Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

‘আমি জিয়া বলছি’

Icon

রাশেদ চৌধুরী

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

‘আমি জিয়া বলছি’

জিয়া তুমি আছ মিশে,

সারা বাংলার ধানের শীষে।

‘In that case, we revolt'-Major Ziaur Rahman (March 25, 1971)

‘আমি জিয়া বলছি,’ এ ঘোষণার মাধ্যমেই ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের তৎকালীন ২য় অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কালুর ঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। দিনটি ছিল ২৭ মার্চ ১৯৭১। প্রথম ঘোষণাটি জিয়ার নামেই গিয়েছিল, পরে সংশোধন করে তা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে করা হয়। সেটাই ছিল স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের ডাক। পতেঙ্গার অদূরে অবস্থিত একটি জাপানি জাহাজের বদৌলতে দেশ-বিদেশের লক্ষ কোটি মানুষ তা শুনতে পায়। এর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আওয়ামী গোষ্ঠী বলে থাকে, শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে গেছেন। অনেকে বলে, মুজিবের নামে সই করা ঘোষণাপত্র দেখা গিয়েছিল বাজারে। এ সবই অসত্য, বানানো কাহিনি। মুজিব কোনোদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, ঘোষণাও করেননি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ’৭১-এর ২৫ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ, তৎকালীন তুখোড় ছাত্রনেতা আ স ম আব্দুর রর ও অন্যরা শেখ মুজিবের ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বর বাসভবনে গিয়েছিলেন তাকে অনুরোধ করার জন্য যে অবিলম্বে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি যেন আত্মগোপন করেন। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান তাতে রাজি না হয়ে (গোপনে) আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন। ইতঃপূর্বে তিনি ইসলামাবাদে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জোসেফ ফারল্যান্ডের সঙ্গে ফোনে কথা বলে শর্তাবলী ঠিক করে রেখেছিলেন। তার পরিবারকে নিজ বাড়িতে অথবা আশপাশে কোথাও সেনা প্রহরায় থাকতে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাস শেখ পরিবার ধানমন্ডির ১৮ নম্বর বাড়িতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং মোটা অঙ্কের ভাতা নিয়ে সহি সালামতে ছিল। শেখ হাসিনা সে সময়েই জয়কে ঢাকা সেনানিবাসে পাকিস্তানিদের আনন্দ উৎসবের মাঝে জন্ম দেন। (দেখুন, Witness to Surrender, Siddik Salik, 1977).

শেখ মুজিবের আজীবন সংগ্রাম ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের জন্য, স্বাধীনতার জন্য নয়। ’৭১-এর ২৪ মার্চ পর্যন্ত তিনি ঢাকায় পাকিস্তানি নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের অখণ্ডতা এবং তার ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাক, করাচির ডন পত্রিকা ও অন্যান্য খবরের (২৫/২৬/২৭ মার্চ, ১৯৭১) বরাতে জানা যায় তিনি তার আলোচনা ফলপ্রসূ বলে আখ্যায়িত করেছেন। (War and Secession: Pakistan, India and the Creation of Bangladesh, Richard Sisson and Leo Rose, 1990, বইতে দুপক্ষের আলোচনার বিস্তারিত আছে)।

মুজিবভক্তরা বলে থাকে, মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার ঘোষণা। প্রথমত, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ স্বাধীনতার ঘোষণা নয়, সংগ্রামের ডাক। দ্বিতীয়ত, তা স্বাধীনতার ঘোষণা হলে, শেখ মুজিব কীভাবে এবং কেন পাকিস্তানি নেতাদের সঙ্গে ১৫-২৫ মার্চ (১৯৭১) বৈঠক করেছিলেন?

অথচ এ বৈঠক চলাকালেই ইয়াহিয়া-হামিদ-টিক্কা চক্র বিমান ও নৌপথে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম এনে পূর্ব পাকিস্তানে জমায়েত করছিল ‘বাঙালিদের উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য। একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে শেখ মুজিবের পক্ষে পাকিস্তানিদের এ খেলাটা অনুধাবন করায় কি অসুবিধা ছিল? নিশ্চয়ই নয়। অতএব সন্দেহের উদ্রেক হওয়া বিচিত্র নয় যে, ‘বাঙালিদের উচিত শিক্ষা’ দেওয়া, তথা বাঙালি নিধনের এ যড়যন্ত্রে শেখ মুজিবের পরোক্ষ সায় ছিল। কিছু সূত্রমতে, পূর্ব পাকিস্তানের আন্দোলন দমানোর পর মুজিবকে এনে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসানো হবে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার এ প্রতিশ্রুতি পেয়ে ক্ষমতালিপ্সু মুজিব আত্মসমর্পণ করেন।

মেজর রফিকুল ইসলামের ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ বইয়ের বরাতে জানা যায়, চট্টগ্রামে পাকিস্তান সেনাদের ‘বাঙালি নিধন’ পরিকল্পনা জানতে পেরে কর্নেল এম আর চৌধুরী এবং মেজর জিয়াউর রহমান ক্যাপ্টেন আমীন আহমেদ চৌধুরীকে ঢাকা পাঠান। ১৭-২৩ মার্চ সময়ে কর্নেল ওসমানীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানকে জানান হয় যে, চট্টগ্রামে পাকিস্তানি বাহিনী যে কোনো সময় বাঙালিদের ওপর আক্রমণ করতে পারে, রাজনৈতিক নির্দেশ পেলে, সেখানকার বাঙালি সেনারা এখনই তা প্রতিহত করতে পারে বা পাকিস্তানিদের পালটা আক্রমণ করতে পারে। শেখ মুজিব কখনো সৈনিকদের ভরসার চোখে দেখেননি এবং পাত্তা দেননি, এবারও না। তিনি নাকি ধমকের স্বরে জবাব দিয়েছিলেন, ‘আমি পাকিস্তানিদের সঙ্গে বুঝাপড়া করছি এবং তার যথেষ্ট অগ্রগতি হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমাদের তরফ থেকে কোনো অগ্রিম সামরিক কার্যকলাপ বা ঔদ্ধত্য বরদাস্ত করা হবে না’। ক্যাপ্টেন আমীন বিফল মনে চট্টগ্রামে ফেরত গেলেন। এ প্রেক্ষিতে ২৫ মার্চের কালরাতের বিভীষিকার জন্য শেখ মুজিবকে আংশিকভাবে হলেও দায়ী করা যায়। সময়োচিত পালটা ব্যবস্থা নিলে হাজার হাজার প্রাণ বাঁচতে পারত। বাঙালি সেনা, পুলিশ, ইপিআর, আনসার ছাড়াও ছাত্র-জনতা পালটা ব্যবস্থার জন্য তৈরি ছিল। পরিতাপের বিষয়, তারা সে সময় কোনো রাজনৈতিক নির্দেশনা পায়নি। কারণ শেখ মুজিব ২৫ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন একটা ‘বুঝাপড়া’ হবে, যাতে তিনি অখণ্ড পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন।

জিয়াউর রহমানের কথায় ফিরে আসা যাক। সমুদ্র জাহাজ ‘সোয়াত’ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ে আছে অনেকদিন থেকে। তাতে আছে চীন থেকে আনা আধুনিক অস্ত্র, গোলা-বারুদ। বাঙালি বন্দরশ্রমিকরা তা নামাতে দেবে না, চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিতে দেবে না। বন্দর থেকে পথে পথে অসংখ্য বাধা-ব্যারিকেড তৈরি করে রেখেছে। সেনানিবাসের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার আনসারী কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইলেন। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৮ম বেঙ্গলের সৈনিকদের দিয়ে অস্ত্র উঠাবেন। প্রথমদিকে জিয়াউর রহমান এই শ্রমিক তদারকি কাজে যেতে কিছুতেই রাজি ছিলেন না। তাছাড়া তিনিও চাচ্ছিলেন না যে অস্ত্র পাকিস্তানিদের হাতে আসুক। কারণ এসব অস্ত্রশস্ত্র একসময় বাঙালিদের ওপরই প্রয়োগ করা হবে। পরে কতকটা জোরপূর্বক তাকে বন্দরে পাঠান হলো। পতেঙ্গা থেকে একজন পাকিস্তানি নৌ অফিসার ও কিছু নৌ সেনা এসেছেন জিয়াকে নেওয়ার জন্য। ৮ম বেঙ্গলের অধিনায়ক কর্নেল রশিদ জানজুয়া একজন পাকিস্তানি ক্যাপ্টেনকে জিয়ার দেহরক্ষী হিসাবে সঙ্গে দিলেন। অনেকের মতে, সেটাই হতে পারত জিয়ার শেষ যাত্রা!

তখন রাত হয়ে গেছে। খবর এলো চট্টগ্রাম সেনানিবাসে বাঙালি নিধন শুরু হয়ে গেছে এবং পাকিস্তানিরা ষোলশহরে অবস্থিত ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্ট শহরের দিকে এগোচ্ছে। ক্যাপ্টেন চৌধুরী খালেকুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন অলি আহমদ পরামর্শ করে কর্মপন্থা ঠিক করলেন। অলি সেনাদের গোছালেন এবং খালেকুজ্জাম ছুটে গেলেন জিয়াকে ফেরত আনতে। জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড থাকাতে জিয়ার বন্দর-গমন ধীরগতিতে চলছিল। খালেকুজ্জামান জিয়াকে পেলেন আগ্রাবাদ সড়কে, দেওয়ানহাটের অদূরে। জিয়া থামানো ট্রাকের পাশে চিন্তিত মনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, ট্রাকের ইঞ্জিন চলছিল। অদূরে নৌ ও ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনারা ব্যারিকেড সরাচ্ছে, অফিসার দুজন তা তদারকি করছেন। খালেকুজ্জামান চুপি চুপি গিয়ে জিয়াকে সেনানিবাসের পরিস্থিতি বর্ণনা করলেন, আরও জানালেন ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্ট তৈরি এবং তার আদেশের অপেক্ষায় আছে। কিছুক্ষণ দম ধরে থেকে জিয়া নিচুস্বরে হুংকার দিলেন, ‘In that case, we revolt, আমরা বিদ্রোহ ঘোষণা করছি।’ দুজনে মিলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করলেন। খালেকুজ্জামান এগিয়ে গিয়ে নৌ ও ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্ট অফিসারদ্বয়কে জানালেন যে তিনি কমান্ড্যান্ট ও কর্নেল জানজুয়ার সনদ নিয়ে এসেছেন। ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের লোকদের বন্দরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, জিয়াকেও যেতে হবে না। পাকিস্তানি নৌ অফিসার তা মেনে নিয়ে পতেঙ্গার দিকে চলে গেলেন।

জিয়ার দল ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্টে ফেরত এলো। প্রথমেই জিয়া তার পাকিস্তানি দেহরক্ষী অফিসারকে বন্দি করে কোয়ার্টার গার্ডে (ইউনিট জেল) পাঠালেন। পরে কর্নেল জানজুয়ার বাসায় গিয়ে তাকে বন্দি করে আনলেন। অন্য পাকিস্তানি অফিসারদেরও বন্দি করা হলো। এক পর্যায়ে এক তরুণ বাঙালি অফিসার রাগান্বিত হয়ে এদের সবাইকে গুলি করে।

ইতোমধ্যে ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের ওপর পাকিস্তানি কমান্ডো বাহিনীর হামলা শুরু হয় এবং জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে তা প্রতিহত করা হয়। সে যুদ্ধে বেশ হতাহত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে পালটা আক্রমণ করতে করতে জিয়া বাহিনী কালুর ঘাটের দিকে যায় এবং সেখানেই ২৭ মার্চ ১৯৭১ জিয়াউর রহমান বেতার স্টেশন থেকে ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সারা দেশবাসী এবং বহু বিশ্ববাসী তা সরাসরি অথবা পর্যায়ক্রমে শুনতে পায় এবং জানতে পারে। মুক্তিযুদ্ধ ২৫ মার্চ শুরু হলেও প্রকৃতপক্ষে এ ঘোষণার মাধ্যমেই যোদ্ধারা এক দিকনির্দেশনা পায়, যা ইতঃপূর্বে ছিল না এবং যোদ্ধারা সংঘবদ্ধও হয়। রাজনৈতিক নেতারা যখন ব্যর্থ, মেজর জিয়াই তখন মুক্তিযুদ্ধের ডাক ও দিকনির্দেশনা দিয়ে সফল নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন।

আওয়ামী সরকার জিয়াউর রহমানকে অবহেলা-অবজ্ঞা করে, আইন করে শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ‘ভূতুড়ে’ ঘোষক বানিয়েছে কোনো দলিল-প্রমাণ ছাড়াই। শেখ মুজিব নিজে কখনো জিয়াউর রহমানের ঘোষণাকে অস্বীকার করেননি বা নিজেকে ঘোষক হিসাবে দাবি করেননি। তবে জিয়ার এই দুর্লভ কৃতিত্বে তিনি খুব একটা খুশিও ছিলেন না। শেখ মুজিবের অবর্তমানে, অনুপস্থিতিতে বাংলার জনতা ৯ মাস সংগ্রাম করে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতার রঙিন সূর্য দেখতে পায়। এ সশস্ত্র সংগ্রামের নায়ক হয়ে রইলেন জিয়াউর রহমান। পরোক্ষ শাস্তি হিসাবে তাই ১৯৭২ সালে জিয়াউর রহমানকে ডিঙ্গিয়ে তারই জুনিয়র শফিউল্লাহকে বানালেন সেনাপ্রধান। তবে জিয়ার সুখ্যাতি, সততা এবং জনপ্রিয়তা অগ্রাহ্য করার উপায় ছিল না। তাই সেনা উপ-প্রধানের পদ সৃষ্টি করে জিয়াকে সেখানে স্থান দেওয়া হলো।

১৯৭৫ সনের ১৫ আগষ্টের পর বিপ্লবী নায়করা জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান হিসাবে তার যোগ্য স্থানে বসান। কিন্তু অতি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ তা মেনে নিতে পারেননি। সেনাপ্রধানের আসনটি বাগিয়ে নেওয়ার জন্যে তিনি তলে তলে ১৫ আগষ্টের নায়কের সঙ্গে মিতালী করেছিলেন; কিন্তু তার ভাগ্যে শিকা ছিড়েনি। গোস্সা হয়ে, সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে তিনি ঘটালেন ৩ নভেম্বর (১৯৭৫) পালটা ক্যু। বন্দি করলেন রাষ্ট্রপতি মোশতাক আহমেদ এবং সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে। কিন্তু সেনাবাহিনীতে ন্যূনতম সহায়তার অভাবে খালেদ তার অভিসন্ধিতে সফল হতে পারেননি। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ এবং ভারত অনুসারী হিসাবে চিহ্নিত তার যড়যন্ত্রমূলক কারসাজি বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করতে পারেনি। ‘১৫ আগস্টের পর একটু শান্তির ছোঁয়া পেয়েছিলাম, আজ তাও হারিয়ে গেল’, বলেছিলেন ঢাকার ফার্মগেটের এক পথচারী ৪ নভেম্বর।

৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সিপাহি জনতা বিদ্রোহ করে, যাতে কর্নেল আবু তাহেরের একটি কার্যকর ভূমিকা ছিল, প্রধানত তার উগ্র সমাজতান্ত্রিক মতবাদের স্বার্থে। কিন্তু সাধারণ সিপাহিরা তাহেরের পথে না গিয়ে আন্দোলন ভিন্ন দিকে অথবা সঠিক পথে নিয়ে গেছে। মোশতাক-জিয়া মুক্ত হয়। কর্নেল হুদা ও হায়দারসহ ব্রিগেডিয়ার খালেদ পালানোর সময়ে শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত তারই হাতে গড়া ১০ম বেঙ্গলের কাছে ধরা পড়েন এবং মারা যান।

৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান আবার ডাক দিলেন ‘আমি জিয়া বলছি’। জনতা শান্ত হলো, দেশে স্থিতি এলো (লেখাটি ২০১১ সালে আমার প্রকাশিত সংকলন থেকে নেওয়া, সংশোধিত)

রাশেদ চৌধুরী : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিলেন। পরে জিয়াউর রহমানের জেড ফোর্সে যোগ দেন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম