নীতি দুর্নীতি অর্থনীতি
খেলাপি ঋণ সমস্যার একটি সঠিক সমাধান বের করতে হবে
ড. আর এম দেবনাথ
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
খেলাপি ঋণের টাকা উদ্ধারের ওপর একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করে আজকের নিবন্ধ শুরু করতে চাই। ঘটনাটি ৩০-৪০ বছর আগের। আমার এক পরিচিত ভদ্রলোক এক ‘পার্টসের দোকান’র মালিকের কাছে অল্প টাকা পান। শত তাগিদের পরও টাকা পরিশোধ করছেন না দোকান মালিক। তখন তিনি পাড়ার এক ‘মাস্তান’র শরণাপন্ন হন। মাস্তান যথারীতি দোকানদারকে ভয় দেখিয়ে ঋণের টাকা পরিশোধ করে দিতে বলে। এতে কাজ হয়। দুদিনের মধ্যে সে টাকা পরিশোধ করে দেয়। অবশ্যই এর জন্য কিছু ‘ব্যয়’ হয়। এ কথা বলছি এ কারণে যে, বকেয়া টাকা, ঋণের টাকা, পাওনা টাকা উদ্ধারের এটা হচ্ছে একটি পথ। এ পথ ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেকেই গ্রহণ করেন। আরেকটি পথ হচ্ছে ঋণগ্রহীতার ভাবমূর্তি নষ্ট করে টাকা আদায় করার পথ। যেমন ঋণগ্রহীতার বাড়ির সামনে ব্যাংক ঢোল বাজিয়ে বলবে তিনি ঋণী। এতেও কাজ হয়। স্বাধীনতার পর একটি বড় হোটেলের মালিকের ক্ষেত্রে তা-ই ঘটেছিল। আরেকটি হচ্ছে আইনি পথ, যার জন্য আমাদের দেশে রয়েছে ‘অর্থঋণ আদালত’। আবার অর্থ তসরুফ, জালিয়াতির জন্য রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের নিজস্ব আইন। আরও পথ থাকতে পারে। আপাতত তিনটির কথাই মনে পড়ছে।
সর্বশেষ ‘পথের’ একটি উদাহরণ দিই। গত ২৩ জানুয়ারির কাগজে একটি খবর পড়লাম। চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী অগ্রণী ব্যাংক থেকে ২০১১ সালে ৮৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করে। মামলা হয়। মামলা করে দুদক। চট্টগ্রামের মাননীয় জজ ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করেন। সবই ঠিক আছে-একদম উচিত বিচার, যা সবারই কাম্য। কিন্তু খবরে দেখা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আত্মগোপনে আছে। দেশে, না বিদেশে-তা খবরে জানানো হয়নি। এ মামলায় অর্থঋণ আদালত জড়িত কিনা তাও জানা যায়নি। জানা যায়নি ব্যবসায়ীর ব্যবসার অবস্থা কী। এসব দেখেশুনে মনে হয়, এ মুহূর্তে আইনি লড়াইয়ের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ব্যাংক গ্রাহকদের খুঁজে না পাওয়া। মামলা আছে, আদালতের রায়ও আছে; কিন্তু ফলোদয় হচ্ছে না। যেমন চট্টগ্রামের একটি বড় ব্যবসায়ী গ্রুপ। ১০-১২টি ব্যাংকে তাদের দেনা ৬ হাজার কোটি টাকা। ডিসেম্বরের একটি খবরে দেখা যাচ্ছে, তাদের রয়েছে ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা। দুই ভাই এর মালিক। তাদের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা চলমান। এক ভাইয়ের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা। ১৭টিতে সাজা হয়েছে। তারা সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সংশ্লিষ্ট ওই খবর থেকে জানা যাচ্ছে না বর্তমান অবস্থা কী। টাকা কত আদায় হয়েছে, ব্যবসার অবস্থা কী। মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে কিনা। আসামিরা পলাতক কিনা, তাও জানা যায় না। এ রকম মামলা চট্টগ্রামে শত শত। অনেক ক্ষেত্রে মামলার আসামি চট্টগ্রামের এক সময়ের বড় বড় ব্যবসায়ী। বহু খেলাপি ঋণগ্রহীতা দেশের বাইরে। তাদের খোঁজ কেউ সরকারিভাবে জানে না। পলাতক আসামিদের পরিবার-পরিজন কোথায়, তাও অনেক ক্ষেত্রে জানা যায় না। এসব ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো কূলকিনারাহীন। কী উপায় তাহলে? টাকা উদ্ধার হবে কবে? ২০১১ সালের ঋণ, মামলা ২০২২ সালের। রায় ২০২৪ সালে। আসামি পলাতক। এখানেই চলে গেল ১৩ বছর। ব্যাংক কী করবে? যেমন, বড় একটি মামলা হলো ‘হলমার্কের’ মামলা। সোনালী ব্যাংকের সাড়া জাগানো মামলা। এ হলমার্কের ঘটনা কবেকার? ১২-১৩ বছর তো হয়েছেই। ইতোমধ্যে এ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেল খেটেছেন/খাটছেন। কিন্তু যে বিষয়টি জানা যাচ্ছে না তা হচ্ছে, হলমার্কের বিরুদ্ধে সব কয়টি মামলা রুজু করা হয়েছে কিনা। হয়ে থাকলে সেসবের অবস্থা কী? ইতোমধ্যে তাদের ব্যবসার, কারখানার অবস্থা কী? যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, জমিজমা এসবের খবর কী? এসব কিছুই আমরা জানি না। ১২-১৩ বছরে কত টাকা আদায় হয়েছে, তাও জানা যায় না। শত হোক আইনি প্রক্রিয়া। আইনের সব ধারা মেনে চলতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। যেভাবেই ব্যাখ্যা দেওয়া হোক না কেন, বাস্তবতা খুবই হতাশাজনক। ব্যবসা লাটে উঠেছে, মালিক জেলে, টাকা উদ্ধারের কোনো খবর নেই। ইতোমধ্যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, কারখানার যন্ত্রপাতি, জমিজমা ইত্যাদি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
এ উদাহরণের বিপরীতে অন্য ধরনের উদাহরণও আছে। এশিয়ার এক সময়ের অন্যতম বৃহৎ কারখানা বলে পরিচিত একটি কারখানা ২০২১ সালে বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিক সমস্যা, অর্থাভাব, ব্যাংক ঋণ ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত এ বিশাল কারখানাটির মালিক উপায়ান্তর না দেখে তা বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাংক থেকে আরও ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করে বিফল হন। বিক্রি করে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করা হবে এই হচ্ছে পরিকল্পনা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, এত বড় কারখানা বিশাল পরিমাণ টাকা দিয়ে কেউ কিনতে এলো না। এটা লাভজনক কোনো ব্যবসা হবে না। পরিশেষে মালিক বিদেশে ক্রেতা খোঁজেন। বিদেশি ক্রেতারাও তা কিনতে আসেননি। কারণ বিনিয়োগের বিপরীতে ‘রিটার্ন’ সামান্য। মালিকের একমাত্র মেয়েও দেশে থাকেন না। জানা গেল, তিনি পৈতৃক কারখানার বিষয়ে উৎসাহীও নন।
আরেকটি উদাহরণ দিই। এটি জুনের খবর। একটি বড় গ্রুপের ২৩টি কোম্পানির মোট ব্যাংক ঋণ ১০ হাজার কোটি টাকার উপরে। পাওনাদার ব্যাংক ৩৫টি। ওই গ্রুপে কাজ করে ৮০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী। তখনকার একটি খবরে দেখেছিলাম, গ্রুপটি ঋণখেলাপি হওয়ার পথে। আগের মতো ক্রয়াদেশ নেই। উৎপাদন ক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করতে পারছে না। শেষ পর্যন্ত তাদের ‘খেলাপি’ অবস্থার কী হয়েছে তা জানা যায়নি।
উপরে খেলাপি ঋণ, আদালতে মামলা, আসামি পলাতক-ইত্যাদি সম্পর্কে কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরলাম। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, আইনি পথে খেলাপি ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ/সীমিত। নানা জটিলতায় আইনি পথ কণ্টকাকীর্ণ। অথচ দেশবাসী চায় খেলাপি ঋণ উদ্ধার হোক। খেলাপিদের বিচার হোক। তাদের জেল-জরিমানা হোক। মানুষের চাওয়া এবং বাস্তব অবস্থার সঙ্গে প্রচুর ফারাক। শত হোক ব্যাংকগুলোকে টাকা আদায় করতে হবে আইনের মাধ্যমে। এর বাইরে গিয়ে ব্যাংকের টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে খেলাপি ঋণের মামলার অবস্থা কী সে সম্পর্কে কিছু পরিসংখ্যান/তথ্য পাঠকদের সামনে হাজির করা যায়। হিসাবটি একটু পুরোনো-২০২২ সালের ডিসেম্বরের দিককার। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সাল পর্যন্ত অর্থঋণ আদালতে মামলার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৮৯৬। এসব মামলায় ব্যাংকগুলোর দাবির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। দেখা যাচ্ছে, আলোচ্য সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬২৫টি মামলার। নিষ্পত্তিকৃত মামলায় দাবির পরিমাণ ছিল ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে মোট আদায়ের পরিমাণ মাত্র ১৯ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা, যা মোট পাওনা/দাবির ২৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। বোঝা যাচ্ছে, ছোট ছোট মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে বেশি। বড় মামলায় ধীরগতি। হতে পারে রিটে আটকা পড়েছে। অথবা আটকা পড়েছে অন্যান্য কারণে। সে যাই হোক, মামলার ফল হতাশাজনক। মোট পাওনা বা দাবির ৩০ শতাংশও আদায় হয়নি। এটা ‘ক্যাশ’ আদায়, নাকি অন্যভাবে আদায়, তা আমরা জানি না। কিন্তু প্রশ্ন, পাওনা টাকার বাকি ৭২ শতাংশের কপালে কী আছে? ব্যাংক কি ওইসব দাবি ছেড়ে দেবে? না, তা ছাড়া সম্ভব নয়। তাহলে আদায় হবে কীভাবে? কী কার্যকর ব্যবস্থা আছে হাতে?
আমার ধারণা, বাকি টাকা আদায়ের কাজটি হবে দুরূহ। এক্ষেত্রে একটা মুশকিল হচ্ছে, আদালতের রায় পাওয়ার পর সমস্যা দেখা দেয় রায় কার্যকরকরণে। টেন্ডারদাতা/ক্রেতা পাওয়া যায় না। ব্যাংকের বন্ধকী সম্পত্তি কেউ ক্রয় করতে চায় না। সবাই নিষ্কণ্টক সম্পত্তি কিনতে চায়। তাহলে দেখা যাচ্ছে, টাকা আদায়ের যে পথ অর্থাৎ বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রি করা একটি দুরূহ কাজ। এই হচ্ছে এক সমস্যা। কিন্তু এ সমস্যার আগেই অনেক সমস্যা আছে। আমরা জানি, ব্যাংকঋণ পেতে হলে প্রাথমিক জামানত লাগে, আবার লাগে বন্ধকী সম্পত্তি। বন্ধকী সম্পত্তি বা মর্টগেজ্ড প্রপার্টিকেই ধরা হয় মোক্ষম অস্ত্র হিসাবে। কিন্তু এখানেই গন্ডগোল। অনেক সম্পত্তির অস্তিত্বই নেই। হয়তো আছে তা নদীর গহ্বরে, খাল-নালা হিসাবে। মালিকানা ত্রুটিপূর্ণ। প্রচুর সম্পত্তি শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি। প্রচুর সম্পত্তির হস্তান্তর যথাযথ নয়। দলিল জাল। এরপরের সমস্যা হচ্ছে জমির/দালানের মূল্যায়ন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ‘অতিমূল্যায়ন’ করা হয় বেশি করে ঋণ দেওয়ার জন্য। আবার রয়েছে পুনঃমূল্যায়ন সমস্যা। তিন বছর পরপর বন্ধকী সম্পত্তির মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হয় বেশি ঋণ দেওয়ার জন্য। বলা হয় মূল্যস্ফীতিতে জমির দাম বেড়েছে। অতএব, অধিকতর ঋণ দেওয়া যায়। এরপরও সমস্যা আছে। সবকিছু ঠিক থাকলেও সমস্যা আছে সম্পত্তির পরিমাণ বেশি হলে। ১০০-২০০-৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ‘হোয়াইট’ টাকা দিয়ে কেনার ক্ষমতা কয়জনের আছে। ব্যাংকঋণ যদি হয় ৫-৬ হাজার কোটি টাকা, বন্ধকী সম্পত্তির মূল্যও যদি হয় এরকম, তাহলে এই টাকা দিয়ে কারখানা কেনার ক্ষমতা বাংলাদেশে কয়জনের আছে? এ অবস্থায় ব্যাংক যদি কারখানা চালু রাখতে চায়, তাহলে নিজের হাতে ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিতে হবে। কারখানা চালানোর ক্ষমতা কি ব্যাংকারদের আছে? একটি উদাহরণ দিই। বাস্তব ঘটনা। এক ব্যবসায়ী ঋণ চেয়ে ঋণ পাচ্ছেন না। তাকে ‘প্রজেক্ট লোন’ দেওয়া হয়েছে। এখন দরকার ‘ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল’। অনেক ব্যাংক প্রকল্প ঋণ দিয়ে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দিতে গড়িমসি করে। তা-ই হচ্ছিল। তখন কারখানার মালিক এমডি সাহেবের চেম্বারে এসে কারখানার চাবি তার হাতে তুলে দেন। এবং বলেন, এই নেন আমার কারখানা আপনাদের হাতে তুলে দিলাম। আমাকে ঋণ থেকে মুক্তি দিন। এমডি সাহেব হতবাক। ব্যাংক এসব কারখানা নিয়ে কী করবে? করার কিছু নেই। বিক্রি করা ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই। বিক্রি করতে গেলে, আদালতের মাধ্যমে বিক্রি করতে গেলেও ক্রেতা পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও ১০০ টাকার সম্পত্তি বিক্রি করতে হয় ২০-৩০ টাকায়। ব্যাংকের সম্পত্তি লোকেরা নানা ‘কারসাজি’ করে অল্প টাকায় কিনে নিতে চায় এবং তা পারেও।
এ অবস্থায় আমরা যারা খেলাপি ঋণ সম্পর্কে সোচ্চার, তাদের উচিত হবে একসঙ্গে বসা। এর হবে দুই-তিন ভাগ। ইতোমধ্যে যা খেলাপি হয়ে গেছে, সেটা এক ভাগ। পুনঃতফশিলকৃত ঋণ আরেক ভাগ। ‘পুনঃকাঠামোকৃত’ ঋণ হবে আরেক ভাগ। বড় বড় শিল্প-কারখানা যেগুলোর ঋণভার প্রচুর, সেগুলো হবে আরেক ভাগ। গ্রুপ গ্রুপ করে বিবেচনা করে সিদ্ধান্তে আসতে হবে। ঢালাওভাবে খেলাপি ঋণ আদায় করো, খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের বিচার করো, তাদের জেলে নাও-এসব বললে হবে না। বাস্তব অবস্থা কী, তার সঙ্গে মিল করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। মনে রাখা দরকার, বাস্তবতা ও আবেগ এক নয়। আবেগ যা চায়, তা বাস্তবতার সঙ্গে মিলে না অনেক সময়। আমাদের ক্ষেত্রেও হয়েছে তা-ই।
খেলাপি ঋণ সমস্যা একদিনের নয়, বহু বছরের। এটা এখন দৈত্যের আকার ধারণ করেছে। সবকিছুকে গ্রাস করতে চাইছে খেলাপি সমস্যা। এর সুষ্ঠু সমাধান দরকার। ব্যবসা-শিল্প বাঁচাতে হবে, ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে হবে, খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে, ভবিষ্যৎ খেলাপি সমস্যা রোধ করতে হবে। বড় বড় ঋণগ্রহীতাকে সামলাতে হবে। বিশাল এ কাজ। এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ভার পড়েছে নতুন অর্থমন্ত্রীর ওপর। দেখা যাক তিনি কোন পথে সমাধান বের করেন। সাপ মারতে হবে, কিন্তু লাঠি ভাঙলে চলবে না।
ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
