আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নারকীয় তাণ্ডব
মোবায়েদুর রহমান
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আইনশৃঙ্খলা এবং শাসনের দড়ি যদি বেশি ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে তার ফল যে কতখানি বিষময় হয়, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো গত ১৬ আগস্ট বুধবারের গোপালগঞ্জের ঘটনা। আমি ঠিক করেছিলাম, আজকের কলামে সংবিধান নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা সম্পর্কে লিখব। কিন্তু বেলা সাড়ে ১০টায় আমার কম্পিউটার ওপেন করে যখন ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে শুরু করলাম, তখন হতভম্ব হয়ে গেলাম। একটি বাংলা জাতীয় দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, আজ (বুধবার) দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির নেতারা গোপালগঞ্জ আসবেন। তাদের আগমন ঠেকানোর জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তখনো এনসিপির নেতারা গোপালগঞ্জ সদরে পৌঁছাননি। তাদের আসার পথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গাছ কেটে রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছে। পুলিশ দেখেও দেখেনি। ওইদিকে এনসিপির জনসভার জন্য যে মঞ্চ নির্মিত হয়েছিল, সেটিও ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা ঘিরে ফেলেছে। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী অদূরেই দাঁড়িয়ে ছিল। দুপুর ১২টার দিকে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন সংস্করণ দেখলাম। প্রায় সব জাতীয় দৈনিকে লেখা হয়েছে, পুলিশ নির্বিকার। নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বাধীন এনসিপির নেতারা গোপালগঞ্জে প্রবেশ করতে গিয়ে প্রথমে গাছপালার ব্যারিকেডের সম্মুখীন হন। তাদের সমর্থকরা বিষয়টি পুলিশের নজরে আনেন। অতঃপর পুলিশ এবং এনসিপি কর্মীদের সহযোগিতায় গাছপালা সরানো হয়। এনসিপি নেতারা বেলা ৩টার দিকে মঞ্চে আসেন। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টির মধ্যেই জনতা তাদের বক্তব্য শোনেন। ওদিকে পেছনে এবং দুই প্রান্তে প্রায় ৩শ আওয়ামী ক্যাডার লাঠি হাতে ঘোরাফেরা করছিল।
এনসিপি নেতারা মঞ্চ থেকে নামামাত্র ওই ৩শ লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রধারী আওয়ামী পাণ্ডারা মঞ্চ আক্রমণ করে। তারা মঞ্চ ভেঙে ফেলে। এছাড়া অনেক চেয়ারও ভাঙচুর করে। এনসিপি নেতাদের একটি অংশ একদিক দিয়ে বেরোতে সক্ষম হলেও অপর অংশ আওয়ামী মাস্তানদের দ্বারা অবরুদ্ধ হন। তখন পুলিশ এবং আর্মির সহযোগিতায় তারা এসপি অফিসে আশ্রয় নেন। এর মধ্যে আওয়ামী-ছাত্রলীগ মাস্তানরা গোপালগঞ্জ শহরে তাণ্ডব সৃষ্টি করে। তারা ডিসি অফিস অর্থাৎ জেলা প্রশাসককে ঘেরাও করে। তাকে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ২শ জনের একটি দল গোপালগঞ্জ কারাগার আক্রমণ করে। তারা কারাগারে ভাঙচুর করে এবং কারারক্ষীদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
দুপুরে আমি যমুনা টেলিভিশনের ঘণ্টাব্যাপী লাইভ অনুষ্ঠান দেখি। আমি অবাক হয়ে লক্ষ করি, শহরের একস্থানে শতাধিক আওয়ামী মাস্তান বৃষ্টির মতো পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর আর্মার্ড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) বা সাঁজোয়া যানের প্রতিও বিরামহীনভাবে ইস্টক বর্ষণ করতে থাকে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ইস্টক বর্ষণের পালটা পুলিশও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। যমুনা টেলিভিশনের ওই লাইভে বলা হয়, তখন সেখানে প্রায় ১শ পুলিশ ছিল। আর তাদের বিপরীতে শদুয়েক আওয়ামী পাণ্ডারা ছিল। পুলিশ যদি সক্রিয়ভাবে ধাওয়া দিত, তাহলে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে নিষিদ্ধ দলগুলোর ক্যাডাররা কেটে পড়ত। সেই ধাওয়া পুলিশ দিল, কিন্তু অন্তত দেড় ঘণ্টা পর।
এনসিপি নেতারা যখন এসপির অফিসে অবরুদ্ধ ছিলেন, তখন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রংবাজরা শহরে নারকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। কোনো পত্রিকাই এ সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির চিত্র সঠিকভাবে দিতে পারছিল না। কিন্তু পরিস্থিতি যে কত ভয়াবহ, সেটি প্রথম টের পাওয়া যায়, যখন শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দৈনিক আমার দেশ খবর দেয়, এনসিপি নেতাদেরও আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছিল সম্পূর্ণ নির্বিকার।
সর্বশেষ পরিস্থিতি জানা যায়, বিকালের পর থেকে। প্রথমে খবর আসে, এ সংঘর্ষে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তারা ৩টি মৃতদেহ পেয়েছে। সন্ধ্যার দিকে জানা যায়, এ সংঘর্ষে ৪ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সন্ধ্যা গড়ানোর পর জানা যায়, ১৪৪ ধারার পর গোপালগঞ্জে বুধবার রাত ৮টা থেকে পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্থাৎ টানা বিরতিহীন ২২ ঘণ্টা কারফিউ বা সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে।
২.
এখন প্রশ্ন হলো, ছাত্রদের যে দলটি নিষিদ্ধ হয়েছে, সেই ছাত্রলীগ এবং যাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, সেই আওয়ামী লীগ পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর নাকের ডগার ওপর গোপালগঞ্জ শহরে আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে এ তাণ্ডব চালাতে পারল কীভাবে? এই সেই আওয়ামী লীগ, যারা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ না করেও তাদের ঘর থেকে বের হতে দেয়নি। এই সেই আওয়ামী লীগ, যারা বিএনপিকেও তাদের নয়াপল্টন অফিসে বহুবার অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এই সেই আওয়ামী লীগ, যারা ক্ষমতায় থাকাকালে বাসাবাড়িতে মহিলাদের কুরআন শরিফ তাফসিরের সভা থেকে বোরকা পরিহিত মহিলাদের উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এই সেই আওয়ামী লীগ, যাদের শাসনামলে প্রেস ক্লাবে ঢুকে বিএনপি এবং যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীদের প্রকাশ্য দিবালোকে জোর কের টেনেহিঁচড়ে পুলিশের প্রিজনভ্যানে উঠিয়েছে। এই সেই আওয়ামী লীগ, যারা মাত্র ২১ দিনে ১৪ শত মানুষকে হত্যা করেছে এবং ২৬ হাজার মানুষকে আহত করেছে। তেমন দুটি দল অর্থাৎ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের বেলায় পুলিশ এত সহনশীল হলো কেন? পরিস্থিতি যে কত ভয়াবহ ছিল, সেটি সারজিস আলমের একটি স্ট্যাটাস থেকেই বোঝা যায়।
সারজিস আলম বুধবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘গোপালগঞ্জে খুনি হাসিনার দালালরা আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে নাটক দেখছে, পিছু হটছে। আমরা যদি এখান থেকে বেঁচে ফিরি, তাহলে মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব, না হয় ফিরব না। বাংলাদেশের মানুষ গোপালগঞ্জের দিকে ছুটে আসুন। গোপালগঞ্জের বিবেকবান ছাত্র-জনতা জেগে উঠুন। দালালদের কবর রচনা করার আজকেই শেষ দিন।’
নিষিদ্ধ দলগুলোর প্রতি পুলিশের নমনীয়তার পক্ষে পুলিশের আইজি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেছেন, ধৈর্য ধরে তারা গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছেন।
বুধবার বিকালে এ তথ্য জানান আইজিপি। খবর বিবিসি বাংলার। আইজিপি বলেন, ‘উচ্ছৃঙ্খলতা যা হয়েছে, সেটা যতটুকু সম্ভব আমরা ধৈর্যের সঙ্গে প্রশমন করার চেষ্টা করছি, আমরা এখন রিইনফোর্সড (আরও পুলিশ সদস্য পাঠানো) করছি, পুরো জিনিসটা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। আমরা লিথ্যাল (প্রাণঘাতী অস্ত্র) কোনো কিছু ব্যবহার করছি না, তাই আমাদের একটু সময় লাগছে।
এনসিপির সমাবেশ ঘিরে দুপুর থেকে গোপালগঞ্জে উত্তেজনা চলছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেও সেনা-পুলিশ পাহারায় এনসিপির নেতাকর্মীদের গোপালগঞ্জ শহর থেকে বের করে আনা হয়েছে। সরকার, পুলিশ এবং প্রশাসনের শৈথিল্য সম্পর্কে এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ বলেন, এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে চরম মূল্য দিতে হবে এবং এ গভর্নমেন্টকেও মূল্য দিতে হবে নিষ্ক্রিয়তার জন্য। অন্তর্বর্তী সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, একটা জেলায় জাতীয় নেতাদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, তারা করবে নির্বাচন! আগে দেশ নিয়ন্ত্রণ করেন।
এদিন এনসিপির সমাবেশ ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ। নিরাপত্তার জন্য জেলা সার্কিট হাউজে আশ্রয় নেন নাহিদ, হাসনাত, সারজিসসহ এনসিপির নেতারা।
৩.
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের এই শ্বেত সন্ত্রাসের মধ্যেও জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসীদের জন্য স্বস্তির বার্তা পাওয়া গেছে। এসব আদর্শে বিশ্বাসী সব দল এনসিপির পাশে দাঁড়িয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল এক বিবৃতিতে বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। আজ গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের সদস্যদের আহত করার বর্বর ঘটনা, সেই অপতৎপরতারই বহিঃপ্রকাশ।
জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমান ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘গোপালগঞ্জ তো বাংলাদেশেরই অংশ। যত দূর জানতে পেরেছি, এনসিপির নেতারা স্বাভাবিক নিয়মে সর্ব পর্যায়ের প্রশাসনের সঙ্গে পূর্ব থেকেই আলাপ-আলোচনা করে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা চেয়েছেন। এটি তাদের রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু এখন পরিস্থিতি যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, কার্যত মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো উপস্থিতিই লক্ষ করা যাচ্ছে না। অতিদ্রুত সরকারকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় ইতিহাসের পূর্ণ দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে।’
চরমোনাইয়ের পীর সাহেব সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের সার্বভৌম কর্তৃত্বের অধীনে থাকা একটি জেলা। সারা দেশের মানুষ যখন একযোগে স্বৈরাচারী হাসিনাকে উৎখাত করেছে, তখন গোপালগঞ্জে হাজার হাজার খুন, গুম ও হাজার কোটি টাকা পাচারকারী শক্তির পক্ষে কেউ প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে দেশপ্রেমিক ছাত্র নেতৃত্বের ওপর হামলা করবে এবং তাদের অবরুদ্ধ করে রাখবে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপি আয়োজিত পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, নিন্দনীয় ও গণতন্ত্রবিরোধী। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এ ধরনের সহিংস হামলা রাষ্ট্রীয় ও নাগরিক নিরাপত্তার প্রতি সরাসরি হুমকি।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, গোপালগঞ্জের ঘটনা প্রমাণ করে ফ্যাসিবাদ এখনো নির্মূল হয়নি। আমাদের জুলাই সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা কখনোই মেনে নেব না। আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
দল-মত নির্বিশেষে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এ দুর্বীনিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যখন সমগ্র দেশ প্রতিবাদে উত্তাল, তখন সরকার নড়েচড়ে বসেছে। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আরও বলা হয়েছে, এ ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের অবশ্যই শাস্তি হবে। অপরাধীদের অবশ্যই দ্রুত শনাক্ত করে পূর্ণ জবাবদিহিতার আওয়তায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এ ধরনের সহিংসতার কোনো সুযোগ নেই।
এনসিপি নেতাদের ওপর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গুণ্ডাদের হামলার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে দেশ গর্জে উঠেছে। ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সিলেটের চৌহাট্টায় ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নওগাঁয় রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে।
এ লেখাটি শেষ করছি রাত ৯টা ২০ মিনিটে। তখন ইন্টারনেটে দেখলাম নাহিদ ইসলামসহ এনসিপি নেতারা খুলনা পৌঁছেছেন। আজ অর্থাৎ বুধবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এনসিপি নেতারা সামগ্রিক পরিস্থিতি বর্ণনা এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার জন্য সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছেন। এ কারণে গোপালগঞ্জের আওয়ামী তাণ্ডব সম্পর্কে আর বেশি কিছু লেখা সম্ভব হলো না।
মোবায়েদুর রহমান : সিনিয়র সাংবাদিক
journalist15@gmail.com
