Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

ঢাকা যখন উত্তপ্ত, ভারত তখন মেতেছে সর্বনাশা খেলায়

Icon

মোবায়েদুর রহমান

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জুলাই বিপ্লবের পর ৯ মাস ১৭ দিন অতিক্রান্ত হলো। আশা করা গিয়েছিল, এ সাড়ে ৯ মাসে দেশে শান্তি ও স্থিতি ফিরে আসবে এবং বাংলাদেশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অগ্রগতির মহাসড়কে পা রাখবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশ এখন এক অস্থির সময় পার করছে। এ অস্থিরতা গত বছরের ৫ আগস্টের কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হয়েছিল। তখন আনসার আন্দোলনসহ কয়েকটি আন্দোলন দেখে মনে হচ্ছিল, কে বা কারা পেছন থেকে প্রতিবিপ্লবের অপচেষ্টা করছে। এসব অস্থিরতার মধ্যে কয়েকটি বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে। ড. ইউনূসের শপথের অব্যবহিত আগে ঢাকার সেনাছাউনিতে হাতেগোনা কয়েকজন সিনিয়র অফিসার অস্থিরতার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের কাউকে কাউকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে অশান্তির অপচেষ্টা বানচাল করা হয়েছে। ওইদিকে সুপ্রিমকোর্টে একসময়কার ছাত্রলীগার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আরেকজন সাবেক ছাত্রলীগার সিনিয়র বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে জুডিশিয়াল ক্যু করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। জুলাই বিপ্লবের নায়করা ত্বরিত গতিতে সুপ্রিমকোর্টে পৌঁছে তাদের বহিষ্কার করে ওই ভয়াবহ ষড়যন্ত্র বানচাল করেন। এরপর একশ্রেণির আনসারের ষড়যন্ত্র। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীমের বড় ভাই আনসারের সাবেক ডিজি আমিনুল হকের উসকানিতে এ উচ্ছৃঙ্খলতার সৃষ্টি হয়। সেখানেও অভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা সময়মতো সেখানে পৌঁছেন এবং ষড়যন্ত্রকারীদের হটিয়ে দেন। এভাবে ছোট-বড় ২৫০টি অঘটন ঘটে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ সংখ্যাটি দিয়েছেন। সব অঘটনই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এই যে মাত্র সাড়ে ৯ মাসের মধ্যে ২৫০টি অঘটন সৃষ্টির অপচেষ্টা, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ড. ইউনূস বা তার সরকার বলতে গেলে কোনো শক্তি প্রয়োগ করেননি। সেনাবাহিনী সেই যে জুলাই বিপ্লবের সময় ব্যারাক থেকে বেরিয়ে এসেছে, এখনো তারা বাইরেই আছেন। বরং এখন তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে বাইরে আছেন। সেনাবাহিনী দেখলেই মানুষের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি হয়। কিন্তু বিগত সাড়ে ৯ মাস সেনাবাহিনীও কোনো শক্তি প্রয়োগ করেনি। গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তারপরও সেনাবাহিনী অসীম ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তারা একটি গুলিও ছোড়েনি।

ক্ষমতায় থাকার শেষ দিনগুলোতে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে ৫ লাখ আওয়ামী লীগারকে হত্যা করা হবে। অথচ লাখ নয়, কোটি জনতা ঘর থেকে বের হয়ে আওয়ামী লীগকে ধাওয়া দিলেও একজন আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী ঘরানার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়নি। ফরাসি বিপ্লবের পর যেখানে বিপ্লবীরা প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের গিলোটিন করেছিল, সেখানে বাংলাদেশে ওই ধরনের একটি ঘটনাও ঘটেনি। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এ ৯ মাস ১৭ দিনে আওয়ামী লীগ বাদে কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অথবা কোনো রাজনৈতিক নেতার নাম ধরে কোনো নেতিবাচক কথা বলেননি। কিন্তু তার পরও অতি সাম্প্রতিককালে অকস্মাৎ দুর্বোধ্য কারণে ঢেউয়ের মতো অশান্তির আন্দোলন আছড়ে পড়ছে।

২১ মে সন্ধ্যার পর এ কলামটি লিখতে বসেছি। ২১ মে একটি জাতীয় বাংলা দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠার খবরে কয়েকটি হেডিং ও সাব হেডিং : রাজধানীজুড়ে বিক্ষোভ দুর্ভোগ, মতিঝিলে রাজউক ঘেরাও, পল্টনে শিক্ষকদের অবস্থান, গুলশানে গণ-অধিকারের বিক্ষোভ, শাহবাগ মোড় ছাত্রদলের বিক্ষোভ, প্রধান সড়কে যানজট, কাকরাইল মোড়ে পোশাক শ্রমিকদের অবস্থান, গোলাপশাহ মোড়ে ইশরাক সমর্থকদের অবরোধ। একই দিনের খবর : এবার ঢাকা অচলের হুমকি। খুলনার একটি জনসমাবেশ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যমুনা ঘেরাও করা হবে। ঢাকায়ও তার পরদিন আর একটি সমাবেশ থেকে অনুরূপ হুমকি দিয়ে বলা হয়েছিল, যমুনা ঘেরাও করা হবে।

আজকের এ কলামে আমি সরকার বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল-কারও পক্ষে বা কারে বিপক্ষে লিখব না। আমি পরিস্থিতি তুলে ধরব এবং জাতির সামনে একটি আসন্ন দুর্যোগ, যা কারও চোখে পড়ছে না, সেটি তুলে ধরার চেষ্টা করব।

২.

রাখাইনে মানবিক করিডর নিয়ে কয়েকদিন পত্রপত্রিকায় তুমুল লেখালেখি হলো এবং অনেক রাজনৈতিক নেতা সেই করিডর প্রদানের বিরুদ্ধে উচ্চ কণ্ঠে হুংকার দেন। ১৭ মে মফস্বলের একটি জনসভায় একজন নেতা কোনোরূপ রাখঢাক না করে ড. ইউনূসের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার সরকার একজন বিদেশি নাগরিককে নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন। তিনি রোহিঙ্গা করিডরের নামে, মানবিক করিডরের নামে, বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চান। বাংলদেশের মানুষের সঙ্গে আপনি কথা বলেননি। অত্যন্ত এ্যারোগেন্টলি আপনার সেই উপদেষ্টা বলেছেন, তাতে নাকি কিছু আসে-যায় না। সেই নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে আপনি বিদায় করুন। হয় তিনি পদত্যাগ করবেন, না হলে আপনি তাকে বিদায় করবেন। কোনো বিদেশি নাগরিকের হাতে এ দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকতে পারে না।’ (যুগান্তর, ১৮ মে ২০২৫)।

এ সম্পর্কে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। তবে ওই নিরাপত্তা উপদেষ্টা অর্থাৎ ড. খলিলুর রহমান গত ২১ মে বেলা ২টার সময় একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘করিডর সম্পর্কে যা কিছু বলা হচ্ছে, সেটি স্রেফ গুজব। তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন, করিডর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কারও কথা হয়নি। কারও সঙ্গে কথা হবেও না। অনেকে বলেছেন, করিডর বিষয়ে সরকার কথা বলছে না কেন? অস্তিত্বহীন জিনিস নিয়ে কী আলোচনা করব? এসব নিয়ে এখনো আলোচনা শুরু হয়নি। আমরা এখনো সেখানে যাইনি। কোনো কিছু এখনো বিবেচনার জন্য আসেনি।’

ড. খলিলুর রহমানকে প্রশ্ন করা হয়, মানবিক সহায়তা নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো মতপার্থক্য আছে কি না। জবাবে ড. খলিলুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে আমার বিস্তর আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো মতপার্থক্য নেই।

নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, আমি শুধু বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশে আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে থেকেছি। আমার যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট নেই। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের জাতীয়তা আমার নেই। আমি যেটা নই, আমাকে সেটা বানাবেন না। আর যদি পারেন আদালতে প্রমাণ দিন, আমি বিদেশি নাগরিক। ‘প্লিজ স্টপ ইট’।

৩.

বলা হচ্ছে, এ সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট নাকি একটি সাধারণ নির্বাচন করা। ড. ইউনূসের উদ্দেশে এক নেতা বলেন, ‘আপনি অবলীলায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর, নদীবন্দর, করিডর-সব বিদেশিদের কাছে হস্তান্তর করবেন-কি চুক্তি করে এসেছেন? কী এখতিয়ার আছে আপনার?’ (যুগান্তর, ১৮ মে)।

এসব অভিযোগ অত্যন্ত মারাত্মক। যারা ভেতরের খবর রাখেন, তারা জানেন এবং আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এ সাড়ে ৯ মাসে ড. ইউনূস কোনো ভিন দেশের সঙ্গে কোনো রকম চুক্তি করেননি। আর ইউনূস সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট নির্বাচন দেওয়া, এটা কে বলল? জুলাই বিপ্লবে ১৪ শত মানুষ শহীদ হয়েছেন, ২৬ হাজার মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন, ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ পা হারিয়েছেন, দেড় হাজার মানুষ চিরদিনের জন্য দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। এগুলো কি একটি নির্বাচন করার জন্য? আমরা তো দেশে ছিলাম এবং দেশে আছি। স্রেফ একটি নির্বাচনের জন্য এতবড় কুরবানি দেওয়া হয়নি, যে রকম কুরবানি দেওয়া হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়।

আন্দোলন সম্পর্কে দু-একটি কথা। একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা তিন মাস ধরে বেতন পাননি। সেটাও কি প্রধান উপদেষ্টাকে ফয়সালা করতে হবে? সেজন্য কি যমুনা ঘেরাও করতে হবে? এগুলো নিয়ে আরও কথা বলা যেত। কিন্তু স্থানাভাবে আজ আর সেটি সম্ভব হচ্ছে না। আজ শেষ করার আগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরব।

৪.

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভারত এবং আওয়ামী লীগের সব আশা-ভরসা শেষ হয়ে গেছে। তারা ভারতে বসে এ সরকার, তথা এ দেশের জনগণের পিঠে ছুরি মারার জন্য সারাক্ষণ ওতপেতে বসে আছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর শেখ হাসিনার কোনো বক্তৃতা তো এ দেশে সম্প্রচারিত হওয়ার কথা নয়। তাহলে গত ২০ মে রাতে শেখ হাসিনার একটি অডিও আপলোড হলো কীভাবে?

কলকাতার অন্তত চারটি টিভি চ্যানেল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক ভয়ংকর খেলায় মেতেছে। যার কোনো অস্তিত্ব নেই, তেমন ঘটনা ঘটছে বলে প্রতিদিন তারা কল্পকাহিনি ফাঁদছে। ২০ মে অন্তত চারটি পশ্চিমবঙ্গের চ্যানেলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউনূস সরকারের বিরোধ আবিষ্কার করা হয়েছে। এত ভয়ংকর, এত উসকানিমূলক এবং এত প্ররোচনামূলক এসব ভিডিও ফুটেজ, যে কেউ শুনলে মনে হবে, আজ রাত থেকেই বুঝি ইউনূস সরকার আর নেই। আমি ওইসব টিভি চ্যানেলের নাম নিলাম না এবং তাদের চরম উসকানিমূলক প্রচারণার বিস্তারিত দিলাম না। আমি চাই না, যুগান্তরের মতো একটি বহুল প্রচারিত ও জনপ্রিয় দৈনিকে ওদের কথা প্রচারিত হোক। আমার প্রশ্ন, টেলিকমিউনিকেশন এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কী করছে? তাদের নাকের ডগার ওপর দিয়ে বাংলাদেশবিরোধী এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনীবিরোধী এসব ভয়ংকর কথা আমাদের গেটওয়ে দিয়ে কীভাবে ঢুকতে পারে?

বিজেপি সরকার, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি, আনন্দ বাজার, দি টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতের প্রধান গণমাধ্যমগুলো বিগত কয়েক মাস ধরে বিএনপি এবং জামায়াত সম্পর্কে অর্থপূর্ণ নীরবতা বজায় রাখছে। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, যোগী আদিত্য নাথ, শুভেন্দু অধিকারী, এমনকি রাহুল গান্ধী পর্যন্ত অষ্টপ্রহর ড. ইউনূসের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করছেন। সারা ভারতের এখন একমাত্র টার্গেট ড. ইউনূস। তারা তাদের বিষাক্ত প্রচারণার মাধ্যমে নিরন্তর জেনারেল ওয়াকারকে উসকানি দিচ্ছে।

গত ২০ মে ড. ইউনূস একটি বিশেষ বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান। সেই বৈঠক নিয়েও চরম বিভ্রান্তিকর এবং উসকানিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এমন কথাও বলা হচ্ছে, তোমরা (ড. ইউনূস) আমাদের চিকেন নেকের ভয় দেখাও। মনে রাখবে, তোমাদেরও রয়েছে ফেনী নেক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাম্যের মৃত্যু নিয়ে রাজপথে উত্তেজনা চলছে। ইশরাকের মেয়রের আসনে বসা নিয়ে ঢাকা উত্তপ্ত। যখন এ লেখা ছাপা হবে, তখন হয়তো মেয়রসংক্রান্ত রিট পিটিশনের একটি নিষ্পত্তি হবে। সাম্য হত্যারও হয়তো একটি কূলকিনারা হবে। কিন্তু ইন্ডিয়ানরা ওই পারে বসে সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির যে চরম উসকানিমূলক খেলা খেলছে, সেই ব্যাপারে যেন আন্দোলনকারীরা সজাগ থাকেন। একসময় বিএনপিই তো বলত, এবারের গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। দলের চেয়ে জাতি বড়।

মোবায়েদুর রহমান : সিনিয়র সাংবাদিক

journalist15@gmail.com

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম