Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

শতফুল ফুটতে দাও

ট্রাম্পের শুল্কনীতি বাংলাদেশের গলার ফাঁস

ড. মাহবুব উল্লাহ্

ড. মাহবুব উল্লাহ্

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ট্রাম্পের শুল্কনীতি বাংলাদেশের গলার ফাঁস

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ওপর বাড়তি ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি নিউজ বাংলা থেকে জানা যায়, ‘নতুন শুল্ক আরোপের তালিকায় বাংলাদেশের পাশাপাশি জাপান ও কোরিয়াসহ ১৪টি দেশ রয়েছে। তবে শুল্ক কার্যকরের সময় বিষয়টি কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি না হলে ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। নতুন শুল্কারোপের কথা জানিয়ে ১৪টি দেশের নেতাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো চিঠিতে ট্রাম্প বলেছেন, ২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো বাংলাদেশি সব পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপ করা হবে। এই শুল্ক বর্তমানে খাতভিত্তিক যে শুল্ক দেওয়া হয়, তার অতিরিক্ত হিসাবে প্রযোজ্য হবে। ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে পণ্য পাঠানো হলেও সেখানেও এই শুল্ক প্রযোজ্য হবে। চিঠিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘অনুগ্রহ করে উপলব্ধি করবেন যে, আপনাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে বাণিজ্য ঘাটতি, বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানি যদি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কোনো শুল্কারোপ করা হবে না।’ সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যদি কোনো কারণে শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সেটা আরোপিত ৩৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে নতুন করে যোগ হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, তবে বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দেশের বাজার উন্মুক্ত করতে চায় এবং শুল্ক, অশুল্কনীতি ও বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করে, তাহলে এ চিঠির কিছু অংশ তিনি পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে এ শুল্ক হার বাড়ানো বা কমানো হতে পারে।

গত এপ্রিলে বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে পালটা শুল্কারোপের বিষয়টি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সময় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এর আগে ১৫ শতাংশ শুল্কে দেশটিতে পণ্য পাঠাতে পারত বাংলাদেশ। পরবর্তী সময়ে সেই ঘোষণা ৩ মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশকে চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সময় সীমা এই সপ্তাহে শেষ হতে চলেছে। ৯ জুলাই থেকে সেই শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে শুল্ক হারে কিছুটা পরিবর্তন এনে ১ আগস্ট থেকে কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পালটা শুল্কারোপ অথবা চুক্তির পথ বেছে নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরই মধ্যে কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তিতেও পৌঁছেছে তারা। শুল্ক ইস্যুতে আলোচনা চালাচ্ছে বাংলাদেশও। বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল এখন এই বিষয়ে আলোচনা করতে ওয়াশিংটনে রয়েছে। এর মধ্যেই নতুন শুল্কের ঘোষণা এলো।

ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের পাশাপাশি মিয়ানমার ও লাওসের পণ্যের ওপর ৪০ শতাংশ, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার পণ্যের ওপর ৩৬ শতাংশ, সার্বিয়া ও বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ, মালয়েশিয়া ও তিউনিশিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ কর আরোপের বিষয়টি আবার বিবেচনা করেছেন ট্রাম্প। এছাড়া ১ আগস্ট থেকে শুল্কারোপের বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের কাছে আবারও চিঠি পাঠাচ্ছেন তিনি।

বিবিসি সংবাদ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পালটা শুল্কারোপের বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। এই চিঠিতে ড. ইউনূস বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির চেয়েও অনেক কম। এর কারণ, বাংলাদেশের শিল্প উৎপাদনে অগ্রগতি সামান্যই হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড় দেওয়ার যেসব প্রস্তাব করা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি কিছু করা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট বোঝা যায়, মিষ্টিমধুর কথার মোড়কে ট্রাম্প কঠোর অবস্থানেই রয়েছেন। বাংলাদেশ খুব বেশি কিছু আশা করতে পারে না।

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ওপর গত ২ এপ্রিল উচ্চহারে রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ আরোপ করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে তা ৩ মাসের জন্য স্থগিত রাখা হয়, যার সময়সীমা শেষ হয় ৯ জুলাই ২০২৫। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দরকষাকষি শুরু হয়। বাংলাদেশকেও রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বিষয়ক বাণিজ্য চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে দেশটি। কিন্তু ৯ জুলাইয়ের মধ্যে চুক্তি হওয়া নিয়ে এখনো সংশয় কাটেনি। দরকষাকষিতে যে সিদ্ধান্ত হোক না কেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতি বাংলাদেশের ওপর ডেমিকলসের তরবারির মতো ঝুলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার। এছাড়া অন্য আরও কিছু পণ্য সামান্য পরিমাণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়। প্রস্তাবিত শুল্কারোপ হলে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা তৈরি পোশাকের দাম বৃদ্ধি পাবে। এতে একদিকে মার্কিন ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং অন্যদিকে বাংলাদেশের বাজার সংকুচিত হয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্যের ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি হবে। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ৬০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। এ রপ্তানি বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থা সৃষ্টি করেছিল। কোনো ধরনের চুক্তি হলে অস্বস্তির পালা শুরু হবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেন এ শুল্কনীতি গ্রহণ করলেন? এর অর্থনৈতিক যৌক্তিকতাই বা কী? ট্রাম্পের রাজনৈতিক স্লোগান হলো মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন। তার ধারণা, আমেরিকা আবার গ্রেট হবে, যদি আমেরিকাতে ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের বিকাশ ঘটানো যায়। তিনি মনে করেন, এটা সম্ভব হবে অন্য দেশ থেকে শিল্পজাত ও অন্যান্য পণ্য আমদানি কমিয়ে দিতে পারলে। এক সময় আমেরিকা ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের হাব ছিল। ছোটবেলায় দেখেছি আমেরিকায় তৈরি মাস্টার লক নামের তালা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আমদানি হতো। এ তালার বেশ সুনাম ছিল। এ থেকেই বোঝা যায় তৎকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বহু ধরনের পণ্য উৎপাদিত হতো। কিন্তু মজুরি বৃদ্ধির ফলে এসব পণ্য বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতার শক্তি হারিয়ে ফেলে। আমি যখন সত্তরের দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছিলাম, তখন দেখেছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে বড় বড় টেক্সটাইল মিলও ছিল। আমেরিকা বিশাল তুলা উৎপাদনকারী দেশ। তা সত্ত্বেও টেক্সটাইল মিলগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর একটাই কারণ আমেরিকার প্রতিযোগিতার শক্তি দারুণভাবে খর্ব হয়ে পড়েছিল।

ষাটের দশকে অনুন্নত দেশগুলোর স্লোগান ছিল, ‘ট্রেড, নট এইড’। এ স্লোগান ওঠার কারণ ছিল উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশগুলো অর্থনৈতিক সাহায্যের ছদ্মাবরণে নয়া ঔপনিবেশিক নীতি কার্যকর করছে। যেসব দেশ সাহায্য দিত, তারা শর্ত দিত তাদের প্রদত্ত সাহায্যের অর্থ দিয়ে তাদেরই দেশ থেকে পণ্যসামগ্রী আমদানি করতে হবে। এ সাহায্যের উদ্দেশ্য ছিল তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশের বাজার সম্প্রসারণ। সে কারণেই অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো দাবি জানিয়েছিল, উন্নত দেশগুলোর বাজারে প্রবেশ লাভের সুবিধার। দেখা গিয়েছিল। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর কমোডিটির দাম ক্রমাগত বিশ্ববাজারে হ্রাস পাচ্ছে। এ হ্রাস পাওয়াকে বলা হয়েছিল, secular deterioration of terms of trade. এ অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি পেতে না পেতে এলো বিশ্বায়নের ঢেউ। আশির দশকে ওয়াশিংটন কনসেন্সাসের পর চালু হলো বাণিজ্য উদারীকরণ নীতি এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট নীতি। এর ফলে তৃতীয় বিশ্বের কোনো কোনো দেশ লাভবান হলো, আবার কোনো কোনো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলো। র‌্যাডিক্যাল অর্থনীতিবিদরা বিশ্বায়নের কড়া সমালোচনা করলেন। তবে বেশকিছু দেশ বিশ্বায়ন থেকে লাভবান হলো। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে চীন ও ভিয়েতনামসহ কয়েকটি দেশ। বাংলাদেশও কিছু সুবিধা পেয়েছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে।

পুঁজিবাদ প্রবর্তিত বিশ্বায়ন ব্যবস্থা পালটে দিতে চান সবচেয়ে ধনী পুঁজিবাদী দেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শুল্কনীতি বিশ্বায়ন নীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। ঊনবিংশ শতাব্দীতে কার্ল মার্কস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ‘পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় বিশ্বায়ন নীতি চালু হবে।’ তিনি আরও বলেছিলেন, পুঁজিবাদই এ ব্যবস্থার অগ্রগতির মুখে বাধার দেওয়াল তুলবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেটাই করছেন। তাতে কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের পুনরুত্থান ঘটবে? আমার মনে হয় না। ডোনাল্ড ট্রাম্প যা করছেন, তা সংকীর্ণ রাজনৈতিক সুবিধার জন্যই করছেন।

ট্যারিফ চুক্তির মধ্যে রয়েছে ট্যারিফবহির্ভূত কিছু বিষয়, যা রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর। এ চুক্তির অনেক শর্ত কোনো সার্বভৌম দেশের পক্ষে মানা কঠিন। ক্ষেত্র বিশেষে এ বিষয়গুলো ট্যারিফ হারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। যেমন চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, সেটা বাংলাদেশকেও অনুসরণ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো একটি দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, সেটাও বাংলাদেশকে অনুসরণ করতে হবে। কোনো দেশের ওপর যদি তারা অতিরিক্ত কোনো শুল্কারোপ করে, তাহলে বাংলাদেশকেও তা করতে হবে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট একটি দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও সমরাস্ত্রবিষয়ক কোনো ইস্যুতে বাংলাদেশ জড়াতে পারবে না-এমন শর্তও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র (সূত্র : বণিক বার্তা, ৮ জুলাই)। সোজা কথা হলো, যত ধরনের কূটনীতিই আমরা করি না কেন, যত ধরনের দরকষাকষি আমরা করি না কেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি একদিকে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করবে, অন্যদিকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বও ক্ষুণ্ন হবে। বাংলাদেশ ভয়াবহ বিপদের মুখোমুখি রয়েছে।

ড. মাহবুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম