খাদ্য নিরাপত্তায় আলুর অবদান বাড়ছে
ড. জাহাঙ্গীর আলম
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আলুর দাম অনেক বেড়েছে। ঢাকার খুচরা বাজারে গ্রেনুলা জাতের ভালো গোল আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকায়। ডায়মন্ড জাতের ডিম্বাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। কার্ডিনাল জাতের লালচে আলুর দাম প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা। এক মাস আগেও এর দাম ছিল প্রতি কেজি কমবেশি ৩০ টাকা। আলুর মৌসুম শেষ হয়েছে ৪ মাস আগে। এখন বর্ষাকাল। দাম বেড়েছে বিভিন্ন শাকসবজির। ফলে আলুর চাহিদা বেড়েছে। সেই অনুপাতে কোল্ডস্টোরেজ থেকে আলু খালাস করা হচ্ছে না। তাই বাজারে কিছুটা সরবরাহ সংকট অনুভূত হচ্ছে। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে বেড়ে গেছে আলুর দাম। তাই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। তাতে ব্যবসায়ীদের কারসাজি আছে।
আলু বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধান খাদ্যশস্য। ২০ বছর আগে এর মোট উৎপাদন ছিল ১৪.৪ লাখ টন। তখন মাত্র ১.৩ লাখ হেক্টরে এর উৎপাদন হতো। বর্তমানে (২০২২-২৩) এর উৎপাদন প্রায় ১১০ লাখ টন। আবাদি এলাকা প্রায় ৪.৫৫ লাখ হেক্টর। গত ২০ বছরে আলুর উৎপাদন বছরে গড়ে প্রায় ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আলু চাষের আওতাধীন জমির পরিমাণ বৃদ্ধি এবং হেক্টরপ্রতি উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর মোট উৎপাদন। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর অভ্যন্তরীণ চাহিদা। দেশের ভেতর আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ, হিমায়িত সংরক্ষণ, ব্যবহারের বৈচিত্র্যকরণ এবং বিদেশে রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণ ইত্যাদির অগ্রগতি আলুর বাজারমূল্য কিছুটা বাড়িয়েছে। তাছাড়া কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির ফলে আলুর উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তেল ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে আলুর সংরক্ষণ ও পরিবহণ খরচ। অন্যান্য খাদ্যশস্য যেমন: চাল, গম ইত্যাদির জন্য ফসল উত্তোলনের মৌসুমে একটা সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সেই নির্ধারিত মূল্যে সরকারিভাবে সংগ্রহ করা হয় ৫ থেকে ৬ শতাংশ খাদ্যশস্য। তাতে উৎপাদন মৌসুমে বাজারে কিছুটা চাঙাভাব বিরাজ করে ওই খাদ্যশস্যের। পরে দাম বেড়ে গেলে খোলাবাজারে অপেক্ষাকৃত কম দামে খাদ্যশস্য বিক্রি করা হয় সরকারি সংরক্ষণাগার থেকে। কিন্তু আলুর ক্ষেত্রে তেমন কোনো সরকারি হস্তক্ষেপ নেই। মৌসুম শুরুতে দাম থাকে কম। পরে বেড়ে যায়। তা নিয়ন্ত্রণ করা হয় না।
আলু পচনশীল শস্য বিধায় ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যতে ভালো দাম পাওয়ার আশায় তা সংরক্ষণ করে রাখেন হিমাগারে। দেশে বর্তমানে মোট হিমাগারের সংখ্যা ৩৯০। এগুলোর ধারণক্ষমতা প্রায় ৫০ লাখ টন। কৃষক পর্যায়ে চিরায়ত পদ্ধতিতেও কিছু আলু ও বীজ সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু তা যথাযথ নয়। তাই চিরায়ত মজুতের পরিমাণ কম। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মতে, এবার আলুর উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ১২ লাখ টন। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এ হিসাব অতিরঞ্জিত। এবার আলুর উৎপাদন হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। সর্বসাকুল্যে উৎপাদন হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ লাখ টন। এ দুই হিসাবের মাঝামাঝি স্থানে প্রকৃত উৎপাদন ধরে নিলে এবার আলুর মোট উৎপাদন দাঁড়ায় ন্যূনপক্ষে এক কোটি টন। আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা, বীজ, অপচয় ও রপ্তানি মিলে মোট প্রয়োজন ৯০ লাখ টন আলু। তাতে এবার উদ্বৃত্ত আছে প্রায় ১০ লাখ টন। বর্তমানে হিমাগারে ও কৃষক পর্যায়ে চিরায়তভাবে সংরক্ষণ মিলে আলুর মজুত প্রায় ৩০ লাখ টন। তা সত্ত্বেও ভোক্তা পর্যায়ে আলুর সরবরাহ হ্রাস এবং উল্লেখযোগ্য মূল্যবৃদ্ধি অত্যন্ত অযৌক্তিক। তাতে ব্যবসায়ী ও কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের কারসাজি আছে। এক্ষেত্রে তাদের সিন্ডিকেট ক্রিয়াশীল। এটাকে অকার্যকর করার জন্য প্রয়োজন ছিল আলুর বাজারে সরকারি হস্তক্ষেপ। কিন্তু সরকারি পর্যায়ে আলু সংরক্ষণ ও মজুতের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
এক হিসাবে দেখা যায়, আলুর কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ বর্তমানে সাড়ে ১০ টাকা। কৃষক পর্যায়ে আলুর প্রতি কেজি বিক্রয় মূল্য গড়পড়তা ১৫ টাকা। এর সঙ্গে কোল্ডস্টোরেজের ফি, অপচয়, পরিবহণ ও বাজারজাতকরণের খরচ যোগ করা হলে পাইকারি পর্যায়ে আলুর প্রতি কেজি মূল্য ২৫ টাকা হতে পারে। খুচরা পর্যায়ে তা ৩০ টাকা হওয়া উচিত। কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে ৪০-৫০ টাকা আলুর কেজিপ্রতি মূল্য খুবই অস্বাভাবিক। তিন বছর আগে ২০২০ সালেও আলুর মূল্য আচমকা বৃদ্ধি পেয়েছিল। তার ওপর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের উদ্যোগে একটি সমীক্ষা হয়েছিল আমার তত্ত্বাবধানে। তাতে প্রতীয়মান হয়েছিল যে, আলু ব্যবসায়ীদের অসাধু তৎপরতা এবং কোল্ডস্টোরেজ থেকে বাজারে আলু খালাসের ধীরগতির কারণে ওই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছিল। এবারও তা-ই হয়েছে। বরাবরের মতো এবারও আলুর উৎপাদন উদ্বৃত্ত। বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে আলুর মজুতও পর্যাপ্ত আছে। এর পরও বাজারে পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধির কারণ ব্যবসায়ীদের কারসাজি।
প্রায় ১ দশক ধরে আলু রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু এর পরিমাণ তেমন বেশি নয়। ২০১০-১১ সালে বাংলাদেশ থেকে টাটকা আলু রপ্তানি হয়েছে ৩৯ হাজার ৫৩৯ টন। ২০১১-১২ সালে এর পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৮৬২ টন। গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৫৭২ টনে। আলু রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার ১০ শতাংশ হারে নগদ ভর্তুকি দিচ্ছে। এরপরও মোট রপ্তানির পরিমাণ আমাদের মোট উৎপাদনের এক শতাংশের অর্ধেকের চেয়েও কম। বর্তমানে দেশ থেকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও শ্রীলংকাসহ মোট সাতটি দেশে আলু রপ্তানি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রটি মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। বৈশ্বিক আলু উৎপাদনে এখন বাংলাদেশের শরিকানা ২.৭ শতাংশ। কিন্তু রপ্তানির ক্ষেত্রে এ হিস্যা অত্যন্ত নগণ্য। সমগ্র বিশ্বে আলুর স্টার্চ ও ফ্লেকসংক্রান্ত বাণিজ্যের পরিমাণ এখন প্রায় ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশকে এর একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশের ভাগীদার হতে হবে ভবিষ্যতে। এর জন্য দেশের অভ্যন্তরে প্রক্রিয়াজাত শিল্পের বিকাশ সাধন করা একান্ত দরকার। কাঁচা আলুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য রপ্তানির তুলনামূলক সুবিধা বিদ্যমান। বর্তমান আন্তর্জাতিক মূল্যে বাংলাদেশি গ্রেনুলা ও এস্টারিক জাতের আলুর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা রয়েছে। তাছাড়া গবেষণার কল্যাণে রপ্তানিযোগ্য আরও নতুন জাত অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থায়। ভবিষ্যতে আলুর রপ্তানি বাড়বে।
আলু রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ভালো জাতের ও গুণগত মানের আলু উৎপাদন করতে হবে কৃষকদের। বর্তমানে দেশে অবমুক্ত প্রায় ৪০টি জাতের উন্নত আলুর চাষাবাদ হচ্ছে কৃষক পর্যায়ে। উচ্চফলনশীল জাতের আলুবীজ সম্প্রসারিত হয়েছে ৮০ শতাংশেরও বেশি আবাদি এলাকায়। কিন্তু কৃষক পর্যায়ে প্রত্যায়িত বীজ ব্যবহারের হার মাত্র ১০ শতাংশ। বাকি ৯০ শতাংশ অপ্রত্যায়িত। ভালো খামার ব্যবস্থাপনা, যথাযথ পর্যায়ে উপকরণ ব্যবহার, রোগ প্রতিরোধ, পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধ্যানধারণার ঘাটতি আছে কৃষকদের। এর জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে তাদের। এছাড়া ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্যাকেটজাতকরণ ও সংরক্ষণ অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের দেশে প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫ লাখ টন আলু পচে যায় কিংবা রোগবালাই ও পোকার আক্রমণে আলুর মান নষ্ট হয়ে যায়। এ অপচয় হ্রাস করতে হবে। রপ্তানির ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আলুর গুণগত মান। সর্বোপরি উৎপাদন, বিপণন, প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ ও রপ্তানির ক্ষেত্রে ঋণ ও ক্ষেত্রবিশেষে ভর্তুকির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় খাদ্য আলু। নিউজিল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসসহ অনেক দেশে আলুই মানুষের প্রধান খাবার। কিন্তু আমাদের দেশে মানুষের খাদ্য তালিকায় আলুর নাম প্রায়ই থাকে অনুপস্থিত। দেশের মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন, ভোগ ও বিতরণের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে যে হিসাব দেওয়া হয়, তাতেও আলু সম্পর্কে কোনো পরিসংখ্যান থাকে না। এ দেশে আলুর পরিচিতি মূলত সবজি হিসাবে। আদিকাল থেকেই এখানকার মানুষ ভাতের সঙ্গে ভর্তা হিসাবে অথবা মাছ-মাংসের তরকারির সঙ্গে সবজি হিসাবে আলুর ব্যবহার করে আসছে। তাছাড়া আলু ভাজি ও আলুর দম সবার কাছেই উপাদেয় সবজি। বর্তমানে বিরিয়ানিতে আলুর ব্যবহার বাড়ছে। অভিজাত হোটেলগুলোয় সেদ্ধ আলু এবং আলুর চিপস নিয়মিত পরিবেশন করা হচ্ছে। শিশু-কিশোরদের কাছে আলুর চিপস খুবই উপাদেয় খাবার। কিন্তু সাধারণভাবে আলু আমরা কখনোই প্রধান খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করিনি। এ দেশে এর ব্যবহার মূলত সহযোগী খাদ্য হিসাবে। ভাতের বিকল্প হিসাবে ‘রোস্টেড পটেটো’, সেদ্ধ আলু কিংবা আলুর চিপস জনসাধারণের মাঝে এখনো জনপ্রিয় হওয়ার অপেক্ষায় আছে। একে উৎসাহিত করা দরকার। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে চাল ও গমের দাম অনেক বেশি। ইতোমধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরীয় শস্য রপ্তানি চুক্তি স্থগিত করেছে মস্কো। তাতে বিশ্ববাজারে গমের সরবরাহ হ্রাস পাবে। অপরদিকে নন-বাসমতী চাল রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত। ফলে চালের ক্ষেত্রেও সরবরাহ সংকট দেখা দেবে। তাতে দ্রুত বেড়ে যাবে খাদ্যশস্যের দাম। এ ক্ষেত্রে বিকল্প হিসাবে আলুর কদর বাড়বে। দামও বৃদ্ধি পাবে। সেক্ষেত্রে খাদ্য হিসাবে আলুর বিভিন্ন ব্যবহার জনপ্রিয় করে তোলা প্রয়োজন। মানুষকে জানানো প্রয়োজন এর পুষ্টিমান সম্পর্কে। এজন্য প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রামে আয়োজন করা দরকার আলুর মেলা। প্রতিটি মহল্লা থেকে মেয়েদের ডেকে এনে খাবারের মধ্যে আলুর বিচিত্র ব্যবহার বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। আলুর বিভিন্ন প্রকার খাবার পরিবেশন বাধ্যতামূলক করা উচিত সব হোটেল ও রেস্তোরাঁয়। তাতে বৃদ্ধি পাবে আলুর অভ্যন্তরীণ ব্যবহার। আরও বেশি উৎপাদনে আগ্রহী হবে কৃষক।
আদিকালে আলুর ব্যবহার ছিল পশুখাদ্য হিসাবে। এর আদি নিবাস ছিল পেরু। ১৫৭০ সালে এর বিস্তার ঘটে স্পেনে। অতঃপর ১৬০০ সালে এর আবাদ ছড়িয়ে পড়ে ইতালি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানিসহ অন্যান্য দেশে। ১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডের কৃষি বিভাগ একটি পুস্তিকা বের করে, যার শিরোনাম ছিল ‘আলু ভালোবাসুন, আলুর ব্যবহার বৃদ্ধি করুন’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট নিরসনকল্পে মানুষের খাদ্য হিসাবে আলুর কদর বেড়ে যায়। গোল আলু ও মিষ্টি আলু দুটোই যুদ্ধোত্তর পৃথিবীর খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে মিষ্টি আলুর ভূমিকা খুবই উল্লেখযোগ্য। এটি পুড়িয়ে বা সেদ্ধ করে খাওয়া যায়, কাঁচাও খাওয়া যায়। যে কোনো জমিতে অতি অল্প পরিচর্যায় আলু ফলানো সম্ভব। অন্য যে কোনো শস্যের চেয়ে আলুর ফলন বেশি। মুনাফাও বেশি। আলু থেকে আমরা শ্বেতসার পাই। এতে অনেক পুষ্টির উপাদানও বিদ্যমান। ফলে বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আলু। এর আবাদ বাড়ছে। বাড়ছে উৎপাদন। এর জন্য টেকসই নীতিমালা থাকা উচিত।
ড. জাহাঙ্গীর আলম : কৃষি অর্থনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা; পরিচালক, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস; সাবেক উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ
