Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

নিউইয়র্কের চিঠি

মামদানির বিজয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাত্রদাহ

Icon

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মামদানির বিজয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাত্রদাহ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রত্যাশী জোহরান মামদানি। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী চূড়ান্ত করার উদ্দেশ্যে ২৪ জুন অনুষ্ঠিত প্রাইমারি নির্বাচনে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান জোহরান মামদানির বিজয় এক চমক সৃষ্টি করেছে। তিনি তার নিকটতম শক্তিশালী প্রার্থী নিউইয়র্ক স্টেটের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমোকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন। মেয়র পদে চূড়ান্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ নভেম্বর। নির্বাচিত হলে মামদানি হবেন সিটির চারশ বছরের ইতিহাসে সর্বপ্রথম মুসলিম ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়র। নিউইয়র্ক সিটি বহুকাল ধরেই একটি ডেমোক্রেট সিটি। সাধারণভাবে প্রাইমারিতে মামদানির বিজয় লাভের অর্থ ছিল, তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম এ সিটির পরবর্তী মেয়র। কিন্তু চূড়ান্ত নির্বাচন তার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কারণ, পরাজিত প্রধান ডেমোক্রেট প্রার্থী ক্যুমো ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন, তিনি ৪ নভেম্বর চূড়ান্ত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে লড়বেন। এ ছাড়া বর্তমান মেয়র, যিনি সিটির দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র, পুনঃনির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

নিউইয়র্কের বিলিয়নিয়াররা তাদের পছন্দনীয় প্রার্থী অ্যান্ড্রু ক্যুমোর প্রতি তাদের সমর্থনদান এবং তার নির্বাচনি তহবিল স্ফীত করতে বিপুল আর্থিক সহায়তা করা সত্ত্বেও তার পরাজয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ জোহরান মামদানির জয়লাভে হতাশ হয়েছেন। তা সত্ত্বেও তারা হাল না ছেড়ে ক্যুমোর প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন এবং ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে তাকে বিজয়ী করতে বদ্ধপরিকর। শুধু তাই নয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে বিজয়ী মামদানিকে অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করে প্রমাণ করতে চেয়েছেন, তিনি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হিসাবে জোহরান মামদানিকে দেখতে চান না। মামদানির বিজয় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ’-এ এক পোস্টে বলেছেন, ডেমোক্রেটরা তাদের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সীমা অতিক্রম করেছে।

ট্রাম্প লিখেছেন, ‘জোহরান মামদানি, যিনি সদ্য ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়লাভ করেছেন এবং মেয়র হওয়ার পথে, তিনি একজন শতভাগ কমিউনিস্ট পাগল। আগেও আমাদের প্রগতিশীল বামপন্থি ছিল, কিন্তু এবার এটি অনেকটা হাস্যকর হয়ে উঠছে। তাকে দেখতে ভয়ংকর লাগে, তার কণ্ঠ কর্কশ এবং তিনি তেমন স্মার্ট নন।’ বেশ কয়েকজন ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান মামদানির মেয়র প্রার্থিতাকে সমর্থনদান করায় ট্রাম্প বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে তিনি তার বর্ণবাদী মনোভাবেরই প্রকাশ ঘটিয়েছেন। তার পক্ষে যদি সম্ভব হতো, তাহলে তিনি হয়তো খোলামেলা বলে বসতেন, মামদানি একজন ‘মুসলিম’ হওয়ার কারণে তিনি তার নির্বাচনকে ভালো চোখে দেখছেন না। ট্রাম্পের বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মামদানি এবিসি নিউজকে বলেছেন, সামনের দিনগুলোতেও তিনি যখন-তখন ট্রাম্পের আক্রমণের শিকার হতে পারেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারই যে আমাকে নিয়ে প্রথম কমেন্ট করলেন, তা নয়। আগেও তিনি তা করেছেন। আমি সব নিউইয়র্কবাসীর মতো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও উৎসাহিত করব সিটিকে বাসযোগ্য করতে আমার নীতিগুলোর দিকে লক্ষ রাখতে।’ তিনি নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাস সম্পর্কে বলেন, তিনি কমিউনিস্ট নন, তিনি একজন ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট।

মামদানিকে উদ্দেশ করে দেওয়া ট্রাম্পের তির্যক মন্তব্যে রিপাবলিকানরা এতটাই উৎসাহিতবোধ করেছেন যে, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জোহরান মামদানির আমেরিকান নাগরিকত্ব বাতিল করে তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিপোর্ট করতে। তারা বলছেন, মামদানি নিউইয়র্ক সিটির পরবর্তী মেয়র হলে এ সিটি ‘ইসলামোফোবিক’ উগ্রতায় ছেয়ে যাবে। দ্য নিউইয়র্ক ইয়াং রিপাবলিকান ক্লাব যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক পোস্টে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। তাদের পোস্টে বলা হয়, ‘চরমপন্থি জোহরান মামদানিকে আমাদের প্রিয় নিউইয়র্ক সিটিকে ধ্বংস করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে না।’ তারা ‘রেড স্কয়ার এরা কমিউনিস্ট কন্ট্রোল অ্যাক্ট’ (যুক্তরাষ্ট্রে কমিউনিজমের প্রভাব মোকাবিলার উদ্দেশ্যে ১৯৫৪ সালে প্রণীত একটি আইন) প্রয়োগ করে মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল করে তাকে যথাসম্ভব দ্রুততম সময়ে ডিপোর্ট করার আহ্বান জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, টেনেসির রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্ডি ওগলেস আরও এক ধাপ এগিয়ে জোহরান মামদানিকে ‘খুদে মুহাম্মদ’ হিসাবে উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি সেমিটিকবিরোধী, সমাজতন্ত্রী ও কমিউনিস্ট, যিনি নিউইয়র্ক সিটিকে ধ্বংস করে ফেলবেন। অতএব তার নাগরিকত্ব বাতিল করে তাকে ডিপোর্ট করা হোক। এসব থেকে উপলব্ধি করা কঠিন নয়, মেয়র নির্বাচিত হলে জোহরান মামদানির পক্ষে সিটির মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করা সহজ হবে না।

এদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টিরও টনক নড়েছে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য বিলিয়নিয়ারদের ওপর নির্ভরশীল থেকে ডেমোক্রেটরা এতদিন ধরে যে ভুলগুলো করে এসেছে, মামদানি তাদের চোখ খুলে দিয়েছে যে, কর্মসংস্থান, আবাসন, দ্রব্যমূল্য, স্কুল, গণপরিবহণের মতো সমস্যা কাটিয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি নিউইয়র্ক সিটির মতো ব্যয়বহুল একটি সিটির বাসিন্দাদের কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ। এটি তো শুধু নিউইয়র্কের সমস্যা নয়, আমেরিকাজুড়ে খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যার ধরন ও প্রকৃতি অভিন্ন। মামদানির বিজয় ডেমোক্রেটিক পার্টিকে রাজনৈতিক জটিলতার এক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। দলটি যদি আন্তরিকভাবে চায়, তাহলে মামদানির নীতিগুলোর প্রতিফলন দেশব্যাপী ঘটাতে পারে। এ ধরনের কর্মসূচি দিয়ে তারা আমেরিকার ভেঙে পড়া প্রতারণাপূর্ণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে পারে, যে ব্যবস্থা ৬০ শতাংশ আমেরিকানের কষ্টকে উপেক্ষা করে, যারা বছরের পর বছর ধরে তাদের হাড়ভাঙা ঘাম ঝরানো শ্রমের বিনিময়ে শুধু বেতনের চেকের জন্য অপেক্ষা করে বেঁচে থাকেন। একটি চেক বিলম্বে পেলে তাদের নাভিশ্বাস উঠে যায়।

আমেরিকান জনগণ প্রতি দুই বছর পর হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য এবং প্রতি চার বছর পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার ধারাবাহিকতা রক্ষার গণতন্ত্রের ওপর তাদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কারণ, তারা কখনো রিপাবলিকান পার্টি অথবা ডেমোক্রেটিক পার্টির সরকারের কাছ থেকে এমন নতুন কিছু দেখতে পায় না যে, তাদের নির্বাচিত কংগ্রেস অথবা প্রশাসন তাদের সংগ্রাম ও জীবনের বাস্তব অবস্থা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। কখনো তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটে না। এ পটভূমিতে ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য জোহরান মামদানির অভূতপূর্ব বিজয় চোখ খুলে দেওয়ার মতো যুগান্তকারী এক ঘটনা। অতএব ডেমোক্রেটরা যদি চায়, তাহলে তারা বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মকে তাদের স্বপ্নপূরণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আর যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আমেরিকান তরুণ প্রজন্মের অবস্থা এখন তাদের বাবা-মা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিনাতিপাত করছেন, তার চেয়েও বাজে পরিণতির দিকে ধাবিত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কৌশলেও পরিবর্তনের সূচনা এনেছেন ডেমোক্রেট মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি। যে কোনো নির্বাচনে, বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীরা নির্ভর করেন বহু বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক ও শিল্প সাম্রাজ্যের মালিক ডোনারদের ওপর। তাদের দেওয়া তহবিল ব্যয় করা হয় বিলবোর্ড স্থাপনে, নির্বাচনি প্রচারণার জন্য ক্যাম্পেইন ম্যানেজার, ক্যাম্পেইন কনসালটেন্ট ও বহুসংখ্যক নির্বাচনকর্মী নিয়োগে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশনে সামান্য সময়ের বিজ্ঞাপনের জন্য। এসবের প্রতি খুব কমসংখ্যক মানুষের মনোযোগ থাকে।

জোহরান মামদানির বিজয় মূল্যায়ন করে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত পরিচিত ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ সিনেটর বার্নি স্যান্ডারস, যিনি স্বতন্ত্র সিনেটর হলেও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি দুর্বলতা পোষণ করেন, তিনি একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি বলেছেন, ডেমোক্রেটি পার্টি যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে, তারা আমেরিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের স্বার্থে তাদের প্রকৃত অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে সাহসের সঙ্গে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করে অতি-বিত্তবান অভিজাত গোষ্ঠীর আরও অর্থের লোভ ও অন্যায্য ক্ষমতা আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবে, যার ফলাফল হবে শ্রমজীবী পরিবারগুলোর উন্নত জীবনমান; তাহলে নির্বাচনে তারা অবশ্যম্ভাবীভাবে ভালো করবে। তিনি বলেন, অনেকে হয়তো বলবেন, মামদানির বিজয় তার প্রচারশৈলীর কারণে হয়েছে এবং তিনি একজন আকর্ষণীয় প্রার্থী। কথাটি সত্য। কিন্তু এর চেয়েও বাস্তব হলো, তিনি অসাধারণ তৃণমূল আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ছাড়া মামদানি জয়ী হতে পারতেন না। নির্বাচনি অভিযানে তার আন্দোলনের হাজার হাজার উৎসাহী তরুণ প্রত্যেক নিউইয়র্কবাসীর ঘরে ঘরে গেছে, যে স্বাদ নিউইয়র্কবাসী আগে কখনো পায়নি।

এ ধরনের একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে এবং জনগণকে পাশে পেতে হলে এমন একটি অর্থনৈতিক কর্মসূচি থাকতে হবে, যা শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে কথা বলে। আমেরিকান জনগণ যদি বুঝতে পারে, পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশে তাদের প্রতিদিন কেবল খাবার সংগ্রহ, বাড়িভাড়া কিংবা চিকিৎসার বিল পরিশোধের জন্য সংগ্রাম করতে হবে না, তাহলে তারা অনুরূপ কর্মসূচি নিয়ে সামনে আসা মানুষের সঙ্গে একাত্ম পোষণ করবে। মামদানির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তিনি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ক্যাম্পেইন ম্যানেজার ও নির্বাচনকর্মী নিয়োগ করেননি। তার প্রচারণায় নিয়োজিত ছিল বিনা পারিশ্রমিকের স্বেচ্ছাসেবীরা। মামদানির বক্তব্যে সামান্য কিছু মানুষের অকল্পনীয় আয় ও সম্পদের পরিমাণ এবং সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের জীবন-সংগ্রামের মধ্যে বিরাজমান বৈষম্য কমিয়ে আনার দাবির অন্যতম দিক হলো, ধনী ও বৃহৎ করপোরেশনগুলোর কাছ থেকে তাদের আয়ের ন্যায্য অংশের ওপর করারোপ। নিউইয়র্কবাসীর সাশ্রয়ী আবাস সংস্থানে তিনি বাড়িভাড়া বৃদ্ধি বন্ধ করার দাবি করেছেন। কর্মস্থলে যাতায়াতে একজন শ্রমজীবী তার আয়ের বড় অংশ ব্যয় করে, অতএব গণপরিবহণ, বিশেষ করে বাসভাড়া বিনামূল্যে করার কথা বলেছেন। এসব দাবি মানুষের মনের কথা, যা তাকে বিজয়ী হতে সহায়তা করেছে। মামদানির বিজয় ক্ষমতাবানদের নিয়ে ছিল না, ছিল একান্তই জনশক্তিনির্ভর। বর্তমান ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃত্বের উচিত মামদানির প্রচারণা থেকে শিক্ষা গ্রহণের। নিউইয়র্কবাসী অপেক্ষা করছে, মামদানিকে নভেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নিউইয়র্কের মেয়র হিসাবে দেখতে।

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু : যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম