নিউইয়র্কের চিঠি
ট্রাম্পের নতুন পদক্ষেপে ভয়াবহ আতঙ্কে অভিবাসীরা
আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের চলমান কঠোর অভিযানের সঙ্গে কিছু নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসী কমিউনিটির মধ্যে ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এক আফগান যুবকের গুলিতে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজের কয়েক ব্লক দূরে ন্যাশনাল গার্ডের এক নারী সদস্য নিহত এবং আরও দুই সদস্য আহত হওয়ার জের ধরে সৃষ্টি হয়েছে তুলকালাম কাণ্ড। ১৯টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসাইলাম বা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনসহ সব ধরনের অভিবাসন প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে বন্ধ করা ছাড়াও ট্রাম্পের ‘তৃতীয় বিশ্ব’র সব দেশের নাগরিকের অ্যাসাইলাম আবেদনের প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করার ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এসব দেশ থেকে আগত আবেদনকারীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এর ফলে অ্যাসাইলাম আবেদনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভাগ্যও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বহু বাংলাদেশি নাগরিক এক দশকের বেশি সময় আগে আবেদন করে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন দপ্তর থেকে সাক্ষাৎকারের জন্য চিঠি পাওয়ার অপেক্ষা করছিলেন, তারা এখন দোটানার মধ্যে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে কেউ সামান্য ভুলত্রুটি করেছেন কিনা নতুন করে সেসব যাচাই-বাছাই করার কথা জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেছেন, ‘আমেরিকান জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রশ্ন আমাদের কাছে প্রথম অগ্রাধিকার। দরিদ্র দেশ থেকে আগত অভিবাসীরা আমেরিকানদের কল্যাণের জন্য গৃহীত সব সুযোগ-সুবিধার ওপর বিরাট বোঝা। তারা আমেরিকার জন্মগত নাগরিকদের তাদের হামলার শিকারে পরিণত করছে। আমেরিকানদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার করার জন্য আমি তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর।’ ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের (ইউএসসিআইএস) পক্ষ থেকেও ট্রাম্পের কথার প্রতিধ্বনি করা হয়েছে যে, তারা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর নাগরিকদের প্রতিটি আবেদন সর্বোচ্চ সতর্কতায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা নিশ্চিত হতে পারে আবেদনকারী আমেরিকার জননিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়। এ কঠোরতায় যুক্তরাষ্ট্রমুখী বিদেশিদের অবাধ অভিবাসন প্রবাহ বন্ধ হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে আসার পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা তার মুখ্য রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করেছেন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর গত সাড়ে দশ মাসে তিনি লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীর সঙ্গে বহুসংখ্যক বৈধ অভিবাসী, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ডধারীকেও দেশ থেকে বহিষ্কার করেছেন। বহিষ্কৃত বিদেশিদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তার মেয়াদের প্রথম বছর শেষ হওয়ার আগেই যত বিদেশিকে বহিষ্কার করেছেন, তা অতীতের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। চলতি বছরের এপ্রিলেই হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ দাবি করেছিল, ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনে বহিষ্কৃতের সংখ্যা পুরো ২০২৪ সালের বহিষ্কৃতের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। আমেরিকান ল এনফোর্সমেন্ট অফিসার টম হোম্যান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যাকে ‘বর্ডার জার’ নামে অভিহিত করেন, গত মে মাসে তিনি জানান, চার মাসে প্রায় দুই লাখ বিদেশিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জুনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির রিপোর্টে বহিষ্কৃতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে দুই লাখ সাত হাজার। কিন্তু সিরাক্যুজ ইউনিভার্সিটির ট্রানজেকশনাল রেকর্ডস বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসন তাদের প্রথম চার মাসে (ফেব্রুয়ারি-মে ২০২৫) প্রায় ৯ লাখ ৩২ হাজার বিদেশিকে বহিষ্কার করেছে। অন্যান্য সূত্র এ সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ বলে উল্লেখ করেছে।
সাবেক ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার দুই মেয়াদে ৩০ লাখ বিদেশিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করে অভিবাসন অধিকার প্রবক্তা সংগঠনগুলোর কাছে ‘ডিপোর্টার-ই-চিফ’ কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। আমেরিকার ইতিহাসে অতীতে আর কোনো প্রেসিডেন্ট এত বিপুলসংখ্যক বিদেশিকে বহিষ্কার করেননি। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বহিষ্কার করেছিলেন প্রায় ২০ লাখ বিদেশিকে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে প্রায় ১২ লাখ বিদেশিকে বহিষ্কার করেছিলেন। বিদেশি নাগরিকদের বহিষ্কারের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প যে অতীতের যে কোনো প্রেসিডেন্টের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবেন, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ডেমোক্রেটিক পার্টি ঐতিহাসিকভাবে অভিবাসীবান্ধব বলে ধারণা করা হয় এবং ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো, সান ফ্রান্সিসকো, ওয়াশিংটন ডিসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় সিটিকে অভিবাসীদের জন্য ‘স্যাংকচ্যুয়ারি সিটি’ বা অভয়াশ্রম বলা হলেও বাস্তবে তা যে সত্য নয়, তা ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্টদের আমলে বহিষ্কৃত অভিবাসীর সংখ্যা থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে তার প্রথম ও দ্বিতীয় নির্বাচনি অভিযানকালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সব অবৈধ অভিবাসী বিতাড়ন করে ‘আমেরিকাকে পুনরায় মহান’ দেশে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি উচ্চারণ করেছেন, তা অন্য কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করেননি। কেননা নির্বাচনের আগে ভোট বাগানোর কৌশল হিসাবেই কেউ অভিবাসী ইস্যুতে জোর গলায় কথা বলেন না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাচারালাইজ্ড নাগরিকসহ বৈধ অভিবাসী জনসংখ্যা ২০২৩ সালের জনগণনা অনুযায়ী, ৪ কোটি ৭৮ লাখ, যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১৪.৩ শতাংশ এবং অবৈধ অভিবাসীসহ ৫ কোটি ১৯ লাখ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অভিবাসী জনসংখ্যার মধ্যে দেশভিত্তিক বৃহৎ অভিবাসী সংখ্যা মেক্সিকোর (২৩ শতাংশ), ভারতের (৬ শতাংশ), চীনের (৫ শতাংশ) এবং ফিলিপাইনের (৪ শতাংশ)। বাদবাকি অভিবাসী বিশ্বের অন্যান্য দেশের। মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা ২ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬৪। একই বছরের ইউএস সেন্সাস ব্যুরোর পরিসংখ্যানে বাংলাদেশি অভিবাসী সংখ্যা আনুমানিক ৩ লাখ উল্লেখ করা হয়েছে। অভিবাসী বৈধ বা অবৈধ হোক, তাদের ওপর দমননীতি চালানোর প্রতিশ্রুতি উচ্চারণ করে কোনো প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সাধারণত অভিবাসীদের বিব্রত ও বিচলিত করা এড়িয়ে চলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি অনুযায়ী, কোনো বিদেশি অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের পাসপোর্ট অথবা পাসপোর্ট না থাকলে সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত দেশটির দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে তাকে তার দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন এর কোনো তোয়াক্কা করছে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের ঢালাও বহিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েই ঘোষণা করেছেন, কোনো দেশ যদি তার নাগরিককে ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে সেই দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপসহ সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই, এমন দেশ পৃথিবীতে নেই বললেই চলে। অতএব, যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ বিবেচনায় যে দেশেরই নাগরিকদের পায়ে শেকল বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে, কোনো দেশ তাদের প্রয়োজনীয় ভ্রমণ দলিল নেই বলে গ্রহণ করতে আপত্তি জানানোর সাহস করেনি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে আফগান অভিবাসী যুবক রহমতুল্লাহ ন্যাশনাল লাকানওয়াল কর্তৃক গুলি চালিয়ে তিনজন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে হতাহত করার পর অভিবাসন নীতিতে কঠোরতার অংশ হিসাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও কিছু দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় এখন যে ১৯ দেশ রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে-আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো, গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনিজুয়েলা। এ দেশগুলোর যেসব নাগরিক ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি লাভ করেছেন, অর্থাৎ গ্রিনকার্ড পেয়েছেন, তাদের পুনর্মূল্যায়ন ও যাচাই-বাছাই করা হবে বলেও জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ।
ঘাতক আফগান যুবক আফগানিস্তানে সিআইএর সহযোগী হিসাবে ‘স্করপিয়ন ফোর্সেস’ নামের এক ইউনিটে নিয়োজিত ছিলেন। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান বাহিনীকে প্রত্যাহারের পর আমেরিকানদের সহযোগী হিসাবে যারা কাজ করেছে, তাদের তালেবানের নিগ্রহের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিবাসন কর্মসূচি ‘অপারেশন অ্যালাইজ ওয়েলকামের’ আওতায় ঘাতক রহমতুল্লাহ ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ওই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৭৬ হাজার আফগানকে যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়, যারা আমেরিকান বাহিনীর সদস্যদের দোভাষী, গাড়িচালক বা অন্যান্য সহায়তা কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন। তার অ্যাসাইলাম আবেদন ২০২৪ সালে মঞ্জুর হয়েছে এবং তিনি গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদন করার অপেক্ষায় ছিলেন।
হোয়াইট হাউজের কাছে গুলিবর্ষণের ঘটনাটি অভিবাসন নীতিকে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে প্রয়োগের জন্য ট্রাম্পকে নতুন অজুহাত দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছে। মেক্সিকো সীমান্তে যেসব বিদেশি ভিড় করেন, তাদের অ্যাসাইলাম আবেদন গ্রহণ স্থগিত রাখা, বড় সিটিগুলোতে অবৈধ অভিবাসী পাকড়াও করতে ফেডারেল অভিবাসন এজেন্ট ও কোনো কোনো সিটিতে বর্ডার গার্ড মোতায়েন এবং অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার ত্বরান্বিত করার পর এখন বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশিদের অভিবাসন একটি নিয়মিত ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কারণ দেশটি এখনো ‘কান্ট্রি অব ইমিগ্রান্টস’ বা অভিবাসীদের দেশ হিসাবেই পরিচিত। অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। অভিবাসন অধিকার প্রবক্তাদের মতে, হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, তা নির্ণয় করার পরিবর্তে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৈধ অভিবাসনের পথ রুদ্ধ করা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ক্ষতির কারণ হবে। ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর অবৈধ অভিবাসীদের ঢালাওভাবে আটক করার অভিযান চালানোর ফলে গত সামারে ফসল তোলার মৌসুমে কৃষিপ্রধান রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭০ শতাংশ কৃষিশ্রমিক অনুপস্থিত ছিলেন এবং ফসল মাঠে নষ্ট হয়েছে। বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ প্রলম্বিত না করার লাভ-লোকসান সম্পর্কে ট্রাম্প প্রশাসনের যত দ্রুত বোধোদয় হবে, আমেরিকার বিকাশ তত সুগম হবে বলে তারা মনে করেন।
আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু : যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক
