অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা প্রথমপত্র
ড. সনজিত পাল, সিনিয়র শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পড়ে পাওয়া
-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০) বাংলা সাহিত্যের একজন জনপ্রিয় শিল্পী। তার রচিত সাহিত্যে প্রকৃতি ও মানবজীবন এক অখণ্ড অবিচ্ছিন্ন সত্তায় সমন্বিত হয়েছে। তার সাহিত্যে প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্য ও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের জীবনাচরণের সজীব ও নিখুঁত চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। ‘পথের পাঁচালী’, ‘অপরাজিত’ উপন্যাস যেমন তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি তেমনি বাংলা সাহিত্যেরও অমূল্য সম্পদ। ‘পড়ে পাওয়া’ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত কিশোর গল্প। এটি ‘নীলগঞ্জের ফালমন সাহেব’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত। এ গল্পের কিশোররা কুড়িয়ে পাওয়া সম্পদ নিয়ে লোভের পরিচয় দেয়নি। বরং তাদের বসয়ের চেয়েও অনেক বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। লেখক দেখিয়েছেন, বয়সে ছোট হলে কী হবে তাদের নৈতিক অবস্থানও বেশ দৃঢ়। এ গল্পে কিশোরদের ঐক্য চেতনার যেমন পরিচয় পাওয়া যায়, তেমনি তাদের উন্নত মানবিক বোধেরও প্রকাশ ঘটেছে। তাদের চারিত্রিক দৃঢ়তার পাশাপাশি তীক্ষ্ণ বিবেচনাবোধও পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিশোরদের এমন সততা, নিষ্ঠা ও কর্তব্যবোধে বয়োজ্যেষ্ঠরাও বিস্মিত, অভিভূত। কিশোররা যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন তারা তাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ও বিবেচক তাকে মান্য করে তার ওপর আস্থা স্থাপন করে। এটি গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। দরিদ্র অসহায় মানুষের প্রতি ভালোবাসার চিত্রও ফুটে উঠেছে এ গল্পে।
‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের যে দিকগুলো ভালো করে পড়তে হবে :
‘পড়ে পাওয়া’ শিশু-কিশোরদের নৈতিকতাবোধ জাগরণের একটি গল্প। সবচেয়ে বুদ্ধিমান ও দূরদর্শী স্বভাবের বিধুর সঙ্গে সিধু, নিধু, তিনু, বাদল ও গল্পকথক মিলে এ গল্পে কিশোর আদর্শের যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এ গল্পের যে দিকগুলো ভালো করে পড়তে হবে তা তুলে ধরা হলো। ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পে বর্ণিত প্রতিটি চরিত্রের বিস্তার আগে জানা দরকার। কোন চরিত্রের রূপ কী, তা যদি অনুভব করা যায় তবে পুরো গল্পের শিক্ষণীয় দিকটি সামনে চলে আসবে। গল্পে বর্ণিত কালবৈশাখীর বর্ণনা, মেঘের ডাকের ধরন অনুযায়ী মেঘ নামার কিংবা ঝড় আসার সম্ভাবনার কথা, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন বা ঝড়ের পরে চলার পথের বর্ণনা, আম কুড়ানোর আনন্দ, টিনের বাক্সটি পাওয়ার অনুভূতি বা প্রতিক্রিয়া, ভূতের ভয় মন থেকে চলে যাওয়ার কারণ কিংবা কুড়ানো আমের প্রতি অবহেলার কারণ, বাক্সটি সংরক্ষণ করা, বাক্সটি প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেয়ার উপায় উদ্ভাবনের জন্য মিটিং করা, নিজেদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা ইত্যাদি। বাক্স কুড়িয়ে পাওয়ার খবর যেনে তা নেওয়ার লোভে বিভিন্ন লোকের আগমন এবং তাদের নিরাশ করে ফিরিয়ে দেওয়ার কৌশল, নদীতে আসা বন্যার বর্ণনা, কাপালিদের ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা, কাপালি লোকটির আগমন, গল্পকথকের বাবার কাছে সহযোগিতা চাওয়ার কারণ, নিজের ভাগ্যের দুরবস্থার কারণ বর্ণনা, বর্ণনা অনুসারে মিলে যাওয়ায় গল্পকথক কর্তৃক বিধুকে ডেকে আনা এবং প্রকৃত মালিককে বাক্সটি ফিরিয়ে দেওয়া। গল্পের যে যে স্থানে বিধুর বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতার প্রমাণ ফুটে উঠেছে তা ধরতে পারা।
অনুধাবন প্রশ্ন :
১. ‘ঐ-শোন- আমরা কান খাড়া করে শুনবার চেষ্টা করলাম’- ব্যাখ্যা কর।
২. ‘বিধু তখনো কান খাড়া করে রয়েছে’- কেন?
৩. ‘কিছু না মানে? তুই সব বুঝিস কিনা?’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৪. ‘এখন জলে নামব না’- কেন বলা হয়েছে?
৫. ‘আমাদের অনেকের মনের সন্দেহ তখনো দূর হয়নি’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৬. ‘ওরই ক্ষীণ সূত্র ...কি ঠিক হবে?’- কেন বলা হয়েছে?
৭. ‘বিধু আমাদের সব সংশয় দূর করে দিলে’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৮. ‘এরপর আর আমাদের সন্দেহ রইল না’- ব্যাখ্যা কর।
৯. ‘অল্পক্ষণ পরেই প্রমাণ হলো, ও আমাদের চেয়ে কত বিজ্ঞ’- ব্যাখ্যা কর।
১০. কালবৈশাখী ঝড়ের বর্ণনা দাও।
১১.‘আমগাছের তলাগুলি ছেলেমেয়েতে পূর্ণ হয়ে গিয়েছে’- কেন?
১২. ঝড়ের পরে রাস্তার অবস্থা কেমন ছিল?
১৩. ‘দ্যাখ তো রে জিনিসটা কী?’- ব্যাখ্যা কর।
১৪. ‘আমগুলো একপাশে অনাদৃত অবস্থায় পড়ে রইল’- কেন?
১৫. ভূতের ভয় মন থেকে চলে গিয়েছে কেন?
১৬. ‘সবাইকে ভাগ দিতে হবে, সবাই জেনে যাবে’- ব্যাখ্যা কর।
১৭. ‘অন্যায় কাজ হবে তালা ভাঙলে’- কেন বলা হয়েছে?
১৮. ‘অধর্ম করা হবে না’- কেন বলা হয়েছে?
১৯. ‘দুজনের মনই বদলে গেল’/‘দুজনেই হঠাৎ ধার্মিক হয়ে উঠলাম’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
২০. ‘এক গুপ্ত মিটিং বসল মন্দিরের কোণে’- কেন?
২১. বিধুকে দলের সর্দার বলা হয়েছে কেন?
২২. ‘কারও মাথায় কিছু আসে না’- সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা কর।
২৩. ‘এ নিয়ে অনেক কল্পনা-জল্পনা হলো’- ব্যাখ্যা কর।
২৪. বিধু ঘুড়ির মাপে কাগজ কাটতে বলছে কেন?
২৫. ‘লোকটা অপ্রতিভভাবে চলে গেল’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
২৬. বিধু কাকে এবং কেন পত্রপাঠ বিদায় দিল?
অম্বরপুর চরের কাপালিরা নিরাশ্রয় হয়েছে কেন?
২৭. নদীতে আসা বন্যার বর্ণনা দাও।
২৮. গল্পকথকের বাবার কাছে কাপালি লোকটা কেন এসেছে?
২৯. ‘এ বর্ষায় না আছে কাপড়, না আছে ভাত’- কেন বলা হয়েছে?
৩০. কাপালি লোকটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে কেন?
৩১. ‘অদেষ্ট, একেই বলে বাবু অদেষ্ট’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৩২. ‘আমি কান খাড়া করে শুনছিলাম’- সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা কর।
৩৩. গল্পকথকের বাবা বাক্সের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না কেন?
৩৪. বিধু সিধু আর তিনুকে নিয়ে আসতে বলে কেন? /‘ওরা সাক্ষী থাকবে কি না?’- কেন বলা হয়েছে?
৩৫. ‘ও বড় হলে উকিল হবে, সবাই বলত’- ব্যাখ্যা কর।
৩৬. ‘একটি ছোটখাটো ভিড় জমে গেল’- কেন?
৩৭. কাপালি লোকটা হকচকিয়ে গেল কেন?/ ৩৮. কাপালি লোকটার চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগল কেন?
৩৯. ‘ঠাকুরমশাই, আপনারা মানুষ না দেবতা?’ - কেন বলা হয়েছে?
