|
ফলো করুন |
|
|---|---|
‘পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই।’ একেকটি বই যেন একেকটি বাতিঘর, জ্ঞানের বিশ্বকোষ। বই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের প্রতীক। বই মনকে পুলকিত করে। বই রক্ত শিরায় সুখের শিহরণ জাগায়। বই মনের কথা বলে। বই নিঃসঙ্গতা দূর করে। বিষণ্নতা তাড়িয়ে দেয়। বই মনকে তাজা করে। তেজদীপ্ত করে। বই প্রেরণা জোগায়। কর্মচঞ্চল করে। মনকে সুরভিত করে। বই অন্ধকার দূর করে। আলো ছড়ায়। মন মগজকে জ্যোর্তিময় করে। বই জ্ঞানের বাহন। বই মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। উত্তম সঙ্গী। পৃথিবীতে বইয়ের মতো নিঃস্বার্থ বন্ধু পাওয়া শুধু দুষ্করই নয়, অসম্ভবও বটে। বই পথভোলা মানুষকে আলোর পথে নিয়ে আসে। দিশেহারা মানুষ বই পড়ে খুঁজে পায় জীবনচলার আলোকবর্তিকা। নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলার অন্যতম হাতিয়ার বই। তাই বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। দেশকে গড়তে চাইলে, দেশকে ভালোবাসলে, নিজেকে ভালোবাসলে, জ্ঞানী হতে চাইলে, আলোকিত মানুষ হতে চাইলে অবশ্যই বই পড়তে হবে। বর্তমান প্রজন্মকে আগামী দিনের কান্ডারি হিসাবে গড়ে তুলতে হলে তাদের হাতে বই তুলে দিতে হবে। বই শ্রেষ্ঠ উপহার। বইয়ের চেয়ে পৃথিবীতে দামি উপহার আর কিছুই হতে পারে না। অমর একুশে বইমেলা চলছে। তাই সবার প্রতি আহ্বান-বইমেলায় আসুন, বই কিনুন, বই পড়ুন। প্রিয়জনকে বই উপহার দিন। বই হোক প্রিয়জনের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার।
সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী
