Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

শতফুল ফুটতে দাও

বেঁচে থাকলে দিতে পারতেন আরও অনেক

ড. মাহবুব উল্লাহ্

ড. মাহবুব উল্লাহ্

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বেঁচে থাকলে দিতে পারতেন আরও অনেক

ছবি: সংগৃহীত

আজ ২৯ মে, আগামীকাল ৩০ মে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী। এ দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক শোকাকুল দিন। এ দিনে আমরা শুধু একজন রাষ্ট্রপতিকেই হারাইনি, মনে হয় আমরা বাংলাদেশটিকেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। বাংলাদেশের জন্মলগ্নের সঙ্গে শহীদ জিয়ার নামটি গভীর বন্ধনে জড়িয়ে আছে। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের কালরাতে রক্তপিপাসু পাক হানাদার বাহিনী যখন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় গণহত্যায় মেতে উঠেছিল, তখন প্রায় সবাই মনে করেছিল, আশার শেষ প্রদীপটিও বোধহয় নিভে গেল। এমন তীব্র হতাশার মধ্যে চট্টগ্রামে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে শহীদ জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন পরপর দুবার। একবার নিজের পক্ষ থেকে, দ্বিতীয়বার জাতীয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে, হতবিহ্বল মানুষ ভরসা খুঁজে পেল। তারা ভাবল সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি। নতুন করে স্বপ্ন দেখল। নতুন করে স্বপ্ন দেখার আশা তখনো অব্যাহত আছে। ঢাকায় গণহত্যা শুরু হলে শহীদ জিয়া তার সহকর্মীদের নিয়ে ঘোষণা করেন, ‘We revolt.’ বিদ্রোহী জিয়া তার পশ্চিম পাকিস্তানি কমান্ডার জানজুয়াকে হত্যা করলেন। বিদ্রোহের যে শিখা সেদিন প্রজ্বলিত হয়েছিল, তা ৯ মাস ধরে অনির্বাণ প্রজ্বলিত ছিল। তারপর স্বাধীনতা এলো। কবির ভাষায় এ স্বাধীনতা ছিল, স্বাধীনতা তুমি রোদেলা দুপুরে মধ্য পুকুরের গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার। সত্যিই তো স্বাধীনতার তুলনা হতে পারে রোদেলা দুপুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতারের সঙ্গে। এই সাঁতারে আছে পরম প্রশান্তি, যা প্রাণ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো।

শহীদ জিয়া যখন স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, তখন তিনি ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মেজর। সেই সময় তিনি চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। শহীদ জিয়ার চেয়েও উচ্চতর পদে অধিষ্ঠিত আরও দু-একজন বাঙালি সামরিক অফিসার ছিল। ব্রিগেডিয়ার মাহমুদুর রহমান মজুমদারকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে পাকসেনা কমান্ড চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে। যে মুহূর্তে শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, সে মুহূর্তে তাকে এ দেশের কেউ চিনত না। কিন্তু ওই এক ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে গেলেন প্রাতঃস্মরণীয়। তার নাম ঘরে ঘরে উচ্চারিত হচ্ছিল। স্বাধীনতার পরও তাকে ঘিরে মানুষের কৌতূহলের অন্ত ছিল না। তাকে একনজর কোথায় দেখা যায়, কীভাবে দেখা যায়, তার জন্য ছিল উদগ্র প্রয়াস। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের (১৯৭৫) সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের পর শহীদ জিয়া যখন বঙ্গভবনে মোটরকেডে যেতেন, তখন রাস্তার দুপাশের কৌতূহলী মানুষ তাকে একনজর দেখার জন্য হুড়মুড় করে ঝাঁপিয়ে পড়ত। জনপ্রিয়তার জন্য তাকে কোনোরকম চেষ্টা করতে হয়নি। জনপ্রিয়তা তাকে অনুসরণ করে চলছিল।

৩ নভেম্বর ১৯৭৫ ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থান হলে জিয়াউর রহমান নিজ বাসগৃহে বন্দি হন। তাকে বন্দি করা হয়েছে শুনে মানুষজন খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। সাধারণ মানুষ জাতির এই মহান সন্তানকে কোনোক্রমেই হারাতে চাইছিল না। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শহীদ জিয়া মুক্ত হলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ওপর যে কালো ছায়া নেমে এসেছিল, তা বিদূরিত হলো। জিয়াউর রহমান কার্যত রাষ্ট্রের কর্ণধারে পরিণত হলেন।

শহীদ জিয়া বাংলাদেশের চরম সংকট মুহূর্তে বাংলাদেশের ত্রাতা হিসাবে অন্তত দুবার আবির্ভূত হয়েছিলেন। প্রথমবার ১৯৭১-এ ২৫ মার্চের পর এবং দ্বিতীয়বার ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর। বন্দিদশা থেকে জিয়া মুক্ত হলে দেশবাসী হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। তারা বিশ্বাস করতে চাইল, বাংলাদেশের সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি, এর একটা সুবর্ণ ভবিষ্যৎ আছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণের পর শহীদ জিয়া দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে বিরামহীনভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি খুব কম সময়েই ঘুমাতেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তিনি দীর্ঘপথ হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন। কখনো মনে হয়নি তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। চলার পথে তিনি যাদের দেখা পেয়েছেন, তাদের সবাইকে দেশের জন্য কাজ করতে, ফসলের ফলন বাড়াতে, পুকুরে মাছের চাষ করতে, ফলদ ও বনজ বৃক্ষরোপণ করতে এবং সামগ্রিকভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সবাইকে উৎসাহিত করে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এভাবে মানুষের মনোজগতে বিরাট আশার সঞ্চার হয়। মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করল তার ভাগ্যের চাবিকাঠি তার নিজের হাতেই রয়েছে। একবার চলার পথে তিনি এক বৃদ্ধার পর্ণকুটিরে হাজির হলেন। বৃদ্ধার পর্ণকুটিরটি ছিল ক্ষুদ্র, কিন্তু সাজানো-গোছানো। তিনি বৃদ্ধার কাছে পানি খেতে চাইলেন। বৃদ্ধা তাকে পানি খেতে দিল। জিয়া বৃদ্ধাকে বললেন, মা, আপনি ইচ্ছা করলে আপনার ঘরের পাশেই একটা পেঁপের চারা রোপণ করতে পারেন। সেই গাছের ফলও ভক্ষণ করতে পারেন। বৃদ্ধা পেঁপে গাছ লাগিয়েছিল। তার গাছটি বড় হয়ে ফলও দিয়েছিল। এভাবে শহীদ জিয়া গ্রাম-গ্রামান্তরে মানুষকে তার সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে বর্ধিত উৎপাদনে উৎসাহিত করেছিলেন। তিনি বলতেন, খাদ্যশস্যের উৎপাদন তিনগুণ করা যায়। তবে ওই সময় দ্বিগুণ করাই যথেষ্ট। তার আহ্বানে জমির নিবিড় ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। শুকনো মৌসুমে সেচের জন্য শ্যালো টিউবওয়েল ও ডিপ টিউবওয়েল বসানো হয়। ফলে চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। জিয়া খাল কাটা আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। এ আন্দোলনটি বাংলাদেশের জন্য বিরাট সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারত। তিনি জনগণকে মোবিলাইজ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি খাল খনন করেন। বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বৈরিতার শিকার হয়ে নদীর পানির প্রবাহ হারাতে বসেছে। অথচ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খাল কেটে জলাধার নির্মাণ সম্ভব ছিল। এসব খালে বর্ষা মৌসুমের পানি ধরে রাখা যেত। শুকনো মৌসুমে সেই পানি চাষবাসের কাজে ব্যবহার করা যেত। দুর্ভাগ্যের বিষয়, শহীদ জিয়ার শাহাদতের পর খাল কাটা কর্মসূচি কোনো সরকারই এগিয়ে নেয়নি।

জিয়া জাতিগঠনে গভীরভাবে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। জাতির সবকটি অংশ-শিশু, কিশোর, যুবক, নারী প্রৌঢ় ও বৃদ্ধসহ জনগোষ্ঠীর সব অংশের প্রতি তিনি দৃষ্টি দিয়েছিলেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোও তার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি। তিনি শিশুদের জন্য শিশু একাডেমি করলেন, গড়লেন শিশুপার্ক। খেলাধুলায় কিশোর ও যুবকদের উৎসাহিত করতে গড়ে তোলা হলো বেশ কটি স্টেডিয়াম। সংগীত, নাটক এবং সামগ্রিকভাবে শিল্পকলার বিকাশের জন্য গড়ে তুললেন শিল্পকলা একাডেমি। দেশের গণ্যমান্য নাগরিক, যারা দেশের জন্য কাজ করে এবং দেশের কথা ভাবে, তাদের জন্য তিনিই সর্বপ্রথম একুশ পদক ও স্বাধীনতা পদক প্রবর্তন করেন। এভাবে তিনি আমাদের জাতীয় জীবনের দুটি মহান দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ মার্চকে অধিকতর তাৎপর্যমণ্ডিত করে তোলেন। জ্ঞানী-গুণী মানুষদের অতীতে তেমন কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। পাকিস্তান সরকার অবশ্য তমঘায়ে জুরাত, হিলালে জুরাত, তমঘায়ে খেদমত, নিশানে হায়দার ইত্যাদি পুরস্কারের প্রবর্তন করেছিল। তবে পুরস্কারগুলোর নামের কারণেই হোক অন্য কোনো কারণেই, এই পুরস্কারগুলো সত্যিকারের জনপ্রিয়তা পায়নি। সেই তুলনায় একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক জনমানুষের মনে ছাপ ফেলতে সক্ষম হয়। জাতিগঠনে জিয়ার উদ্যোগগুলোর মধ্যে এ দুটি পদক উজ্জ্বল ভূমিকা রাখে। ১৫ খণ্ডে মুক্তিযুদ্ধের দলিল প্রকল্প ছিল জিয়ার এক অমর কীর্তি। দেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় বুদ্ধিজীবী ও ইতিহাসবিদদের নিয়ে গঠন করা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের দলিল প্রামাণ্যকরণ কমিটি। কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের দলিলের সম্পাদক। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উপস্থাপনে এর চেয়ে ভালো এবং নির্ভরযোগ্য কোনো কাজ এর আগেও হয়নি এবং এরপর আজ পর্যন্ত হয়নি। দেশ, জাতি ও রাষ্ট্র সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি না থাকলে জিয়া এমন একটি মহৎ কর্মে হাত দিতে পারতেন না। দুর্ভাগ্যের বিষয়, জিয়া তার জীবদ্দশায় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রের মুদ্রিত কপি দেখে যেতে পারেননি। এগুলো প্রকাশিত হয়েছিল জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণের পর। মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রের প্রথম দুখণ্ড হাসান হাফিজুর রহমান মৃত্যুর আগে দেখে যেতে পেরেছিলেন। ওই সময় তিনি দুরারোগ্য কিডনির ব্যাধিতে ভুগছিলেন।

একটি স্বাধীন জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠার বড় ভিত্তি হলো তার পররাষ্ট্রনীতি। পররাষ্ট্রনীতি যদি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে একটি উন্নয়নশীল স্বাধীন জাতি আত্মপ্রত্যয় নিয়ে বিশ্ব সভায় দাঁড়াতে পরে না। শহীদ জিয়া পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যার ফলে বাংলাদেশ একটি দরিদ্র রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব মানচিত্রে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়। জিয়ার সময়েই বাংলাদেশ জাপানকে ভোটে হারিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়। ইরানে মার্কিন পণবন্দি সংকটকালে প্রেসিডেন্ট কার্টার প্রেসিডেন্ট জিয়াকে টেলিফোনযোগে অনুরোধ করেছিলেন নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় প্রেসিডেন্ট জিয়া তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রফেসর শামসুল হকসহ পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে রাতের বেলায় বঙ্গভবনে এক বৈঠকে বসেন। নানাজন নানারকম মন্তব্য করছিলেন। শেষ পর্যন্ত জিয়া সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ঘোষণা করলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র, ইরান একটি মুসলিম রাষ্ট্র, বাংলাদেশ ইরানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারে না। তিনি বললেন, বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত থাকবে। জিয়া আল কুদস্ কমিটির সভাপতি হয়েছিলেন। যুদ্ধরত ইরাক ও ইরানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন। কমিউনিস্ট রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া জিয়াকে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ জাতীয় পদক দিয়ে সম্মানিত করে। জিয়ার সময়েই বাংলাদেশ ও গণচীনের মধ্যে অত্যন্ত নিবিড় বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় সার্ক জোট গঠন ছিল জিয়ার একটি অনন্য স্বপ্ন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, সার্ক গঠিত হলেও ভারতের একগুঁয়েমির ফলে এগোতে পারেনি। সার্ক সফল হলে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সৌহার্দের সুবাতাস বয়ে যেত।

জিয়াউর রহমান প্রায় প্রতিরাতেই বঙ্গভবনে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেশের সমস্যা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতেন। এরকম একটি বৈঠক ছিল কমরেড মণি সিংহের সঙ্গে। বৈঠকের জন্য নির্ধারিত সময় ছিল ১৫ মিনিট। মণি সিংহ সোফায় বসে সোভিয়েত বিপ্লবের দীর্ঘ ইতিহাস বর্ণনা করতে শুরু করেন। তার বর্ণনা শুরু হয়েছিল ১৯১৭ সাল থেকে। জিয়া বললেন, মণি সিংহ, আপনি এখনো ১৯১৭ সালে রয়ে গেছেন; কিন্তু সোভিয়েতরা অনেক এগিয়ে গেছে।

শহীদ জিয়া খুব অল্প সময় পেয়েছিলেন। ঘাতকের বুলেট তার জীবন মধ্য গগনে থাকা অবস্থায় স্তব্ধ করে দেয়। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি যত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন, তা ভাবলেও বিস্মিত হতে হয়। জিয়ার মন্ত্র ছিল, প্রথম বাংলাদেশ আমার, মরণ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশকে ভালোবাসার ফলেই শহীদ জিয়াকে তার বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে হয়েছিল।

ড. মাহবুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম