Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

নিউইয়র্কের চিঠি

ট্রাম্পযুগে আমেরিকায় ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি!

Icon

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ট্রাম্পযুগে আমেরিকায় ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি!

শুধু বাংলাদেশই যে ফ্যাসিবাদের কবলে পড়েছিল তা নয়, পার্শ্ববর্তী ভারতেও উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) মন্ত্রে দীক্ষিত ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২০১৪ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় জেঁকে বসার পর থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো, বিশেষ করে মুসলমানরা সেখানে ফ্যাসিবাদী আচরণের শিকার হচ্ছে। বিজেপি নিয়ন্ত্রিত রাজ্যগুলোতে তারা প্রতিনিয়ত খুন-জখমের শিকার হচ্ছে। মসজিদ, মাজার, মাদ্রাসাসহ পবিত্র স্থানগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশ ছাড়িয়ে আমেরিকার মতো ‘মানবাধিকার ও আইনের শাসনের মহান গণতান্ত্রিক দেশে’ ভিন্নরূপে ফ্যাসিবাদকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেখলে তাতে সবার বিস্ময় সৃষ্টির কারণ ঘটে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষেই আমেরিকায় ফ্যাসিবাদী রাজনীতি, যা এতদিন বর্ণবিদ্বেষের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, তা এখন প্রকাশ্য রূপ গ্রহণ করছে। ‘শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের’ আমেরিকান দাবিদাররা ভীতিকর ফ্যাসিবাদী ভাষা প্রয়োগ করতে শুরু করেছে, যা সব উদারপন্থিকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এর পরিণতিতে প্রাথমিকভাবে অভিবাসী কমিউনিটির অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়ছে; এবং সাধারণভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একশ্রেণির রাজনীতিবিদের উচ্চারিত ফ্যাসিবাদী ভাষা সমগ্র আমেরিকান সমাজ-কাঠামোকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে যাচ্ছে।

রক্ষণশীল রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে (২০১৭-২০২০) ফ্যাসিবাদের যে বীজ বপন করেছিলেন, তা অঙ্কুরোদগমের সময়ে তিনি হোয়াইট হাউজের বাইরে ছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদের (২০২৫-২৮) সূচনাতেই তিনি ফ্যাসিবাদের চারাকে বেড়ে ওঠার জন্য লালন করছেন ক্ষমতার ভাষা প্রয়োগের মাধ্যমে। তিনি তার বিদ্বেষপূর্ণ ভাষা প্রয়োগে কোনো রাখঢাক করেন না, এমনকি তার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুকে হুমকি দিতেও দ্বিধা করেন না। ১৯৯৩ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ ঔপন্যাসিক ও শিক্ষাবিদ টনি মরিসন বলেছিলেন, ‘ভাষা শুধু ক্ষমতা প্রয়োগের কলকাঠি নয়, ভাষার উদ্দেশ্যমূলক প্রয়োগ আমাদের যৌথ ভবিষ্যৎকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দেয়। যেখানে সত্য ও ক্ষমতার মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকে, নীরবতা যেখানে জটিলতা সৃষ্টি করে এবং যেখানে বিচারকের ন্যায়ের দাঁড়িপাল্লায় সুবিচার ঝুলে থাকে, সেখানে প্রতিটি শব্দ বা বাক্যের অংশ একটি যুদ্ধক্ষেত্র সৃষ্টি করে।’

নব্য ফ্যাসিবাদের উত্থান অন্তত মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রতিরোধ করতে বা পালটা আক্রমণ করতে আমেরিকানরা হয়তো বেপরোয়াভাবে উপযুক্ত নতুন শব্দ অনুসন্ধান করছে; কিন্তু ক্ষমতাসীনদের উগ্র সামরিক ভাষার মোকাবিলা করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এটি কেবল কথামালার লড়াই নয়, বরং অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দিচ্ছেন। প্রভাবশালী কিছু গণমাধ্যম ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রশংসা করছে। তারা ট্রাম্পের ফ্যাসিবাদের আদর্শকে শুধু প্রতিরক্ষা দেওয়ার চেষ্টাই করছে না, বরং ফ্যাসিবাদী আচরণকে দেশপ্রেম বলে তুলে ধরছে। এ সংকট থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনতে আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণার চেতনার দিকে ফিরে যাওয়ার ওপর তাগিদ দিচ্ছে ট্রাম্পবিরোধী বুদ্ধিজীবীদের থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলো। তারা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের কথামালার রাজনীতি এবং মানুষের মাঝে হিংসা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য স্বৈরাচারী ভাষার প্রয়োগ। যে ভাষা অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছিল, তিনি তা ফিরিয়ে আনছেন আমেরিকানদের মাঝে সংঘাত সৃষ্টির জন্য।

অনেকে মনে করেন, অতি রক্ষণশীল আমেরিকান, যারা গণতন্ত্রের বিকাশের যুগে তাদের বর্ণবিদ্বেষ ও শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের উগ্রতাকে এতদিন পর্যন্ত আড়াল করে রেখেছে, ঘৃণা ব্যক্ত করার শব্দগুলো উচ্চারণ করেনি, তারা এখন সেগুলোকে সামনে নিয়ে আসছে। রাষ্ট্রীয় শক্তির সঙ্গে যদি নিপীড়নমূলক ভাষা ব্যবহৃত হয়, তাহলে রাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো তাদের কর্তব্য পালনকালে শক্তি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে শাসকের ব্যবহৃত ভাষার অমানবিক, বিদ্রূপাত্মক ও বিদ্বেষমূলক শব্দ প্রয়োগ করার ছাড়পত্র পেয়ে যায়। এসব শব্দের পাশাপাশি তারা সাধারণ অভিযুক্তকেও কঠোর ভাষায় গালিগালাজ করে, দৈহিক পীড়ন চালাতে নির্মম হয়ে ওঠার মাঝে আত্মমুগ্ধতার স্বাদ পায়। এর উদ্দেশ্য একটিই-নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জনগণের ওপর আধিপত্য বজায় রাখা।

আমেরিকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যতদিন পর্যন্ত জয়জয়কার অবস্থা ছিল, তখন মনে করা হতো, প্রশাসন যে দলেরই হোক না কেন, তারা অন্তত আইনের শাসন অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। কিন্তু ‘সেই রামও নেই সেই অযোধ্যাও নেই’। রক্ষণশীলরা ট্রাম্পকে তাদের ত্রাণকর্তা হিসাবে পেয়েছেন, যিনি ‘আমেরিকাকে আবারও মহান’ দেশে পরিণত করবেন। ট্রাম্পের ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ শুধু আমেরিকাকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার স্লোগান নয়, তার সমালোচকদের মতে, ট্রাম্পের মুখে এটি বর্ণবাদী স্লোগান। ট্রাম্পের আগেও রোনাল্ড রিগ্যান, বিল ক্লিনটনসহ অনেকে প্রায় একই ধরনের স্লোগান দিলেও কেউ তাদের দ্বারা ‘আমেরিকাকে মহান’ করার স্লোগানকে সন্দেহের চোখে দেখেননি। কিন্তু ট্রাম্পের দ্বারা এ স্লোগানকে খুব কমসংখ্যক আমেরিকান সন্দেহমুক্ত দেখেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ স্লোগান সম্পর্কে আমেরিকান অভিনেতা ব্রায়ান ক্র্যানস্টন মন্তব্য করেছেন : ‘একজন আফ্রিকান-আমেরিকান অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আফ্রিকান-আমেরিকানদের জন্য কবে কখন আমেরিকা মহান ছিল? আপনি যদি আবারও আমেরিকাকে মহান করতে চান, সেখানে নিশ্চয়ই তাদের (আফ্রিকান-আমেরিকানদের) অন্তর্ভুক্ত করবেন না।’

প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার জন্য ট্রাম্পের ফ্যাসিস্টসুলভ বক্তব্য অজান্তে হলেও ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির মনোজগতে বিবেক ও মুদ্ধিমত্তার ওপর এক ধরনের আঘাত, যা মানুষের সম্ভাবনার দরজাকে অবরুদ্ধ করতে পারে। অপরদিকে তার সমর্থকদের উৎসাহিত করতে পারে তাদের আক্রমণের সম্ভাব্য শ্রেণিগোষ্ঠীর ওপর চড়াও হওয়ার জন্য। তারা নতুন কোনো ধ্যানধারণাকে সহ্য করতে পারবে না, নতুন ধ্যানধারণার বিকাশ ঘটতে দেবে না এবং সমাজে অন্যায় হলেও কাউকে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার সুযোগ দেবে না। প্রতিবাদহীন সমাজে বাধাহীনভাবে অজ্ঞতাকে প্রশ্রয় দেবে এবং এমনকি ঝলমলে উন্নয়নের অবকাঠামোর নিচে পড়ে থাকবে বোবা সমাজ। ট্রাম্পের গত ছয় মাসের প্রশাসন আমেরিকাজুড়ে এমনই এক পরিবেশ সৃষ্টির ভিত প্রায় প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। ইতোমধ্যে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে যে, ট্রাম্পের বাগাড়ম্বর ও ধৃষ্টতার পরিণতি হিসাবে আমেরিকান সমাজে বিস্তার লাভ করবে উপরের শ্রেণির মাঝে সীমাহীন সম্পদ আহরণের লোভ, দুর্নীতি এবং ঘৃণা ও বর্ণবিদ্বেষজনিত সহিংসতা। সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্পের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং তার বিদ্রূপাত্মক কথামালা তাকে সহিংসতার স্থপতিতে পরিণত করেছে, আমেরিকান রাজনীতি ক্রমবর্ধমানভাবে সামরিকীকরণ করছে এবং তার বক্তব্যে উৎসাহিত একটি শ্রেণি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত করেছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা সংহত করার পাশাপাশি তার চলতি মেয়াদে প্রচলিত অনেক আইন বদলে ফেলার উদ্যোগ গ্রহণ করবে, যা আমেরিকান মূল্যবোধের পরিপন্থি এবং ১৭৭৬ সালে ঘোষিত আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণার লঙ্ঘন। তার উদ্যোগ সমাজে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা সৃষ্টির শীতল রূপান্তর। অবাক হওয়ার কিছু নেই, এটাই ট্রাম্পের রাজনীতির মূল ভিত্তি। তার হৃদয়হীন ও ভীতিকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রভাব চরমভাবে পড়তে শুরু করেছে নিরীহ অভিবাসীদের ওপর। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিভাগ ও তাদের বিভিন্ন বিভাগ নরনারী ও শিশুদের তাদের আবাস থেকে তুলে, কলকারখানা ও কৃষি খামার থেকে পাকড়াও করে এবং আদালতের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ না দিয়ে সোজা নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সমগ্র আমেরিকায় অভিবাসী জনগোষ্ঠীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আতঙ্ক শেষ হবে, এমন আশা করা যায় না।

তিনি ইতোমধ্যে অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষা ও ভঙ্গিতে অভিবাসীদের ‘রক্তচোষা কীট’ হিসাবে চিহ্নিত করে বলেছেন, তারা আমেরিকানদের ‘রক্তকে কলুষিত করছে’। কথায় কথায় তিনি এমন কিছু রূপক শব্দ ও উপমা প্রয়োগ করেন, যাতে মনে হতে পারে, তার কথিত ‘রক্ত কলুষিত করার কীটগুলোকে’ বৈধভাবে বিনাশ করার জন্য তাকে আইনগতভাবে কিছু সময় বেঁধে দেওয়া উচিত, যাতে তিনি তার আরাধ্য কাজটি অবলীলায় সম্পন্ন করতে পারেন। তার হিংসা ও বিদ্বেষমূলক কথাগুলোকে অনেকে মনে করেন, এসবই তার নীতিমালার নীলনকশা। তার বক্তব্য ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রীয় নৃশংসতা চালানোর অস্ত্র হয়ে উঠলে বিস্মিত হওয়ার কিছু থাকবে না।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথাগুলোকে দায়িত্বহীন বলে উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই। এ কথাগুলো তার একচ্ছত্র নির্মম অভিব্যক্তি। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে প্রথম এশীয় ও প্রথম মুসলিম জোহরান মামদানির বিজয়কে ট্রাম্প হজম করতে পারেননি। তিনি মামদানির বিরুদ্ধে অত্যন্ত আপত্তিকর ও প্রেসিডেন্টসুলভ নয় এমন কথাবার্তা বলতে শুরু করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ ও জনবহুল ডেমোক্রেট প্রভাবাধীন সিটি নিউইয়র্কের ক্ষেত্রে প্রাইমারিতে কোনো প্রার্থীর জয়লাভ করার অর্থই হচ্ছে চূড়ান্ত নির্বাচনে তিনিই মেয়র নির্বাচিত হয়ে পরবর্তী চার বছর পর্যন্ত সিটি পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করবেন। ট্রাম্পের সমর্থকরা জোহরান মামদানির আমেরিকান নাগরিকত্ব হরণ এবং ১৯৯৪ সালের কমিউনিস্টবিরোধী আইনে তাকে গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন। অথচ জোহরান মামদানি নিউইয়র্ক সিটি থেকেই পরপর দুবার নিউইয়র্ক স্টেট আইনসভায় অ্যাসেম্বলিম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি ও তার লক্ষ্যবস্তু সহজে অনুমান করা যায়। তার আক্রমণের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইমিগ্রান্ট সম্প্রদায়, কৃষ্ণাঙ্গ বা আফ্রিকান-আমেরিকান, শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাস করে না এমন শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক, যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করতে সাহসী।

আমেরিকানরা ট্রাম্পযুগে যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, তা কেবল একটি রাজনৈতিক সংকট নয়; এটি তাদের বিবেকের তাড়নায় ভালো কিছু করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টিকারী গভীর নৈতিক পতনের সূচনা। হোয়াইট হাউজ থেকে পরিচালিত ট্রাম্প প্রশাসনের যুদ্ধ শুধু অভিবাসী সম্প্রদায় অথবা দরিদ্র, কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের বিরুদ্ধে নয়, এ যুদ্ধ তার সামগ্রিক এবং বৃহৎ আমেরিকান জনগোষ্ঠীর সৃজনশীল ও সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার বিরুদ্ধে। তবে অন্ধকারের অবসান সবসময় ঘটে। ইতিহাস সাক্ষী, সব দমনপীড়নের বিরুদ্ধে লড়ে শেষ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের পতন ঘটে এবং সত্য ও ন্যায় বিজয়ী হয়।

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু : যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম