Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

জনসংখ্যা যেভাবে হতে পারে জনসম্পদ

Icon

সুধীর সাহা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জনসংখ্যা যেভাবে হতে পারে জনসম্পদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে বিপরীতধর্মী দুটি তত্ত্ব আছে। ম্যালথাসের তত্ত্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উৎকণ্ঠার উপাদান রয়েছে। এ তত্ত্ব বলছে, জনসংখ্যা বাড়লে মাথাপিছু খাবারসহ সব সম্পদ কমবে। এর বিপরীতে রয়েছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের তত্ত্ব। এ তত্ত্ব বলছে, যে কোনো দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যদি আনুপাতিক হারে বাড়তে থাকে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা; তার সঙ্গে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উপযুক্ত কাজের সুযোগ তৈরি হয়, তাহলে মোট জাতীয় আয় বা উৎপাদন বৃদ্ধির সূচকও হবে ঊর্ধ্বমুখী, উন্নয়নের সুফল মিলবে ঘরে ঘরে।

এ দুই তত্ত্বের মধ্যেই আবার কেউ কেউ মিল খুঁজে পায়। মনে করে দুটোই সত্য, নির্ভর করে তার প্রয়োগের নীতির ওপর আর সবটুকুই নির্ভর করে রাষ্ট্রের উদ্যোগের ওপর, রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর। বৈষম্যদুষ্ট বাজার অর্থনীতিতে রাশ টেনে সমীকরণকে ধীরে ধীরে বদলে ফেলা সম্ভব শুধু রাষ্ট্রের উদ্যোগে।

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ‘বিগ লিপ ফরওয়ার্ডের সময় চীনা নেতা মাও সে তুংয়ের সেই বিখ্যাত উক্তি-‘অনেক হাত মানে অনেক শ্রম’। তিনি জনসংখ্যাকে সমস্যা না ভেবে, শক্তিতে পরিণত করার ডাক দিয়েছিলেন। তাতে জনসংখ্যার গুরুত্ব বেড়েছিল। অনাহার-দুর্ভিক্ষ মুছে ফেলে তারা হয়ে উঠেছিল বিশ্বের এক প্রধান শক্তি। কিন্তু পরে পুঁজির রাস্তায় হাঁটা চীন আর সে পথে হাঁটেনি। গত ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ নিঃশব্দে ঘটে গিয়েছে পৃথিবীতে একটি বড় ঘটনা। ওইদিন জনসংখ্যায় চীনকে ছাপিয়ে গেছে ভারত। বহুদিন ধরে যে চীন বিশ্বে সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসাবে পরিচিত ছিল, তার জায়গায় এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত। বর্তমানে চীনের জনসংখ্যা ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন, আর ভারতের ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন।

ভারতের পাশেই আমাদের বসবাস। জনসংখ্যার আধিক্যও আছে আমাদের। জনসংখ্যার বিন্যাসে শিশু-বৃদ্ধদের তুলনায় আমাদের দেশে কর্মক্ষম নবীন বেশি। তাদের সহজলভ্য শ্রম অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে আনতে পারে জোয়ার। আবার তাদেরই নিত্যনতুন চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে উজ্জীবিত হতে পারে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার। নব্য ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির সমীকরণ বলে-এর ফলে দেশে আসতে পারে প্রকৃত বিকাশ। তবে খুব ভালো করে খেয়াল করতে হবে নীতিনির্ধারণের ওপর। সেখানেই রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন পড়বে সর্বাগ্রে। যে কোনো দেশেই জনসাধারণের কর্মক্ষমতা বা উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে মূলত দুটি বিষয়ের ওপর।

প্রথমটি হলো, মৌলিক চাহিদা মেটানোর পণ্যগুলো উপযুক্ত পরিমাণে ও গুণমানে সঠিক সময়ে এবং সুষমভাবে পাওয়া যাচ্ছে কিনা। পুষ্টিকর খাদ্য, পরিশ্রুত পানীয় জল, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি এর মধ্যে পড়ে। এগুলো যে কোনো দেশের জন্যই জরুরি শর্ত। দ্বিতীয়টি হলো, যোগ্যতা এবং পছন্দের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সব শ্রেণির জন্য কর্মসংস্থান। মূলত সব হাতে কাজই হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি থেকে লাভ (ডিভিডেন্ড) পাওয়ার পাসওয়ার্ড। আমাদের চিন্তার জায়গাটি এখানেই। কৃষিতে আমাদের রোজগার কমছে, তরুণদের কাজে নিয়োগের হার নিম্নগামী, গ্রামীণ এলাকায় কাজের অভাবে আশপাশের শহরাঞ্চলে গ্রামীণ তরুণরা স্বল্প আয়ের দিনমজুরি করছে।

ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলো নির্দিষ্ট কিছু ভৌগোলিক অঞ্চলে সীমিত। অ্যাপ-ক্যাব বা শপিংমল-রেস্তোরাঁর মতো পরিষেবার কাজ মোটামুটি সহজলভ্য; কিন্তু সেসব কাজ সুরক্ষিত নয়। এর কোনোটাই আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ছবি তুলে ধরে না। লিঙ্গ-অসাম্য, ধর্মীয় সংকীর্ণতার বাড়তি সমস্যাগুলোও সমাজে রয়ে গেছে এবং তা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চীন, ভারতের মতো এখনো বাংলাদেশে রয়েছে যৌথ পরিবার। অন্তত চারটি প্রজন্ম এখনো একটি বাড়িতে থাকে। তবে তাতে আঘাত আসছে ক্রমেই। কমতে শুরু করেছে যৌথ পরিবার। তাতে ধাক্কা খেয়েছে বহু বছরের পুরোনো পারিবারিক কাঠামো। পরিবারগুলোতে বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে, কমছে ছোটদের সংখ্যা। ফলে জনবিন্যাসের চেহারাটাই বদলে যাচ্ছে। আমাদের সমাজ এক সময় ছিল পরিবার নয়, সম্প্রদায়ভিত্তিক। কিন্তু আজ সম্প্রদায়ের গুরুত্ব কমেছে; গুরুত্ব পেয়েছে পরিবার। পরিবারকেন্দ্রিক সমাজে বেড়েছে আত্মকেন্দ্রিক হওয়ার প্রবণতা এবং শুধু নিজের পরিবারের গণ্ডিতেই আটকে থাকার মানসিকতা।

সামাজিক জীবন চলে গেছে অনেকটাই পেছনে। অপরদিকে, যৌথ পরিবার হ্রাস পাওয়াতে বৃদ্ধদের সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের দেখাশোনা করার মতো মানুষজন কমে গেছে। এতে বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য সংকটও বেড়েছে। ভাবা হয়েছিল, ছোট পরিবার রাষ্ট্রের ব্যয় কমাবে; কিন্তু তা হয়নি। পরিবারের পরিবর্তে অনেক ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রকে নিতে হচ্ছে মানুষের দায়িত্ব। সংগত কারণে বার্ধক্যভাতা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা খাতে রাষ্ট্রের ব্যয় বেড়েছে।

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের তাৎপর্য গোটা দুনিয়াতেই ক্রমবর্ধমান। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। ৮০টিরও বেশি দেশে খুব কম জন্মহারের কারণে জনসংখ্যা কমে গিয়েছে। ৫৫টি দেশে সরকার দম্পতিদের সন্তান ধারণের জন্য প্রণোদনা দিচ্ছে। কিন্তু তারপরও ছবিটি বিশেষ পালটাচ্ছে না। ভারত, চীন, আমেরিকাসহ অনেক দেশেই একটা সময় আসবে, যখন জনসংখ্যার দ্রুত পতন ঘটবে। বাংলাদেশের অবস্থাটা সে অঙ্কের খাতার হিসাবের বাইরে এখনো। এখানে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা কমার কোনো লক্ষণ নেই। প্রশ্ন হলো, এ জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে বাংলাদেশ নিজের কাজে কতটা লাগাতে পারবে।

জনসংখ্যা বাড়লে পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা বাড়বে; বাজারের আয়তন সামনের দিনে বাড়তেই থাকবে। বাংলাদেশে যেহেতু মজুরির হার তুলনামূলকভাবে কম, তাই প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে ওঠাও সম্ভব। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে আমেরিকা আর চীনের পর সবচেয়ে বড় বাজারে পরিণত হতে যাচ্ছে। ভারত তখন তার দেশের কম মজুরির সুবিধায় বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠবে। পাশাপাশি বাংলাদেশেরও সুযোগ বাড়বে। তথ্যপ্রযুক্তি, ফার্মাসিউটিক্যাল ইত্যাদি বিভিন্ন সেক্টরে বৈশ্বিক উৎপাদনের কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ। ভারত ইতোমধ্যেই এসব সেক্টরে অগ্রগণ্য হয়ে আছে।

অতীতের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা এক শতাংশ বাড়ছে, অর্থব্যবস্থায় মাথাপিছু আয় বাড়ছে পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত। জনসংখ্যর বৃদ্ধিজনিত সুবিধাকে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি বৃদ্ধির সম্ভাবনা উজ্জ্বল। আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের হিসাব অনুযায়ী, জনসংখ্যার বৃদ্ধিতে শ্রমবাজারের উন্নতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে পশ্চাৎপদ দিক হলো মহিলা শ্রমশক্তি। কর্মক্ষম পুরুষ এখানে যথেষ্ট হলেও কর্মক্ষম মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা এখানে অনেক কম। পোশাক খাতে মহিলাদের কিছু কর্মসংস্থান হলেও সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের মহিলাদের শ্রমশক্তিতে যোগদান কমেছে।

এ সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশে মহিলাদের জন্য নতুন চাকরি তৈরি করতে হবে সরকারকে। কর্মক্ষম মহিলাদের শ্রমবাজারে নিয়ে যেতে সামাজিক এবং ধর্মীয় বাধাবিপত্তি উত্তীর্ণ হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে রাষ্ট্রকে। এজন্য প্রয়োজন গুণমানসম্পন্ন স্কুলশিক্ষা, সম্পৃক্ত উচ্চশিক্ষা এবং শিল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দক্ষতার উন্নয়ন। প্রয়োজন সব মানুষের সুস্বাস্থ্যের নিশ্চিতকরণ। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগানোর এগুলোই হবে মৌলিক শর্ত। জাতীয় শিক্ষানীতিতে একটি জাতীয় মিশন স্থাপন করে সব ছাত্রের ন্যূনতম সাক্ষরতা এবং প্রাথমিক গাণিতিক দক্ষতা অর্জনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ লক্ষ্যে স্কুলশিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃত্তিমূলক শিক্ষার সংস্পর্শে আসতে পারে। এমন নীতির সফল বাস্তবায়নের দৃশ্যায়ন স্পষ্ট করতে হবে সরকারকে।

বাংলাদেশের শ্রমশক্তির সবচেয়ে দুর্বল দিক তার দক্ষতার ক্ষেত্র। দক্ষতার ঘাটতি এবং দক্ষতার অমিল উৎপাদনশীলতার বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। পৃথিবীর মোট শ্রমশক্তির শতাংশ হিসাবে দক্ষ শ্রমিকের অনুপাত চীনে ২৪, আমেরিকায় ৫২, ইংল্যান্ডে ৬৮, জাপানে ৮০ এবং ভারতে মাত্র ৩। বাংলাদেশ সে হিসাবে এখনো শূন্যের কোঠায় অবস্থান করছে। সুতরাং বৈশ্বিক উৎপাদন হতে হলে বাংলাদেশকে প্রথমেই শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে। শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত নারী শ্রমশক্তির বিষয়টিও। সেখানে বাংলাদেশকে কাজ করতে হবে অনেক বেশি। নারী শ্রমশক্তির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এখানে শ্রমশক্তির দক্ষতাও বৃদ্ধি করতে হবে।

বাংলাদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের বড় একটা অংশ আসে অতি ক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্র থেকে। এ শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগের ওপর জোর দিতে হবে সরকারকে। এখানে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে পারলে তা ভবিষ্যতে অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। দক্ষতা বৃদ্ধির স্বার্থে শিক্ষানীতিতে আমূল পরিবর্তন আনা জরুরি। বৃত্তিমূলক শিক্ষার কোর্সগুলো শুধু স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নয়, তা উন্মুক্ত করতে হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষার কোর্সে সরকারি ব্যবস্থায় এবং সরকারি খরচে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকতে হবে।

অসাম্য অর্থনৈতিক অবস্থারও পরিবর্তন প্রয়োজন। দেশের মোট সম্পদের সিংহভাগই জনসংখ্যার একটা ছোট অংশের হাতে কুক্ষিগত। বাংলাদেশের জনসংখ্যার নিচের ৫০ শতাংশ সম্পদের পরিমাণ ক্রমেই কমছে। শীর্ষ ৩০ শতাংশ মানুষ দেশের ৯০ শতাংশের বেশি সম্পদের মালিক। আবার তাদের মধ্যে শীর্ষ ১০ শতাংশের হাতে রয়েছে বেশিরভাগ সম্পদ। এ অসাম্য দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পরিপন্থি। রাষ্ট্রকে এ দিকটিও সক্রিয় বিবেচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।

অধিক জনসংখ্যা থেকে লাভ করা অথবা অধিক জনসংখ্যার চাপের কুফল গ্রহণ করার উন্মুক্ত পরিবেশ বর্তমান পৃথিবীতে বিদ্যমান। লাভ করতে গেলে সরকারকে তার নীতি এবং কার্যক্রমে খেয়াল দিতে হবে। অন্যদিকে, বেখেয়াল দৃষ্টি জনসংখ্যার আধিক্যের কুফল বয়ে আনবে। কৃত্রিম মেধার দ্রুত অগ্রগতি বলছে, পরিষেবা উপভোগের ক্ষেত্রে চাকরির বাজার ভবিষ্যতে পৃথিবীজুড়ে ক্রমাগত সংকুচিত হতে থাকবে। এদিকে দৃষ্টি রেখে দক্ষ শ্রমশক্তি বৃদ্ধির বিকল্প বাংলাদেশের হাতে খোলা নেই। দক্ষ শ্রমশক্তিতে সমানভাবে যুক্ত করতে হবে মহিলা শ্রমশক্তিকেও। তাহলেই হয়তো আমাদের জনসংখ্যা জনসম্পদে রূপান্তরিত হবে একদিন।

সুধীর সাহা : কলাম লেখক

ceo@ilcb.net

 

জনসংখ্যা বৃদ্ধি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম