মিঠে কড়া সংলাপ
যথেচ্ছ ব্যবহারে শব্দটি গুরুত্ব হারিয়ে ফেলছে
ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
‘রাজাকার’ একটি ঘৃণ্য শব্দ। কারণ ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাক আর্মির দোসর রাজাকার বাহিনী এদেশের মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞসহ জঘন্য অত্যাচার চালিয়েছিল। অথচ অতি সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী নিজেরাই নিজেদের ‘রাজাকার’ বলেছেন। স্লোগানের আকারে তারা বলেছেন, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’! ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’! কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা সেদিন কতটা অনায়াসে ও সহজে নিজেদের রাজাকারে ভূষিত করেছেন, উপরোল্লিখিত স্লোগানটুকু তারই প্রমাণ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তারা কি সত্যি সত্যি নিজেদের রাজাকার বলেছেন বা তারা রাজাকার হতে চেয়েছেন, নাকি নিজেদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ও অভিমান থেকে তারা কথাগুলো বলেছেন?
উল্লেখ্য, আমাদের দেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষের ৪ কোটিরও অধিক শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর এসব শিক্ষার্থীর একটি বড় অংশ মেধাবী এবং তারা সৃজনশীল মনমানসিকতার অধিকারী, তারা তাদের জীবন নিয়ে, দেশ নিয়ে, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে থাকেন এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি দেশের রাজনীতি বা রাজনৈতিক অবস্থা নিয়েও চিন্তাভাবনা করেন। এ অবস্থায় দেশের চারদিকে যা ঘটে চলেছে, সেসব ঘটনাও তাদের চিত্তকে আলোড়িত করে। ব্যাকুল করে। দেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া অন্যায়, অনাচার, অবিচার তাদের মনকে আন্দোলিত করে, আচ্ছন্ন করে। আর তাদের নিজেদের ভবিষ্যতে যদি সেসব কুটিলতা, জটিলতা, অন্যায়, অবিচারের প্রতিচ্ছায়া তারা দেখতে পান, তখন তাদের সেই আন্দোলিত মন বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। তাদের স্বপ্ন যখন লুণ্ঠিত হতে দেখেন, তখন তারা আর চুপচাপ বসে থাকতে পারেন না। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৮-৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান তারই প্রমাণ বহন করে। পাকিস্তানি স্বৈরশাসকরা যখন আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে বসেছিল বাংলাভাষাকে পদদলিত করে, রেসকোর্স ময়দানের বক্তৃতায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যখন ‘Urdu and only Urdu shall be the state language of Pakistan’ বলে আমাদের মুখে বাংলার পরিবর্তে উর্দু ভাষা বসিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তখনো আমাদের ছাত্রসমাজ গর্জে উঠেছিলেন, সভাস্থলের চারদিক থেকে ‘no’ ‘no’ আওয়াজ তুলে তখনই তারা প্রতিবাদ করেছিলেন।
অতঃপর এদেশে ভাষা আন্দোলন শুরু হলে পাকিস্তানি স্বৈরশাসকরা তা কঠোরহস্তে দমন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মিছিলের ওপর গুলি চালিয়ে নির্মমভাবে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেককে হত্যা করে একটি কলঙ্কিত ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। মিছিলের সামনে থাকা নিহত আরও এক শহিদের নামে ‘আসাদ গেট’ আজও সেই স্মৃতি বহন করে চলেছে। অতঃপর যা ঘটার তা-ই ঘটেছিল। শাসকদের ওপর বাংলার মানুষ সম্পূর্ণভাবে আস্থা হারিয়ে তারা স্বাধিকার আন্দোলন শুরু করেছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনা পাকিস্তানি শাসকদের প্রতি বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাংলার মানুষ পাকিস্তানি পুলিশ বাহিনীসহ তাদের লেলিয়ে দেওয়া এনএসএফ ইত্যাদি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম শুরু করে স্বৈরশাসকদের ভিত কাঁপিয়ে তুলেছিলেন। আর এসব আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং মওলানা ভাসানীসহ সে সময়ের অন্য রাজনৈতিক নেতারা। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের মূল নেতৃত্বে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানকে পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে এবং মওলানা ভাসানীকে মজলুম জননেতা উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল।
সে অবস্থায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা রাষ্ট্রদোহী মামলা, যা ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ নামে খ্যাত, দায়ের করায় পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে বাংলার জনগণ যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, সে ঘটনাও একটি ইতিহাস। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবকে কারাবন্দি করায় পূর্ব পাকিস্তানে আগুন জ্বলে উঠেছিল, সে সময়ে ছাত্র-জনতা একসঙ্গে ফুঁসে উঠেছিলেন। আর মওলানা ভাসানীর বক্তৃতা-বিবৃতি সেই আন্দোলনের গতিতে ঝড় তুলেছিল। মওলানা ভাসানী কর্তৃক ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’ স্লোগানটি পূর্ব পাকিস্তানে এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে, রাস্তাঘাট সর্বস্থানে সবার মুখে মুখে স্লোগানটি উচ্চারিত হচ্ছিল। আমরা সে সময়ের ছাত্ররাও দেওয়াল লিখনে ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো, ইয়াহিয়ার গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে, ইয়াহিয়া ইয়াহিয়া হুঁশিয়ার’ ইত্যাদি স্লোগান লিখে রাজপথ মুখরিত করে তুলতাম, পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের গদি কাঁপিয়ে দিতাম।
এসব আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেখ মুজিবকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলে অবশেষে ১৯৭০ সালে জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি সেনাশাসক ইয়াহিয়া খান এবং পিপিপি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টোর ষড়যন্ত্রের কারণে নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের ভাষণে ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’ উক্তি করে পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেন। আর সেদিন থেকেই আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ি। অতঃপর ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীকে পরাজিত করে আমরা বিজয় অর্জন করি।
উল্লেখ্য, ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত যিনি বা যারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করে পাক আর্মির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষকে হত্যা, নারীদের ধর্ষণের মতো জঘন্য ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে ছিলেন, তারাই ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস্’।
স্বাধীনতা যুদ্ধদের সময় পাক আর্মি বাংলাদেশিদের ভেতর থেকে কিছু মানুষকে তাদের দোসর হিসাবে নিয়োগ করে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞ চলায়। যে কারণে ‘রাজাকার’ নামটি এতটা নিন্দনীয় এবং ঘৃণিত! স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও দেশ ও জাতির কাছে ‘রাজাকার’ শব্দটি কারও প্রতি ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশের জন্য ব্যবহার করা হয়। অথচ আজ আমাদের সন্তানরা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে বলতে শুরু করেছেন, ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’। আর এ কথাগুলো সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে এতটাই ভাইরাল হয়ে পড়েছে যে, গতকাল পার্কে হাঁটতে গিয়ে একদল টোকাইয়ের মুখেও তা শুনতে পেলাম।
এ অবস্থায় রাজাকার শব্দটি প্রয়োগের ক্ষেত্রেও যে আমাদের সবারই সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, সে কথাটি বোধহয় আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ যত্রতত্র, যেখানে-সেখানে, যাকে তাকে, যখন-তখন ইচ্ছা হলো, আর রাজাকার বলে দিলাম, তাহলে কিন্তু শব্দটির অপব্যবহার বা অপপ্রয়োগ হয়ে গেল। কারণ রাজাকারকে রাজাকার বললে আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু কাউকে পছন্দ না হলেই বা কারও মতের সঙ্গে নিজের মতের মিল না হলেই তাকে রাজাকার বলতে হবে, এই মানসিকতা থেকেও আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এখন যদি ৫০-৬০ বছর বয়সি কোনো ব্যক্তিকে রাজাকার বলে গালি দেওয়া হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে কিন্তু রাজাকার শব্দটির অপব্যবহার হয়ে যায়। কারণ বর্তমানে ৫০ বছর বয়সি কোনো ব্যক্তি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় Unborn ছিলেন। বর্তমানে ৬০ বছর বয়সি ব্যক্তি যে সময় ৭ বছর বয়সি শিশু ছিলেন। সুতরাং তাদের কারও পক্ষেই রাজাকার হওয়া সম্ভব ছিল না। তাই তাদের কাউকে রাজাকার বলার বিষয়টিও ভেবে দেখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে রাজাকার বলার জন্যও একটা নিয়মনীতি মেনে চলা প্রয়োজন। অন্যথায় পাইকারি হারে শব্দটি ব্যবহারে দেশের মানুষের কাছে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে যেতে পারে এবং দিচ্ছে! এ বিষয়ে এখানে আমি একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছি।
আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে আমি যখন কলাবাগান এলাকায় বসবাস করি, সে সময় একদিন দুপুরের পর আমার বাড়ির সামনে ১৫-১৬ বছরের একটি বালককে একদল যুবক/কিশোরকে কিল, ঘুসি, লাথি মারতে দেখি। যে ছেলেটিকে প্রহার করা হচ্ছিল, তার পরনে সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি এবং মাথায় টুপি ছিল। সে অবস্থায় বেধড়ক মার খেতে খেতে ছেলেটির প্রাণ যায় যায় অবস্থা দেখে আমি এগিয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেলে, প্রহারকারী দলের একজন ছেলেটির পেটে লাথি মেরে তাকে রাস্তায় ফেলে দিলে ছেলেটি গোঙাতে থাকে। তাদেরকে আমি এভাবে প্রহারের কারণ জিজ্ঞেস করায় বলে, ‘আঙ্কেল ...রের বাচ্চা রাজাকার’। আমি তখন তাদের বুঝিয়ে বলেছি, ‘বাবা এতটুকু ছেলে রাজাকার হয় কী করে?’ তোমরা তো রাজাকার দেখ নাই, আমরা দেখেছি। দেখ, এ ছেলেটি তোমাদের সবার চেয়েও ছোট। ১৯৭১ সালে তো ওর জন্মই হয়নি, সুতরাং সে রাজাকার হলো কেমনে? এসব বলার পর প্রহারকারীরা রণেভঙ্গ দিলে রাস্তায় পড়ে থাকা ছেলেটিকে আমি হাত ধরে টেনে তুলতে গেলে ক্ষীণস্বরে সে বলে, ‘একটু পানি’। আমি দৌড়ে গিয়ে এক গ্লাস পানি এনে তার মুখে ধরলে সে একঢোকে পানি খেয়ে আমার সাহায্যে ওঠে দাঁড়ায়। অতঃপর পাশের সরু গলি দিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে বলে আমি ঘরে ঢুকে সেদিনই মনে মনে ভেবেছিলাম ‘এত কমবয়সি এ ছেলেটি রাজাকার হয় কী করে?’
এ অবস্থায় রাজাকারের সংজ্ঞা নির্ণয় করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলেই আমি মনে করি। ১৯৭১ সালে যারা রাজাকার ছিলেন, তাদের একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে তাদের চিহ্নিত করে রাজাকার বললে কারও কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। এমনকি তাদের সন্তানদেরও রাজাকারের বাচ্চা বলা যেতে পারে। কিন্তু আবারও বলছি, তাই বলে পাইকারি হারে রাজাকার শব্দটি ব্যবহার করে পরোক্ষভাবে রাজাকারদের জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া ঠিক হবে না।
লেখাটি আর দীর্ঘায়িত না করে উপসংহার টেনে বলতে চাই, দিনরাত ‘রাজাকার’ ‘রাজাকার’ বলে জিকির তুলে কাউকে সামাজিক বা রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে এবং শুধু প্রকৃত রাজাকারকেই রাজাকার বলতে হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় Unborn কোনো ব্যক্তিকে রাজাকার বলা ঠিক হবে বা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। কোনো রাজাকারের সন্তান যদি মনমানসিকতায় উন্নত ও আধুনিক চিন্তা-চেতনা পোষণ করেন, সেক্ষেত্রে তাকেও রাজাকারের বাচ্চা বলা যাবে না। আবার অনেক রাজাকার বা রাজাকার পরিবারের যেসব সন্তান বা পরবর্তী প্রজন্ম বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি অনুগত, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সমর্থক, তাদের রাজাকারের সন্তান বলে গালি দেওয়াও ঠিক হবে না।
মোট কথা, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ পাইকারি হারে রাজাকার শব্দটি যাতে ব্যবহার না করেন, সে ব্যাপারে আবেদন জানিয়ে বলতে চাই, অন্যথায় ‘রাজাকার’ শব্দটি কিন্তু গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবে।
ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন : কবি, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, বীর মুক্তিযোদ্ধা
