Logo
Logo
×

দৃষ্টিপাত

নগরের দূষণ কি দূর হবে না

Icon

তালুকদার রিফাত পাশা

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নগরের দূষণ কি দূর হবে না

ছবি: সংগৃহীত

দূষণে আমাদের প্রিয় ঢাকা শহর এখন বিপর্যস্ত। দূষণের মাত্রা এত বেশি যে, প্রায় প্রতিদিন বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দূষিত শহরের মাঝে থাকছে। গাড়ির কালো ধোঁয়া, ইটভাটা ও কলকারখানার মাধ্যমে দূষণ ঘটছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পরিবর্তে আরও খারাপ করে চলেছি নগরের বুকে তামাক কারখানা চলতে দেওয়ার মাধ্যমে। ভাবতে অবাক লাগে, দীর্ঘদিন ধরে একটি তামাক কোম্পানি তাদের কারখানা ঢাকার মহাখালীর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অভিজাত এলাকায় পরিচালনা করে আসছে। এ কারখানাটি ঢাকার এমন জায়গায় অবস্থিত, যেখানে রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বক্ষব্যাধি হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

অনেকেরই জানা, তামাক উৎপাদনের সঙ্গে কার্বন নিঃসরণের একটি সম্পর্ক আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, একটি সিগারেট ১৪ গ্রাম পর্যন্ত কার্বন নিঃসরণ করতে পারে। আর ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কারখানাটি সরাসরি সিগারেট উৎপাদন করছে, যা আমাদের বাতাসকে বিষাক্ত করতে যথেষ্ট। আগে এমন তামাক কারখানা বিশ্বের অনেক শহরেই ছিল; কিন্তু মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে সেখানকার কর্তৃপক্ষ সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। সম্প্রতি সরকার বায়ুমান উন্নত করা ও দূষণ রোধ করার লক্ষ্যে ঢাকার ৫০টি স্থানে বায়ু বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অনুমান করা যায়, এর একটি ঢাকার মহাখালীতেও বসবে, কারণ একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশের তথ্য বলছে, ঢাকার যে কয়েকটি এলাকার বায়ুর মান সবচেয়ে খারাব, তার মধ্যে মহাখালী অন্যতম। কিন্তু তামাক কারখানাটি যদি কার্যক্রম চালিয়েই যায়, তাহলে ওই এলাকার মানুষ কাঙ্ক্ষিত সুফল পাবে না।

ঢাকার বুক থেকে এরকম একটি দূষণকারী কারখানা অপসারণ করলে সরকার তথা রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হবে না। বরং এর মাধ্যমে নাগরিকরা পাবে বিশুদ্ধ বাতাসে বুক ভরে নিশ্বাস নেওয়ার অধিকার।

পলিসি অফিসার, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং বাংলাদেশ

দূষণ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম