এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের রসায়ন প্রস্তুতি
যেসব অধ্যায়কে গুরুত্ব দেবে
স্বপন কুমার মিস্ত্রী, সহকারী অধ্যাপক, সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]
দ্বিতীয় পত্র
প্রথম অধ্যায় (পরিবেশ রসায়ন) : গ্যাসের সূত্রসমূহ (বিশেষ করে চার্লসের সূত্র, ডাল্টনের আংশিক চাপ সূত্র এবং গ্রাহামের ব্যাপন সূত্র) গাণিতিক সমস্যাসহ বিস্তারিত, গতিশক্তি, আদর্শ গ্যাস, বাস্তব গ্যাস-এর বিচ্যুতির কারণ, অ্যাসিড ক্ষারের মতবাদ, এসিড বৃষ্টি, DO, BOD, COD।
দ্বিতীয় অধ্যায় (জৈব রসায়ন) : সমগোত্রীয় শ্রেণি, নামকরণ (IUPAC), সমানুতা (বিশেষ করে জ্যামিতিক এবং আলোক), অর্থো-প্যারা এবং মেটা নির্দেশক (বেনজিনের ইলেক্ট্রনাকর্ষী প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া কৌশলসহ সক্রিয়তা এবং নিষ্ক্রিয়তার ব্যাখ্যা), ইলেক্ট্রনাকর্ষী যুত বিক্রিয়া (কৌশলসহ), কেন্দ্রাকর্ষী প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া (SN₁, SN₂ কৌশলসহ), প্রস্তুতি (অ্যালকেন, অ্যালকিন, অ্যালকাইন, অ্যালকোহল, অ্যালডিহাই, কিটোন, কার্বক্সিলিক অ্যাসিড, ফেনল, টি.এন.টি, গ্লিসারিন, শনাক্তকরণ (অ্যালকিন, অ্যালকাইন, অ্যালকোহল, অ্যালডিহাইড, কিটোন, কার্বক্সিলিক, অ্যাসিড, অ্যামিন), পার্থক্যকরণ (অ্যালকিন ও অ্যালকাইন, অ্যালডিহাইড ও কিটোন, প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও টারসিয়ারি, অ্যালকোহল)।
৩য় অধ্যায় (পরিমাণগত রসায়ন) : সমীকরণবিষয়ক গণনা, মোলারিটি, মোলালিটি, পিপিএম, পিপিবি, মোলারিটিকে শতকরা ও পিপিএম (ppm) এককে রূপান্তর। অম্লমিতি-ক্ষারমিতি অংশ নির্ভর প্রশ্ন বেশি আসে। যেমন-দ্রবের পরিমাণ, দ্রবণের ঘনমাত্রা, আয়তন, দ্রবণের প্রকৃতি নির্ণয়। জারণ-বিজারণের সমতাকরণ পদ্ধতি, আকরিকের বিশুদ্ধতা (আয়রণ এবং আয়োডিন) এবং লাভজনক বিশ্লেষণ করা থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা বেশি।
৪র্থ অধ্যায় (তড়িত রসায়ন) : ফ্যারাডের প্রথম সূত্র গাণিতিক সমস্যাসহ বিস্তারিত, অর্ধকোষ, কোষ তড়িৎচালক বল, কোন পাত্রে কোন তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণ রাখা যাবে বা যাবে না তার ওপর গুরুত্ব দেবে। নার্নস্ট-এর সমীকরণ অঙ্কসহ, হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল, লিথিয়াম ব্যাটারি, লেড স্টোরেজ ব্যাটারি।
আগেই তুমি প্রশ্নের নম্বর অনুযায়ী সময়কে সঠিকভাবে ভাগ করে নেবে, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করে রিভিশন দিতে পার।
পরিশেষে, বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির বাইরেও তোমাদের যে বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে প্রথমে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, নিজের ওপর বিশ্বাস, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন এবং কঠোর পরিশ্রম নিশ্চয়ই তোমার সাফাল্য বয়ে আনবে।
তোমাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করি। তোমরা আশানুরূপ পরীক্ষা দিয়ে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জনে সক্ষম হও-সে প্রার্থনা করি।
