দেশপ্রেমের চশমা
তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে কারণে অনিবার্য হয়ে উঠেছে
মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মানব শরীরের স্নায়ুকেন্দ্র হলো মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কে অসুখ হলে কোনো ব্যক্তির সমগ্র শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তেমনি একটি দেশের স্নায়ুকেন্দ্র হলো ওই দেশের রাজনীতি। রাজনীতিতে গণতান্ত্রিকতা ও সুস্থতা থাকলে সে দেশ ভালোভাবে চলে।
আর রাজনীতি অসুস্থ হলে সে দেশে অচলাবস্থা দেখা দেয়। এখন বাংলাদেশের স্নায়ুকেন্দ্র অসুস্থ। দেশ ভালোভাবে চলছে না। রাজনীতি অসুস্থ ও দুবৃত্তায়িত। দেশ অবিশ্বাস, প্রতিহিংসা, অস্থিতিশীলতা আর অস্থিরতার দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে। এ ব্যাধির চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসার আগে দরকার রোগের সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। অধিকাংশ দল, সুশীল ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব এ রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, লিপিড প্রোফাইলসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনার পর রোগ নির্ণয় করা হয়েছে। নির্ণীত রোগ হলো নাগরিক সমাজের রাষ্ট্রের মালিকানা না থাকার রোগ। ওই মালিকানা হলো ভোট দেওয়ার সাংবিধানিক অধিকার। জনগণের ভোট দেওয়ার নির্বিঘ্ন ব্যবস্থা করতে পারলে দেশ সুস্থ হয়ে উঠবে। সমাজ হবে স্থিতিশীল। এ জন্য সামাজিক ডাক্তাররা ভোট প্রক্রিয়ায় সুস্থতা সৃষ্টির জন্য নাগরিকদের রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখেছেন।
এ ওষুধের নাম হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। কেবল স্বদেশি বিশেষজ্ঞরা নন, বিদেশি বড় বড় ডাক্তাররাও এ প্রেসক্রিপশন সমর্থন করছেন। এ ওষুধ প্রয়োগ করলে বাংলাদেশের রাজনীতির অসুখ সারবে। নাগরিক সমাজ ফিরে পাবে তাদের রাষ্ট্রীয় মালিকানা। কাজেই রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সুস্থতার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওষুধটি প্রয়োগ করতে হবে। যতদিন দেশের অসুখ সারবে না, ততদিন এ ওষুধ চলতে থাকবে। রাজনীতি থেকে অবিশ্বাস ও প্রতিহিংসা দূর হয়ে গণতান্ত্রিকতা ও সহমর্মিতা প্রতিষ্ঠিত হলেই কেবল এ ওষুধ বন্ধ করার কথা ভাবা যেতে পারে। দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব রোগীর অসুখ সারবার আগেই বোকার মতো ওষুধ বন্ধ করে দিয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মধ্যে কী এমন গুণাবলি আছে যে যুগপৎ স্বদেশি ও বিদেশি রাজনীতিবিদরা একে রোগ নিরাময়ের ওষুধ হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন? এ প্রবন্ধে আমরা এ ওষুধের গুণাবলি তুলে ধরতে চেষ্টা করব। তবে তার আগে সূচনায় দু-চার কথা বলে নেওয়া দরকার।
সামরিক শাসনাধীনে বাংলাদেশে নির্বাচনি ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে দুর্নীতিযুক্ত হয়ে পড়ে। দুর্নীতিমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে রাজনীতিকরা তখন সম্মিলিতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার উদ্ভাবন করেন। এ ব্যবস্থায় একটি নির্দলীয় অস্থায়ী সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিকভাবে অসক্রিয় ব্যক্তিত্বদের দিয়ে এমন সরকার গঠিত হয়। নব্বই দশক থেকে এমন সরকারাধীনে তিনটি সংসদ নির্বাচন (পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম) সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনগুলো যুগপৎ দেশে ও বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পায়। বিজয়ী দল সরকার গঠনের পর ক্ষমতার মেয়াদ পূরণ করতে পারে। তবে পরবর্তীকালে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় কিছু অসুবিধা দেখা দিলে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার করে ওই অসুবিধাগুলো নিরসনের চেষ্টা করেনি। এ কারণে নবম সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে এ ব্যবস্থা জটিলতার মুখে পড়ে। ওই সময় আওয়ামী লীগ সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে এম হাসানের বিরুদ্ধে অতীতে বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনে। দলটি তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মানতে অস্বীকার করে।
বিচারপতি হাসান দূর অতীতে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যে সম্পৃক্ত ছিলেন, এ ঘটনা অসত্য নয়। কিন্তু তার বিচারপতি-জীবনে তার বিরুদ্ধে দলীয় চিন্তায় কাজ করার অভিযোগ ছিল না। তাছাড়া তিনি নিজে ষড়যন্ত্র করে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হননি। এ ক্ষেত্রে সরকারদলীয় কূটকৌশল কাজ করেছিল। তবে এ নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না যে, বিচারপতি হাসান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হলে স্বচ্ছ নির্বাচন করার স্বার্থ উপেক্ষা করতেন। কোনো বিশেষ দলের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করতেন। এমনটি হলে তো গোপালগঞ্জের জামাইখ্যাত বিচারপতি লতিফুর রহমান প্রধান উপদেষ্টা হয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। একইভাবে বিচারপতি হাসানও প্রধান উপদেষ্টা হলে হয়তো স্বাধীনভাবে কাজ করতেন। কোনো বিশেষ দলের স্বার্থে কাজ না করে বিবেকতাড়িত হয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করতেন। কিন্তু এ অবিতর্কিত বিচারপতি রাজনৈতিক দলের সংকীর্ণ স্বার্থের বলি হয়ে সে সুযোগ পাননি। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক হানাহানির ডামাডোলে একটি অসাংবিধানিক, সেনা-সমর্থিত অবৈধ সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে গায়ের জোরে ক্ষমতা গ্রহণ করে। এ সরকার দুবছর ক্ষমতায় থেকে নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে। এরপর থেকে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিরোধীদলীয় আন্দোলনের সূচনা হয়ে ক্রমান্বয়ে এ আন্দোলন অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং জনগণের সমর্থন লাভ করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারাধীনে নির্বাচন হলে কী সুবিধা হয়, সে বিষয়টি বুঝে দেখা দরকার। এখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সুবিধাগুলো উপস্থাপন করা হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান সুবিধা হলো এর নির্দলীয় চরিত্র। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টারা দলীয় পরিচয়ধারী ব্যক্তিত্ব না হওয়ায় তারা কোনো বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করেন না। তাদের কাছে সব দলই সমান। সব দলের প্রতি এ সরকার সমান আচরণ করতে পারে। নির্বাচনি প্রচারণা, নির্বাচনি আচরণবিধির বাস্তবায়ন এবং নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কাজগুলো এ সরকার পক্ষপাতিত্ব পরিহার করে পেশাদারত্বের সঙ্গে করতে পারে। এ জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল, প্রার্থী ও ভোটাররা এ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্বাধীনভাবে তাদের ভূমিকা পালন করতে পারেন।
নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। কমিশন দলীয় সরকারের অধীনে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে কাজ করতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনকে সরকারি দলের অঘোষিত নির্দেশনা মেনে কাজ করতে হয়। এর ফলে নির্বাচন পক্ষপাতমুক্ত হয় না। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই বেছে বেছে ক্ষমতাসীন সরকারের নতজানু ধরনের ব্যক্তিত্বকে নির্বাচন কমিশনে সুকৌশলে নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের অনেকেই বিভিন্ন সরকারি পদে চাকরি করে আসেন। ফলে তাদের সঙ্গে সরকারের একটি অদৃশ্য বোঝাপড়া থাকে। এ কারণে তারা সরকারি দলের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ইতস্তত করেন। কিন্তু নির্দলীয় অস্থায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারাধীনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারে। এর ফলে নির্বাচন ভালো হয়।
দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচন হলে ওই সরকার দুর্নীতিবাজদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। নিজদলীয় ক্যাডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করে। ফলে সন্ত্রাসী এবং দুর্নীতিবাজরা দলীয় সরকারাধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দুর্নীতি করতে ভয় পায় না। তবে নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হলে সন্ত্রাসী এবং দুর্নীতিকারীদের প্রতি এ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে কঠোরভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণে এ সরকার পিছপা হয় না।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এনজিওগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এনজিওগুলোকে নির্বাচনের ওপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করতে পারে। কিন্তু দলীয় সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন এনজিওর আগে থেকে সম্পর্ক থাকায় এ সরকার ওইসব ঘনিষ্ঠভাজন এনজিওগুলোকে নির্বাচনের ওপর পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করতে বাধা দেয় না। ফলে বিদেশি অর্থপুষ্ট এনজিওগুলো অনেক সময় নির্বাচনে বিশেষ দলের পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করে নির্বাচন কলুষিত করে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এ সরকার এনজিওগুলোর নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের কাজ বরদাশত করে না।
সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনের লোকজনের অংশগ্রহণ থাকে। দলীয় সরকার নির্বাচনের আগে তাদের মনপছন্দ প্রশাসকদের বিভিন্ন স্থানে বদলি করে প্রশাসনকে নিজেদের পছন্দমতো সাজান। নির্বাচনে এসব প্রশাসনিক সদস্যের কাছ থেকে দলীয় সরকার কিছুটা অঘোষিত আনুকূল্য লাভ করার চেষ্টা করে। প্রশাসকরাও তাতে সায় দেন। কারণ তারা মনে করেন, এদের নির্দেশনা না শুনলে পরে এরা নির্বাচনে বিজয় লাভ করে সরকার গঠন করলে দুর্গতি পোহাতে হবে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এ সরকার নির্বাচনে কোনো বিশেষ দলের পক্ষে প্রশাসনিক সদস্যদের ব্যবহার করে না। তাদের সঙ্গে প্রশাসকদের দলীয় সরকারের মতো কোনো পূর্ব-যোগাযোগ থাকে না। এ জন্য এ সরকার প্রশাসকদের কোনো বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করতে অঘোষিত নির্দেশনা দেয় না। কারণ, প্রশাসনের সব সদস্যই এ সরকারের কাছে সমান। এ সরকার তাদের পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করেন।
এ সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে বিচার করলে প্রতীয়মান হয়, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না হয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ওই নির্বাচন অনেকটাই ভালো হতে পারে। পঞ্চম, সপ্তম এবং অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিষয়টি প্রমাণিতও হয়েছে। তবে এসব গুণাবলি থাকা সত্ত্বেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কিছু দল ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে সমালোচনা করে। সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থেই এমনটি করা হয়। এ সরকারের সমালোচনা করে আরও বলা হয়, আমাদের সংবিধানের মূল স্পিরিট হলো গণতন্ত্র। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলো একটি অগণতান্ত্রিক, অনির্বাচিত সরকার। একে সমর্থন করা যায় না। যারা এমন সমালোচনা করেন, তারাই আবার জেলা পরিষদে অগণতান্ত্রিকভাবে দলীয় নেতাদের প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ দেন। অনির্বাচিত টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী নিয়োগ করেন। নিয়োগ করেন প্রধানমন্ত্রীর অনির্বাচিত উপদেষ্টা, যারা সরকারের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে ভূমিকা রাখেন। এসব ক্ষেত্রে অনির্বাচিত ব্যক্তিরা দেশ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারলে স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালিত হওয়ায় দোষ কোথায়?
স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে দলীয় সরকারের পরিবর্তে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত। ততদিনই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত, যতদিন রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিরাজিত প্রতিহিংসা ও পারস্পরিক অবিশ্বাস না কমে। নিজেদের মধ্যে প্রতিহিংসা ও পরস্পরকে অবিশ্বাস করার স্বভাব জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো কোন মুখে দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন করতে চায়? বিরাজিত বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, ১৯৯০-এর দশকে স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যতটা প্রয়োজন ছিল, এখন তিন দশক পর আগের চেয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরও অধিক প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। কারণ, ওই সময়ের চেয়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রতিহিংসা আরও বেড়েছে। বেড়েছে অবিশ্বাস এবং সুযোগ পেলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দেখে নেওয়ার মনোভাব। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উল্লিখিত সুবিধার কারণে এ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে চলমান আন্দোলনে দেশপ্রেমিক এবং স্বচ্ছ নির্বাচনপ্রত্যাশী জনগণের সমর্থন অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
akhtermy@gmail.com
