীবনের আরও একটি পাবলিক পরীক্ষা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষাও ২০২৩ সালের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই মানবিক বিভাগের যেসব শিক্ষার্থী ইসলাম শিক্ষা বিষয় নিয়েছ তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতালব্ধ পরামর্শ ও গুরুত্বপূর্ণ টিপসগুলো। একটু সচেতন হলে সহজেই ইসলাম শিক্ষায় এ+ পাওয়া যায়।

ইসলাম শিক্ষা ১ম পত্রের মোট নম্বর ১০০ (৩০+৭০) অর্থাৎ ৩০টি বহুনির্বাচনি অভীক্ষা এবং ৭টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রশ্নে উল্লেখিত ১১ উদ্দীপক থেকে সর্বোচ্চ ৭টি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়ে থাকে। আবার প্রতিটি উদ্দীপককে ক, খ, গ ও ঘ শিরোনামে ৪টি প্রশ্নের উল্লেখ থাকে যাদের মান ১০ (১+২+৩+৪)। সময় ২.৩০ মিনিট তথা ১৫০ মিনিট। এ সময়ের মধ্যে চাহিত প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে প্রতি প্রশ্নে সময় পাওয়া যায় প্রায় ২১ মিনিট।

→ প্রতিটি জ্ঞানমূলক অংশে সাধারণত শব্দটি কোন ভাষার/ শব্দটি কী বা শব্দের অর্থ কিংবা কাকে বলে এ ধরনের প্রশ্ন এসে থাকে। যা ১ মিনিটে উত্তর লেখা সম্ভব। → অনুধাবন অংশে সচরাচর কোনো বিষয়ের সংজ্ঞা/ পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন পাঠের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইন কিংবা উদ্দীপকে উল্লেখিত বিশেষ কোনো উক্তির ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। যা অল্প কথায় যথাযথভাবে লিখলে ৪/৫ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা নয়। → প্রয়োগ ও উচ্চতর চিন্তন দক্ষতা অংশে প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত উদ্দীপক থেকে প্রশ্ন করা হয় এবং উদ্দীপকের আলোকেই উত্তর লিখতে হয়। তাই এ দুই অংশের উত্তর লেখার আগে অবশ্যই উল্লেখিত উদ্দীপকটি আরও একবার মনোযোগের সঙ্গে পড়ে নেবে এবং গুরুত্বপূর্ণ বাক্য কিংবা ইনভারটেড কমাযুক্ত অংশের নিচে দাগ টেনে নেবে। তাহলেই এ অংশে ভালো উত্তর লিখতে পারবে। এক্ষেত্রে দুটি প্রশ্নে যথাক্রমে (৬+৮)=১৪ মিনিটে যথাসম্ভব উত্তর লেখা শেষ করতে হবে। উল্লেখ্য, অধিকাংশ শিক্ষার্থী যে ভুলটি করে থাকে তা হলো-উল্লেখিত উদ্দীপকটি আবার খাতায় লিখতে শুরু করে এবং অযথা সময় নষ্ট করে উত্তরে তালগোল পাকিয়ে ফেলে। যা মোটেও কাম্য নয়। গ ও ঘ প্রশ্নে উদ্দীপকের নিরিখে যে বিষয়টি বিশ্লেষণ বা পাঠ্যবইয়ের আলোকে আলোচনা কিংবা ইসলামের/ শরীয়তের (কুরআন ও হাদিস) দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা বা দুটো চরিত্রের তুলনামূলক আলোচনা করতে বলা হবে। বিশেষত সামাজিক অনাচারের বিষয়গুলো থেকে একটু বেশি প্রশ্ন এসে থাকে। এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো সমাজে ইতিবাচক (সত্যবাদিতা, তাকওয়া, সবর, হালাল, দেশপ্রেম ইত্যাদি) এসব বিষয় থেকে সুফল/ উপকারিতাগুলো এবং যে বিষয়গুলো সমাজে নেতিবাচক (গিবত, মিথ্যাচার, সুদ, ঘুস, জুয়া, মাদকাসক্তি, যৌতুক, খাদ্যে ভেজাল, দুর্নীতি) এ বিষয়গুলোর কুফল/ অপকারিতাগুলো যথাসম্ভব পয়েন্ট আকারে লিখবে। এছাড়া ইসলামি/ আদর্শ পরিবার বা সমাজের বৈশিষ্ট্য, ইসলামি রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য বা রাষ্ট্রপ্রধানের যোগ্যতা ও গুণাবলি, অধিকার ও কর্তব্য এবং কোনো বিষয়ের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত বিষয়গুলোও পয়েন্ট আকারে লেখার চেষ্টা করবে।

২য় পত্রের মানবণ্টন ১ম পত্রের অনুরূপ; তবে প্রশ্নের ধরনে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এ অংশে ক ও খ শিরোনামের প্রশ্নগুলো ১ম পত্রের অনুরূপ হয়ে থাকে। গ ও ঘ শিরোনামের প্রশ্নগুলোতে তোমাদের সিলেবাসভুক্ত আল-কুরআনের সূরা আল বাকারাহ-এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু আয়াত/ অংশ বিশেষ এবং আল হাদিসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইন উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তোমরা আরবি দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, প্রশ্নে যে আয়াতাংশ বা হাদিসের অংশবিশেষ উল্লেখ করা হয় তা বিগত বছরগুলোতে পরীক্ষায় আসা অংশগুলোই সাধারণত পুনরাবৃত্তি হয়ে থাকে। তাই তোমরা বিগত ৫/৬ বছরে পরীক্ষায় এসেছে এমন আয়াতাংশ বা হাদিসাংশগুলো একটু ভালোভাবে পড়লেই এ অংশে ভালো উত্তর লিখতে পারবে। তা ছাড়া তোমরা চাইলেই আয়াতবিশিষ্ট প্রশ্নগুলোর বিকল্পও বেছে নিতে পার। আর এ অংশে আল ইজমা, কিয়াস, ফিকহশাস্ত্র ও মৌলিক ইবাদত অধ্যায় থেকে তুলনামূলক একটু বেশি প্রশ্ন এসে থাকে। আশা করছি ২য় পত্রেও ভয়কে জয় করে পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল লাভে সমর্থ হবে ইনশাআল্লাহ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম