Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

চেতনায় বুদ্বুদ

গত বছর ‘স্বর্গে’ ছিলাম ১৭ দিন, কিন্তু...

Icon

বদিউর রহমান

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গত বছর ‘স্বর্গে’ ছিলাম ১৭ দিন, কিন্তু...

গত বছরের নভেম্বরের কথা মনে হলেই মনে হয় ‘স্বর্গে’ ছিলাম ১৭ দিন। গ্রামের প্রতি আমার যে দুর্নিবার আকর্ষণ তা দমাতেই পারি না। কারণ সম্ভবত এই যে, গ্রামের, বরং বলা চলে অজপাড়াগাঁয়ের, কাদামাটিতে বেড়ে উঠেছিলাম বলেই শেকড়ের প্রতি টানটা এখনো প্রবল। আরও একটা কারণ হতে পারে, জ্ঞাতিগোষ্ঠীর অনেকেই তো এখনো গ্রামেই থাকেন। আগে প্রতি দুমাসে নিয়মিত একবার গ্রামে যেতাম, দু-চারদিন কিংবা সপ্তাহও থাকা হতো। পারিবারিক, সামাজিক অনুষ্ঠানে, জানাজায় গেলে প্রায়ই দিনে দিনে ঢাকায় ফিরে আসতাম। রেলগাড়িতে তো টিকিট পাওয়া কঠিন ব্যাপার, সড়কপথে ফেনী এখন বেশ চমৎকার। সকালে বাসে গেলেও বাড়ি গিয়ে প্রাতরাশ করা যায়। হঠাৎ জ্যামে পড়লে ভিন্নকথা। সচিব থাকাকালীন সরকারের গাড়ি ব্যবহারের একটা ‘ফুটানি’ ধরে রাখার জন্য পেনশনও নিলাম না। একসঙ্গে সব টাকা নিয়ে একটা ব্যক্তিগত গাড়ি কিনে ফেললাম। চালক রাখার দুবারের তিক্ত অভিজ্ঞতায় এবং ব্যয়হ্রাসের চিন্তায় নিজে চালাই বিধায় বাসেই বেশি চলাচল।

গত বছর গাড়ি নিয়েই সস্ত্রীক বাড়ি গিয়েছিলাম। সব আত্মীয়স্বজনের বাড়ি যেতে পেরেছিলাম সহজেই-নিজের গাড়ি থাকায় এবং গ্রামগঞ্জেও সব রাস্তা পাকা হয়ে যাওয়ায়। আমাদের ছোট থাকাকালীন সরু কাঁচা রাস্তাও এখন পাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কল্যাণে গ্রামে এখন কাঁচা রাস্তা খুঁজে পেতেই বরং কষ্ট হয়। তবে পরের রক্ষণাবেক্ষণ অতীব দুর্বল। অনেক সময় একবার করার পর এক যুগের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও কার্পেটিংয়ের ছাল-চামড়া উঠে নিচের ইট খসে চলে গেলেও হয়তো মেরামতের দিকে নজর থাকে না। গ্রামের বড় অনেক রাস্তা আবার সড়ক বিভাগের আওতায় এসে গেছে। এমন ক্ষেত্রে ফাঁকে পড়ে গেলে এলজিইডির ছোটখাটো রাস্তা যেন আর তাদের হিসাবেও থাকে না। আমাদের বাড়ির পাশে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০০-৩০০ মিটারের একটা পাকা রাস্তা সেই যে সড়ক-বিভাজনের ফাঁকে পড়ে গেল, তা আর মেরামত হয় না। কয়েকবার ফেনী অফিসে গিয়েও পাত্তা পাইনি। ক্ষমতায় নেই বলে হয়তো কেউ এখন আর আমলও দেয় না। ফেনী অফিস থেকে বলা হয়, স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে যেন যোগাযোগ করি। থাকগে, তারপরও গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো যে এলজিইডির বদৌলতে এখন ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ হওয়ার জন্য বেশ এগিয়ে গেছে, তা স্বীকার করতেই হয়। মরহুম কামরুল ইসলাম সিদ্দিককে আমি সব সময় স্মরণ করি, তার জন্য দোয়াও করি। তার কর্ম তাকে এ দেশে এক বড় আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

নতুন নতুন আত্মীয়তার কাছে পুরোনো আত্মীয়দের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে দেখলাম। আমরা ছোট থাকতে দাদার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যেতে খুব আনন্দ পেতাম। জাহানপুর মোল্লাবাড়ি আমার দাদার শ্বশুরবাড়ি। আমরা দাদির এক ভাইয়ের বড় একটা কাঠের সিন্দুকের ওপর রাতে ঘুমানোর জন্য কাড়াকাড়ি করতাম। যে দুজন আগে উঠে যেতে পারতাম, সে দুজনই সে রাতে সিন্দুকের ওপরে ঘুমাতাম। ১৯৭৮ সালে দাদি মারা যাওয়ার পর আমাদের ও বাড়ি যাওয়া কমে এলো। আব্বার মামারাও মারা গেলেন, তার মামাতো ভাইদের দুজন মাত্র জীবিত আছেন। গত বছর গেলে তারা বুকে যে জড়িয়ে ধরলেন আর ছাড়তেই চান না। আব্বা মারা গেলেন ১৯৯০ সালে, চাচা ১৯৯২-এ। যোগাযোগ আরও কমল দাদার শ্বশুরবাড়িতে। জীবিত দুই চাচা যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলেন। বললেন, বাবারে, তোর আব্বা আর চাচা মারা যাওয়ার পর আর তো কেউ আসে না। ফুপু মারা যাওয়ার পর যা-ও এ দুজন আসত, এখন এরাও নেই, আমরা তো বয়সের ভারে যেতেও পারি না। বাবা, তুই কেমনে যে এলি আমাদের দেখতে! ও বাড়ির এসপি জসীম গত ঈদে আমাদের এলাকা ঘুরে এসেছিলেন, আমার কী যে আনন্দ হলো, দাদির ভাইপোদের দেখে এলাম। ও বাড়ির সামনের জাম্বুরা দিঘিতে (আসলে বড় পুকুর) আমরা ভয়ে সাঁতরাতে নামতাম না। অথচ সে দিঘির মাঝখান দিয়ে গ্যাসের মোটা পাইপ চলে গেছে। একই গ্রামে আমার বিজ্ঞানের শিক্ষক বদিউর রহমান স্যারের বাড়ি। তার কবর জিয়ারত করে এলাম। মরহুম বিচারপতি কাজী এবাদুল হকের জানাজায় গিয়ে মনে পড়ল, তিনি ধানমন্ডি লেকে হাঁটার সময় বলতেন, মোল্লাবাড়ির উত্তর পাশের বাড়িটা তার নানার বাড়ি। তবে তার যাওয়া হয় না অনেক বছর। আমি তার নানার বাড়িও দেখে এলাম। এবং তাকে জানালাম, তিনিও একবার তার নানার বাড়ি যাবেন বলেছিলেন, কিন্তু মৃত্যুর আগে তার যাওয়া হয়েছে কিনা আমাকে আর জানাননি।

বড় বোনের বাড়ি রাস্তেরখিল গ্রামে। কুমিল্লায় পড়েছে দত্তসার গ্রাম-ছোট বোনের বাড়ি। নোয়াবাদ গ্রামের মোল্লাবাড়ি আমার মেজো ফুপুর বাড়ি। ফুপু মারা গেছেন দাদার মৃত্যুর এক বছর আগে, ১৯৬০ সালে। ফুপা পরে বিয়ে করেছিলেন। পাশে চাচাতো বোনের স্বামীর ঘর। সবখানে গেলাম; ঘুরলাম। সব রাস্তাই এখন পাকা। সাবেক এসপি জামাল সাহেবের বাড়ি নোয়াবাদেই। পাশে ফতেহপুর গ্রামে আছে আমাদের স্বনামধন্য ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বাড়ি। ফেনী কলেজের সাবেক অধ্যাপক মরহুম মোতালেব ভূঁইয়াদের বাড়িও এ গ্রামে। মোতালেব ভূঁইয়া বড় দুলাভাইয়ের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন বিধায় আমারও আপনজন ছিলেন। পাশের গ্রামেই আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সিকান্দর পণ্ডিতের বাড়ি। আজ মনে পড়ে, এ স্যার কাঠের স্লেট দিয়ে পিঠে মারতেন। অঙ্ক পারত না বিধায় আমাদের নিতাই (মৃত) প্রায়ই মার খেত। ঘুরে এলাম সবখানে। মামার বাড়ি সিন্দুরপুর তো কোনবারই বাদ যায় না। একমাত্র মামাতো ভাইয়ের স্ত্রীই শুধু এখন বড়দের মধ্যে জীবিত। কত যে আপনজন, গেলে কী যে খুশি হন!

গৌতমখালি গ্রামে আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, আমার জীবনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হালিম উল্লাহ স্যারের কবর জিয়ারত করতে যাই প্রতিবার। আমাদের কত যত্ন করে স্যার নিজ বাড়িতে রেখে বৃত্তি পরীক্ষার উপযোগী করেছিলেন। তার অবদানেই আমার উঠে আসা। এটি হচ্ছে এক ব্যাংক মালিক নিজাম চৌধুরীদের বাড়ি। দ্বীপতুল্য গ্রামটিতে এখন পাকা রাস্তা। অবকাঠামো খাতে যে উন্নয়ন গ্রামগঞ্জে বিকশিত হয়েছে, তার কোনো তুলনা হয় না। গণতন্ত্রের পথে খোলা দরজা কিছুটা বন্ধ করে দিলেও উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ ২০২৪-এর নির্বাচনেও আবার জয়ী হয়ে যাবেন-এটা প্রায় নিশ্চিত করে বলা যায়।

আমার দুই ফুপুর বাড়ি জয়নারায়ণপুর ও নুরুল্লাপুরেও গেলাম। বড় ভাই আর ছোট ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি-মোমারিছপুর, ছোট ধলিয়ায় তো গেলামই। দুই চাচাতো বোনের বাড়ি-চন্দ্রপুর ও জগইরগাঁও গেলাম। বড় ভাইয়ের এক শ্যালিকার বাড়িও গেলাম। ছোট ভাইয়ের ছেলেকে নিয়ে তার দুই খালার বাড়িও ঘুরে এলাম-আরও দুই গ্রামে, পূর্ব রামচন্দ্রপুর ও নন্দীরগাঁও। নিজের লক্ষ্মীয়ারা স্কুলসঙ্গীদের বাড়ি বাড়ি গেলাম, মৃতদের কবর জিয়ারত করলাম। নিজের হাইস্কুল, প্রাথমিক স্কুল, আশপাশের রাজাপুর স্কুল ও কলেজ, সরিষাদি স্কুল, লক্ষ্মীয়ারা হাইস্কুল, সিলোনিয়া স্কুল, মোকাররা আলিয়া মাদ্রাসা-সব ঘুরে এলাম। কত কত আনন্দ হলো।

এই ১৭ দিনে কত কত বাড়ি যে গেলাম, তা বোধকরি জীবনে আরেকবার আর না-ও হয়ে উঠতে পারে। স্কুলজীবনের আমার লজিং বাড়িগুলোয় এখন আর কোনো মুরুব্বি জীবিত নেই। নিজের জীবদ্দশায় নিজে গাড়ি চালিয়ে এই যে বাড়ির পর বাড়ি, গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলাম, দেখলাম, তাতে এক নতুন অভিজ্ঞতা হলো। যেসব নদী আমরা স্কুলে পড়ার সময়ে সাঁতরে পার হতাম, কিংবা বাঁশের সাঁকোতে পেরোতাম, সেগুলো সব এখন পাকা সেতু বা পোর্টেবল স্টিল ব্রিজ। ভাবা যায়-আমাদের সেদিন আর এদিন! আমরা হলাম এমন এক প্রজন্মের, যারা গরুর গাড়িতে যেমন চড়েছি, স্যাটেলাইট সুবিধাও তেমন পাচ্ছি। বোনকে পালকিতে করে শ্বশুরবাড়ি যেমন নিয়েছি, আবার রিকশায় করে গ্রামের কাঁচা রাস্তায়ও যেমন চলেছি, তারপর বেবিট্যাক্সি, আর এখন চলছি গাড়িতে। প্রবাসীরা এখন বিমানবন্দর থেকে সোজা গাড়ি নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। কোথায় গেল আমাদের শনের (ছনের) ঘর, তারপর টিনের ছাপরা; তারপর এখন পাকা দালান। গ্রামে মাটির দেওয়ালের ঘর এখন আর পেলাম না। গ্রামে দোতলা পাকা বাড়িও হয়েছে। কিন্তু অবাক হলাম, নতুন নতুন বাড়ি হওয়ায় ফসলি জমি গত ৫০/৬০ বছরে মনে হয় ১০ শতাংশ কমে গেছে। প্রবাসীরা দেশে এলেই একটা নতুন দালান, একটা নতুন বাড়ি যেন করবেনই। আমাদের বাড়ির বউরাও এখন চা-দোকানের পরোটা খায়। আমাদের ঢেঁকিটা যে কোথায় হারিয়ে গেল! আমি তাজ্জব হই, কোনো কোনো ঘরে দুটি টিভি। কারণ জানলাম, দুই বউ দুই সিরিয়াল দেখে বলে দুজনের দুটি টেলিভিশন। ডিশ তো আছেই। আর্থিক অবস্থার কী পরিবর্তন! প্রায় ঘরে কমলা, আপেল, আঙুর আগে থেকেই আছে দেখে খুশি হলাম। তবে কিছু কিছু গরিব পরিবার কিন্তু এখনো গরিব রয়ে গেছে। তাদের তুলে আনতে পারলেই উন্নয়নটা বোধকরি স্থিত হবে।

মাঠে মাঠে পাকা ধান দেখলাম। ধান কাটা দেখলাম। স্মৃতিতে ডুবে গেলাম, আমি নিজ হাতে ধানের চারা রোপণ করেছি, ধান কেটেছি, ঢেঁকিতে ধান ভানায় সাহায্য করেছি, অবশ্য ধান কলেও নিয়েছি। নদীতে এখন আর তেমন পানি নেই, নেই আগের সেই মাছও। ১৯৬৩ সালে কাজীরহাটে স্লুইসগেট হওয়ার পর বন্যা বন্ধ হয়েছে, লোনা জল প্রবেশ বন্ধ হয়েছে, কিন্তু প্রাকৃতিক উৎসের মাছ যেমন কমেছে, তেমনি লোনা পানির মাছ তো নেই-ই। বারাহিগোবিন্দ গ্রামের ছোট ফেনী নদীর যে অংশে আমি মাছ ধরেছি, জায়লস্কর হাইস্কুলে পড়ার সময় সে নদীতে এখন বিজিবির প্রতিষ্ঠান। এখানে যে একটা নদী ছিল, তা এ প্রজন্মের অনেকে হয়তো জানেও না। অবাক হলাম, বাড়ি বাড়ি এখন খড়ের চিন নেই, গরু-ছাগল তো অনেক পরিবারেই নেই। কৃষিশ্রমিক আসে উত্তরবঙ্গ থেকে, অনেক জমি পড়ে থাকে অনাবাদি, পোষায় না নাকি। ’৫০-এর দশকের, ’৬০-এর দশকের অভাব কিন্তু নেই। যান্ত্রিক চাষাবাদ বেড়েছে। অভাব নেই বলা চলে।

গ্রামের মানুষের রাজনীতি সচেতনতা দেখে আশ্চর্য হই, দল তো আওয়ামী লীগ আর বিএনপি। তবে শেখ হাসিনা যে দলীয় মার্কায় চেয়ারম্যান নির্বাচন আইনিরূপে এনেছেন, এটা বেশির ভাগ মানুষেরই, দল-নির্বিশেষে অপছন্দ। কিন্তু হতবাক হলাম আওয়ামী দখলদার দেখে। সব যেন আওয়ামী লীগের। সামাজিক মান-মানিতা এখন যেন সেকেলে গল্প। আওয়ামী রাজনীতিতে অনেকেরই আর্থিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে। চেয়ারম্যান নয় শুধু, ওয়ার্ড মেম্বারও গাড়ির মালিক। উন্নয়ন ভালো, আমরা খুশি, কিন্তু আওয়ামী-মাস্তানি আমাকে যারপরনাই হতাশ করেছে। আমাদের পাশেরই এক ছেলের মাস্তানিতে আমরা অতিষ্ঠ। তারা সব একাট্টা। প্রতিবাদের সাহস কারও নেই। যারপরনাই অবাক হলাম, যখন দেখলাম ওই ছেলে ‘পুরিয়া-ট্যাবলেটের’ অর্থাৎ মাদকের জমজমাট ব্যবসাও করে। ভয়ে কেউ কিছু বলা তো দূরের কথা, বরং তাকে সালাম দিয়ে চলে। কারণ সে যে আওয়ামী লীগ করে, এমপির সঙ্গে তার ছবি থাকে। সে নিজেদের কবরস্থান নিজের নামে চালিয়ে সরকারি অর্থে দেওয়াল পাকা করে, নিজের বাড়ির রাস্তাও করে, নদী খননের মাটি বিক্রি করে, অন্যের জায়গা দখলেও রাখে। এবার মাদকের জন্য পুলিশ নাকি তাকে তাড়াও করেছে, কিন্তু ওই পর্যন্তই। দীর্ঘ আওয়ামী শাসনের সামাজিক অধঃপতনের এদিকটা আওয়ামী নেতৃত্ব সযত্নে দেখেন কিনা, আমাকে ভাবিয়ে তোলে। আমার ১৭ দিনের স্বর্গবাসের মধ্যে এই একটা নারকীয় রূপ আমাকে যারপরনাই চিন্তিত করেছে; কারণ আমি যে নৌকার জয়ে সবসময় আনন্দ পাই।

বদিউর রহমান : সাবেক সচিব, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান

গ্রাম শহর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম