নীতি দুর্নীতি অর্থনীতি
ক্রয়ক্ষমতাই আসল কথা
ড. আর এম দেবনাথ
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আজ এই নিবন্ধ লিখছি ঢাকায় বসে। এক সপ্তাহ আগে ছিলাম ভারতের পুরীতে। সমুদ্রসৈকতে, মন্দিরের শহরে। পুরী উড়িষ্যার একটি ছোট্ট শহর। শহরটি ছোট্ট, কিন্তু বিখ্যাত বিশাল ‘সি-বিচের’ জন্য। বিখ্যাত শত শত পুরনো মন্দিরের জন্য। এটি উড়িষ্যার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে নেমে চমৎকৃত হই একটি কারণে। সুন্দর ছিমছাম বিমানবন্দর। খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। যখন ‘লাগেজ’ নিচ্ছিলাম তখন দেখলাম যাত্রী বেশি নেই। তবে যাত্রীরা বিভিন্ন ভাষী। এদের মধ্যে বাঙালিও আছে। একটা ‘প্রিপেইড ট্যাক্সি’ নিলাম। রসিদে ড্রাইভারের নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, মোবাইল নম্বর, কোম্পানির নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য আছে যাতে কোনোরকম এদিক-ওদিক হলে তাকে ধরা যায়। এসি গাড়ি, ভাড়া মাত্র ১৪০০ ভারতীয় রুপি। কী সুন্দর রাস্তা ভুবনেশ্বর থেকে পুরী পর্যন্ত! এক ঘণ্টার পথ। রাস্তার দুই ধারে দেখলাম ধানক্ষেত। ফসল তোলা শেষ। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করে জানলাম এখন আগামী ফসলের অপেক্ষা। শ্রমিকরা দিনে ৪০০-৫০০ ভারতীয় রুপি মজুরি পায়।
যথারীতি হোটেলে দুপুরের মধ্যেই। বাঙালি মালিকের হোটেল ‘গোল্ডেন ডাস্ট’। ম্যানেজারবাবুও বাঙালি। কর্মচারীরা ওড়িয়া। একটা অসুবিধা, ওরা হিন্দি জানে না, ইংরেজিও জানে না। বাংলা কিছুটা বোঝে। মাসে বেতন পাঁচ হাজার রুপি। থাকা-খাওয়া হোটেলে। হাতে সময় কম। দু’দিনের মধ্যে সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হবে। সূর্যমন্দির দেখতে যেতে হবে ৩০ কিলোমিটার দূরে কোনারকে। তারপর জগন্নাথ মন্দির পুরীতে। দেখতে যেতে হবে ধৌলিগিরির ঐতিহাসিক স্থান যেখানে সম্রাট অশোক অস্ত্র সংবরণ করে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন এবং শান্তির পথে ফিরে আসেন। এত অল্প সময়ে এতসব দেখা কতটুকু সম্ভব হবে এই ভেবে আমি রীতিমতো উত্তেজিত। পুরীর হোটেলে পৌঁছেই খাওয়া সেরে নিই। চমৎকার দৃশ্য। হোটেলের ডাইনিং হলে বসেই দেখা যায় সমুদ্র। শোনা যায় অবিরাম ঢেউয়ের গর্জন। হোটেল থেকে সমুদ্র মাত্র ১০০-১৫০ গজ। এটি ‘নিউ ম্যারিন ড্রাইভ’। সৈকতটি লম্বায় আমার ধারণা দুই কিলোমিটারের কম হবে না। সব বড় বড় হোটেল এই ‘সি-বিচ’ ঘেঁষে। বিকালে যখন সমুদ্রের পাড়ঘেঁষে হাঁটতে শুরু করি তখন রাস্তায় হাজার হাজার লোক। যেন লোকজন মেলায় এসেছে। পর্যটকদের একটা অংশ ছাতার নিচে একদম ঢেউয়ের কাছে। সমুদ্রে নামা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। মনে হল জোয়ার-ভাটার প্রভাব পুরীতে নেই। সারা দিনরাত অবিরাম ঢেউয়ের গর্জন। বিশাল উচ্চতার ঢেউ।
দেখলাম পর্যটকদের অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি। তারা এক দফায় দুই কাজ করে। সমুদ্র দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে তারা ‘জগন্নাথদেবের’ মন্দিরও দর্শন করে। প্রায় হাজার বছরের পুরনো মন্দির। এটা বিখ্যাত রথযাত্রার জন্য। আমাদের ধামরাই-সাভারে যখন বছরের একটা সময়ে রথযাত্রা হয় সেই সময়ে পুরীতেও রথযাত্রা হয়। লাখ লাখ লোকের সমাবেশ ঘটে এই রথযাত্রায়। বাঙালিরা এর জন্য জগন্নাথদেবের মন্দির দর্শন করে যেখান থেকে রথের যাত্রা শুরু হয় এবং শেষ হয় গিয়ে জগন্নাথদেবের মাসির বাড়িতে। এই বাড়ি যেতে রয়েছে প্রশস্ত পাকা রাস্তা- প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা। এখানে বাঙালির সমাগম যেমন বেশি তেমনি হোটেল ব্যবসাও বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণে। দামি হোটেল যেমন রয়েছে তেমনি নিন্মবিত্তের জন্যও রয়েছে হোটেল। ডিসেম্বর-জানুয়ারি হচ্ছে পুরীর জন্য অত্যন্ত ব্যবসায়িক মাস। আগে থেকে বুকিং না থাকলে হোটেল পাওয়া দুষ্কর। ভাড়া ন্যায্যই। দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে। সমুদ্রসৈকতের প্রধান প্রধান জায়গা ‘হরিহর’ এবং ‘চৈতন্য’ চত্বর। এখানে পর্যটকদের প্রচণ্ড ভিড়। তবে ‘ট্রাফিক জ্যাম’ নেই। দেখলাম ট্রাফিক পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ট্রাফিক সামলাচ্ছে। শত শত নারী-পুরুষ সন্ধ্যার পর গভীর রাত পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কত রকমের দোকান, কত রকমের খাবার। গরম গরম মাছ ভাজা, চিংড়ি ভাজা, সামুদ্রিক মাছ ভাজা। মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। মাছ-ভাত, ডাল-ভাত, সবজি-ভাত, পরোটা-মাংস, রুটি-মাংস- সব রকমের খাবারই আছে। ভীষণ আনন্দমুখর পরিবেশ। সবচেয়ে ভালো লাগল মহিলাদের চলাচলের স্বাধীনতা দেখে। তরুণ-তরুণীরা, কপোত-কপোতীর মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। আইনশৃঙ্খলার কোনো সমস্যা নেই। বাঙালি হোটেল ম্যানেজার বললেন, ওড়িয়ারা ব্যবসা জানে না। তারা সরল প্রকৃতির লোক। ঝুট-ঝামেলা তারা পছন্দ করে না। বাঙালি ওড়িয়া কোনো সমস্যা নেই। যদিও বাঙালি পর্যটকই বেশি, কিন্তু বিভিন্ন ভাষাভাষী পর্যটকেরও কোনো কমতি নেই। সত্যিকার অর্থেই পুরী বিভিন্ন ভাষাভাষী, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মিলনমেলা। এখানে আদিবাসীর সংখ্যাও প্রচুর। ব্যাটারিচালিত গাড়ির দাপট লক্ষণীয়। কম দূরত্বে যাতায়াতে ব্যাটারিচালিত গাড়িই ভরসা। হোটেলে দেখলাম দুই তরুণ-তরুণী কলকাতা থেকে ৬০০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে চলে এসেছে পুরীতে। সঙ্গে তাদের প্রিয় কুকুর। কুকুর নিয়েই তাদের চলাচল। যে হোটেলে ছিলাম তা বলা যায় মধ্যবিত্তের। এই সময়ে ভাড়া ছিল ১৮০০ রুপি। স্নানের গরম জল আছে, অর্ডার দিলে খাবার পাওয়া যায়। রুম সার্ভিসও ভালো। সবচেয়ে ভালো লাগল ৩০০ গজ দূর থেকে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন শোনার অভিজ্ঞতা। ঢেউ দেখা- পাগলা ঢেউ। গর্জনের কোনো বিরাম নেই। গভীর রাতেও সেই ঢেউয়ের আওয়াজ।
পরদিন সকালে রওনা দিলাম ‘কোনারকে’। এসি ট্যাক্সি সারাদিনের জন্য। ভাড়া মাত্র ১৫০০ রুপি। ড্রাইভারই গাইড হিসেবে কাজ করছে। গভীর এক জঙ্গলের মধ্য দিয়ে, বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে কোনারক যাত্রা। কোনারক যেতে পড়ল চন্দ্রপাড়া ‘সি-বিচ’। চোরাবালির জন্য কেউ এখানে সমুদ্রে নামে না। বিকালে ‘সূর্যপ্রণাম’ দেয় পর্যটকরা। কোনারক ‘সূর্য উপাসনার’ প্রধান পীঠ। পুরী থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত। বারো শতাব্দীতে এটি নির্মিত হয় বলে কথিত। বারোশ’ শিল্পী ১২ বছর তাদের মেধা দিয়ে এটি তৈরি করেন। সূর্যমন্দিরটির উচ্চতা ২২৮ ফুট। ৩৫ রুপির টিকিট কেটে হাজার হাজার পর্যটক এটি উপভোগ করছেন। পর্যটকদের মধ্যে বহু স্থানীয় লোকও দেখলাম। মন্দিরের কারুকার্য অপূর্ব। বিখ্যাত জায়গা যেটা দেখলাম সেটা হচ্ছে বৌলিগিরি বৌদ্ধমন্দির। যদিও এখানে গৌতমবুদ্ধের মূর্তি প্রতিস্থাপিত তবু জায়গাটি প্রসিদ্ধ সম্রাট অশোকের জন্য। খ্রিস্টপূর্ব ২৬১ অব্দে সম্রাট অশোক কলিঙ্গ (উড়িষ্যা) যুদ্ধ দেখে শোকে কাতর হন- হাজার হাজার শবদেহ দর্শন করে। তিনি সেখানেই অস্ত্র সংবরণ করেন এবং শান্তির পথে ধাবিত হন। বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন সম্রাট অশোক। সেখানেই নির্মিত হয়েছে ‘শান্তি স্তূপ’। ‘শান্তি স্তূপ’ দর্শনের পর হাজার বছরের পুরনো ‘লিঙ্গরাজ’ মন্দির দেখে পুরীতে ফিরে আসি সন্ধ্যার দিকে। পরের দিন জগন্নাথদেবের মন্দির দর্শন করি। বঙ্গোপসাগরের ধারে নীলগিরি পর্বতে অবস্থিত ‘জগন্নাথ মন্দির’টি হাজার বছরের পুরনো। অনন্য স্থাপত্যের নিদর্শন এই মন্দির। চারটি দ্বার দিয়ে মন্দিরে ঢোকা যায়। সবার জন্য উন্মুক্ত দ্বার। প্রধান মন্দিরটি চারটি ইমারতে বিভক্ত। প্রধান মন্দিরটির উচ্চতা ২১৪ দশমিক ৮ ফুট।
পুরী ছেড়ে ভুবনেশ্বর হয়ে কলকাতায় যখন পৌঁছি তখন দেখলাম এটা ভিন্ন এক জগত। ছিলাম কলকাতা নিউমার্কেটের কাছে। কিড স্ট্রিট, মির্জা গালিব স্ট্রিট, সদর স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট ইত্যাদি অঞ্চল দেখলাম পর্যটকে পরিপূর্ণ। রাস্তা গিজগিজ করছে ছেলেমেয়ে-শিশুতে। শত শত বাংলাদেশি পর্যটক। অনেকেই ছেলেমেয়েসহ। কেউ চিকিৎসার জন্য এসেছে। কেউ বেড়াতে এসেছে। কেউ এসেছে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে। কোনো হোটেলেই জায়গা নেই। সর্বত্র সাইনবোর্ড ‘ফুল’ প্রদর্শিত হচ্ছে। ভাড়া হয়েছে দেড়গুণ-দ্বিগুণ। মোবাইলের সিম দরকার, রেলের টিকিট দরকার, বিমানের টিকিট দরকার, হোটেল রিজার্ভেশন, ট্যাক্সি দরকার- সবকিছুর ব্যবস্থাই এই অঞ্চলে আছে। বাঙালি খাওয়া-দাওয়া? তার ব্যবস্থাও এখানে আছে। ‘কস্তুরি’, ‘ভোজ’, ‘রাঁধুনি’ ইত্যাদি ঢাকাইয়া হোটেল সেখানেও আছে। কস্তুরিতে দুই-তিন পদের ভর্তা, মাছসহ দু’জন খেলে ভারতীয় তিনশ’-চারশ’ রুপিতে হয়ে যায়। উপাদেয় খাবার। বড়দিনের আগের রাতে পার্ক স্ট্রিট সাজে অপরূপ রূপে। হাজার হাজার নারী-পুরুষের ভিড় পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলে। এই ভিড় দেখা যায় কলকাতায় দুর্গাপূজার সময়। বড়দিন উপলক্ষে গ্রামাঞ্চল এবং উপশহর থেকেও আসে অনেকে কলকাতা শহরে।
দোকানে দোকানে শত শত বাংলাদেশি ক্রেতার ভিড়। এমনকি ওষুধের দোকানেও। দোকানদার টঙ্গীর, ক্রেতা বাংলাদেশের। অপূর্ব মিলন। ব্লাউজের দোকান, শাড়ির দোকান, কম্বলের দোকান, জামা-কাপড়ের দোকান সর্বত্রই বাংলাদেশিদের ভিড়। দেখলাম ‘গড়িয়া-হাটেও’ তাই। ‘ঢাকেশ্বরী’ নামীয় বিখ্যাত শাড়ির দোকানে বসে আছি। দুই বঙ্গদেশি ঢুকেই পরিচয় দিল ক্ষমতাসীন দলের। তারা পুরান ঢাকার নেতা। শাড়ি কিনবেন। দোকানের মালিক সুদর্শন সাহা বললেন, আমাদের শাড়ির বাজারের ২০-৩০ শতাংশ যায় বাংলাদেশে। এখানে বসে আমরা বুঝতে পারি ঢাকার অবস্থা কী। প্রতিদিন গ্রাহক আসে ঢাকা থেকে। মশলার দোকানেও বাংলাদেশিদের ভিড়। মসলার দাম ঢাকায় বেশি। তাই কিছু এলাচ, দারুচিনি, কাজুবাদাম নেয়া দরকার কলকাতা থেকে। ডলার ভাঙানো, বাংলাদেশি টাকা ভাঙানো, পুনঃউদ্বৃত্ত ভারতীয় রুপি ডলারে রূপান্তর করা কোনো ঘটনা নয়। সোহাগ ইত্যাদি বাস টার্মিনালের কাছেই মানি এক্সচেঞ্জ। বহু মানি এক্সচেঞ্জ। খোলাবাজার। কেউ কোনো বাধা দেয় না। নিরাপত্তা শতভাগ। ডলারের দর দেখলাম ৬৪ রুপি ৬৫ পয়সা। আবার বাংলাদেশি টাকার দর শতে ৭৬ ভারতীয় রুপি। দেখলাম আমাদের টাকার মান ভারতীয় রুপির তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এতে ভারত থেকে আমদানি করা জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। চালের দামও বাড়বে। হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানলাম সাধারণভাবে একজন ওয়েটার, সিকিউরিটি স্টাফ, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ৫ হাজারের মতো বেতন পায়। থাকা খাওয়া হোটেলেই। এই টাকায় তারা কীভাবে সংসার চালায়? একজন সিকিউরিটি বলল, ওর স্ত্রী চুক্তিতে ব্লাউজ সেলাই করে। দোকানিরা ওগুলো নিয়ে যায়। এতে মাসে ৪-৫ হাজার রুপি আয় হয়। ছেলেও কিছু রোজগার করে। বস্তুত সবার ঘরেই কাজ করা লোক একাধিক। এভাবে তারা পুষিয়ে নেয়। চালের দরও কমই। ‘রত্না’ নামের এক ধরনের মধ্যবিত্তের চাল আছে। ২৫ কেজি চালের দাম মাত্র ৭২০ রুপি। সবজির দামও সহনশীল মনে হল। গোল আলু ১৬ রুপি কেজি। মুলা ও করলার কেজি যথাক্রমে ৩০ ও ৬০ রুপি। বেগুনের কেজি ৪০ রুপি। ঝিঙের সময় এখন নয়, কেজি ৭০ রুপি। গাজর ৪০ রুপি কেজি। ফুলকপি একটা ২৫ রুপি। লাউ ৪০ রুপি। কী মনে হয়? তাদের মূল্যস্তর কি আমাদের চেয়ে বেশি, না কম? মনে রাখতে হবে, তাদের রুপির মূল্যমান আমাদের টাকার চেয়ে বেশি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক সরকারের কর্মীদের বেতন-ভাতা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। স্কুল-কলেজ শিক্ষকের বেতন-ভাতা বেশি। তুলনামূলক বিচারে আর্থিক অবস্থা আমাদের চেয়ে ভালো মনে হয়।
ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
rmdebnath@yahoo.com
