Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

বাইফোকাল লেন্স

‘গায়ের জ্বালা’ মেটাতে গিয়ে ভারত যেভাবে ধরা খেল

Icon

একেএম শামসুদ্দিন

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

‘গায়ের জ্বালা’ মেটাতে গিয়ে ভারত যেভাবে ধরা খেল

ভারত ও পাকিস্তানের ৮৭ ঘণ্টার পালটাপালটি সামরিক হামলার অবসান হলেও এর জের রয়ে যাবে আরও কয়েকদিন। ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ আসে উভয়পক্ষ থেকে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে এসব অভিযোগ আসা অস্বাভাবিক নয়। যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে এ ধরনের বাদ-প্রতিবাদ থাকবেই। উভয় দেশের মিডিয়ায় তথ্য ও অপতথ্যের লড়াইও চলবে। পাক-ভারতের ক্ষণস্থায়ী এ সংঘর্ষে এ দুটো দেশের মিডিয়ার রোল ছিল চোখে পড়ার মতো। যে কোনো যুদ্ধে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিজ দেশের সাফল্যগাথা তুলে ধরা এবং শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো, যুদ্ধেরই একটি অংশ। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সৈনিক ও নাগরিকদের মনোবল চাঙা রাখার ক্ষেত্রেও মিডিয়ার ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না।

যুদ্ধের শুরুতেই ভারতের মূলধারার গণমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফরমগুলো এ কাজটি বেশ জোরেশোরেই শুরু করেছিল, যা এখনো অব্যাহত আছে। ক্ষণস্থায়ী এ যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত খুব বেশি সুবিধা করতে পেরেছে বলা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় চোখ রাখলেই তা আঁচ করা যায়। এ যুদ্ধে ভারত বেশ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। ৭ মে গভীর রাতে ভারত আক্রমণ করার পর তাৎক্ষণিক পালটা জবাব দিলেও ভারতের ওপর পুরোদস্তুর আক্রমণের জন্য ৩ দিন সময় নিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের দাবি, তারা একযোগে পাকিস্তানে অবস্থিত ৯টি জঙ্গি আস্তানায় আঘাত হেনেছে; কোনো সামরিক স্থাপনা তাদের নিশানা ছিল না। কিন্তু আদতে দেখা গেল, ওই আক্রমণে শিশুসহ ২৬ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে জঙ্গিগোষ্ঠীর পরিবারের সদস্যও রয়েছেন ভারত দাবি করলেও বিশ্বাসযোগ্য কোনো সূত্র তা নিশ্চিত করেছে বলে শোনা যায়নি। ভারতের এ আক্রমণকে সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত বিবেচনা করে পাকিস্তান ১০ মে কাকডাকা ভোরে ভারতের একাধিক সামরিক স্থাপনাসহ একযোগে ৩৬টি শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করে। পাকিস্তান ভারতের আদমপুরে অবস্থিত একটি রাশিয়ার তৈরি ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ‘এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা’ ধ্বংস করার দাবি করেছে। এ ছাড়াও ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলেও দাবি করে। এ পাঁচটি যুদ্ধবিমানের মধ্যে ফ্রান্স থেকে ক্রয় করা অত্যাধুনিক ৩টি রাফায়েল বিমানও আছে। ভারত অবশ্য আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর সরাসরি অস্বীকার করে।

ভারত যুদ্ধবিমান ধ্বংসের খবর অস্বীকার করলেও সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকার পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সামরিক স্থাপনা ধ্বংসসহ রাফায়েল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা নিয়ে পাকিস্তানের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করলে, ভারতের এয়ার মার্শাল একে ভারতী ওই সাংবাদিকের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে কিছু ঘুরিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছি, সেখানে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধেরই একটি অংশ। তবে আপনাদের আসল প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল, আমরা কি আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছি কিনা? আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করা এবং সেটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’ ‘ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধেরই একটি অংশ’ এ স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সত্যতাকে এয়ার ভাইস মার্শাল একে ভারতী পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিয়েছেন বলেই মনে হয়েছে। ওদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুজন সামরিক বিশ্লেষক, ভারতের অন্তত দুটো রাফায়েল বিমান পাকিস্তান ধ্বংস করেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে জানিয়েছে। এরপর রয়টার্সের পক্ষ থেকে ভারতীয় সামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মতামত জানতে চাইলে, তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন বলে রয়টার্স উল্লেখ করেছে। অপরদিকে বিবিসি জানিয়েছে, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ভাতিণ্ডার একটি কৃষিখেত থেকে রাফায়েলের ধ্বংসাবশেষ সরানোর ভিডিও তারা যাচাই করে সত্যতা পেয়েছে। এ ছাড়াও যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত দি ডেইলি টেলিগ্রাফ ৮ মে এক প্রতিবেদনে রাফায়েল ধ্বংসের খবর প্রকাশ করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, ‘ভারত তার পশ্চিম সীমান্তের বিভিন্ন বিমান ঘাঁটিতে আনুমানিক ১৮০টি যুদ্ধবিমান প্রস্তুত করেছিল একযোগে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে ভারতের স্ট্র্যাটেজিক সুপ্রিমেসি ইমেজ পুনরুদ্ধারের জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা পিছু হটেছে। পাকিস্তানের সর্বাত্মক প্রতিরোধের মুখে যুদ্ধের দৃশ্যপট সম্পূর্ণ পালটে যায়। এরপর ভারতের আর কোনো যুদ্ধবিমানকে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখা যায়নি। ভারত সম্ভবত অনুমান করতে পেরেছিল, সীমানার ওপারে তাদের জন্য ভীতিকর কিছু অপেক্ষা করছে!’

পাকিস্তানের হাতে থাকা সর্বাধুনিক চাইনিজ জে-১০সি যুদ্ধবিমান ও উন্নত প্রযুক্তির পিএল-১৫ মিসাইল এমনই ক্ষমতাধর, ভারতীয় রাডার সিস্টেম তাদের চিহ্নিত করতে অক্ষম। জে-১০সি যুদ্ধবিমান থেকে পিএল-১৫ মিসাইল নিক্ষেপ করলে ৩০০ কিলোমিটার দূরে শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে গিয়ে আঘাত করতে পারে। জি-১০সি যুদ্ধবিমানের আধুনিক ডিজিটাল ইকোসিস্টেম শত্রুর যুদ্ধবিমানের সব ডিজিটাল সিস্টেমকে জ্যাম করে ফেলতে পারে। ৭/৮ মে রাতে ফ্রান্সের তৈরি রাফায়েল নিয়ে ভারতের বৈমানিকরা যখন রওনা দেন; পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করার আগেই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর যোদ্ধারা জে-১০সি যুদ্ধবিমানের রাডার ক্রস সেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে রাফায়েলের অপারেটিং সিস্টেমকে সম্পূর্ণ অকেজো করে দেয়। ফলে ভারতীয় বিমান যোদ্ধারা বারবার নির্দিষ্ট বোতাম টিপেও শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে মিসাইল ছুড়তে ব্যর্থ হয়।

ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার সংবাদ শুধু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়নি; খোদ ভারতের গণমাধ্যমেও প্রচার হয়েছে। ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক করণ থাপারের অনলাইন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ‘ফোর্স ম্যাগাজিন’-এর সম্পাদক প্রাভিন সৌহানি জানিয়েছেন, ‘ইন্ডিয়া টুডে টেলিভিশনের বিশিষ্ট অনুষ্ঠান সঞ্চালক গৌরব সাওয়ালত, ৭ মে সকালে যখন কাশ্মীরের স্থানীয় সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তখন সে সাংবাদিক জানিয়েছন, শ্রীনগরে একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে এবং বিমানের ধ্বংসাবশেষ চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরপর ভারতীয় বিমানবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত বিধ্বস্ত বিমানের চারদিকে কর্ডন করে রেখেছে। তিনি আরও জানান, জম্মু ও কাশ্মীরের আরও তিনটি স্থানে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর তিনি পেয়েছেন। এ ছাড়াও ভারতের দি হিন্দু, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও ট্রিবিউনের মতো পত্রিকায় কাশ্মীরের ভাতিণ্ডাতে একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের খবর প্রকাশিত হয়েছে। পরে অবশ্য ভারতের সামরিক কর্তৃপক্ষের অনুরোধে তারা এ খবর সরিয়ে নেয়।’ ওদিকে ব্রিটিশ ডেইলি টেলিগ্রাফ আরও লিখেছে, জে-১০সি যুদ্ধবিমান ও পিএল-১৫ মিসাইলের এমন অকল্পনীয় সক্ষমতা দেখে ভারত তাদের রাফায়েলের সম্পূর্ণ বিমানবহর পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিমানঘাঁটিতে সরিয়ে নেয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন সিএনএন বলেছে, ১০ মে পাকিস্তানের প্রবল সামরিক চাপের মুখে ভারত দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা কামনা করে। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের অনুরোধে সাড়া দেয়। ফলে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘটে। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ মূলধারার গণমাধ্যম ভারতের আগ বাড়িয়ে অনুরোধ করার বিষয়টি অস্বীকার করে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে উলটো পাকিস্তানের আগ্রহের কথা জোরেশোরে প্রচার করছে। তবে এ কথাও প্রচারিত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট গোয়েন্দা সূত্রে গুরুত্বপূর্ণ ‘ভীতিকর তথ্য’ পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে উৎসাহিত করেন। তবে ভীতিকর তথ্যটি কী ছিল, তা কোনো মহলই পরিষ্কার করেনি। অন্য একটি সূত্র বলেছে, ১০ মে পালটা আক্রমণের পরপরই পাকিস্তানের ‘ন্যাশানাল কমান্ড অথরিটি’ এক জরুরি বৈঠকের আহ্বান করে। এ ধরনের বৈঠক তখনই হয়, যখন পারমাণবিক হামলার সম্ভাবনা থাকে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যালোচনা করে মোদিকে দ্রুত যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র কিংবা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অনুরোধ করার বিষয়টিকে এখন মোদি বা তার সরকার, রাখঢাক করার যত চেষ্টাই করুক না কেন, তা ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকা’র মতোই শোনায়। যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট নিয়ে সে দেশের রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষক, কূটনীতিক কিংবা গণমাধ্যম যে ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর চেষ্টাই করুক, এ খণ্ডকালীন যুদ্ধে পাকিস্তান ভারতের সামরিক শক্তির ভিতকে যে কাঁপিয়ে দিয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। পাকিস্তান ভারতীয়দের অহংকারে যে আঘাত করেছে, তা যেন তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। ভারতের জনগণ এ বাস্তবতা মেনে নিতে না পারলেও বিশ্ববাসী যে মেনে নিয়েছে, তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলেই টের পাওয়া যায়।

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ভারত তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পাকিস্তানের অনুরোধও ভারত অগ্রাহ্য করে। বরং ভারত, তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানে আক্রমণ করে যে ধরা খেয়েছে, তা থেকে উদ্ধারে এখন নানান ফন্দিফিকির করছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোদির নেতৃত্বে ভারত বদলা নিয়েছে বলে তার ভক্ত হিন্দুত্ববাদীরা যে আনন্দে মেতে ছিল, তা কেটেছে বলেই মনে হচ্ছে। পেহেলগামে ২৬ ভারতীয়কে যে সন্ত্রাসীরা মেরেছে বলে যুদ্ধের জিগির তুলেছিল, এখন পর্যন্ত তাদের টিকির সন্ধানও পায়নি মোদি সরকার। সন্ত্রাসীদের অনুসন্ধান করে খুঁজে বের করতে মোদি সরকারের আগ্রহ আছে বলে মনেও হচ্ছে না। পেহেলগামের ঘটনায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ কার্যকর করে তাৎক্ষণিকভাবে ‘গায়ের জ্বালা’ মেটাতে গিয়ে পাকিস্তানের কাছে এমনভাবে মার খাবে, তার জন্য ভারত মোটেও প্রস্তুত ছিল না। সামরিক শক্তিতে এগিয়ে আছে বলে এতদিন ভারতীয়রা অনেক বড়াই করেছে। তাতে তাদের দম্ভ ও আত্মগরিমারই প্রকাশ ঘটেছে। অপ্রত্যাশিত এ ঘটনায় ভারতের সেই আত্মগরিমায় ভীষণ আঘাত লেগেছে। অতিরিক্ত দম্ভ ও অহংকার যে মাটিতেও নামিয়ে আনতে পারে, সে কথা হয়তো ভারতীয়রা ভুলেই গিয়েছিল।

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কলাম লেখক

ভারত

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম