ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
খুব বেশিদিন আগের কথা না; ৪০-৪৫ বছর আগে সামর্থ্যবানদেরও ৪-৫টির বেশি শার্ট থাকত না। পল্লী অঞ্চলে এ হিসাব ছিল আরও কঠিন। মানুষের এদিক-ওদিক যাওয়া, বাজারঘাট করা, আশপাশে ঘোরাঘুরিতে শার্ট, পাঞ্জাবির খুব একটা বালাই ছিল না।
অনেকের শুধু কুটুমবাড়ি যাওয়ার সময় শার্ট, পাঞ্জাবির খোঁজ পড়ত। কুটুমবাড়ির পথে শার্র্ট-পাঞ্জাবি, জুতা-স্যান্ডেল হাতে নিয়ে খালি গায়েই বের হতো, কাছাকাছি এলে হাত-পা ধুয়ে শার্ট ও জুতা-স্যান্ডেল পরে নিত। এ ধরনের পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটেছে, সাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, একই সঙ্গে অল্প পয়সায় বিভিন্ন ধরনের কাপড়-চোপড় পাওয়া যাচ্ছে।
একজন মানুষ যে পরিবেশে বেড়ে ওঠে এবং যে ধরনের পোশাকে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে, তার বাইরে ভিন্ন পোশাকে পরিচিতজনদের সামনে যেতে সংকোচবোধ করে। আমার এক সহকর্মী পোশাক-পরিচ্ছদ প্রসঙ্গে বলেছিল- ওরা কয়েকজন দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে; ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত এলাকার স্কুল- কলেজে পড়েছে।
তখন তাদের লুঙ্গির বদলে অন্য কিছু পরা হতো না। মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, শিক্ষক- সবাই তাদের পরনে লুঙ্গি দেখেই অভ্যস্ত। আপনজনদের সামনে প্যান্ট পরিহিত অবস্থা তাদের জন্য বিব্রতকর, ছুটি-ছাটায় বাড়ি যাওয়ার সময় লঞ্চঘাটে পৌঁছার আগেই প্যান্ট পাল্টিয়ে লুঙ্গি পরে নিত।
কাপড়ুচোপড়ের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে মানুষের ব্যক্তিগত রুচিবোধ ও পছন্দ জ্ঞান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা করা যায়। তাই সবাই পরিপাটি, মানানসই, যুগ চাহিদানির্ভর পোশাক পরিধান করতে চায়। পোশাক এখন মানুষের মর্যাদার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। মানুষ যা কিছু পরিধান করে, তার সামষ্টিক পরিভাষা হল পোশাক-পরিচ্ছদ।
পোশাক সাধারণত কাপড়, পশুর চামড়া বা বিভিন্ন উপকরণের সমন্বয়ে তৈরি হয়ে থাকে, যা মানুষকে গরম-ঠাণ্ডা, রোদ-বৃষ্টি, সংক্রামক রোগ-জীবাণু ও আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ও অন্যান্য দূষণ থেকে রক্ষা করে।
উপরের উদ্দেশ্যগুলোকে কেন্দ্র করে কতদিন আগে পোশাক উদ্ভব ঘটেছিল, নৃ-তাত্ত্বিকরা এ ব্যাপারে কোনো স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। উইকিপিডিয়া মতে, ৪২,০০০ থেকে ৭২,০০০ বছর আগে পোশাকের উদ্ভব ঘটেছিল।
রিপাবলিক অব জর্জিয়ার প্রাগৈতিহাসিক গুহায় ৩৬০০০ বছর আগের পোশাক-পরিচ্ছদে ব্যবহৃত শুকনা শন (খড়)-এর আঁশ পাওয়া গেছে। পৃথিবীর পুরনো পোশাকের অন্যতম শাড়ি এ উপমহাদেশের নারীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সুতা এবং কাপড় বোনার শিল্প ভারতবর্ষে এসেছিল মেসোপটেমিয়ান সভ্যতা থেকে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে প্রথম শাড়ির প্রচলন শুরু হয়। তারা মনে করত- সেলাই করা বা জোড়া দেয়া কাপড় অপবিত্র; তাই তখনকার নারীরা শাড়িকেই বেছে নেয় নিত্যদিনের পোশাক হিসেবে, যা আজও প্রচলিত আছে।
এ দেশে পুরুষদের অত্যন্ত আরামদায়ক পোশাক লুঙ্গির উৎপত্তি দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়–তে। ‘ভেস্তি’ নামের এক ধরনের পোশাককে লুঙ্গির উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মিয়ানমার, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চল, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, মরিশাস ও দক্ষিণ আফ্রিকায় লুঙ্গির প্রচলন দেখা যায়। জাপানে লুঙ্গির প্রচলন আছে। সেখানে লুঙ্গি একটি উৎসবের পোশাক। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় লুঙ্গিকে সারং বলে অভিহিত করা হয়।
প্রতিটি পোশাকের কিছু কিছু ব্যঞ্জনা আছে। সেটা ধরে রাখার জন্য নির্ধারিত কিছু রীতি অনুসরণ না করলে সে পোশাকের ভারিক্কি নষ্ট হয়ে যায়। যেমন স্যুট আমাদের ব্যক্তিত্ব বাড়িয়ে দেয় ও আকর্ষণীয় করে তোলে, তাই এ পোশাকটি এই উপমহাদেশে পুরুষ ও পৃথিবীব্যাপী নারী-পুরুষ সবার কাছেই অত্যন্ত মর্যদাপূর্ণ ও স্মার্ট পোশাক হিসেবে বিবেচিত।
স্যুট পরিধানের জন্য স্থান ও কাল বিবেচনায় আনতে হবে। শীতকাল এলেই যেখানে-সেখানে যখন-তখন স্যুট পরিধান করা ঠিক না। ইনফরমাল প্রোগ্রাম, পিকনিক বা আউটিংয়ে কি স্যুট-টাই পরা খুবই জরুরি? বন্ধের দিন অনেককেই কাঁচাবাজারে যাওয়ার জন্য স্যুট-টাই পরে বাসা থেকে বের হতে দেখা যায়।
আমি সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ঢাকা থেকে অত্যন্ত হাই-পাওয়ার্ড টিম সাভারের বিরোধপূর্ণ কিছু জমি দেখার জন্য এসেছিল। সময়টা ছিল ফেব্রুয়ারির একেবারে শেষের দিকে। শীত নেই বললেই চলে, গাড়ি থেকে নেমে ধুলোবালিময় রাস্তা দিয়ে বেশকিছু দূর হেঁটে বিরোধপূর্ণ ওই ডোবা জায়গায় তারা উপস্থিত হয়।
প্রায় সব সদস্য স্যুট-টাই পরে এসেছিলেন। ধুলোবালি ও গরমে তাদের যে কী অবস্থা হয়েছিল, তা বলে বোঝানো যাবে না। ওই ধরনের পরিবেশে স্যুট শুধু তাদের কষ্টের মাত্রাই বৃদ্ধি করেছিল।
টাই পরতে কিছু কিছু বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা দরকার। যেমন কোটের ভেতরের শার্টটি অবশ্যই টাইকালারের হওয়া দরকার। প্রিন্টেড শার্টের সঙ্গে টাই কোনো অবস্থায়ই মানায় না। ঠিকভাবে টাইয়ের নট বাঁধা না গেলে পেছনের ফর্দ সামনের ফর্দের থেকে বড় হয়ে ওই টাই রুচিবোধ ধরে টান দেয়।
কেউ কেউ স্যুটের সঙ্গে স্যান্ডেল পরে থাকেন, যা মোটেই মানানসই নয়। প্রিন্টের শার্ট, কলারে ও হাতায় ময়লা লেগে থাকা শার্ট কোটের ভেতরে পরা চরমভাবে বেমানান, আমাদের স্যুট পরিহিতরা ক’জন এটা মেইনটেইন করি? স্যুট পরিধানে মানুষের ব্যক্তিত্ব যেমন শানিত হয়, তেমনি যথাযথভাবে না পরলে ব্যক্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ছাড়ে।
অনেকেই ফিটফাট পোশাক পরছে, কিন্তু জুতা জোড়া অপরিষ্কার, মোজা হয়তো ছেঁড়া, ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত। কোনো অনুষ্ঠানে জুতা খোলার প্রয়োজন হলে ছেঁড়া মোজা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। আমরা এখনও পোশাকের ব্যাপারে সচেতন হতে পারিনি।
কিন্তু আজ থেকে প্রায় ১১শ’ বছর আগে ৭৮৯ সালে জন্ম গ্রহণকারী বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার অ্যান্দালুসিয়ার রাজদরবারের ব্যক্তিত্ব আবু আল হাসান আলী ইবনে নাফি ওরফে জির’আব পোশাকের জগতে যুগান্তকারী পরিবর্তন রেখে গেছেন।
তিনি বিভিন্ন ঋতু এবং সকাল-বিকাল ও সন্ধ্যা ভেদে পোশাকে বৈচিত্র্য আনেন। স্পেনের কর্ডোবা নগরীতে তার মনুমেন্ট তার স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়। উইকিপিডিয়া, আমেরিকার ভোগ ম্যাগাজিন ও পৃথিবীর অসংখ্য ওয়েবসাইটে এই বিস্ময় মানবকে নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে।
মোগল শাসন ভারতের ড্রেসিং প্যাটার্নকেই চেঞ্জ করে দিয়েছে। কোটি কোটি মানুষ মোগল পোশাকের অনুসারী ও ভক্ত। লম্বা ও খাটো গাউন, হাতাওয়ালা কোট, পাজামা, সেলোয়ার-চুঁড়িদার মসলিন, ভেলভেট ও ব্রোকেডের পোশাকের এখনও কোনো জুড়ি নেই। বিশাল ঘেরের আনারকলি মহিলাদের মন ও মননে আজও জড়িয়ে আছে।
অটোমানরা পৃথিবীর বুকে প্রায় ৬০০ বছর শাসন করে গেছে। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপজুড়ে ছিল তাদের বিশাল সাম্রাজ্য। জনকল্যাণে ওরা বহু ধরনের আইনকানুন ও আচার-আচরণ চালু করে গেছে। এই অটোমানরা এশিয়া ও আফ্রিকা ছাড়াও ইউরোপের জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস ও পোশাক-পরিচ্ছদে যথেষ্ট অবদান রাখে।
তাই তো সুশাসক ও আইন প্রণেতা হিসেবে সুলতান সুলইমান দ্য ম্যাগনিফিশেন্টের প্রতিমূর্তি আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে। ক্রুসেডের পূর্বে ইউরোপিয়ানদের কাছে মাথার পাগড়ি অপরিচিত পোশাক ছিল।
কোটে বোতাম লাগানো, একাধিক স্তরবিশিষ্ট কাপড়ের পোশাক পরিধান, গাউনের ডিজাইনে পরিবর্তন, দেহরেখা বোঝা না যাওয়ার জন্য একটু ঢোলা পোশাক পরা ইত্যাদি ওরা অটোমানদের কাছ থেকে শিখেছে।
উনিশ শতকের শুরুর দিকে পোশাক পরা ও আব্র“ রক্ষার অধিকার আদায়ের জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছিল ভারতের কেরালা রাজ্যের নিুবর্ণের নানজেলি নামের এক পরমা সুন্দরী। সুসংগঠিতভাবে বসবাস করতে ভূমিকর, গৃহকর, আয়করসহ কত রকমের কর দিতে হয়।
কিন্তু চিন্তা করা যায়, ওই এলাকায় শরীরের বিশেষ অঙ্গ-প্রতঙ্গ ঢেকে রাখার জন্যও কর প্রদানের রেওয়াজ ছিল! তখন নিুবর্ণের মহিলাদের স্তন ঢেকে রাখার অধিকার ছিল না। কেউ বুক ঢেকে বাইরে বের হতে চাইলে তাকে অত্যন্ত উচ্চহারে স্তন ট্যাক্স দিতে হতো।
নিুবর্ণের কোনো নারীর ওই ট্যাক্স পরিশোধ করার সামর্থ্য ছিল না। সুন্দরী মহিলারা স্তন খোলা রেখে ঘরের বাইরে বের হতে খুবই সংকোচ বোধ করত। ফলে শত শত নারীকে এই পৈশাচিক আইনের গ্যাঁড়াকলে অন্ধকার ঘরে জীবন পার করে দিতে হয়েছে। ৩৫ বছরের এই নানজেলি চাথালা শহরে স্বামীসহ বসবাস করত।
মুক্ত জীবনের আকাক্সক্ষায় তাড়িত হয়ে স্তনের ওপর কাপড় দিয়েই সে বাইরে বের হয়। স্তন ট্যাক্স কালেক্টর বিষয়টি জেনে নানজেলির বাসায় এসে হাজির ট্যাক্স আদায়ের জন্য। সে ট্যাক্স ক্যালেক্টরকে একটু অপেক্ষা করতে বলে ঘরের ভিতরে গিয়ে ছুরি দিয়ে দুটি স্তন কেটে কলা পাতার ওপর রেখে ট্যাক্স ক্যালেক্টরের কাছে নিয়ে এলো, প্রচণ্ড রক্তপাতে নানজেলির মৃত্যু হয়। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় তার স্বামী শোক-যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে স্ত্রীর চিতায় জীবন বিসর্জন দিলেন। চাথালা শহরের ওই এলাকাটি এখনও মুলাচিপারামবু (Land of the breasted woman) নামে পরিচিত।
আব্রু ঢাকার অধিকার আদায়ের জন্য যে ধরাধামে জীবন বিসর্জন দিতে হয়, সেই ধরাধামেরই কিছু কিছু জায়গায়, সমুদ্র বিচে যেমন: ক্যালিফোর্নিয়ার ব্ল্যাকস বিচ, অস্ট্রেলিয়ার লেডি বে-বিচ, গ্রিসের রেড-বিচ পোশাক পরে যাওয়ার অধিকার নেই।
এ যেন শরীর, শরীরের গোপন অঙ্গগুলো অন্যকে দেখানোর এক অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতা। উলঙ্গ শরীরে পোশাক না পরে শরীরে বিশেষ দুটি অঙ্গে পোশাকের ছবি এঁকে জনারণ্যে ঘুরে বেড়ানোর আরেকটি নতুন উপদ্রব কোথাও কোথাও জেঁকে বসেছে।
ইসলামে কোনো পোশাককে আলাদাভাবে ভিন্ন মর্যাদা দেয়া হয়নি। কিছু বেসিক বিষয় যেমন পোশাক অবশ্যই নারী-পুরুষের গতর ঢাকবে, নারীর পোশাক পুরুষ ও পুরুষের পোশাক নারীকে পরিধান না করার জন্য বলা হয়েছে। রাসূল (স.) নবুয়ত প্রাপ্তির আগে ও পরে একই ধরনের পোশাক পরিধান করে গেছেন। তিনি নিজের জন্য কিংবা তার সাহাবি অথবা উম্মতের জন্য কোনো নির্দিষ্ট ধরনের পোশাক নির্ধারণ করে যাননি।
মহাপবিত্র গ্রন্থ কোরআন শরীফের ৭নং সুরা আল আরাফের ২৬নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে- হে আদম সন্তান! আমি তোমাদের পোশাক-পরিচ্ছদ দিয়েছি, তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করা ও শোভা বর্ধনের জন্য। আর তাকওয়ার পোশাক হচ্ছে সর্বোত্তম পোশাক। ওটা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে পোশাক-পরিচ্ছদে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, আরও ভালোভাবে শরীরকে ঢাকবার উপকরণে পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু কেন জানি অগ্রগতির এই চাকাকে মাঝে মাঝে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। যে উদ্দেশ্যে পোশাকের উদ্ভব ঘটেছিল, সেগুলোকেই গৌণ করে ফেলা হচ্ছে। পোশাক হতে হবে মার্জিত, আরামদায়ক, পরিষ্কার ও পরিপাটি।
যে পোশাক মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা রুদ্ধ করে দেয়, মুরব্বিদের সামনের দাঁড়াতে কুণ্ঠিত হতে হয়, মুরব্বিদের লজ্জায় মুখ ঢেকে নিতে হয়, সেটা আদর্শ পোশাক হতে পারে না। সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ, আবহাওয়া ও জলবায়ুভেদে পোশাক ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু কোনো অশালীন পোশাক কখনোই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
সালাহ্উদ্দিন নাগরী : সরকারি চাকরিজীবী
snagari2012@gmail.com
