Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

পরিবেশ রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে

Icon

ডা. মাহতাব হোসাইন

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পরিবেশ রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে

প্রতিবছর ২২ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘ধরিত্রী দিবস’ বা ‘Earth Day’। এটি এমন একটি দিন, যেদিন মানুষ পরিবেশ, প্রকৃতি ও পৃথিবী রক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। আধুনিক সভ্যতা যত এগিয়ে যাচ্ছে, ততই প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর চাপ বাড়ছে। এই দিনে বিশ্ববাসী একত্রিত হয়ে পৃথিবীকে আরও বাসযোগ্য, সবুজ ও টেকসই রাখার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববাসী জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে সোচ্চার হয়ে আন্দোলন ও আলোচনা অব্যাহত রাখছে বিশ্বজুড়ে। বিভিন্ন দেশের মানুষ এ আন্দোলনে অংশগ্রহণও করছে নিয়মিত। শিল্পোন্নত দেশের খামখেয়ালিপনার দৃষ্টান্ত তুলে ধরছে আলোচনা ও লেখালেখির মাধ্যমে। পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনার প্রচেষ্টায় লড়াই করে যাচ্ছে তারা। তাদের অভিযোগের তির শিল্পোন্নত দেশগুলোর দিকে। মূলত শিল্পোন্নত দেশগুলোই পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বাড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্য খলনায়ক। বড় বড় শিল্পকারখানা, পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ, নির্বিচারে বন উজাড়, নদীশাসন ইত্যাদির ফলে ব্যাপকভাবে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সারা বিশ্বে। শিল্পোন্নত দেশগুলোর খামখেয়ালিপনার কারণে সিএফসি গ্যাস, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের নির্গমন বেড়ে গেছে। এ গ্যাস নিঃসরণের কারণে পৃথিবীর ফিল্টার নামে খ্যাত ওজোনস্তর পাতলা হয়ে ভূপৃষ্ঠ তপ্ত হচ্ছে ক্রমান্বয়ে। অর্থাৎ সূর্যের প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে ছেঁকে বিশুদ্ধ করে পৃথিবীর উপযোগী তাপমাত্রা পাঠাতে ব্যর্থ হচ্ছে ওজোনস্তর। উল্লেখ্য, পৃথিবীর জন্য সুষম তাপমাত্রা হচ্ছে ১০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (কমবেশি হতে পারে)। অথচ সেই সুষম তাপমাত্রা এখন আর বিরাজ করছে না, বরং উলটোটি ঘটছে। ধীরে ধীরে বরফযুগের সমাপ্তি ঘটিয়ে পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ক্রমেই। তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। কয়েক বছর আগে (৮ জুন, ২০১৯ সালে) কুয়েতের তাপমাত্রা বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। ওই তাপে গাড়ির চাকার টায়ারও গলে গেছে। অবাক করার বিষয় হচ্ছে, ছায়াযুক্ত স্থানেও ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, যে তাপমাত্রায় একজন মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাপমাত্রা ৬৩-৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার বিষয়টি অতি নিকটেই। উল্লেখ্য, তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে গেলেই ডিম সেদ্ধ হতে থাকে। কাজেই আমরা বলতে পারি, এটি বিশ্বের জন্য একটি অশনিসংকেত। পৃথিবীতে মানুষ ছাড়াও কোটি কোটি প্রাণী রয়েছে, উদ্ভিদ আছে, যারা আমাদের জীবনরক্ষায় সহযোগিতা করে। সুতরাং প্রতিটি প্রাণের টিকে থাকার পরিবেশ আমাদেরই তৈরি করতে হবে। পৃথিবী টিকিয়ে রাখতে প্রাণ ও প্রকৃতির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আমাদের এই গ্রহ এখন প্রায় ৮০০ কোটি মানুষ আর হাজার হাজার কোটি উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাসস্থান। সঙ্গে আছে নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, সাগর, মরুভূমি, জলপ্রপাত। আমাদের ধরিত্রী আমাদের দিয়েছে জীবন ধারণের জন্য নির্মল বায়ু, পানি, খাদ্যসম্ভার, বসবাসের উপযোগী সব উপকরণ।

আজ আমাদের এই ধরিত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হুমকির মুখে। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে একদিকে যেমন তীব্র তাপপ্রবাহ; আরেক দিকে প্রচণ্ড শীত অথবা বন্যা, খরা, ঝড়-বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস বা দাবানলে আজকের ধরিত্রী জর্জরিত। এগুলোর জন্য মানুষের কর্মকাণ্ড অনেকটা দায়ী। অতিলোভী মানুষ প্রকৃতির সম্পদের অপব্যবহার করেছে। পাহাড়-পর্বত, বনাঞ্চল কেটে উজাড় করেছে। নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয় ভরাট করে আবাস্থল আর শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করেছে। বনাঞ্চল কমে যাওয়ায় বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাচ্ছে আর তাপপ্রবাহ বাড়ছে। তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। দেশের বিভিন্ন জলাশয়ে পানি সংকট দেখা দিচ্ছে। জলবায়ু-বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত রাখতে হবে। এর উপরে গেলে প্রাণিকুলের বাঁচার সম্ভাবনা কম।

পৃথিবী সম্পর্কে কিছু তথ্য

পৃথিবী পুরোপুরি গোল নয় : আমাদের পৃথিবীকে সাধারণত গোল বলে বর্ণনা করা হয়, কিন্তু এটি আসলে পুরোপুরি গোলাকৃতির নয়। দুই মেরুর কাছে পৃথিবী কিছুটা চাপা। কাজেই আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে, পৃথিবী আসলে উপ-বর্তুলাকার। আর সব গ্রহের মতোই মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এবং নিজের অক্ষের উপর ঘূর্ণনের কারণে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে মেরু অঞ্চল কিছুটা চ্যাপটা, আর নিরক্ষীয় অঞ্চল কিছুটা চওড়া। এ কারণেই বিষুবরেখা বরাবর পৃথিবীর ব্যাস এক মেরু থেকে অন্য মেরু বরাবর ব্যাসের চেয়ে ৪৩ কিলোমিটার বেশি।

পৃথিবীর ৭০ ভাগ পানি : পৃথিবীতে পানি আছে কঠিন, তরল ও বায়বীয় এই তিনটি আকারে। এছাড়া বিশ্বের উপরিভাগের তিন-চতুর্থাংশই পানিতে ঢাকা, যা আছে হিমবাহ, জলাভূমি, লেক, নদী, সাগর কিংবা মহাসাগরের আকারে। তবে বিশ্বের পানির ৯৭ ভাগই মহাসাগরের লবণাক্ত পানি।

মহাকাশের শুরু যেখান থেকে : বিশ্বের বায়ুমণ্ডলের একশ কিলোমিটার উপর থেকেই স্পেস বা মহাকাশের শুরু। বায়ুমণ্ডল ও মহাকাশের যে সীমানা সেটি পরিচিত কারম্যান লাইন হিসাবে, যা সমুদ্রসীমার একশ কিলোমিটার উপরে। বায়ুমণ্ডলে যেসব পদার্থ আছে, তার ৭৫ শতাংশই রয়েছে সমুদ্র সমতল থেকে প্রথম ১১ কিলোমিটারের মধ্যে।

পৃথিবীর কেন্দ্রভাগ গঠিত মূলত লোহা দিয়ে : সৌরজগতে পৃথিবী হলো পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। পৃথিবীর সবচেয়ে অভ্যন্তর ভাগ একটি নিরেট বলের মতো বলে মনে করা হয়। এটির ব্যাসার্ধ প্রায় বারোশ কিলোমিটার। এটি মূলত লোহা দিয়ে গঠিত, যা এর ওজনের প্রায় ৮৫ শতাংশ। আর আছে নিকেল, যা এই নিরেট বলের প্রায় ১০ শতাংশ।

পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব : পৃথিবীতে তালিকাভুক্ত প্রাণীর প্রজাতির সংখ্যা এখন ১২ লাখ, যদিও এটিকে মোট প্রাণীর একটি সামান্য অংশ বলে মনে করা হয়। ২০১১ সালে বিজ্ঞানীরা ধারণা দিয়েছিলেন, প্রাকৃতিক বিশ্বে প্রায় ৮৭ লাখ প্রজাতি আছে সব মিলিয়ে। এই পৃথিবীর গঠন হয়েছিল প্রায় ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন বছর আগে এবং এর সম্পদ, ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস ও এর কক্ষপথের কারণেই এখানে লাখ লাখ বছর ধরে প্রাণের অস্তিত্ব টিকে আছে।

সর্বত্র মাধ্যাকর্ষণ সমান নয় : আমাদের পৃথিবী যেহেতু নিখুঁত গোলক আকৃতির নয় এবং এর ভরও যেহেতু সর্বত্র সমানভাবে বিস্তৃত নয়, তাই মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্র ও শক্তিরও তারতম্য আছে বিভিন্ন জায়গায়। যেমন, আমরা যখন বিষুবরেখা থেকে মেরু অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হই, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির তীব্রতা তখন বাড়তে থাকে। তবে মানুষের পক্ষে এই শক্তির তারতম্য অনুভব করা সম্ভব নয়।

চরম বৈচিত্র্যের গ্রহ : এই পৃথিবী চরম বৈপরীত্যে পূর্ণ। ভৌগোলিক ও জলবায়ুর বৈচিত্র্যের কারণে প্রতিটি অঞ্চলেরই অদ্ভূত কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। পৃথিবীতে উষ্ণতম স্থানের দাবিদার অনেক অঞ্চল আছে।

পৃথিবীতে জীবন্ত প্রাণের বৃহত্তম কাঠামো : অস্ট্রেলিয়া উপকূলের দ্য গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ হলো পৃথিবীতে জীবন্ত প্রাণের একক বৃহত্তম কাঠামো। এটি এত বড় যে, মহাকাশ থেকেও এটি দেখা যায়। প্রায় ২০০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই রিফে অসংখ্য সামুদ্রিক প্রজাতি বাস করে। ১৯৮১ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে ঘোষণা করেছে।

টেকটনিক প্লেট : পৃথিবীতে কয়েকটি সক্রিয় টেকটনিক প্লেট আছে। এই প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। পৃথিবীতে পাহাড়-পর্বত গঠনের পেছনে এই প্লেটগুলোর ভূমিকা আছে। এগুলোর কারণেই ভূমিকম্প হয়, আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়। আবার এই প্লেটগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো গ্রিনহাউজ গ্যাসের রিসাইক্লিংয়ে সহায়তা করে।

পৃথিবীর একটি সুরক্ষা ঢাল আছে : পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড সূর্যের উচ্চমাত্রার শক্তিকণা থেকে সুরক্ষার জন্য একটি ঢাল হিসাবে কাজ করে। এই ম্যাগনেটিক ফিল্ড বিস্তৃত পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে শুরু করে বহিঃসীমা পর্যন্ত, যেখানে এটি সৌর বাতাসের সংস্পর্শে আসে। পাশাপাশি এই ম্যাগনেটিক ফিল্ড অনেক প্রাণীকে পথ খুঁজে পেতে সহায়তা করে। আমাদেরকেও কম্পাসের মাধ্যমে দিগ্নির্ণয়ে সাহায্য করে এটি।

ধরিত্রী দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা প্রকৃতির অংশ এবং প্রকৃতি বিনষ্ট হওয়া মানে আমরা আর নিরাপদ নই। এটি শুধু গাছ লাগানো বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার আহ্বান নয়, বরং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার একটি বৈশ্বিক আন্দোলন। পরিবেশের ওপর মানুষের নেতিবাচক প্রভাব, যেমন-বৈশ্বিক উষ্ণতা, বায়ু ও পানির দূষণ, বনাঞ্চল নিধন, প্লাস্টিক দূষণ, জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়-এ সবকিছু ধরিত্রী দিবসের আলোচনার বিষয়।

বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর উষ্ণতার হার বাড়ছে, বরফ গলছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, অরণ্য উজাড় হচ্ছে এবং নতুন নতুন রোগ দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এই পরিবর্তনে অন্যতম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ধরিত্রী দিবস তাই এসব সমস্যার সমাধানে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলে। যেমন-নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহার, গাছ লাগানো ও বন সংরক্ষণ, শিল্পকারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন, খরা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখানে নিয়মিত দেখা যায়। এসব দুর্যোগের পেছনে রয়েছে পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান পরিবেশ রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। বিদ্যালয় ও কলেজে পরিবেশ সচেতনতামূলক শিক্ষা চালু হয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ধরিত্রী দিবস কেবল একটি দিন নয়, এটি একটি দায়িত্বের নাম। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে আমরা পরিবেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারি। যেমন-পানির অপচয় রোধ করা, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা, নিজের বাসা ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা, প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাপড় বা কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করা, অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলা, গাছ লাগানো ও তার যত্ন নেওয়া ইত্যাদি।

জাতিসংঘ ও বৈশ্বিক উদ্যোগ

জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও সম্মেলন করেছে। কিয়োটো প্রোটোকল, প্যারিস চুক্তি এবং কপ সম্মেলনগুলো পরিবেশ রক্ষার বৈশ্বিক পরিকল্পনার অংশ। এগুলোর মাধ্যমে দেশগুলো নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। তবে কেবল সরকার নয়, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া এসব লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব।

পরিশেষে বলতে চাই, সচেতন মানুষ হিসাবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এ ধরিত্রীকে রক্ষা করা। এই পৃথিবী শুধু আমাদের জন্য নয়, পরবর্তী প্রজন্ম যেন সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে, সে লক্ষ্যে পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

আমাদের বিশ্বাস, বিশ্ব ধরিত্রী দিবস পালনের মধ্য দিয়ে উপরিউক্ত বিষয়গুলো তুলে ধরার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। তাতে শিল্পোন্নত দেশগুলো কিছুটা হলেও বাধাগ্রস্ত হবে তাদের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডে।

ডা. মাহতাব হোসাইন : গবেষক ও চিকিৎসক

drmayed96@gmail.com

পরিবেশ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম