লালমনিরহাট বিমানবন্দর সচল প্রচেষ্টা ও ভারতের রেড সিগন্যাল
মোবায়েদুর রহমান
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুততর করার ক্ষেত্রে একটি সুখবর রয়েছে। আর সেটি হলো, অবশেষে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার লালমনিরহাট বিমানবন্দর সচল করছে। এ খবরটি জানিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম উদ দৌলা। ২৬ মে সেনাসদরে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার নাজিম-উদ-দৌলা এ তথ্য প্রকাশ করেন। মাসপাঁচেক আগে থেকেই লালমনিরহাট বিমানবন্দর সচল করার ব্যাপারে সামাজিকমাধ্যমে অনেক লেখা পড়েছি। আপলোড করা হয়েছে অনেক ভিডিও। তখন থেকেই আমার এ বিষয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো কনফারমেশন না আসায় লেখা সংগত মনে করিনি। অবশেষ সেই কনফারমেশন এসেছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রিগেডিয়ার নাজিম উপরিউক্ত তথ্য প্রকাশ করেন।
জনৈক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, লালমনিরহাট বিমানবন্দর নিয়ে অতীতে অনেক টানাপোড়েন ছিল। এখন ওই বিমানবন্দরের কী অবস্থা? সাংবাদিক আরও বলেন, চীন ও ভারতের মধ্যে এ বিমানবন্দর নিয়ে টানাপোড়েনে আছেন। জবাবে ব্রিগেডিয়ার নাজিম বলেন, দেশের সম্পদ দেশের প্রয়োজনে ব্যবহার হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। এতদিন প্রয়োজন হয়নি, ব্যবহার হয়নি। এখন প্রয়োজন পড়েছে, ব্যবহার হচ্ছে। নতুন করে সংস্কার করা হচ্ছে। কলেবর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সেখানে নতুন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে।
চীন ওই বিমানবন্দর ব্যবহার করবে কি না, এ বিষয়ে নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার কাছে নেই। তিনি মনে করেন, দেশের নিরাপত্তা বা স্বার্থ বিঘ্নিত হয়, এরকম কোনো দেশকে অনুমতি দেওয়ার বা সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে নিশ্চয়ই সরকার ভেবে দেখবে।
সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এ তথ্য প্রকাশের পরপরই ভারত তড়িৎ গতিতে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ২৮ মে এক বাংলা সহযোগীর অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ লালমনিরহাটে বিমানবন্দর চালু করলে ‘পালটা ব্যবস্থা’ নেবে ভারত। লালমনিরহাটে বিমানবন্দর চালু করার ঘোষণার পর ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহরের পুরোনো একটি বিমানবন্দর সংস্কারের কাজ শুরু করেছে দেশটি। এ বিমান ঘাঁটিটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত এটিকে ব্যবহার করেছে।
কৈলাশহর বিমানবন্দর বেসামরিক কাজে ব্যবহৃত হলেও ধারণা করা হচ্ছে-যুদ্ধকালীন ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলোকে উড্ডয়ন, অবতরণ এবং জ্বালানি ভরার সুযোগ করে দেওয়ার সুবিধাযোগ্য করে তোলা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিশেষ এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম অনলাইন ‘এনডিটিভি’। এতে বলা হয়, চীনের সহযোগিতায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার লালমনিরহাটে অবস্থিত একটি বিমান ঘাঁটি আবারও চালু করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ, যেটি রংপুর বিভাগে অবস্থিত; যা ভারতীয় প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের লোকদের কাছে উদ্বেগের বার্তা দিয়েছে।
তারা মনে করছে, লালমনিরহাটের বিমানঘাঁটিটি আবারও সক্রিয় করার ফলে আক্ষরিক অর্থেই দিল্লির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে বেইজিং। কেননা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ওই বিমানঘাঁটির দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। এছাড়া শিলিগুড়ি করিডর থেকেও লালমনিরহাটের দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। এটি মাত্র ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত ভূমি নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এ করিডরটি চিকেন নেক নামেও পরিচিত। যার পশ্চিমে নেপাল এবং উত্তরে ভুটানের সীমান্ত রয়েছে।
২.
খবর রটেছে, চীনের সহযোগিতায় লালমনিরহাট বিমানবন্দর আবারও চালু হতে যাচ্ছে। প্রবাদ চালু রয়েছে, জন্ডিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নাকি সবকিছুই হলুদ দেখে। প্রবাদটি সত্য হোক আর না হোক, ভারতের বেলায় এটি একশত ভাগ সত্য। বাংলাদেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা আন্তর্জাতিক যে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করুক না কেন, তার সবকিছুর মধ্যেই ভারত হয় পাকিস্তান, না হয় চীনের ভূত দেখে। লালমনিরহাটেও তারা তাদের স্বভাবসুলভ ভূত দেখতে পাচ্ছে। আর সেটি হলো চীন। ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, চীনের সহযোগিতায় এ বিমানবন্দর চালু হলে সেখানে নাকি চীন তাদের সামরিক সরঞ্জাম, জঙ্গিবিমান, রাডার ও নজরদারির সরঞ্জামসহ বিভিন্ন কৌশলগত যন্ত্রপাতি রাখতে পারে। সেই ভয় থেকেই তারা তাৎক্ষণিকভাবে ত্রিপুরার কৈলাশহরে তিন দশকের পুরোনো একটি বিমানবন্দরের সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। এনডিটিভির মতে, এটি বাহ্যিকভাবে বেসামরিক বিমানবন্দর হলেও জরুরি অবস্থায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর জঙ্গিবিমানের উড্ডয়ন ও অবতরণ এবং জ্বালানি ভরার সুযোগ থাকবে এ বিমানবন্দরে।
গত বছরের ৫ আগস্ট থেকেই দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে, শেখ হাসিনার পলায়নের পর বাংলাদেশের ওপর ভারতের প্রভাব বিস্তারের জন্য সেই মুহূর্তে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল তারা খুঁজে পায়নি। কিন্তু এখন দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে ভারতের আঞ্চলিক এবং ভূমধ্যসাগরীয় রাজনীতিতে বাংলাদেশকে হাতছাড়া করা ভারতের জন্য সর্বনাশা হবে।
লালমনিরহাট বিমানবন্দর বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলায় অবস্থিত। এটি একটি ঐতিহাসিক বিমানঘাঁটি। ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ সরকার এ বিমানঘাঁটিটি নির্মাণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনী এ বিমানঘাঁটিটি ব্যবহার করে। এটি এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর হিসাবে পরিচিত ছিল। এ বিমানবন্দরের মোট জমির পরিমাণ ১ হাজার ১৬৬ একর (৩৪৯৮ বিঘা)। এর উচ্চতা ১০৬ ফুট। রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার।
লালমনিরহাট বিমানবন্দর ভারতের শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নেক থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে (মতান্তরে ২২ কিলোমিটার) অবস্থিত। অন্যদিকে শিলিগুড়ি করিডর পশ্চিমবঙ্গের একটি সংকীর্ণ ভূখণ্ড। এ করিডরটি ১৫-২২ কিলোমিটার প্রশস্ত (ওপরদিকে ১৫ কিলোমিটার এবং নিচে ৩২ কিলোমিটার) এবং ২২ থেকে ৩২ কিলোমিটার লম্বা। চিকেন নেকের বামদিকে ভুটান, ডানদিকে নেপাল, আরও ডানে বাংলাদেশ এবং উত্তরে চীন। বিমানবন্দরে একটি বিশাল টারমাক, হ্যাংগার এবং ট্যাক্সিওয়েও রয়েছে, যা বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
ভারত বাংলাদেশের ক্ষতি করার জন্য সব সময় একটি অসিলা খুঁজছে। লালমনিরহাট বিমানবন্দরকে তেমনি একটি অসিলা হিসাবে পেয়ে গেছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা হুমকি দিয়েছেন, বাংলাদেশ যদি চিকেন নেকের দিকে নজর দেয়, তাহলে তাদের অনেক বড় মূল্য দিতে হবে। তারা জানে না, তাদেরও একটি চিকেন নেক আছে। আর এটি হলো ফেনী নেক। ভারতের অধিকাংশ গণমাধ্যম অষ্টপ্রহর চিৎকার করছে, ড. ইউনূস নাকি সেভেন সিস্টার্সের দিকে কুনজর দিয়েছেন। তারাও পালটা হুমকি দিয়েছে, ফেনীকে যদি কেটে দেওয়া হয়, তাহলে চট্টগ্রাম এবং সাবেক ৩ পার্বত্য জেলা বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। গত ১৫ দিনে তাদের অনেক ইউটিউব চ্যানেলে নরেন্দ্র মোদিকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি এখনো কেন বসে আছেন? এখনো কেন বাংলাদেশকে উচিত শিক্ষা দিচ্ছেন না?
৩.
সত্যি কথা বলতে কী, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এখন ভারত কর্তৃক বিপন্ন। শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশকে জব্দ করার জন্য ভারত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান বন্ধ করা, স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান, কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পুশব্যাক, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার মিথ্যা অভিযোগ, ভারতের জন্য মনোনীত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে স্বীকৃতি না দেওয়া, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে চরমপন্থি হিন্দু সংগঠনের হামলা-এসব ভারতীয় মনোভাবের স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও ভুয়া তথ্য প্রচারে ভারতীয় মিডিয়া সদা ব্যস্ত। স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ৪০টিরও বেশি মিডিয়া প্রতিষ্ঠান এ প্রচারণায় জড়িত।
৪.
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব যখন প্রতিপদে ভারত কর্তৃক বিপন্ন হওয়ার উপক্রম, তখন বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে গণচীন। গত সপ্তাহে গণচীনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চীন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা যখন চীন সফর করেছিলেন, তখন তিনি চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিং পিংয়ের সঙ্গে যে বৈঠক করেন, সেই বৈঠকেও চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করে।
ভারত ভুলে গেছে, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানই এবং বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষই বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করবে। এজন্য বাংলাদেশের যেটি আশু করণীয় সেটি হলো, প্রথমত, ফেনীতে একটি শক্তিশালী ক্যান্টনমেন্ট বা সেনাছাউনি প্রতিষ্ঠা করা। দ্বিতীয়ত, লালমনিরহাটে প্রস্তাবিত বিমানবন্দর সর্বোচ্চ দ্রুততায় সচল করা। তৃতীয়ত, ফেনীর মতো স্পর্শকাতর জায়গায় ভারতকে প্রদত্ত বিশাল অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রদানের চুক্তি বাতিল করা। চতুর্থত, বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম শহরকে সংযোগকারী ফেনী ব্রিজ বা সেতুর কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করা।
আমরা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের জন্য বিদেশিদের ওপর অনন্তকাল ভরসা করে থাকব না। তবে ভারতের ভাবা উচিত, চিকেন নেক তাদের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা। চিকেন নেক (Siliguri Corridor) থেকে চুম্বী ভ্যালির দূরত্ব আনুমানিক ১০০ কিলোমিটার। চুম্বী ভ্যালি তিব্বতের ইয়াডং কাউন্টিতে অবস্থিত, যা সিকিম ও ভুটানের মধ্যবর্তী অঞ্চলে একটি সংকীর্ণ উপত্যকা হিসাবে দক্ষিণদিকে প্রসারিত হয়েছে। এ ভ্যালি ভারতের সিকিম রাজ্যের নাথু লা ও জেলেপ লা পাসের মাধ্যমে সংযুক্ত।
শুধু শিলিগুড়ি করিডরই নয়, শিলিগুড়ি করিডরের পশ্চিমে দোকলাম নামে যে স্থান, সেটিও ভারতের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এ দোকলাম চীনের বলে দাবি করেছে চীন। পক্ষান্তরে ভুটানও এ দোকলামের দাবিদার। দোকলাম নিয়ে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী ২০১৭ সালের প্রায় ৭৩ দিন মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছিল। অন্যদিকে কাশ্মীর এবং লাদাখের অবস্থা আজ আর বললাম না।
ভারত যদি কখনো বাংলাদেশের দিকে তার থাবা বিস্তার করে, তাহলে উত্তর-পূর্ব ভারত, চিকেন নেক, কাশ্মীর এবং লাদাখ অশান্ত হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহণের ঠিক পূর্বাহ্নে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতকে এ মর্মে সতর্ক করেছিলেন, যদি বাংলাদেশকে ডিস্ট্যাবিলাইজ করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে তা প্রতিবেশী মিয়ানমারসহ দেশের আশপাশে এবং ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্সে’ (উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য) ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আপনার প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগলে আপনি বলতে পারেন না, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে যদি আমাদের ক্ষতি হয়, তাহলে তা আপনাকেও আঘাত করবে। কারণ বাংলাদেশে যদি বিশৃঙ্খলা ও হিংসা ছড়ায়, তাহলে তা সীমান্তজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। এটা তখন আটকানো যাবে না।
মোবায়েদুর রহমান : সিনিয়র সাংবাদিক
journalist15@gmail.com
