সব সুকর্মের প্রতিবন্ধক দুর্নীতি
এম এ খালেক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কয়েকদিন আগে বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলাম রুটিন চেকআপ করানোর জন্য। লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, এমন সময় এক ভদ্রলোক সালাম দিয়ে হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিলেন। আমি সালামের উত্তর দিয়ে তার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করলাম। কিন্তু ভদ্রলোককে চিনতে পারলাম না। তাই নিজের পরিচয় দিয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলাম। তিনি নিজের পরিচয় দিলেন। ভদ্রলোক বিদেশি অর্থায়িত একটি বাংলাদেশি কোম্পানিতে কাজ করেন। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আরও জানালেন, কোম্পানিতে তার অবস্থান অত্যন্ত ভালো। প্রসঙ্গক্রমে তাকে বললাম, আমি একটি বিজ্ঞাপনী ফার্ম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি। সম্ভব হলে আমার প্রতিষ্ঠানকে যেন তিনি সহযোগিতা করেন। আমাকে বিস্মিত করে দিয়ে তিনি জানতে চাইলেন তাকে কী পরিমাণ কমিশন দেয়া হবে। তার এ কথা শুনে আমি আর কোনো কথা না বলে তাকে বিদায় করে দিলাম। বিদায় নেয়ার সময় তিনি আমার ভিজিটিং কার্ড চেয়ে নিলেন। এরপর বেশ কয়েকদিন আমাকে ফোন দিয়ে তার প্রস্তাব নিয়ে কী ভাবছি তা জানতে চান। একজন অচেনা মানুষ কারও সঙ্গে প্রথম পরিচয়ে এ ধরনের প্রস্তাব দিতে পারে তা আমি ভাবতেও পারিনি। মানুষ কাউকে কোনো অনৈতিক প্রস্তাব দিলে প্রতিপক্ষের অবস্থান এবং তার মনোভাব ভালোভাবে যাচাই করার পরই প্রস্তাব দেবে এটাই স্বাভাবিক ভদ্রতা। কিন্তু এখন সমাজ থেকে সেই সামান্য ভদ্রতাটুকুও যেন বিদায় নিয়েছে। দুর্নীতি এখন আর গোপনীয় কোনো বিষয় নয়। যারা দুর্নীতিবাজ তারা প্রকাশ্যেই এ ধরনের কাজ করছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যারা দুর্নীতিতে লিপ্ত তারা খুবই সংঘবদ্ধ এবং পরস্পর যোগসাজশেই কাজটি করে থাকে। ফলে এদের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রায়ই সম্ভব হয় না। আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমস্যার কথা শুনে থাকি। কিন্তু কেউই দুর্নীতিকে প্রতিষ্ঠানের জন্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন না। অথচ বাস্তবে দুর্নীতিই হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। অনেকে একসময় অধিক জনসংখ্যাকে বাংলাদেশের ‘এক নম্বর জাতীয় সমস্যা’ বলতেন। তারা মনে করতেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে দেশে আর কোনো জটিল সমস্যা থাকবে না। পরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করলেও এখনও দেশ সমস্যামুক্ত হতে পারেনি। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, জনসংখ্যা পরিকল্পিতই হোক আর অপরিকল্পিত, তা কখনোই একটি দেশের এক নম্বর সমস্যা হতে পারে না। কারণ জনসংখ্যা এমনই এক অর্থনৈতিক উপকরণ যা একই সঙ্গে সমস্যা ও সম্ভাবনাকে ধারণ করে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক উপকরণ হচ্ছে জনসংখ্যা। জনসংখ্যাকে বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হতে পারে না। সেই জনসংখ্যাকে যদি আমরা পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগাতে না পারি সেটা হবে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। জনসংখ্যাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানোর মতো উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারলে তা একটি দেশের শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পদে পরিণত হতে পারে। তাই প্রশিক্ষিত ও উপযুক্ত শিক্ষিত জনসংখ্যাকে জনসম্পদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আর ব্যর্থ হলে জনসংখ্যা রাষ্ট্রের জন্য আপদ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। জনসংখ্যাকে চেষ্টা করলেই জনসম্পদে পরিণত করা যায়। কিন্তু দুর্নীতিকে কোনোভাবেই সম্পদে পরিণত করা যায় না। তাই একটি দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশের জন্য দুর্নীতি এক ভয়াবহ আপদ হিসেবেই বিরাজমান। শিক্ষিত এবং অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোতে দুর্নীতি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। কথাটি অন্যভাবে বলা যেতে পারেÑ দুর্নীতি কম বলেই ওইসব দেশ অর্থনৈতিক উন্নতি অর্জন করতে পেরেছে। ‘অর্থনৈতিক উন্নতি ও দুর্নীতি’ এ দুইয়ের সহাবস্থান কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বাংলাদেশ এ বছর মার্চ মাসেই স্বল্পোন্নত দেশের সারি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। এটা আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ভালো একটি সংবাদ। তবে অনেক আগেই এ সাফল্য অর্জিত হতো যদি আমরা দুর্নীতিকে সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনতে পারতাম।
অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে দুর্নীতি অসহনীয় পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। কোনোভাবেই দুর্নীতি হ্রাস করা যাচ্ছে না। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে, বাংলাদেশ প্রতি বছর দুর্নীতির কারণে আড়াই থেকে তিন শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হারাচ্ছে। অর্থাৎ দুর্নীতি যদি সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনা যেত তাহলে বর্তমান অবস্থাতেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরও আড়াই শতাংশ থেকে তিন শতাংশ বেশি হতে পারত। গত শতাব্দীর ৮০-এর দশকের শেষের দিকে বিশ্বব্যাংকের একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে এসে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ক্ষেত্রে ব্যাপক চুরির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছিলেন, বাংলাদেশ যদি বিদ্যুৎ বিতরণের ক্ষেত্রে সিস্টেম লস্ আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য মাত্রায় নামিয়ে আনতে পারত, তাহলে প্রতি বছর যে অর্থ সাশ্রয় হতো তা দিয়ে প্রতি চার বছর পরপর একটি করে যমুনা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হতো। বিশ্বব্যাংক সে সময় দুর্নীতি নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল তা কিন্তু এখনও বিদ্যমান রয়েছে। বরং দুর্নীতির মাত্রা ও ব্যাপকতা আরও বেড়েছে। কিন্তু আমরা এখন আর দুর্নীতিকে কোনো সমস্যা বলে মনে করছি না।
দুর্নীতির প্রসঙ্গ উঠলেই বঙ্গবন্ধুর সেই বিখ্যাত উক্তির কথা মনে পড়ে। স্বাধীনতার পরপর দেশের সর্বস্তরে ব্যাপক আকারে দুর্নীতি বিস্তার লাভ করলে তিনি অত্যন্ত দুঃখ করে বলেছিলেন, ‘সবাই পায় স্বর্ণের খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘বিদেশ থেকে সাহায্য নিয়ে আসি আর চাটার দল সব খেয়ে ফেলে।’ সেই চাটার দল এখনও দোর্দণ্ড প্রতাপের সঙ্গে টিকে আছে। আর চোরের খনি আরও বিস্তৃত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই এখন দুর্নীতিবাজদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে দুর্নীতি না করলে টিকে থাকাই মুশকিল। যারা এখনও নিজেদের নানাভাবে দুর্নীতির ছোবল থেকে সরিয়ে রাখছেন, তারা নানাভাবে নিগৃহীত হচ্ছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ মঞ্জুরিপত্র বাংলায় লিখতে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এ মুহূর্তে ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য ঋণ মঞ্জুরিপত্র বাংলায় লেখা হল নাকি ইংরেজিতে লেখা হল তা কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা হচ্ছে এ খাতে বিদ্যমান নানা ধরনের দুর্নীতি। ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতি। খেলাপি ঋণ বলি আর অন্য যে কোনো সমস্যার কথাই বলি তার পেছনে রয়েছে দুর্নীতি। ব্যাংকের ম্যানেজমেন্ট ও পরিচালনা বোর্ড সদস্যরা যদি সততার সঙ্গে সঠিকভাবে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতেন তাহলে দুর্নীতি অনেকটাই কমে যেত। কারণ দুর্নীতি আর সুনীতি যাই হোক না কেন, তা উপর থেকে নিচের দিকে ধাবিত হয়। কাজেই দুর্নীতি কমাতে হলে শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে হবে উপর থেকেই।
দুর্নীতি কমানোর জন্য বিভিন্নজন নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু দুর্নীতির মূলে আঘাত হানার কথা কেউই বলছেন না। আমাদের দেশে মুক্তবাজার অর্থনীতি অনুসৃত হচ্ছে ১৯৯১ সাল থেকে। কিন্তু কার্যত এখনও একধরনের মিশ্র অর্থনীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট হল, যেসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পরিচালিত হওয়াটা একান্ত জরুরি সেসব প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে অন্যগুলোকে ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেয়া, যাতে তারা বাজারে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় ব্যবসা করে নিজেদের সামর্থ্য বা সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারে। কিন্তু আমাদের এখানে যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তর করা জরুরি তার অনেকগুলো রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, রাষ্ট্র কখনোই ভালো ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা হতে পারে না। বরং রাষ্ট্র কোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে গেলে সেখানে দুর্নীতি প্রাধান্য পাবেই। আমরা যদি বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করি তাহলেও এর বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই ব্যাপক দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো তুলনামূলকভাবে কম দুর্নীতিগ্রস্ত। এর মূল কারণ হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় প্রতিনিধিত্বাধীনে। সেখানে মালিক থাকেন অনুপস্থিত। মালিক যেখানে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অনুপস্থিত থাকেন সেখানে প্রতিষ্ঠানের প্রতি দায়বদ্ধতা কম থাকে। কারণ যারা এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ব্যাপৃত থাকেন তারা কখনোই প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের নিজেদের সম্পদ বলে বিবেচনা করেন না। বরং কিভাবে প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যক্তিগত ফায়দা লুটে নেয়া যায়, অনেকেই সেই চেষ্টায় থাকেন। অন্যদিকে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় সরাসরি মালিকের অধীনে। ফলে সেখানে প্রতিষ্ঠানের প্রতি দায়বদ্ধতা বেশি থাকে। মালিক তার প্রতিষ্ঠানকে নিজ সন্তানের মতো বিবেচনা করে থাকে। পিতা যেমন কোনো অবস্থাতেই তার সন্তানের ক্ষতি চাইতে পারেন না, তেমনি নিজ প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিও কেউ কামনা করতে পারে না। মূলত এ কারণেই ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে এখনও জবাবদিহিতা বেশি এবং দুর্নীতি তুলনামূলকভাবে কম। কেউ একবার কোনো রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে প্রবেশ করতে পারলে তার সাধারণত চাকরি হারানোর ভয় থাকে না। তাই সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকেন অনেকটাই দুুর্বিনীত। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি বা যে কোনো ধরনের অন্যায় কাজ করলে যখন-তখন চাকরি চলে যেতে পারে। সেখানে একজন কর্মকর্তা চাকরি হারানোর ভয়ে দুর্নীতি করতে তেমন একটা সাহসী হয় না। তাই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর করা যেত তাহলে দুর্নীতি অনেকটাই কমে আসত।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে রয়েছে নানা দুর্নীতি। আগে সাধারণত স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতো। কিন্তু এখন অনেক ক্ষেত্রেই ঘুষ ও তদবির ছাড়া চাকরি হয় না। আগে তদবির করলে চাকরি হতো। কিন্তু এখন শুধু তদবিরে আর চাকরি হয় না, এর সঙ্গে অর্থ প্রদান করতে হয়। তদবির ও অর্থ এ দুই উপকরণ যোগ হলেই কেবল চাকরির নিশ্চয়তা মেলে। কিন্তু অনেকের পক্ষেই এ দুটো একসঙ্গে ম্যানেজ করা সম্ভব হয় না। সাধারণত মনে করা হয়, চাকরির লিখিত পরীক্ষায় কোনো ধরনের দুর্নীতি হয় না। দুর্নীতি হয় ‘ভাইভা’ পরীক্ষায়। কিন্তু এখন দুর্নীতি শুরু হয় লিখিত পরীক্ষা থেকেই। এমনও শোনা যায়, লিখিত পরীক্ষা গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষকে আগেই প্রার্থীর নাম দিয়ে দেয়া হয়, যাদের পাস করাতে হবে। এ ছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি তো আছেই।
একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি অর্থ ও তদবিরের মাধ্যমে চাকরিতে প্রবেশ করে, তাহলে তার কাছ থেকে পরে কিভাবে সততা আশা করা যেতে পারে? কোনো প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি রোধ করতে হলে প্রথমেই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে। একইসঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান কোনোভাবেই ব্যক্তি মালিকানায় চালানো সম্ভব নয়, শুধু সেগুলোকে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় রেখে অবশিষ্টগুলোকে ব্যক্তি খাতে হস্তান্তর করতে হবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে যারা দুর্নীতি করে তাদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। দুর্নীতি সব সুকর্মের প্রতিবন্ধক। তাই যে কোনো মূল্যে দুর্নীতি রোধ করতেই হবে।
এমএ খালেক : অর্থনীতিবিষয়ক কলাম লেখক
