Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বাংলা প্রথমপত্র

Icon

ড. সনজিত পাল

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিনিয়র শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা

সুভা

- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

‘সুভা’ গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) বিখ্যাত ছোটগল্প গ্রন্থ গল্পগুচ্ছ থেকে নেয়া হয়েছে। বাক্প্রতিবন্ধী কিশোরী সুভার প্রতি লেখকের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও মমত্ববোধে গল্পটি অমর হয়ে আছে। সুভা কথা বলতে পারে না। মা মনে করেন, এটা তার নিয়তির দোষ, কিন্তু বাবা তাকে ভালোবাসেন। আর কেউ তার সঙ্গে মেশে না- খেলে না। নিস্তব্ধ প্রকৃতির মতো সে গম্ভীর। কিন্তু তার বিশাল একটি আশ্রয়ের জগৎ আছে। যারা কথা বলতে পারে না সেই পোষা প্রাণীদের কাছে সে মুখর। সে তাদের খুবই কাছের জন। বাড়ির কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী-প্রকৃতি, দুপুরের সূর্যালোকিত তপ্ত প্রকৃতির নির্জন অবস্থা যেন তার সাথে কথা বলে। এভাবেই বিপুল নির্বাক প্রকৃতির কাছে সে পায় মুক্তির আনন্দ। বাবা গ্রাম ছেড়ে শহরে যেতে চাইলে সুভার হৃদয়ে যেন আষাঢ়ের কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে। দেহ ও মনে নব অনুভূতির জাগরণ হলেও এই মূক বালিকা গ্রাম ছেড়ে, মাতৃভূমিকে ছেড়ে কোথাও যেতে চায় না। রবীন্দ নাথ ঠাকুর মূলত প্রতিবন্ধী মানুষের আশ্রয়ের জন্য একটি জগৎ তৈরি করেছেন এবং সেইসঙ্গে তাদের প্রতি আমাদের মমত্ববোধের উন্মেষ ঘটাতে চেয়েছেন।

‘সুভা’ গল্পের যে দিকগুলো ভালো করে পড়তে হবে :

‘সুভা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত একটি ছোটগল্প। সুভার অনুভূতি, তাকে কেন্দ করে মা-বাবার ভাবনা, তার নিজস্ব জগৎ, মূকপশু ও নির্জন প্রকৃতির সাথে তার সম্পর্ক, প্রতাপের আচরণে তার মনোবেদনা এবং মাতৃভূমির প্রতি তার ভালবাসা এ গল্পে প্রকাশ পেয়েছে। গল্পটি পড়ার সময় যে বিষয়গুলো গভীরভাবে পড়তে হবে তা দেয়া হলো। সুভার পারিবারিক অবস্থা, তাকে কেন্দ করে মায়ের ভাবনা/বিশ্বাস, সে যে কারণে সকলের চোখের আড়ালে থাকে। সুভার সঙ্গে বাবার সম্পর্ক/সুভাকে নিয়ে বাবার ভাবনা, সুভার দেহ ও মনের পরিবর্তন জনিত ভাবনা বা অনুভূতিকে লেখক যেভাবে প্রকাশ করেছেন, প্রকৃতির সাথে সুভার সম্পর্ক, সুভা যে কারণে নদীপ্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকতো, মূকপশুর সাথে সুভার সখ্যতার কারণ, সুভাকে পেলে সর্বশী ও পাঙ্গুলি কী করতে চায়, সুভাকে প্রতাপের পছন্দের কারণ, প্রতাপকে সাহায্য করার জন্য সুভার উন্মুখতা, প্রতাপের যে আচরণে সুভা দুঃখ পেয়েছে, প্রতাপ সম্পর্কে গল্পকারের বিশ্লেষণ, গ্রামবাসী যে কারণে বাণীকণ্ঠের প্রতি হিংসা করতো, বাণীকণ্ঠের বিদেশ যাওয়ার কারণ, কেন সুভা গ্রাম ছেড়ে শহরে যেতে চায়না।

অনুধাবন প্রশ্ন:

১. সকলে সুভার সাক্ষাতেই তার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করত - কেন?

২. ‘এ কথা সে শিশুকাল হতে বুঝে নিয়েছিল’- কোন কথা, ব্যাখ্যা কর।

৩. সাধারণের দৃষ্টিপথ হতে সুভা নিজেকে গোপন করে রাখতে সর্বদা চেষ্টা করত - কেন?

৪. পিতামাতার মনে সুভা সর্বদাই জাগরূক ছিল কেন?

৫. সুভার মা তাকে নিজের ত্রুটিস্বরূপ দেখতেন কেন?

৬. ‘কিন্তু মাতা তাহাকে নিজের...বড়ো বিরক্ত ছিলেন’- কেন?

৭. সুভা দেখতে কেমন ছিলো? / সুভার বাহ্যিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দাও।

৮. ‘কিন্তু কালো চোখকে কিছু তর্জমা করতে হয় না’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

৯. ‘মুখের ভাব বৈ আজন্মকাল...অতলস্পর্শ গভীর’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

১০. ‘এই বাক্যহীন মনুষ্যের মধ্যে...মহত্ত্ব আছে’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

১১. সাধারণ বালকবালিকারা সুভার সাথে খেলা করতো না কেন?

১২. সুভা নির্জন দ্বিপ্রহরের মতো শব্দহীন ও সঙ্গীহীন- কেন বলা হয়েছে?

১৩. চণ্ডীপুর গ্রাম সম্পর্কে লেখ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম