Logo
Logo
×

বাতায়ন

গোধূলি গণতন্ত্র দশা কাটবে তো আমাদের?

Icon

মঈদুল ইসলাম

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গোধূলি গণতন্ত্র দশা কাটবে তো আমাদের?

গণতন্ত্র সম্পর্কে মজার একটা কথা মনে পড়ল। কথাটা বলা হয়েছিল ব্রিটিশের দেওয়া প্রথম গণতন্ত্রকে উপহাস করে। আর তা বলেছিলেন এ ব-দ্বীপরাষ্ট্রের আমাদের নেতারা রাতদিন মুখে মুখে যে দ্বীপরাষ্ট্রটার সমান (উন্নয়নে) হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে থাকেন, সেই আধুনিক সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা পিতা লি কুয়ান ইউ। তখনো তিনি প্রতিষ্ঠাতা পিতা হননি। ব্রিটিশের নাগপাশ থেকেই পুরোপুরি মুক্ত হয়নি তখনো সিঙ্গাপুর। রেন্ডেল কমিশনের সুপারিশে সেখানে তখন সবে শুরু হয়েছে ব্রিটিশের দেওয়া অভ্যন্তরীণ আধা-স্বরাজ (Partial internal self-government)। ৩২ আসনের লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির ২৫টি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত, যাদের মধ্য থেকে একজন ছিলেন সরকারপ্রধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী (চিফ মিনিস্টার)। অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক বিষয় ব্রিটিশ রেখেছিল নিজের হাতে। সেই সঙ্গে হাতে রেখেছিল অ্যাসেম্বলিতে পাশ করা আইনে ভেটো মারার ক্ষমতাও। লেবার ফ্রন্টের ডেভিড মার্শাল তখন চিফ মিনিস্টার। আর লি কুয়ান ইউ তখন বিরোধীদলীয় নেতা।

ব্রিটিশের কাছ থেকে আমাদের স্বাধীনতা পাওয়া পাকিস্তানের যখন সাত বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছিল তখন, ১৯৫৪ সালের ২১ নভেম্বর ৩১ বছর বয়সি লি কুয়ান ইউ গঠন করেন সিঙ্গাপুরের ‘পিপলস অ্যাকশন পার্টি’ (পিএপি), নিজে হন সেই পার্টির সেক্রেটারি-জেনারেল। ১৯৫৫ সালের ২ এপ্রিল ব্রিটিশের দেওয়া নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘পার্সিয়াল ইন্টারনাল সেল্ফ-গভর্নমেন্ট’। এ নির্বাচনের পরে লি কুয়ান ইউ হন বিরোধীদলীয় নেতা। ওই বছরের ২৩ এপ্রিল থেকে হক-লি সম্মিলিত বাস কোম্পানির শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করে। কেমব্রিজ-গ্র্যাজুয়েট লি কুয়ান ইউ প্র্যাকটিসিং ব্যারিস্টারও ছিলেন এবং সেই সুবাদে ছিলেন সিঙ্গাপুর বাস শ্রমিক ইউনিয়নের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার। লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসাবে তিনি বাস শ্রমিকদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি আপস-মীমাংসার জন্য তখনকার সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ভন্ডুল হয়ে যায় বাস কোম্পানির গররাজির কারণে। ১ মে শ্রমিক দিবসে ধর্মঘটী বাস শ্রমিকদের জমায়েতে বক্তৃতায় তিনি ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত সরকারের সমালোচনায় তখনকার গণতন্ত্রকে বিদ্রুপ করে বলেন, ‘হাফ-পাস্ট সিক্স ডেমোক্রেসি’ (Half-past six democracy)। অর্থাৎ, শুধু নামেই গণতন্ত্র-জনগণের ক্ষমতা বা অধিকার, অংশগ্রহণ, ন্যায়বিচার-এসবের খবর নেই।

তখনকার প্রশাসন বা শাসনব্যবস্থার আধা-আধা, দুর্বল, অনির্দিষ্ট ও অকার্যকর গণতন্ত্রকে বোঝাতে লি রূপকার্থে এই ‘হাফ-পাস্ট সিক্স ডেমোক্রেসি’ মেটাফরিক্যাল ফ্রেজ বা বিদ্রুপাত্মক বাগধারাটি ব্যবহার করেছিলেন। বাংলা তর্জমায় একে আমরা ‘গোধূলি গণতন্ত্র’ বলতে পারি। কেননা, ইংরেজি ‘হাফ-পাস্ট সিক্স’ মানে তো বিকাল সাড়ে ৬টাকে বোঝায়, বাংলায় আমরা যেটাকে বলি গোধূলি বেলা। বেলা শেষে দিনের আলো ক্রমেই ম্লানায়মান। ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আর ডেমোক্রেসিকে তো আমরা গণতন্ত্র বলেই জানি, যার একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য নির্বাচন। সুতরাং, নির্বাচনসর্বস্ব নামকাওয়াস্তের গণতন্ত্রকে আমরা ব্যঙ্গ করে রূপকার্থে বাংলায় ‘গোধূলি গণতন্ত্র’ বলতে পারি নিঃসংকোচে।

আমাদের এখানে যখন স্বাধীন পাকিস্তানের এক যুগ (১২ বছর) পূর্ণ হতে চলেছে, তখন ব্রিটিশের কাছ থেকে (ব্রিটিশ পার্লামেন্টের করা ‘দ্য স্টেট অব সিঙ্গাপুর অ্যাক্ট ১৯৫৮-এর অধীনে) সিঙ্গাপুর পায় ‘অভ্যন্তরীণ পূর্ণ স্বরাজ’ (Full internal self-government)। ৫১ আসনের লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সব আসনই সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত। ১৯৫৯ সালের ৩০ মে-এর নির্বাচনে লি কুয়ান ইউয়ের পার্টি পিএপি ৪৩ আসন পেয়ে গেলে লি কুয়ান ইউ মাত্র ৩৬ বছর বয়সে হন সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যপ্রধানের পদবি গভর্নর বদলে ব্রিটিশ করেছিল ‘ইয়াং ডি পারটুয়ান নেগারা’ (কার্যত ব্রিটিশের ভাইসরয়)। গভর্নর স্যার উইলিয়াম গুডি সেই বছরের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘ইয়াং ডি পারটুয়ান নেগারা’ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে বিদায় হলে সিঙ্গাপুরের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ইউসফ ইসহাককে করা হয় ‘ইয়াং ডি পারটুয়ান নেগারা’। প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক বিষয় থেকে যায় ব্রিটিশেরই হাতে।

এরপর লি কুয়ান ইউ ১৯৬২ সালের ১ সেপ্টেম্বর গণভোট দিয়ে গণরায় নিয়ে চুক্তি করে ১৯৬৩-এর ১৬ সেপ্টেম্বর স্বাধীন রাজ্য হিসাবে সিঙ্গাপুরকে নবগঠিত মালয়েশিয়া ফেডারেশনে (মালয়, উত্তর বোর্নিও তথা সাবাহ, সারাওয়াক ও সিঙ্গাপুর নিয়ে গঠিত হয়) একীভূত করেন। এর আগে ৩১ আগস্ট (১৯৬৩) ব্রিটিশের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ২১ সেপ্টেম্বর (১৯৬৩) আগাম নির্বাচন দিয়ে আবারও সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী হন। এক বছর দশ মাস চব্বিশ দিন মালয়েশিয়া ফেডারেশনে একীভূত থেকে ১৯৬৫-এর ৯ আগস্ট সেখান থেকে বের হয়ে এসে স্বাধীন ‘রিপাবলিক অব সিঙ্গাপুর’ ঘোষণা করেন। সাত সাতটি নির্বাচনে জিতে ১৯৫৯ থেকে ১৯৯০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত টানা ৩১ বছর সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী থেকে ৬৭ বছর বয়সে স্বেচ্ছায় সেই পদ ছেড়ে দিয়ে উপদেষ্টা হিসাবে ‘সিনিয়র মিনিস্টার’ পদে ক্যাবিনেটে থাকেন ডিসেম্বর ২০০৪ পর্যন্ত। পার্টির সেক্রেটারি-জেনারেলের পদ ছাড়েন ১৯৯২ সালের ২ ডিসেম্বর। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১১ পর্যন্ত থাকেন ‘মিনিস্টার মেন্টার’ হিসাবে। নানা অসুখে ভুগে শেষে ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ ৯১ বছর বয়সে মারা যান নিউমোনিয়ায়।

তার এ সুদীর্ঘকালের একটানা শাসনে সিঙ্গাপুরে লি কুয়ান ইউ নিজে কেমন গণতন্ত্র দিয়েছিলেন? ১৯৫৯ সালে সেই যে তার পার্টি ‘পিপলস অ্যাকশন পার্টি’ (পিএপি) ক্ষমতায় আসে, তারপর থেকে একটানা এখনো ক্ষমতা ধরে রেখেছে। মাঝে ২০০৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা ২০ বছর প্রধানমন্ত্রিত্ব করে গেছেন তার জ্যেষ্ঠ ছেলে লি সিয়েন লুং, পিতার পদাঙ্ক অনুসরণে এখন তিনি ক্যাবিনেটে আছেন সিনিয়র মিনিস্টার হয়ে। এই ২০২৫ সালের ৩ মে-এর নির্বাচনেও জয় পেয়ে আবারও ক্ষমতায় রয়ে গেছে পিএপি। সুতরাং, সেখানকার গণতন্ত্রের দশার কিছুটা তো আঁচ পাওয়াই যাচ্ছে! হ্যাঁ, নানা কালাকানুনে বিরোধী কণ্ঠ দমিয়ে রাখার এবং বিরোধী দলকে কোণঠাসা করে রাখার অভিযোগ রয়েছে লি কুয়ান ইউ’র বিরুদ্ধে। মানহানির কঠোর আইন। সরকারের সমালোচনা করলেই মামলা। এবং সেই মামলা মানেই সাজা অবধারিত। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত। রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা অবিরল। মিডিয়া নিয়ন্ত্রিত, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত স্বতন্ত্র সংবাদপত্র ও প্রচারমাধ্যমও রয়েছে। বাকিগুলোও সরকারঘনিষ্ঠভাবে পরিচালিত। গণতন্ত্র তো নয়, এসবই চরম কর্তৃত্ববাদের লক্ষণ। পুরোটাই আমাদের বাংলাদেশের বিগত দিনগুলোর মতো অবস্থা!

তারপরও গণতন্ত্রের নির্বাচন ব্যবস্থাটা বজায় রেখে চলেছিলেন লি কুয়ান ইউ। নির্বাচনটা হয়ে এসেছে নিয়মিতই। তবে কি না, প্রায় সব আসনেই তার পার্টির প্রার্থীরা জয়ী হতেন এবং অনেক নির্বাচনে বিরোধী দল প্রার্থীই দিতে পারত না। কিছু নির্বাচনে তো তার পার্টির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও জয়লাভ করেন। অনেকটাই আমাদের বাংলাদেশের বিগত দিনগুলোর মতো অবস্থা! তবে, পার্থক্য একটুখানি আছে : আমাদের এখানকার মতো ‘দিনের ভোট রাতেই’ মেরে দেওয়া বা ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনের কায়দা করে গণতন্ত্রকে অমানিশার অন্ধকারে ডুবিয়ে দেওয়া হয়নি সেখানে। লি কুয়ান ইউ’র এ নির্বাচনগুলোকে অনেক পণ্ডিতই ‘নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র’ (Guided democracy) বা ‘নিয়ন্ত্রিত বহুদলীয় ব্যবস্থা’ বলে আখ্যায়িত করেন। পার্টি হিসাবে পিএপি-কে যে তিনি শক্তিশালী ও প্রভাবশালী করে তুলেছিলেন, সে কথা অনস্বীকার্য। তবে রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল, যাতে বিরোধীদের জন্য কার্যকর প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে পড়ে। ভোট হয়েছে কেবল তার আগামী শাসনের বৈধতা নিশ্চিত করার মাধ্যম হিসাবে। তার এ গণতন্ত্র ছিল আসলে ‘ইলেক্টোরাল অথোরিটারিয়ানিজম’, ‘নির্বাচনি কর্তৃত্ববাদ’।

লি কুয়ান ইউ কর্তৃত্ববাদ চালালেও সিঙ্গাপুরে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সুশাসন, যা করতে চায়নি বলে পারেনি আমাদের এখানকার কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্টরা। কড়া শাসনে লি কুয়ান ইউ তার জনগণকে দিয়েছেন নিয়ম, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সাফল্য আর উন্নয়ন। শুধু দালানকোঠা, ফ্লাইওভার, ব্রিজ, মেট্রোরেলের উন্নয়ন নয়। অনুন্নত তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে সিঙ্গাপুরকে তিনি নিয়ে গেছেন উন্নত প্রথম বিশ্বের কাতারে। সুশাসন দিয়ে প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করেন, সমাজের সর্বত্র আনেন আইনশৃঙ্খলা। দুর্নীতিমুক্তকরণে সিঙ্গাপুরের অবস্থানকে নিয়ে গেছেন শীর্ষ ১০-এর মধ্যে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রচলনের প্রথম বছর ১৯৯৫ সালেই সিঙ্গাপুরের অবস্থান দাঁড়ায় ৩য়, ২০১০ সালে ১ম হওয়ার রেকর্ডও আছে তার, ২০২৪-এ আছে ৩য় অবস্থানে। তার গণতন্ত্র যে পশ্চিমা ধাঁচের ‘উদার গণতন্ত্র’ (liberal democracy) ছিল না, সে কথা তিনি নিজেও অস্বীকার করতেন না। পশ্চিমা ধাঁচের উদার গণতন্ত্র এশীয় সমাজের জন্য উপযোগী নয় বলে তার বিশ্বাস তিনি প্রকাশ্যেই জাহির করতেন কোনোরকম রাখঢাক না করেই।

তবে আর যাই হোক, লি কুয়ান ইউ’র গণতন্ত্রকে আর গোধূলি গণতন্ত্র (হাফ-পাস্ট সিক্স ডেমোক্রেসি) বলে বিদ্রুপ করা যায় না মোটেও। তার গণতন্ত্র হচ্ছে ‘ডেভেলপমেন্টাল অথোরিটারিয়ানিজম’, বা ‘উন্নয়ন-উন্মুখ কর্তৃত্ববাদী গণতন্ত্র’, পণ্ডিতরা তো তা-ই বলেন। অনেকেই আবার তাকে দার্শনিক শাসক (Philosopher King), কল্যাণকর একনায়ক (Benevolent Dictator) বলেও মনে করেন। আমাদের নেতারা তাকে অনুসরণ করেছেন (যদি তা করে থাকেন) শুধু নিজেরা কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠতে। সুশাসনের ধারও ধারেননি কেউ। দেশকে দিয়েছেন অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলা, মানুষের হয়রানি আর ভোগান্তির একশেষ। জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করেছেন। নিজেরা দুর্নীতিতে ডুবে দেশকে ভাসিয়েছেন দুর্নীতিপরায়ণ দেশগুলোর শীর্ষের দিকে। গণবিস্ফোরণে নিজেদের লজ্জাজনক পতন ডেকে এনেছেন। শেষে তো পালাতেও হয়েছে দেশ ছেড়ে। স্বৈরাচার, কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ-সব হয়েছে এখানে কিন্তু গণতন্ত্র রয়ে গেছে সেই ‘হাফ-পাস্ট সিক্স’ হয়েই। এখন আবার গণতন্ত্রের ধ্বজা নাকি হয়ে আছে ‘হাফ-মাস্ট’ (অর্ধনমিত)! নির্বাচনেই নাকি ধ্বজা উড়বে! এবারে গোধূলি গণতন্ত্র দশা কাটবে তো আমাদের?

মঈদুল ইসলাম : অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ও দুদকের সাবেক মহাপরিচালক

moyeedislam@yahoo.com

গণতন্ত্র

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম