সুদৃঢ় আত্মবিশ্বাস জরুরি
ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট বৌদ্ধ সন্ন্যাসী
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রতিষ্ঠাতা, বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজ, মিরপুর, ঢাকা
এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের প্রত্যেকের জন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। জীবনের লক্ষ্য স্থির করে সফলভাবে এগিয়ে যেতে হয় পরীক্ষার মাধ্যমে। তাই শিক্ষাজীবনের প্রতিটি পরীক্ষাই গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তবতা হলো এইচএসসি পরীক্ষার গুরুত্বকে একটু আলাদা করেই বিবেচনা করা হয়। কারণ, এই পরীক্ষায় ভালোভাবে পাসের মাধ্যমে শিক্ষাজীবনে প্রসারিত হয় উচ্চশিক্ষার দুয়ার। মূলত এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নের প্রথম অধ্যায় শুরু হলেও এইচএসসি হতে পারে এ অধ্যায়ের মুখ্য নির্দেশক। বন্ধুরা, এইচএসসিকে সামনে রেখে তোমার অভিভাবকদের বিশেষত তোমার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিকল্পনার কোনো কমতি নেই, তথাপি কয়েকটি পরামর্শ রইল।
* নিয়ম করে নিয়মিত পড়বে। পড়া শেষ হলে বিষয়টি অবশ্যই লিখে নিজের অবস্থা যাচাই করবে। যখন পড়তে বসবে তখন অন্য কোনো বিষয়ে মনোযোগী হবে না। সম্ভব হলে যে বিষয়টিকে একটু জটিল মনে করবে তা দিয়ে শুরু করবে এবং আয়ত্তে এলে অন্য বিষয়ে মনোনিবেশ কর। * শেষ সময়ে এসে সিলেবাসের বাইরে না পড়ে শ্রেণি শিক্ষকদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রদত্ত সিলেবাস অনুযায়ী পড়বে। সিলেবাসের বাইরের বিষয়গুলোও নজরে রাখতে হবে। এ সময় নিজে নিজে একটি মডেল পরীক্ষায় অংশ দিতে পার। এ ধরনের চর্চা, পরিচ্ছন্ন হাতের লেখা ও সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফলাফল বয়ে আনতে সহায়তা করবে নিঃসন্দেহে। * এখন থেকে পরীক্ষা চলাকালীন পুরো সময় পর্যন্ত চলাফেরার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবে। এমন কিছুই করা যাবে না যাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বা রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। * পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত হলে গিয়ে বসতে হবে যথাসময়ে। পরীক্ষা নিয়ে মনের ভেতর কোনো ধরনের হতাশা পুষিয়ে রাখা যাবে না, বরং সাবলীলভাবে পরীক্ষার শেষ পর্যন্ত শতভাগ আত্মগত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বয়ে আনতে পারবে প্রত্যাশিত সাফল্য।
