Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

বীরের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম

Icon

দেওয়ান সামছুর রহমান

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিনিয়র শিক্ষক, গোয়ালপাড়া হাইস্কুল, সোনারগাঁ

“যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে, তুমি শুধু কেঁদেছিলে হেসে ছিলো সবে, এমন জীবন তুমি করবে গঠন, মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন।” চিরায়ত সত্য এ কথা যাদের জীবনের সঙ্গে মিলে যায় তাদের মধ্যে অন্যতম স্বপ্নপুরুষ বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তা জগতের সার্থক শিল্পপতি, যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিক পত্রিকা যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা ও অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, যার হাত ধরে আজ এদেশের হাজার হাজার মানুষের অন্নের সংস্থান হচ্ছে, জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে, বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন যে স্বাধীনতা যা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যাদের হাত ধরে এসেছিল, সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম-এর মহাপ্রয়াণ দিবসে সশ্রদ্ধ সালাম।

২ আগস্ট ২০০১ বৃহস্পতিবার, যুগান্তরের টিউটোরিয়াল পাতায় শিক্ষকের কলামে লেখার মাধ্যমে যুগান্তরের সঙ্গে আমার যাত্রা শুরু, যে যাত্রা আজও প্রবাহমান, বহমান থাকুক আজীবন। আর এ বিনি সুতার মালাটা গাঁথার সুযোগ করে দিয়ে গিয়েছেন যিনি সেই যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টার জন্য রইল প্রাণ ভরে দোয়া। যুগান্তরের সঙ্গে আমার শুরুটা টিউটোরিয়াল দিয়ে, সে জন্য আমি টিউটোরিয়ালের একজন পরিচয় দিতেই নিজেকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সেলিম কামাল ভাই টিউটোরিয়ালে আসার পর যেমন এর গতি প্রকৃতি প্রসারিত হয়েছে, তেমনি নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছিও অবারিতভাবে। একসময় কৃষিকথা, অন্যপ্রান্তর, ইসলাম ও জীবন পাতায় লিখতাম। লিখছি দৃষ্টিপাত, ঘরেবাইরে বিভাগে। আর স্বজন সমাবেশের পাতা তো রয়েছেই।

জনাব নুরুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে আজ উনার প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগ্য নেতৃত্বের হাল ধরে আছেন উনার সুযোগ্য সহধর্মিণী সংসদ-সদস্য বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, যুগান্তরের প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। কৃতজ্ঞতা তার প্রতিও।

করোনা মহামারির সময় যখন ঘরবন্দি সময় পার করছি, নামাজ কালাম, বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটানো, ছাদ বাগান আর সবচেয়ে বেশি কাটত মোবাইল নিয়ে। সেই মোবাইলের মাধ্যমেই ২০২০ সালের ১৪ জুলাই (উনার মৃত্যুর পরদিন) ভোরবেলা যুগান্তর পড়ে জানতে পারলাম উনার মৃত্যুসংবাদ। অতি নিকটজনের মৃত্যুসংবাদে মানুষ যেমন আঁতকে ওঠে, সেভাবে আঁতকে উঠেছিলাম। তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি তাকে।

কীর্তিমানের মৃত্যু হয় না। তিনি বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন তার কাজে। যতদিন এ দেশ থাকবে, এদেশে তার প্রতিষ্ঠানগুলো থাকবে, ততদিন এদেশের মানুষের মনে চির জাগরুক হয়ে থাকবেন নুরুল ইসলাম।

 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম