দুর্যোগ প্রস্তুতিতে সক্ষমতা বাড়াতে হবে
এম এ হালিম
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস আজ। দুর্যোগের ক্ষতিকর প্রভাব ও তা প্রশমনে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ১৯৯৮ সাল থেকে জাতীয়ভাবে দিবসটি উদযাপন করা হয়। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও বিবিধ প্রস্তুতি থাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি আগের তুলনায় কম হলেও প্রতিবছর বিভিন্ন দুর্যোগে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক। এর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাতের কারণে ঘন ঘন দুর্যোগ, দুর্যোগের ধরন, মৌসুম ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা স্পষ্ট প্রতীয়মান। প্রতিবছর এপ্রিল-মে এবং অক্টোবর-নভেম্বর সময়কে ঘূর্ণিঝড় মৌসুম গণ্য করা হলেও ২০২৩ সালে এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে। ঘূর্ণিঝড় মৌসুম শেষ হলেও ৫ ডিসেম্বর একটি নিুচাপ সৃষ্টি হয়, তবে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলেও দেশে আঘাত না করে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ হয়ে উপকূল অতিক্রম করে। ২০২৩ সালে পাঁচটি নিুচাপ সৃষ্টি হলেও তিনটি ঘূর্ণিঝড় আকারে উপকূলে আঘাত হানে। আবার কোনো কোনো বছর আগাম বন্যা হয়েছে, যেমন ২০২২ সালের আকস্মিক বন্যা। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা ও পাহাড়ধসের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বসতবাড়ি, বাঁধ ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে কৃষিজমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত, পানিতে আর্সেনিকজনিত কারণে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট ছাড়াও স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি ইত্যাদি প্রতিকূল অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। গত বছর খুলনার পাইকগাছা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ডেলুটি ঘুরে দেখেছি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লবণতাক্ততা বৃদ্ধির ফলে সুপেয় খাবার পানি সংকট আর ব্যাহত কৃষি উৎপাদনের চিত্র। জেনেছি বিশুদ্ধ পানি সংকটে নারীদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসসহ প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০২৩ সালে তীব্র তাপদাহের অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের। চুয়াডাঙ্গাসহ কোনো কোনো জেলায় সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপ প্রবাহ চলেছে।
দুর্যোগ হিসাবে আমরা প্রধানত প্রাকৃতিক দুর্বিপাককেই গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কিন্তু মানবসৃষ্ট অনেক ঘটনার কারণেও মানুষের দুর্ভোগ হয়; যেমন-যুদ্ধ, শরণার্থী সমস্যা, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ইত্যাদি। কিন্তু দুর্যোগের সংজ্ঞা অনুসারে যে কোনো ঘটনা-দুর্ঘটনা, যার ক্ষতিকর প্রভাব উত্তরণে অপরের সাহায্য দরকার, তা-ও দুর্যোগের আওতাভুক্ত। ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিনকজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ড নিঃসন্দেহে একটি দুর্যোগ, কেননা সেটি শুধুই দুর্ঘটনা ছিল না, বরং তা ছিল মানবসৃষ্ট এক মহাদুর্যোগ। কারণ তা কেড়ে নিয়েছে ৪৬ প্রাণ, আহত হয়েছে অনেক মানুষ, বন্ধ হয়েছে অনেকের জীবিকায়নের পথ এবং ঘটেছে সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি। এখানে নতুন করে আলোচনা করা নিষ্প্রয়োজন যে নিয়ম (বিল্ডিং কোড, ডিজাইন বিচ্যুতি ইত্যাদি), মালিকদের অতি মুনাফা লোভ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে গাফিলতির কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গক্রমে বলতেই হয়, একটি রেস্টুরেন্ট শুরু করতে ১৩ ধরনের সার্টিফিকেট সংগ্রহ অর্থাৎ ১৩ অফিস ‘ম্যানেজ’ করতে হলে স্বভাবতই চেষ্টা থাকবে ‘শর্টকাট প্রক্রিয়া’ অর্থাৎ কম মানুষকে ‘ম্যানেজ’ করে তা চালু করা। এ ঘটনার পর প্রতিদিনই বিভিন্ন ভবন ও রেস্টুরেন্ট রেইড হচ্ছে। কিন্তু রুটিন দায়িত্ব পালনের অংশ হিসাবে পরিদর্শন করলে এমন দুর্ঘটনা/দুর্যোগ এড়ানো যেত। রাজউকের একজন সাবেক চেয়ারম্যান বলেছেন, ঢাকার ৮০ শতাংশ ভবনে বিল্ডিং কোড মানা হয় না। একজন নাগরিক হিসাবে প্রশ্ন করতেই পারি, তিনি দায়িত্বে থাকাকালে এ ব্যাপারে কী উদ্যোগ নিয়েছেন? ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের ৪০ শতাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। আর একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, রাজধানীর ৭৬ শতাংশ মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ। এরকম অনেক তথ্যই এখন নিত্যদিন সংবাদপত্র ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। দায়িত্বশীল ব্যক্তি অথবা সরকারি সংস্থা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করলেই কেবল ভবিষ্যতে গ্রিন কোজি কটেজ অগ্নিদুর্ঘটনার মতো নতুন কোনো দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
দুর্যোগ প্রস্তুতিতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা অর্জন ও ঝুঁকিহ্রাস উদ্যোগের বিকল্প নেই। ১৯৯৭ সালে প্রণীত ও সর্বশেষ ২০১৯ সালে পরিবর্ধিত সরকারের দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি (Standing Orders on Disaster-SOD) দেশে দুর্যোগ প্রস্তুতিতে একটি সফল প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা। কারণ এতে জাতীয় পর্যায় থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির (ডিএমসি) বিধান রয়েছে, আছে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব-কর্তব্য। এসওডি অনুসারে, স্থানীয় তথা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক ডিএমসি গঠনের ফলে দুর্যোগের বিভিন্ন পর্যায়ে স্থানীয় উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষতি ও প্রভাব কমাতে স্থানীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দুর্যোগের পরপরই স্থানীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে উদ্ধারসহ জরুরি মানবিক সেবা পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে।
দুর্যোগ প্রস্তুতির অংশ হিসাবে পূর্বাভাস বা সতর্কবার্তা, বিশেষত ঘূর্ণিঝড় সতর্ক সংকেত ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এগিয়ে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ফলে আগে যেখানে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ আগে নিুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়া যেত এখন তা অনেক আগে, এমনকি ৩ সপ্তাহ আগেও পাওয়া যাচ্ছে। তবে বন্যা পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং সংকেত ব্যবস্থাপনা আরও সঠিক ও উন্নত করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্তকরণ ও তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। এছাড়া আকস্মিক বন্যা পূর্বাভাস প্রদানে সতর্ক সংকেত উদ্ভাবন ও প্রচারে সফলতা দরকার। তবে আশার কথা, দুর্যোগ সতর্ক সংকেত সবার কাছে পৌঁছে দিতে জাতিসংঘ মহাসচিব কর্তৃক ২০২২ সালে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) উত্থাপিত প্রস্তাব ‘সবার জন্য পূর্বসংকেত’ (Early Warning for All) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩০টি পাইলট দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বে এখনো অর্ধেক জনগোষ্ঠীর কাছে দুর্যোগের সতর্কবার্তা পৌঁছে না। যা হোক, এ উদ্যোগের সফলতা অর্থাৎ দুর্যোগের আগে সবার কাছে সংকেত পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি, জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট ও অন্যান্য সংস্থা একযোগে কাজ করছে। এছাড়া বাংলাদেশ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম কার্যক্রম প্রটোকল তৈরির উদ্যোগও গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে জাতীয় পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড় ইএপি চূড়ান্ত হয়েছে এবং বর্তমানে বন্যা ইএপি প্রণয়নের কাজ চলমান আছে।
এক সময়ে দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মানবিক সাহায্য প্রদানই ছিল দুর্যোগ নিয়ে আমাদের ভাবনা। পরবর্তীকালে দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিভিন্ন ঝুঁকিহ্রাস উদ্যোগ নেওয়া হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুর্যোগের পূর্বাভাস এবং বিপদাপন্ন মানুষ ও তাদের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি বিশ্লেষণ করে তাদের কাছে দুর্যোগের আগেই সহযোগিতা পৌঁছাতে উদ্যোগ শুরু হয়েছে, যার ফলে তারা অধিক প্রস্তুতি ও দুর্যোগ-পরবর্তী দুর্দশা লাঘবে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে। এ নতুন উদ্যোগ প্রত্যাশিত মানবিক সাড়া (Anticipatory Humanitarian Action) হিসাবে অভিহিত। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সরকার এসওডি ২০১৯-এ এই ধারণাকে অন্তর্ভুক্ত করে।
এতসব উদ্যোগ আর সফলতা সত্ত্বেও পরিবেশবিরুদ্ধ আমাদের অনেক কর্মকাণ্ড দুর্যোগের ব্যাপকতা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রতিঘাতের কারণ হচ্ছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বনভূমি ধ্বংস, অপরিকল্পিত প্লাস্টিক ব্যবহার ইত্যাদি পরিবেশ দূষণের কারণ হচ্ছে। বিবিএসের জরিপে জানা যায়, দেশের ৫৯.৩১ শতাংশ পরিবার রান্নার কাজে কাঠ পোড়ায়, আর ইটভাটার আগ্রাসন তো আছেই। দেশে জনপ্রতি গড়ে প্রতিবছর ৬.২৭ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহার হয়। গবেষণা সংস্থা সিপিডির এক গবেষণায় জানা যায়, একমাত্র ঢাকায় বছরে প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয় ৬৪৬ টন, এর মধ্যে পুনঃব্যবহার (রিসাইক্লিং) হয় মাত্র ৩৭ শতাংশ। আর পরিবেশ দূষণের কারণে ঢাকা তো প্রায়ই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ওঠানামা করছে।
এখন শুষ্ক মৌসুম। এ মৌসুমে অগ্নিকাণ্ড প্রায়ই ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে দেশে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে ২৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সামনে কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড় মৌসুম। আসছে বন্যা মৌসুম। উপরন্তু পূর্বাভাস রয়েছে, ২০২৪ সাল হবে উষ্ণতম বছর। এ ব্যাপারে ২০২৩ সালের অভিজ্ঞতা আমাদের মনে রাখতে হবে। এ ছাড়া বজ্রপাতজনিত কারণে প্রতিবছরই অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আর নদীভাঙনের ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষ বড় শহরগুলোতে বস্তি সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ না হলেও ভূমিকম্পের ঝুঁকিমুক্ত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে ঢাকা শহরের ৭০ হাজার ভবন তাৎক্ষণিকভাবে ভেঙে পড়বে। অনুমান করা যায়, অবশিষ্ট অধিকাংশ ভবনই আর ব্যবহারের উপযুক্ত থাকবে না। অভিজ্ঞতার আলোকে এসব দুর্যোগ মোকাবিলায় এখনই প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। ব্যক্তি, পারিবারিক, জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও অধিক প্রস্তুতি কার্যক্রম এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমেই দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। তবে দুর্যোগে আশ্রয় গ্রহণের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র এখনো পর্যাপ্ত নয়। অনেক আশ্রয়কেন্দ্রই ব্যবহারের অযোগ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার অভাব থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হয় না। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণায় জানা যায়, ৬৭ শতাংশ নারী আশ্রয়কেন্দ্রে অনিরাপদ বোধ করেন। শহর ও নদীভাঙন রোধে এবং হাওড় অঞ্চলে ফসলের জমি রক্ষায় বাঁধ সঠিক ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হয় না।
দুর্যোগ প্রস্তুতিতে আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। এজন্য এসওডি অনুসারে বিভিন্ন কমিটি ও কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দুর্যোগ প্রস্তুতিতে স্থানীয় সরকারগুলোকেও আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। আশার কথা, দেশে প্রায় সব উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক এনজিও দুর্যোগ মোকাবিলায় অবদান রাখছে। তবে ব্যবসায়ী ও করপোরেট সেক্টরের দুর্যোগ মোকাবিলায় ভূমিকা তথা আর্থিক সহযোগিতা বা অংশগ্রহণ উল্লেখ করার মতো নয়। আমাদের জাতীয় বাজেটেও এক্ষেত্রে বরাদ্দ তেমন নয়। অথচ জাতিসংঘ বলছে, দুর্যোগের আগে ১ ডলার বিনিয়োগ করলে দুর্যোগের পর ১০ ডলার সমপরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। তাই অন্য অনেক দেশের অনুসরণে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব ও অংশগ্রহণ জোরদার করতেই হবে।
এম এ হালিম : সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি; দুর্যোগ, জলবায়ু ও মানবিক বিষয়ে কলাম লেখক
halim_64@hotmail.com
