Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

নিউইয়র্কের চিঠি

আটলান্টিকের তীরে বাংলাদেশের রাজনীতির ঢেউ

Icon

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আটলান্টিকের তীরে বাংলাদেশের রাজনীতির ঢেউ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে সামান্য আলোড়ন সৃষ্টি হলে নিউইয়র্কেও বাংলাদেশি ইমিগ্রান্টদের মধ্যে সে আলোড়নের তীব্রতা আরও প্রবলভাবে অনুভূত হয়। গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে যা ঘটে চলেছে, তার ঢেউ আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী এ মহানগরীতে বসবাসকারী রাজনৈতিক সচেতন বাংলাদেশিদের একটি অংশকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। আরেকটি অংশ দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির আশঙ্কাকে কাঙ্ক্ষিত ও অনিবার্য বিবেচনা করে উচ্ছ্বসিত বোধ করছে। গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়ন ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে দেশ রাহুমুক্ত হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাসিনাবিরোধী মহল, অর্থাৎ বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকরা শেখ হাসিনার অবিশ্বাস্য পতনে হতচকিত ও মুষড়ে পড়লেও মুহূর্তে নিজেদের সামলে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। শেখ হাসিনা তাদের সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তৃতা দিয়ে তাদেরকে উজ্জীবিত করেছেন এবং তারা যথার্থই উজ্জীবিত হয়েছেন। দেশে যেহেতু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দৌড়ের ওপর রয়েছেন, আত্মগোপন করেছেন এবং গ্রেফতার হয়ে কারাগারে কাটাচ্ছেন, প্রবাসী আওয়ামী লীগাররা সেক্ষেত্রে নিউইয়র্কের অন্যতম বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস এলাকায় সোচ্চার থেকে তাদের অস্তিত্ব জাহির করতে দ্বিধা করছেন না। পাশাপাশি বিএনপির প্রবাসী নেতাকর্মীরাও তাদের দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী একই স্থানে সমাবেশ আয়োজন অব্যাহত রেখেছেন।

বাংলাদেশের মতো রাজনীতিতে পেশিশক্তির প্রভাবদুষ্ট দেশে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের পাশাপাশি অবস্থানের কোনো সুযোগ নেই। অন্তত আওয়ামী লীগের মতো একটি দল বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকলে মাঠে-ময়দানে বিরোধী দলের প্রকাশ্যে সভা-শোভাযাত্রা করা অসম্ভব ব্যাপার। বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচিতেও আওয়ামী লীগ যেনতেন অজুহাতে গোলযোগ বাঁধাবে, সরকারবিরোধী সমাবেশে হামলা চালাবে এবং রক্তপাত ঘটাবে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান এ দেশের নাগরিক-অনাগরিক নির্বিশেষে সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পাশাপাশি সবার জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। অতএব, বাংলাদেশি ইমিগ্রান্টরা দেশের যে দলের প্রতিই তাদের রাজনৈতিক আনুগত্য পোষণ করুক, তারা পাশাপাশি জড়ো হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করে ও স্লোগান দেয়; কিন্তু কেউ কারও ওপর চড়াও হয় না। চড়াও হলেই আইন প্রয়োগকারীরা তাদের পাকড়াও করে ফৌজদারি আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে জেল-জরিমানা ছাড়াও সংশ্লিষ্টের বৈধতা লাভের সুযোগ হারানোর আশঙ্কা থাকে, এমনকি গ্রিনকার্ডধারী হলে গ্রিনকার্ড বাতিল, অপরাধ গুরুতর প্রমাণিত হলে যারা নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন, তাদের নাগরিকত্বও প্রত্যাহার করা হতে পারে।

অতএব, রাজনৈতিক বিশ্বাস ও দলসংশ্লিষ্টতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগার ও বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরা পরস্পরের বিরুদ্ধে বাগাড়ম্বরে লিপ্ত হলেও তারা পরস্পর সংযম ও সহিষ্ণুতার পথ ত্যাগ করতে পারেন না। আওয়ামী লীগ সমর্থকরা মনের ভেতরে আক্রমণাত্মক ভাব চাপা রাখেন এবং তাদের ক্ষোভের আগুন প্রতিপক্ষের ওপর ছড়িয়ে দিতে পারেন না। বিএনপি-জামায়াত সমর্থকরা দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর বিগত সাড়ে ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের চালানো জুলুম-নির্যাতন, গুম, খুনের প্রতিশোধ গ্রহণের সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের শায়েস্তা করতে পারেন না। কত না ভালো হতো যদি বাংলাদেশেও এর প্রতিফলন ঘটত।

যুক্তরাষ্ট্রে এবং বিশেষ করে নিউইয়র্ক মহানগরীতে বাংলাদেশি ইমিগ্রান্টের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সহজাত কারণেই বাংলাদেশের রাজনীতি এখানে প্রবলভাবে অনুভূত হয়, যা অন্য কোনো কমিউনিটিতে নেই বললেই চলে। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ইমিগ্রান্টদের সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর সামান্য আলোকপাত করা যেতে পারে। বাঙালিদের যুক্তরাষ্ট্রে আগমনের সূচনা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে, যখন ভারতীয় উপমহাদেশ ব্রিটিশ শাসনাধীনে ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাঙালিদের আগমনের হার বৃদ্ধি পায়। কিন্তু তা উল্লেখযোগ্য ছিল না। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর সত্তর ও আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাঙালি আগমনের হার গড়ে বার্ষিক ১০ হাজার ছিল ধারণা করা হয়। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আগতদের অধিকাংশই ছিলেন ছাত্র ও পেশাজীবী। তারা মূলত শহরাঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করেন, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাঙালি সমাবেশ ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ও জনবহুল অর্থনৈতিক কেন্দ্র নিউইয়র্কে। আশির দশকের শেষভাগ থেকে ডাইভারসিটি ইমিগ্রান্ট ভিসা প্রোগ্রামে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন যুক্তরাষ্ট্রমুখী হন এবং তাদের বড় অংশই আসেন নিউইয়র্কে। এর ফলে যেসব বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, তাদের দুই-তৃতীয়াংশের বসবাস নিউইয়র্কে।

যুক্তরাষ্ট্রে মোট কত বাংলাদেশির বসবাস, তার সঠিক পরিসংখ্যান কোনো সরকারি দপ্তরের কাছে নেই। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বিভিন্ন সূচকের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আগতদের যে সংখ্যা দিয়ে থাকে, তা প্রায়শই অনুমাননির্ভর। যারা কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসের অনুমোদন লাভ করেছেন, তাদের সংখ্যা ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কাছে থাকে। বাংলাদেশি বৈধ ইমিগ্রান্টদের সংখ্যাও তাদের নথিতে রয়েছে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাচারালাইজড সিটিজেন, গ্রিনকার্ডধারী বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত এবং বৈধভাবে কাজ করার জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত বাংলাদেশি। এসব ক্যাটাগরিতে যারা যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন, এমন বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। এর বাইরে বহু বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট আছেন, যাদের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে কোনো বিভাগের কাছে কোনো তথ্য নেই। কিন্তু অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশি ইমিগ্রান্টের সংখ্যা কোনোভাবেই পঞ্চাশ হাজারের অধিক হবে না। বৈধ-অবৈধ নির্বিশেষে ইমিগ্রান্ট পরিবারে জন্মসূত্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকানও আছে। কিন্তু সে সংখ্যা উল্লেখযোগ্য নয়।

সরকারি হিসাবে নিউইয়র্ক মহানগরীর জনসংখ্যা প্রায় ৮৫ লাখ। এর মধ্যে বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট জনসংখ্যা আনুমানিক দুই লাখ, যা ২০১৫ সালে ছিল প্রায় ৭০ হাজার। নিউইয়র্কের এশিয়ান ইমিগ্রান্ট কমিউনিটির মধ্যে বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট সংখ্যা বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য। আশির দশকে যেখানে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট সংখ্যা ছিল আনুমানিক ১৫ হাজার, সেখানে বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট জনসংখ্যা দুই লাখে উন্নীত হওয়া লক্ষণীয় ব্যাপার। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে আগত ইমিগ্রান্টদের মতো নিউইয়র্ক সিটি যুক্তরাষ্ট্রে কর্মজীবী বাংলাদেশি ইমিগ্রান্টদেরও প্রাথমিক পছন্দের স্থান। জনবহুল শহর হওয়ার কারণে নিউইয়র্ক সিটিতে এমনকি অবৈধ ইমিগ্রান্টদের পক্ষে টিকে থাকার জন্য যে কোনো ধরনের শারীরিক পরিশ্রমের কাজ পাওয়া সম্ভব। এখানে প্রাথমিকভাবে যারা পরিবার ছাড়া আসেন, তারা একটি বাড়িতে গাদাগাদি করে থাকার সুবিধা গ্রহণ করে স্বল্প ব্যয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিতে পারেন। যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধা, যাতায়াত ব্যয় তুলনামূলক কম হওয়া এবং প্রায় প্রত্যেকের আবাসস্থলের কাছে সাবওয়ে স্টেশন ও বাস স্টপেজ থাকায় নিউইয়র্কে নিজস্ব যানবাহন ছাড়াই চলাফেরা করা সম্ভব। সব মিলিয়ে নিউইয়র্কে পরিবার ছাড়া শুধু একজন ব্যক্তির জন্য জীবনযাত্রার ব্যয় প্রত্যেকের সাধ্যের মধ্যে। গণপরিবহণ ব্যবহার করে কর্মস্থলে যাওয়া ও কাজ শেষে বাড়ি ফেরার এমন সুবিধা যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো সিটিতে নেই।

নিউইয়র্ক মহানগরীর পাঁচটি বরোর মধ্যে তিনটিতে-কুইন্স, ব্রুকলিন ও ব্রঙ্কসে-বাংলাদেশি ইমিগ্রান্টদের অধিকাংশই বাস করেন। এর মধ্যে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা ও অ্যাস্টোরিয়া, ব্রুকলিনের চার্চ ম্যাকডোনাল্ড ও ওজোন পার্ক এবং ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার বাংলাদেশি অধ্যুষিত। এসব এলাকায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি গ্রোসারি, বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট, ফার্মেসি, ল’ অফিস ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বাংলাদেশি মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও কমিউনিটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন ছাড়াও বছরব্যাপী, বিশেষ করে সামারে বিভিন্ন আঞ্চলিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান জমিয়ে রাখে এলাকাগুলোকে। তখন বাংলাদেশি ইমিগ্রান্টরা কিছু সময়ের জন্য বিস্মৃত হয়ে যান যে তারা তাদের মাতৃভূমি থেকে বহু দূরের এক ভূখণ্ডে বাস করছেন।

আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন, বৈধভাবে বসবাসের অনুমোদন লাভ এবং স্বাধীনভাবে কোনো লাভজনক পেশায় নিয়োজিত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করার পর অনেকে নিউইয়র্ক ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য শহরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েন। বিশেষ করে যারা বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় আসেন, তাদের বেশিরভাগই পড়াশোনা শেষে নিউইয়র্ক এবং অন্য বড় শহর থেকে পেশাগত প্রয়োজনেই তাদের কর্মস্থল ছোট শহরে হলেও সেখানে চলে যান। সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রে এখন ছোট-বড় কম শহরই আছে যেখানে বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট নেই। তবে নিউইয়র্ক সিটির বাইরে অন্যান্য বড় শহর যেমন-লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো, ডেট্রয়েট, ওয়াশিংটন ডিসি, বোস্টন, প্যাটারসন, আটলান্টিক সিটি, বাফেলো, মিশিগানসহ আরও কিছু শহরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট বাস করেন।

রাজনীতি বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর প্রধান অনুষঙ্গ। বাংলাদেশি ইমিগ্রান্টপ্রধান অধিকাংশ দেশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রাজনীতি নিয়ে ঘরোয়া আলোচনার সুযোগ থাকলেও প্রকাশ্যে কিছু করার সুযোগ নেই। সবার মনে থাকার কথা, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে একদল বাংলাদেশি শ্রমিক বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে তাদের গ্রেফতার ও অধিকাংশের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছিল, যারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপে মুক্তি লাভ করেন। অনুরূপ বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র অবারিত। অতএব, এদেশে প্রত্যেকে যার যার মতামত মন খুলে ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে চাঞ্চল্য বেড়ে যাওয়া এরই প্রমাণ।

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু : যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক

বাংলাদেশ নিউইয়র্ক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম