মনুষ্যত্বের আবশ্যকতা ও আমাদের অবস্থান
ড. হাসনান আহমেদ
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ছাত্রজীবনে গানের প্রতি অনুরক্ত ছিলাম। জীবনে ভাটার টান এসে যাওয়ায় এ কথা বলতে এখন সংকোচ বোধ করি। কিছু কিছু গান আমার বেশ ভালো লাগত, যেমন-‘নদী যদি বলে সাগরের কাছে আসবো না, তা-কি হয়! মেঘ যদি বলে আকাশের বুকে ভাসবো না, তা-কি হয়!’, ‘মানুষ মানুষের জন্য একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না’ ইত্যাদি। মনে প্রশ্ন জাগে, নদী সাগরের সঙ্গে না মিশলে তাকে কি নদী বলা যায়? আকাশের বুকে না ভাসলে তাকে কি মেঘ বলা যায়? নদীকে সাগরের কাছে আসতেই হবে; মেঘকে আকাশের বুকে ভাসতেই হবে, তারপরই নদী ও মেঘের সার্থকতা। আচ্ছা, মেঘ ও নদী ছাড়া কি সাগরের কর্ম পূর্ণতা পায়? মানুষ হতে গেলে মনুষ্যত্বের গুণ থাকতেই হবে, এ-ও মানুষের সার্থকতা। গানে ‘মানুষের জন্য একটু সহানুভূতি’র অর্থ এ-ও হতে পারে যে, মানুষের জন্য মানুষের মনুষ্যত্ব জেগে উঠতেই হবে। প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক, শাশ্বত এগুলো না হলে কী হয়? মনুষ্য সমাজের একজন হওয়ায় এগুলো ভাবাও আমাদের দায়িত্ব। এখন রমজান মাস। প্রতিবছরের মতো এবারও সারা বছরের জন্য রমজানের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ জাগরণের ট্রেনিং চলছে। আমরা মানুষ হিসাবে সে ট্রেনিং কতটুকু গ্রহণ করতে পারছি, সেটাই প্রশ্ন। মানুষের জন্যই সমাজ ও রাষ্ট্র। ভাবা প্রয়োজন, মনুষ্যত্বহীন মানুষ হলে সমাজ ও রাষ্ট্রের অবস্থা কেমন হয়।
একজন মানুষকে শিক্ষিত মানুষ হিসাবে পরিগণিত হতে গেলে বেশ কয়েক ধরনের শিক্ষা তার মধ্যে থাকতে হয়। এর প্রধান উপাদানটি হচ্ছে মনুষ্যত্ববোধের শিক্ষা। মানুষের মধ্যে মনুষত্বের গুণ ও পশুত্ব দুই-ই থাকে। পশুরা জন্ম থেকে আমৃত্যু পশু। কিন্তু মনুষ্যত্বের শিক্ষা মানুষকে বিবেকবোধ ও জ্ঞান খাটিয়ে সমাজ ও প্রকৃতি থেকে অর্জন করতে হয়। পশুরা যাতে অন্য কোনো প্রাণীকে আক্রমণ করে জীবন রক্ষা করতে পারে, প্রাণী শিকার করে ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে, তার জন্য প্রকৃতি তাদের নখর, শিং ও ধারালো দাঁত দিয়েছে। মানুষ অন্যকে আক্রমণ করার জন্য, জিঘাংসা চরিতার্থ করার জন্য শত কোটি টাকার প্রজেক্ট হাতে নিয়ে কৃত্রিম নখর, শিং ও দাঁত তৈরির জন্য প্রতিযোগিতায় নেমেছে। মানুষের বিবেকবোধ খাটিয়ে অন্যের কথা ভাবা উচিত, কিন্তু পশুরা নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত। মানুষের লজ্জা-শরম থাকা উচিত, কিন্তু পশুরা লজ্জাশূন্য। এতে আমরা তাদের খারাপ বলি না। তাদের বৈধ-অবৈধ, সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায় জ্ঞান নেই। ‘খাও-দাও ফুর্তি করো, আগামীকাল বাঁচবে কিনা বলতে পারো’ নিয়েই তারা মত্ত। মনুষ্যত্ব মানুষ ও অন্য কোনো প্রাণীর প্রতি সদয় হওয়ার গুণ। মনুষ্যত্ব কোনো একক গুণ নয়, অনেক মানবিক গুণের সমাহার। এর প্রধান কয়েকটি হলো-সততা, চারিত্রিক শুদ্ধতা, সত্যের প্রতি আনুগত্য, দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, বিবেকবোধ, ত্যাগের মহিমা, ন্যায়নিষ্ঠা, কর্তব্যবোধ, আত্মমর্যাদা ইত্যাদি। মনুষ্যত্বের সম্মিলন আছে বলেই আমাদের নাম মানুষ হয়েছে। মানুষ হতে গেলে এসব গুণ বিভিন্ন মাত্রায় মনের মধ্যে থাকতে হয়। এসব গুণ মানুষকে পশু থেকে পৃথক করেছে। মানুষকে সৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা ও কাজের মাধ্যমে মনুষ্যত্বের গুণ মানুষের মধ্যে বিকশিত ও প্রকাশিত হয়। তখন আমরা বুঝি সে একজন মানুষ। মানুষ মরে যায়, কিন্তু টিকে থাকে তার মনুষ্যত্ব। এটাই সৃষ্টিকে মহিমান্বিত করেছে।
মানুষের কোনো কাজে পশুত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটলে বা মনুষ্যত্বের গুণের অনুপস্থিতি দেখলে আমাদের মধ্যে একটা অস্বস্তিবোধ কাজ করে। আমরা তখন সেই মানুষটিকে পশুর সঙ্গে তুলনা করি। আমাদের বিবেকে বাধে বলেই আমরা সরাসরি মানুষটিকে পশু বলে সম্বোধন করতে পারি না। আবার পশুর মধ্যে মনুষ্যত্বের গুণাবলী বিদ্যমান থাকে না বলে আমরা পশুকে মানুষ বলি না। ভবিষ্যতে পশুরা মনুষ্যত্বের গুণাবলী সম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠলে পশুকে মানুষ নামে অভিহিত করতে আমাদের কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। তখন পশুকুল মানুষকুলকে হার মানাবে। পরিবর্তনশীল এ পৃথিবীতে কোনো কিছুকে একেবারে অসম্ভব বলে উড়িয়ে দেওয়ার হেতু নেই। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিগ্রহ, মারণাস্ত্রের ব্যবসা, মারণাস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা, বাঘের হরিণ শাবক খাওয়ার গল্পের মতো কল্পিত অজুহাতে বিভিন্ন দেশের সাধারণ মানুষ ও সতীর্থ নিধন, রাষ্ট্রক্ষমতার দাপট, এক দেশকে শোষণ করে নিজের দেশের লোকজনের অসদিচ্ছা পূরণ, নির্লজ্জ মিথ্যার প্রকাশ্য বেসাতি, গণরায় আদায়ের জন্য যে কোনো পন্থা অবলম্বনের মানসিকতা, পশুত্বকে হার মানানোর মতো ব্যক্তি ও গোষ্ঠী-স্বার্থপরতা ইত্যাদির অনুরূপ মনুষ্যত্বের অপমান যেভাবে ঘটে চলেছে, তা দেখে পশুসমাজ যদি অলক্ষ্যে হেসেই ওঠে, অমূলক ভাবার কিছু নেই।
এ বিষয়ে আমরা উদাহরণ হিসাবে আপাতত হাতেগোনা ফিলিস্তিনিদের কথা, সিরিয়াবাসীর কথা, কাশ্মীর উপত্যকার জনসাধারণের কথা, সবে মুক্তি পাওয়া আফগানিস্তানের কথা, রোহিঙ্গাদের কথা, ইরাকবাসীর কথা, উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের কথা, সাধারণ ইউক্রেনবাসীর কথা একটু পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পারি। পশুসুলভ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এসব কর্মকাণ্ডকে মিলিয়ে দেখতে পারি। প্রতিটি দেশের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ। সব মানুষেরই একই রঙের রক্ত। হাসি-কান্না, অনুভূতিও এক। অথচ রাষ্ট্রের হর্তাকর্তারা নিজেদের সম্প্রদায়ের জন্য করে এক, অন্য সম্প্রদায় বা দেশের জন্য ভাবে ও করে আরেক। কখনো কোনো দেশ বা সম্প্রদায়কে ভূপৃষ্ঠ থেকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। কোনো কোনো দেশের হর্তাকর্তা নিজের ও সাঙ্গপাঙ্গদের জন্য ভাবে ও করে এক, দেশবাসীর জন্য করে আরেক। এ আবার কেমন জনসেবা? গলদটা কোথায়? আমরা যতটুকু জানি, লর্ড ক্লাইভ নিজ দেশবাসীর কাছে প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তি হলেও ভারতবর্ষসহ বিশ্ববাসীর কাছে কুখ্যাত জালিয়াত, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ ছিলেন। মানব চরিত্রের এ আবার কেমন বহুরূপী ও বিপরীতমুখী আচরণ! একই অঙ্গে এত রূপ! মনুষ্যত্বের গুণ না থাকলে কি তাকে মানুষ বলা যায়? বিশ্বব্যাপী এ মনুষ্যত্বহীনতা থেকে কি মানবজাতির কোনো পরিত্রাণ নেই? বিশ্বের ইতিহাস ও ঘটনাপরম্পরা থেকে কি মানবজাতি শিক্ষা নেবে না? পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘তাদের অন্তর আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা উপলব্ধি করে না; আর তাদের চোখ আছে তা দিয়ে দেখে না; আর তাদের কান আছে তা দিয়ে শোনে না; তারা পশুর মতো বরং তার চেয়েও বেশি নিকৃষ্ট; ওরা উদাসীন (ওরা কমন সেন্সও ব্যবহার করে না)। (আল আ’রাফ, ৭:১৭৯)।
আমি শিক্ষক। আমি সাড়ে তিন যুগ ধরে প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দিচ্ছি। আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মনুষ্যত্বের গুণ বাড়ছে, না কমছে। আমার অভিজ্ঞতা বলে, ক্রমেই কমছে। কিন্তু এর জন্য আমি তাদের কোনোক্রমেই দায়ী করতে পারি না। আমার মতো কয়েকজন শিক্ষক নামের অসহায় ব্যক্তি পুস্তকী নীতিকথায় যুক্তি-তর্কে অনেক সময় তাদের কাছে হেরে যায়। তারা আমাদের সমাজের বাস্তবতার কথা তুলে ধরে। আমরা নৈতিকতার কথা যতবারই উচ্চারণ করি না কেন, বুঝি তাদের অধিকাংশই সামাজিক বাস্তবতাকে অনুসরণ করে। আমরা নিরুপায় বোধ করি। তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করছে। তাহলে সমাজের অবস্থাও আমরা অনুমান করতে পারি। এছাড়া আমরা কেউই অন্ধ নই; পত্র-পত্রিকায় পড়ছি, নিজ চোখে দেখছি মনুষ্যত্বের অবক্ষয়। নির্লজ্জ দুর্নীতি, রাহাজানি, ডাহা মিথ্যার বেসাতি, প্রতারণা, উদগ্র দুরাচারবৃত্তি, কথার সঙ্গে কাজের গরমিল, নিজের কোলে ঝোল টানার সীমাহীন প্রয়াস-সবই চোখের সামনে ঘটছে। তা-ও বাস্তবে আমরা সবাই দেখছি, অথচ আমরা নিশ্চুপ। আমাদের শিক্ষক সমাজের অনেকেই নিজের মনুষ্যত্বের সঙ্গে আপস করে কোনো না কোনো কায়েমি স্বার্থবাদী গ্রুপের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে। বাকিরা অসহায়, সাক্ষীগোপাল। কখনো গানের তানে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগি-‘আমি কি মরেই গেছি, না-কি মরে বেঁচে আছি...।’ সমাজে শিক্ষার নিয়ামক শক্তিগুলো যদি সজোরে ছাত্রছাত্রীদের পুরো অবয়ব ধরে নিচের দিকে টানে, আমাদের মতো কতিপয় শিক্ষক নামধারী ব্যক্তির পক্ষে যতই ছাত্রছাত্রীদের উপরের দিকে টানার চেষ্টা করি না কেন, আমাদের মুরোদে কুলায় না, আমরা উপরে ধরে রাখতে পারি না, হেরে যায়। এতে বোঝা যায়, সামাজিক শিক্ষা মনুষ্যত্বের গুণবিবর্জিত হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা যথাযথ শিক্ষা প্রদানে ব্যর্থ হয়। যদি বলি সামাজিক শিক্ষার এ দৈন্যদশার জন্য দায়ী কে বা কারা, তখনই মাথার মধ্যে ঘট পাকায়। বিভিন্ন পক্ষ এসে দায়িত্ব ঝাড়া মেরে ফেলে দেয়। ধমকের সুরে বলে, ‘আমাকে দায়িত্বজ্ঞান দীক্ষা দিতে আসিয়াছ, আমি যাহা করি তাহা তোমরা করিও না, আমি যাহা বলি তাহা তোমরা মানিয়া চলিও ও করিও।’ এ হিতোপদেশ কি কখনো বাস্তবায়ন হয়? অন্য মানুষ কি তা মানে?
কোনো সমাজের ক্ষমতাবান মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব লোপ পেলে সমাজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠে; সমাজে অশান্তি বিরাজ করে, ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতি প্রতিষ্ঠিত হয়; ভালো-মন্দ বোধ লোপ পায়। মানুষ নির্লজ্জ হয়ে যায়। ‘চোরের মার বড় গলা’ই আদর্শ হয়ে যায়। দুর্নীতি ও কালো টাকার দাপট প্রাধান্য পায়, প্রতিটি পর্যায়ে আইনহীনতা দেখা দেয়। সমাজ অশিক্ষা-কুশিক্ষায় ছেয়ে যায়। সমাজে বুনো আবহ বিরাজ করে। সত্য থেকে মিথ্যাকে পৃথক করা কঠিন হয়ে পড়ে। ভয়ে সাধারণ মানুষ মিথ্যার দাপটের কাছে হার মানে। সমাজের মনুষ্যত্বহীন স্বার্থান্বেষী লোকেরা হীন স্বার্থ উদ্ধারে মিথ্যাবাদী ও অন্যায়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। মিথ্যার পক্ষে জোটবদ্ধ হয়ে জিগির তোলে। ভালো মানুষের পক্ষে সমাজে মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। এসবই মনুষ্যত্বহীনতার সিম্পটম। শিক্ষার উদ্দেশ্য যদি মনুষ্যত্বের জাগরণ হয়, সমাজ যদি শিক্ষিত লোকদেরই হয়-তাহলে পত্রিকার পাতা উলটালেই চারদিকে পশুত্ব ও পাশবিকতার জয়ধ্বনি কেন? দেদার অপরাধ করছে, টাকা লুটপাট করছে, আবার অপরাধকারীরা সমাজে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন? সৎপথে জীবন নির্বাহ করতে অসৎ, প্রতারক ও অশিষ্টদের প্রতিনিয়ত উঠতে-বসতে সালাম ঠোকার প্রয়োজন হয় কেন? সৎ ও নিষ্ঠাবান লোকের প্রতি অবজ্ঞা ও অবহেলা করা হয় কেন? এত সব ‘কেন’র উত্তর কেউ দিতে প্রস্তুত নয় কেন? আমরা জানি, মনুষ্যত্বসুলভ চিন্তা-চেতনা মানুষের মধ্যে না থাকলে সমাজ অশান্ত হয়ে ওঠে, সমাজ ও রাষ্ট্র বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয়। আধুনিক সমাজে যন্ত্র দিয়ে মানুষকে মনুষ্যত্বসুলভ আচরণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তা কতক্ষণ ও কী পরিমাণে সম্ভব!
এর সমাধান যে নেই, তা নয়। বাক্য যত দীর্ঘই হোক না কেন, পূর্ণ-যতিচিহ্ন তার থাকবেই। মানুষ শুধু মনুষ্যত্বের গুণাবলীসম্পন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই পৃথিবীতে মানুষের বসবাস শান্তিময় হয়ে উঠতে পারে। স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে নিজের বিশ্লেষণ নিজেই করে সমাজে মনুষ্যত্ব প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে। রাজনীতিসহ প্রতিটি পেশাতেই এখনো অনেক মনুষ্যত্বজ্ঞানে উজ্জীবিত মানুষের মতো মানুষ রয়ে গেছেন। তাদের আত্মোপলব্ধি জাগরিত হতে হবে। মৌন সম্মতি যথেষ্ট নয়, ইচ্ছাশক্তি বাড়াতে হবে। মিথ্যার আগল ভেঙে শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নের জন্য বেরিয়ে আসতে হবে। সমাজে সুশিক্ষিত লোককে কাজ করার জন্য জায়গা করে দিতে হবে। সুশিক্ষিত লোকদেরই সমাজ পরিচালনার দায়িত্বে আসতে হবে। সুশিক্ষিত লোকদের শিক্ষা-কর্মের ছোঁয়ায়, ভোর আকাশের অরুণিম আলোর প্রাদুর্ভাবে রাতের নিকষ কৃষ্ণ আঁধার দূরীভূত হয়ে চারদিক ক্রমেই আলোকিত হওয়ার মতো সুখ-শান্তিতে ভরা সমৃদ্ধ দেশ আমরা নিশ্চয়ই পাব।
ড. হাসনান আহমেদ : অধ্যাপক, ইউআইইউ; প্রেসিডেন্ট, জাতীয় শিক্ষা-সেবা পরিষদ
