চাঁদাবাজি কি নিরাময়যোগ্য ব্যাধি নয়?
জিয়া আহমদ
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আশা করেছিল, দেশ লুণ্ঠন, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচারের মতো অপকর্ম থেকে মুক্তি পাবে। গণপ্রত্যাশা অনুযায়ী দেশে ব্যাংক থেকে অবৈধভাবে অর্থ লুট বন্ধ হয়ে গেছে, বন্ধ হয়ে গেছে অবৈধভাবে লুট করে বিদেশে অর্থ পাচারের প্রক্রিয়াও। বরং সরকার এখন স্বৈরাচারী আমলের অবৈধভাবে আত্মসাৎ করা সম্পদ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে বিভিন্নভাবে। দেশের জনগণ সরকারের এসব প্রচেষ্টার সাফল্য কামনা করে সর্বান্তকরণে। কিন্তু দেশের চাঁদাবাজিটা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
স্বৈরাচারী আমলে আওয়ামী লীগ চাঁদাবাজিটাকে একটি স্ট্রাকচারড পদ্ধতির মধ্যে নিয়ে গিয়েছিল। লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ ও বদলিতে, জমির দখল বুঝে নিতে গেলে, টেন্ডারের মাধ্যমে নতুন ভবন নির্মাণসহ দেশের বিভিন্ন করপোরেশন ও অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ইত্যাদিতে চাঁদাবাজিকে প্রায় প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হয়েছিল। ফলে এসব কাজে সংশ্লিষ্ট হওয়ার আগেই আগ্রহী ব্যক্তিরা জেনে যেতেন কত টাকার কাজে কত টাকা ঘুস দিতে হবে। কেউ কোনো উচ্চবাচ্য করতেন না। কাজ হোক বা না হোক, টাকার লেনদেনটা ঠিকই হয়ে যেত সময়মতো। চমৎকার ব্যবস্থা। আর প্রাক্কলিত ব্যয়ও সেভাবেই নির্ধারণ করা হতো, যাতে ‘ঘুসদাতা’ ও ‘ঘুসখোর’ উভয়ই পর্যাপ্তভাবে লাভবান হতে পারেন। ক্ষতিটা হতো শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের, যাদের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা ছিল না বা নাই। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ঢাকা মহানগরীর ‘মৌচাক-সাতরাস্তা’ ফ্লাইওভারের মূল প্রাক্কলিত ব্যয় ২৫০ কোটি টাকা থাকলেও পঞ্চম সংশোধনীতে তা গিয়ে দাঁড়ায় ১২৫০ কোটি টাকায়। পরে ওই কাজ বাবদ কত টাকা পরিশোধ হয়েছে, তা আল্লাহ মালুম। বর্তমানে কি এ ঘুস বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে? হলে উন্নয়ন কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় তো প্রচুর পরিমাণে কমে আসার কথা। কিন্তু সে রকম কোনো সংবাদ তো চোখে পড়ছে না। বস্তুত এসব স্থানে কিছু ক্ষেত্রে ঠিকাদার বদল হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরোনো ঠিকাদাররাই নতুন রাজনৈতিক সহযোগী নিয়ে কাজ করছেন। ফলে সিস্টেমটা অক্ষতই রয়ে গেছে।
বর্তমানে প্রতিনিয়ত যে চাঁদাবাজির অভিযোগ শুনছি, সেটা আসছে মূলত বাস ও ট্রাক স্ট্যান্ডগুলো থেকে। এছাড়া দরিদ্র টেম্পো স্ট্যান্ড চালক/শ্রমিক, কাঁচা বাজার ও ফুটপাথের তরিতরকারি ও ফল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও চাঁদাবাজির সংবাদ আসছে। এ হতদরিদ্র মানুষগুলো চিরদিনই এলাকার সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক মানুষদের চাঁদা দিতে বাধ্য হয়েছে। আর পুলিশের একটা অংশের উৎপাতের কথা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। সারা দিনে ৩০০/৫০০ টাকা উপার্জন করে ৫০-১০০ টাকা চাঁদা দেওয়ার চেয়ে কঠিন কাজ আর নেই। সে কারণে এ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ছিল স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের ওপর এবং তারা গত গণ-অভ্যুত্থানে জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছে স্বৈরাচারের সন্ত্রাসী, পুলিশ/বিজিবির বিরুদ্ধে। গত গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের তালিকা দেখলেই এ বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এ হতদরিদ্র মানুষের আকাঙ্ক্ষা কিন্তু ‘উপদেষ্টা’ হয়ে দেশ শাসন করা বা চাঁদাবাজি ও দল গঠন করে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া না। তাদের দাবি খুব সামান্য, চাঁদা দেওয়া ছাড়াই ছোটখাটো ব্যবসা করে নিজের ও পরিবারের ভরণপোষণ করা। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলেও নতুন আরেক দল সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ পুরোনোদের স্থান দখল করে নেয় এবং চাঁদার হার বাড়িয়ে দিয়ে চাঁদাবাজি অব্যাহত রাখে।
এ কথা অনস্বীকার্য, যে কোনো লোককেই দীর্ঘমেয়াদে চাঁদাবাজি করতে হলে তাকে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকতে হয়। নাহলে পুলিশ বা অন্য সংগঠনের লোকজন তাকে তাড়িয়ে দেয়। সে কারণে দেশের যে কোনো বা সব চাঁদাবাজকে জিজ্ঞেস করলে জানা যায়, সে অমুক বা তমুক দলের সদস্য বা অমুক ভাইয়ের লোক। সংশ্লিষ্ট ওই দলের নেতাই এ অবৈধ চাঁদার টাকাটা পান; আর যারা চাঁদা তোলে, তারা মূলত দৈনিক বা মাসিক ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিক।
এ চাঁদাবাজি বন্ধের কি কোনো উপায় নেই? অবশ্যই উপায় আছে, কিন্তু সে ক্ষেত্রে দেশের সরকার ও বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে একটা ঐকমত্যে আসতে হবে যে, দেশে তারা কোনো চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় দেবেন না। বিষয়টি খুব সহজ না, কারণ দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দল মনে করে, চাঁদাবাজি করা এই তরুণ-যুবকরা তাদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ রাখার ক্ষেত্রে বড় শক্তি। তাছাড়া বড় বাসস্ট্যান্ডগুলো থেকে যে বিপুল পরিমাণ টাকা আসে, তা নেতাদের বিলাসব্যসনের জন্য প্রয়োজন। এছাড়া রাজনৈতিক সমাবেশ সফল করার জন্যও এই চাঁদার টাকা এবং চাঁদা তোলার কাজে নিয়োজিত লোকদের প্রয়োজন। গত স্বৈরাচারের আমলে দেখা গেছে, বিরোধী দলের যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ভণ্ডুল করতে তারা এ তরুণ-যুবকদের ব্যবহার করেছে। কোনো বিরোধীদলীয় কর্মসূচি থাকলে রাস্তার মোড়ে মোড়ে তারা যূথবদ্ধ হয়ে বসে থাকত, যাতে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা সেখান দিয়ে যেতে না পারে বা কোনো ধরনের মিছিল করতে না পারে। কিন্তু জনগণ যখন জেগে উঠেছে, তখন তারা অকার্যকর হয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। একই কথা প্রযোজ্য রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনের ক্ষেত্রেও। অতীতে দেখা গেছে, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ছাত্র সংগঠনগুলোকে প্রশ্রয় দিয়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজে পরিণত করেছে। কিন্তু প্রয়োজনের সময় সেই সন্ত্রাসীরা স্বৈরাচারের মোকাবিলায় অক্ষম হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। পরবর্তীকালে নতুন প্রজন্মের ছাত্র-তরুণরা (যারা সন্ত্রাসসংশ্লিষ্ট নয়) নেতৃত্বে এসে ছাত্র-যুব সংগঠনগুলোকে প্রকৃত সংগ্রামী সংগঠনে পরিণত করে স্বৈরাচারকে প্রতিহত করার সংগ্রামে শামিল হয়েছে এবং বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে স্বৈরাচারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন রাস্তা, বিপণিবিতানের সামনের স্থান ইত্যাদি জায়গা পার্কিংয়ের জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃক লিজ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা যাক। বস্তুত, এটা চাঁদাবাজি শেখার স্কুল হিসাবে কাজ করছে। এখানে নব্য সন্ত্রাসীরা প্রথমে দৈনিক বা মাসিক ভিত্তিতে গাড়ির পার্কিংয়ের টোল সংগ্রহের কাজে যোগ দেয়, পরবর্তী সময়ে তারা ওই রাস্তার ধারের ক্ষুদ্র বাবসায়ী ও হকারদের ওপর চড়াও হয়। এবং আরও পরে নিজেরাই চাঁদাবাজির নতুন নতুন জায়গা ও খাত আবিষ্কার করে ‘উদ্যোক্তা’ বনে যায়। এ ‘গাড়ি পার্কিং’য়ের জন্য রাস্তাঘাট লিজে দিয়ে সিটি করপোরেশনগুলোর যে খুব একটা লাভ হয়, তা নয়। বছরে করপোরেশনগুলো আনুমানিক ১০ কোটি টাকা লিজ বাবদ পেলেও জনগণের পকেট থেকে বের হয়ে যায় হাজার কোটি টাকা। সিটি করপোরেশনগুলোর রাজনৈতিক মেয়ররা তাদের অনুগত দলীয় লোকদের অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্য এ পদ্ধতিটি চালু করেছে। এর ফলে রাস্তার ব্যবহারযোগ্য আয়তন কমে গেছে, নিত্যনতুন চাঁদাবাজের জন্ম হচ্ছে এবং জনগণের পকেট কাটা যাচ্ছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান বাস্তবতায় কোনো একক রাজনৈতিক দলের পক্ষে এ চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব নয়, কারণ কোনো দল এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিলে অন্য কোনো দল বা গোষ্ঠী ওই শূন্যস্থান পূরণ করে ফেলবে নিমিষের মধ্যে। গত ৮ মাসে বিএনপি এ ধরনের অভিযোগের কারণে প্রায় ২৫০০-এরও অধিক নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। জামায়াতও তাদের বেশকিছু নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে! কিন্তু তাতে দেশের চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে কোনো সুফল দেখা যায়নি। এর মূল কারণটা হলো, বহিষ্কৃত এ নেতাকর্মীরা যে শুধু রাজনীতির ছত্রছায়াতেই থাকে, তা নয়। তারা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিও বটে। ফলে দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও তারা দলের পরিচয়েই (বা পরিচয় ছাড়াই) চাঁদাবাজি চালিয়ে যায়। এবং দলের তরফ থেকে নতুন কোনো শাস্তির ভয় না থাকায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ে। তাহলে এ চাঁদাবাজি বন্ধের উপায় কী? উপায়টা হলো দেশের সব বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ বিষয়ে একটি ঐকমত্য সৃষ্টি করা এবং পুলিশ বাহিনীকে সক্রিয় করে চাঁদাবাজির যে কোনো ঘটনায় দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কমিশন গঠিত হয়েছে, এবং কমিশনগুলো তাদের সুপারিশমালা দাখিল করেছে। কিন্তু দেশের ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর এ প্রথা কোনো ‘সংস্কার কমিশনের’ আওতায় আসেনি। সে কারণে এ বিষয়ে কোনো সুপারিশও চোখে পড়েনি। অথচ দেশের দরিদ্র জনসাধারণকে রক্ষা ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য এ খাতে সংস্কার অত্যাবশ্যকীয়। বাসস্ট্যান্ডের চাঁদাটা সাধারণত তোলা হয় কোনো না কোনো শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে। এ সংগঠনগুলোর ঘোষিত উদ্দেশ্য থাকে শ্রমিকদের কল্যাণ। বাস্তবে এরা শ্রমিকের কল্যাণে এক টাকাও ব্যয় করেছে, এমন কোনো নজির নেই। এটা পরিষ্কার দেখা গিয়েছে, গত ‘কোভিড-১৯’-এর সময়ে। তখন বাসস্ট্যান্ডে কর্মরত চালক/শ্রমিকরা খেয়ে-না-খেয়ে কোনোরকমে বেঁচে ছিল। এ চাঁদার অর্থ শুধু যে রাজনৈতিক নেতারা আত্মসাৎ করেন, তা না। এ অর্থ খরচ হয় মাদকসহ নানা অসামাজিক কাজেও। ফলে প্রতিবছর এ নেশাগ্রস্ত চালকদের হাতে নিহত হন বহু সাধারণ পথচারী ও অন্যান্য যানবাহনের যাত্রীরা। রাজনৈতিক দলসংশ্লিষ্ট এসব তথাকথিত ‘কল্যাণ সমিতিকে’ অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। এবং বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কোনো ধরনের শ্রমিক সংগঠনকে সক্রিয় হতে দেওয়া যাবে না। কথাটা বলা সহজ, কিন্তু এটিকে বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত দুরূহ। বিনা পুঁজির যে ব্যবসায়ে দৈনিক কোটি টাকা অবৈধ আয় হয়, তাকে বন্ধ করা আসলেই দুঃসাধ্য। তারপরও সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে এবং দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে এ প্রয়াসে সম্পৃক্ত করতে হবে। তা না হলে বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষারোপ করে রাজনৈতিক সুবিধা বা আত্মতৃপ্তি পাওয়া গেলেও নিট ফলাফল হবে শূন্য। গত স্বৈরাচারের আমলে এ খাতে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় শাজাহান খানের মতো দানব তৈরি হয়েছিল, যারা দেশের আইনকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সম্পূর্ণ পরিবহণ খাতকে নিজেদের আর্থিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে।
ঢাকা ও অন্যান্য মহানগরীতে চাঁদাবাজি বন্ধে সিটি করপোরেশনগুলোর রাস্তার পাশ ও বিপণিবিতানগুলোর সামনের স্থান গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য লিজ দেওয়ার যে প্রচলন, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সিটি করপোরেশনগুলোর উদ্যোগে, থানা পুলিশের সহযোগিতায় এলাকার বড় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বকে সম্পৃক্ত করে এবং ভুক্তভোগী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এটি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে ছোটখাটো আঞ্চলিক সভা অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। এছাড়া এলাকার নবীন-তরুণদের আবার বিদ্যালয়ে ফেরত নিয়ে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে উৎপাদনশীল মানুষে পরিণত করে তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখা প্রয়োজন, ক্ষুধার্ত মানুষ কোনো আইন মানে না।
জিয়া আহমদ, এনডিসি : সাবেক সরকারি কর্মচারী ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
