ধর্মীয় উৎসবে অসাম্প্রদায়িকতা
একে এম শাহনাওয়াজ
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশে উৎসবের ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে যখন আমরা ক্লাসে পড়াই, তখন উৎসবের দুটো শ্রেণীকরণ করি। একটি ধর্মীয় আর অন্যটি ধর্মবহির্ভূত লোকজ উৎসব। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, দীর্ঘ ইতিহাসের পথ হেঁটে আসা বাঙালি হাজার বছর ধরে এতটা গভীরভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করেছে যে- ধর্মীয় উৎসব পালন করতে গিয়েও তাদের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক আচরণ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই প্রকাশ পেয়ে যায়।
এ চেতনা বাঙালির রক্তে ও মানসিকতায় জড়িয়ে আছে। তাই ইতিহাসের শিক্ষা থেকে বারবার বলি- এই ঐতিহ্যকে অস্বীকার করে যেসব গোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি সৃষ্টির মাধ্যমে বিশেষ ফায়দা লোটার দুরভিসন্ধি কাজ করছে, তারা মাঝে মধ্যে মানবতার বক্ষ বিদীর্ণ করতে পারে, নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরাতে পারে- কিন্তু সাফল্য পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ মাটি তাদের ধারণ করবে না।
এ পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর এমন একটি প্রসঙ্গের অবতারণায় কেউ যদি অস্বস্তিতে পড়েন, তবে আমি বলব আলোচনাটিতে কিন্তু প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। প্রসঙ্গটির সঙ্গে যুক্ত হব খানিক পরে। নিঃসন্দেহে বাঙালি মুসলমানের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
তবুও কোনোদিন ঈদ উৎসবে বাঙালি মুসলমান কি অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখেছিল? অধিকাংশ মুসলিম পরিবারে ঈদের খাবার আয়োজনে গরুর মাংস খুব সাধারণভাবেই যুক্ত থাকে।
ছোটবেলা থেকে দেখেছি বাবা এবং বড় বোনদের হিন্দু সম্প্রদায়ের বন্ধুরা আসবেন বলে তাদের জন্য যত্ন করে ভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হতো। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ঈদ প্রসঙ্গে তার এক লেখায় বলেছেন, ঈদ হচ্ছে মুসলমান বন্ধুদের বাড়িতে বিনা নিমন্ত্রণে খাওয়ার দিন।
পূজামণ্ডপে হিন্দু বন্ধুর সঙ্গে কোনো মুসলমান পরিবারের ছেলেমেয়ে যখন আনন্দ ভাগ করে, তখন কোনো কোনো কাটমোল্লা ধর্ম গেল ধর্ম গেল বলে আহাজারি করতে থাকেন। তাদের কাছে ইসলাম যতটা ঠুনকো একজন প্রকৃত ধার্মিকের কাছে তেমনটি নয়।
এত সহজে যদি ধর্ম চলে যায় তবে তো পৃথিবীর কোনো জাদুঘরে মুসলমান যেতে পারবে না। কারণ সব জাদুঘরে খ্রিস্টান, ইহুদি, হিন্দু, বৌদ্ধ বা আদিবাসী সংস্কৃতির মূর্তি ও ভাস্কর্য রয়েছে।
১৯৮৪ সালের কথা। সবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বসবাসের ব্যবস্থা নেই। তাই ঢাকার রামপুরায় মায়ের সূত্রে থাকা বাড়িতে বসতি স্থাপন ও কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন শুরু হল। তখনও বড় ইমারত গড়া হয়নি।
বাড়িতে সাধারণ আয়ের ১৩টি পরিবার ভাড়া থাকে। এদের মধ্যে একটি আছে হিন্দু পরিবার। কাছে থেকে দেখেছি, ঈদের দিন বৌদির বাসায় রান্না নিষিদ্ধ ছিল। ঈদের আনন্দ ভাগ করে সবার বাসায় তাদের খেতে হতো। বৌদির মুণ্ডুপাত করা হতো, দুর্গাপূজায় লাড়ুর ভাগ সব ঘরে না এলে। অবশ্য বৌদি সে সুযোগ দিতেন না। লাড়–র ভাগ আমরা পেয়ে যেতাম।
উনিশ শতক-বিশ শতকে ঢাকায় মহররম পালনের কথা ইতিহাসের পাতায় আছে। তাজিয়া মিছিলের আয়োজন করতেন শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানরা। ইরাক-ইরানের মতো পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশে শিয়া-সুন্নির মধ্যে শত্র“তার সম্পর্কের কথা জানি।
পরস্পরের মধ্যে অনেক ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু শত বছরের বাংলার ইতিহাসে উল্লেখ করার মতো তেমন দুঃসময় আসেনি। সাম্প্রতিক সময়ে শান্তির ইসলামকে কলঙ্কিত করা জঙ্গি হামলায় ঢাকার ইমামবাড়া হোসেনি দালানে রক্ত ঝরানোর মতো ঘৃণিত ঘটনাটি ব্যতিক্রম মাত্র। বরং উনিশ শতকে তাজিয়া মিছিলের যে ছবি পাই তাতে শোকাবহ মিছিল ক্রমে লোকজ উৎসবে পরিণত হয়েছিল।
শিয়া বন্ধুদের সঙ্গে উৎসবের আনন্দ নিয়েই অনেক সুন্নি তরুণ ‘হায় হোসেন’ মাতমে যোগ দিত। অনেক সময় হিন্দু বন্ধুদের অংশগ্রহণের কথাও জানা যায়। তাজিয়া মিছিল হোসেনি দালান থেকে বের হয়ে আজিমপুর হয়ে পলাশীর মোড়ে এসে থামত।
এখানে বিশেষ করে হিন্দু মহিলারা বালতিতে দুধ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। মিছিলে ইমাম হোসেনের প্রতীকী ঘোড়া দুলদুল থাকত। মহিলারা তাদের বালতির দুধ দিয়ে দুলদুলের পা ধুইয়ে দিতেন মনস্কামনা পূরণ হবে এ বিশ্বাসে। এভাবে ধর্মীয় উৎসব মহররমের তাজিয়া মিছিল সবার অজান্তে বাঙালির লোকজ উৎসবে পরিণত হতো।
আমি মাঝে মাঝে ঢাকায় ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের এবং ছয় দফা আন্দোলনের মিছিলের ছবি দেখি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা মিছিল করছে। মার্জিত পোশাক সবার। পাকিস্তানের রাজনৈতিক কাঠামো তো ছিল ‘ইসলামিক রিপাবলিক’।
তবুও সে যুগে মেয়েদের মাথায় হিজাব দেখতে পাইনি। আমি হিজাবের বিরুদ্ধে নই। আমি দেখাচ্ছি সময়ের বাস্তবতা। এখন পোশাকি ইসলামের প্রসার অনেক হয়েছে। পাশাপাশি লাঞ্ছিত হচ্ছে ইসলামের মানবিকতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও শান্তির বাণী।
ছেলেবেলা থেকে দেখে এসেছি বাঙালির নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উদযাপন। গ্রামে এক রকম আর একটু ভিন্ন পরিচর্যা শহুরে জীবনের উৎসবে। গত শতকের ষাটের দশকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন যখন ব্যাপকতা পাচ্ছিল, তখন শাসক সম্প্রদায় ভেবেছিল বাঙালির শক্তি খর্ব করতে হলে তাদের সাংস্কৃতিক ঐক্য নষ্ট করতে হবে। তাই নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল রবীন্দ্রনাথ আর পহেলা বৈশাখ উদযাপন।
বাঙালির এ দীর্ঘদিনের নববর্ষ উদযাপনকে হিন্দুয়ানি বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল তখন। অথচ এ আধুনিক যুগে এসে আবহমান বাংলার লোকজ উৎসবকে সাম্প্রদায়িকতার কাদা ছড়িয়ে কলঙ্কিত করতে চাইছে আইয়ুব খানের ভাবশিষ্যরা।
এ সেয়ানা মূর্খরা কী জানে না- অনেক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উৎসব, যা আমরা হিন্দু উৎসব হিসেবে জানি; এর বেশির ভাগের উৎস আদিবাসী সংস্কৃতি। হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণকারীরা নিজ ধর্ম পরিচয় পেয়েছে অনেক পরে। পরবর্তী সময়ে তাদের ধর্ম অনুষ্ঠানে স্বাভাবিকভাবে ঢুকে গেছে এসব সংস্কৃতি। এগারো শতক থেকে ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে থাকে এদেশের মানুষ। তেরো শতক থেকে তা ব্যাপকতা পায়।
সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই পূর্বতন সাংস্কৃতিক আচরণ তাদের মধ্যে বজায় থাকবে। উনিশ শতকে হাজী শরীয়তুল্লাহ অন্য সংস্কৃতির প্রভাবমুক্ত করে মৌলধারার মুসলমান বানাতে চেয়েছিলেন বাঙালি মুসলমানকে তার ফরায়েজি আন্দোলনের মাধ্যমে।
কিন্তু তেমন একটা সাফল্য পাননি তিনি। কারণ এ মাটির অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই এসব লোকজ উৎসবকে বিশেষ ধর্ম ও সম্প্রদায়ের ছাপ মারা অন্যায় হবে। এসব সংস্কৃতি হিন্দু-বৌদ্ধ বা মুসলমানের সংস্কৃতি নয়- মিলেমিশে সব বাঙালি সংস্কৃতিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
দুর্ভাগ্য, গভীরভাবে ইসলামী শিক্ষার গূঢ়ার্থ বুঝতে না পারা লেবাসী কিছুসংখ্যক আলেম নামধারী মানুষ প্রতিদিন অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। আল কোরআনের বিশালতা ও মহানবীর মানবিক আবেদনকে অগ্রাহ্য করে এবং কোরআনের তাফসির অনুধাবন করতে না পেরে আক্ষরিক অনুবাদের খণ্ডিত অংশ ব্যবহার করে সরল মুসলমানকে অমানবিক করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এরা।
সম্প্রতি ফেসবুকে দুটি ভিন্ন ওয়াজ মাহফিলের কিছু অংশ ভাইরাল হয়েছে। একটিতে এক তরুণ হুজুর জেহাদি ঢংয়ে বলছেন, ‘পহেলা বৈশাখে যারা পান্তা-ইলিশ খেয়েছেন, নতুন কাপড় পরেছেন, নববর্ষের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন- মুসলমানিত্ব থেকে তাদের নাম কাটা গেছে। তাদের হাশর হবে হিন্দুর সঙ্গে।’ শুনে মনে হল, এ হুজুর আল্লাহর কাছ থেকে অহি পেয়ে গেছেন। আরেকটি হচ্ছে ঋতুভিত্তিক ওয়াজ। এক হুজুর বলছেন, ‘বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে মাতামাতি ইসলামবিরোধী কাজ। এসব ইহুদি নাসারাদের বিষয়। মুসলমানদের এসব থেকে সরে আসতে হবে।’ শুনে মনে হল সৌদি আরবের ফুটবল দলকে হেদায়েত করার জন্য এ হুজুরকে রাশিয়া পাঠানো উচিত ছিল।
জঙ্গিবাদ সারা দুনিয়ায় ইসলামের সৌন্দর্য ও মানবিকতার রূপকে কালিমালিপ্ত করেছে। বাংলাদেশেও বিভ্রান্ত করেছে অনেক তরুণকে। অনেক রক্ত ঝরিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেকটা কোণঠাসা করে ফেলেছিল জঙ্গিদের। ইদানীং আবার বোধহয় মাথা চাড়া দিতে চাচ্ছে। পবিত্র রমজান মাসে মুন্সীগঞ্জে ব্লগার-প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চুকে খুন করার পেছনে জঙ্গিদের হাত আছে বলে অনেকে মনে করছেন।
জঙ্গি হুমকি এসেছে চট্টগ্রামের এক পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এসব কমবখত ইসলাম-অজ্ঞ হুজুর ও জঙ্গি বিষবাষ্প ছড়ানো নিকৃষ্ট মানুষদের প্রতিরোধের জন্য ইসলামী দর্শন ও ঐতিহ্য থেকে যথাযথ বক্তব্য প্রচার করা প্রয়োজন। সহি বোখারি শরিফে আছে, একদিন ফজরের সময় হজরত আনাস (রা.) নবীজীর ঘরে ঢুকতেই দেখেন- কোনো এক অন্যায়কারীকে তার পাপের শাস্তি দেয়ার জন্য নবীজী প্রার্থনা করছেন।
তৎক্ষণাৎ আল্লাহর কাছ থেকে অহি এলো। বলা হল, কে ভালো কে মন্দ- তা আল্লাহই ভালো জানেন। কাকে আল্লাহ শাস্তি দেবেন আর কাকে মাফ করবেন, তা আল্লাহরই এখতিয়ার। অথচ এ সমাজের একশ্রেণীর মানুষ জঙ্গি তকমা লাগিয়ে আল্লাহর বিচারের দায়িত্ব নিজেরাই নিয়েছে। ইসলামের দোহাই দিয়ে মানুষ খুন করছে। হিসাব মতো একে ‘শেরেক’ ছাড়া আর কী বলা যাবে!
সুরা নাহলের ১১৬-১১৭ আয়াতের তাফসিরে বলা হয়েছে, মানুষ যেন মনগড়া কোনো কিছুকে হালাল বা হারাম না বলে। কেউ এ কাজ করলে তা আল্লাহর নামে মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করার নামান্তর হবে। যারা আল্লাহর নামে মিথ্যা আরোপ করে তারা কখনও সফল হয় না। ...পরকালে তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। সম্প্রতি মিসরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রান্ড মুফতি ড. শাউকি ইব্রাহীম বলেছেন, একমাত্র আদালতই কোনো ব্যক্তিকে ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিতে পারে। আদালতের ব্যাখ্যা ছাড়া কোনো মুসলমানকে ‘অবিশ্বাসী’ বা ‘নাস্তিক’ আখ্যা দেয়া ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আর জিহাদ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, একমাত্র রাষ্ট্রই জিহাদের ডাক দিতে পারে।
ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন। পাশাপাশি এদেশের মানুষ ধার্মিকও বটে। এমন একটি প্রেক্ষাপটে যখন দেশি-বিদেশি সুবিধা-অন্বেষী গোষ্ঠী কিছুসংখ্যক মানুষকে বিভ্রান্ত করে, ধর্মান্ধ বানিয়ে জঙ্গিবাদের প্রচার করতে চায়, তখন কোরআন ও হাদিসের যথাযথ ব্যাখ্যা সামনে এনে এদের নিষ্ক্রিয় করা ও বিভ্রান্তি থেকে তারুণ্যকে মুক্ত করা জরুরি। পাশাপাশি গ্রামগঞ্জে আলেম নামে পরিচিত কোনো কোনো ধর্মমূর্খ মানুষের অপপ্রচারের পথগুলোও বন্ধ করা জরুরি।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসনিরোধী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমে এ চিন্তাটিও যুক্ত হতে হবে। শুধু প্রচলিত কথা হিসেবে বললে হবে না- ইতিহাস থেকে প্রমাণ এনে দেখাতে হবে যে, এদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা বহন করছে শত শত বছর ধরে। এ সৌন্দর্যকে কেউ বা কোনো গোষ্ঠী যদি কালো কাপড়ে ঢাকতে চায়, তবে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
shahnaway7b@gmail.com
বদরুদ্দীন উমরের আজকের নির্ধারিত লেখাটি প্রকাশিত হবে বৃহস্পতিবার- বি.স.
