Logo
Logo
×

বাতায়ন

রাজনৈতিক উত্তাপে কার লাভ, কার ক্ষতি

Icon

জিয়া আহমদ

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রাজনৈতিক উত্তাপে কার লাভ, কার ক্ষতি

গত মাসে লন্ডনে বিএনপির তারেক রহমান এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘আইস ব্রেকিং’ বৈঠকের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ধরনের থমকে যাওয়া ভাব লক্ষ করা যাচ্ছিল। ওই বৈঠককে দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভালোভাবে নিতে পারেনি। গত বছরের জুলাই-আগস্টের সফল গণ-অভ্যুত্থানের পর পাদপ্রদীপের আলোতে আসা এ দলগুলো তাদের অবস্থান ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা করছিল। এ বৈঠককে ঘিরে এবং তারা এ বৈঠকের ‘কথিত সমঝোতাকে’ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিল না। সে কারণে ওই বৈঠকের পর এ রাজনৈতিক দলগুলো নানাভাবে এ নিয়ে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিল, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুমোটভাবের সৃষ্টি করেছিল। বর্তমানে ওই রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মপন্থার বিষয়ে একমত হয়ে মাঠে নেমে রাজনৈতিক অঙ্গনকে উত্তপ্ত করা শুরু করেছে।

নবগঠিত এনসিপি প্রথম থেকেই দেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনকে যতটা সম্ভব পিছিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী ছিল। সে কারণে তারা প্রথম থেকেই নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসাবে ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ ও তার বাস্তবায়ন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রভৃতি দাবি তুলেছে। বর্তমানে যেহেতু জুলাই সনদ প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আওয়ামী নেতৃত্বের বিচারও দৃশ্যমান হবে বলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার ঘোষণা করেছে, সেই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন পেছানোর জন্য নতুন কোনো দাবি তোলা তাদের জন্য খুবই প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এনসিপির নির্বাচন পেছানোর কারণটা বোঝা যায়। তারা নতুন একটি দল, যারা নির্বাচন কমিশনে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছে মাত্র। তাদের নেতারা এখনো সম্ভাব্য নির্বাচনি এলাকায় তেমন পরিচিত নন। সে কারণে নির্বাচন পিছিয়ে গেলে তারা ভোটযুদ্ধের জন্য আরেকটু প্রস্তুতির সময় পাবে বলে মনে করছে। তা ছাড়া বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের পদত্যাগ, নিয়োগ-বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ এবং নানা কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত এনসিপির পক্ষে এ মুহূর্তে নির্বাচনে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। আর সে কারণেই তারা বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনের আগে আবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি তুলেছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এ দেশের একটি বেশ পুরোনো রাজনৈতিক দল। কিন্তু তাদের নির্বাচনে সাফল্যের নজির খুব কম। ১৯৯১ সালে এককভাবে নির্বাচন করে তারা ১৮টি আসনে বিজয়ী হয়েছিল, প্রদত্ত ভোটার ১২.১৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ১৯৯৬ সালে তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার ও আসন উভয়ই কমে যায়। সে নির্বাচনে তারা ৮.৬১ শতাংশ ভোট পায়, মাত্র ৩টি আসন লাভ করে। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার কারণে তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার কমে ৪.২৮ শতাংশে দাঁড়ালেও তাদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭টিতে। বস্তুত এটাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নির্বাচনি সাফল্য। পরে বিএনপি সরকার গঠন করলে জোটের শরিক হিসাবে জামায়াতের দুজন নেতা মন্ত্রিসভায় স্থান পান। ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামী দেশের প্রধান বিরোধী দল হতে আগ্রহী। তাদের কোনো কোনো নেতা অবশ্য এ স্বপ্নও দেখছে যে, অন্য কোনো জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে তারা ‘কোয়ালিশন’ সরকারও গঠন করতে পারে। আর সে কারণে তারা দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির ভোট কমার অপেক্ষা করছে। তারা শুধু যে অপেক্ষাই করছে তা নয়, তারা তাদের ‘প্রোপাগান্ডা মেশিনে’র মাধ্যমে এ কাজে সক্রিয় ভূমিকাও রাখছে বলে বোদ্ধামহলের ধারণা। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বিএনপির একশ্রেণির নেতাকর্মীর চাঁদাবাজি এবং দখল বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় সমালোচকও তারা। তারা বিএনপিসংশ্লিষ্ট কোনো নেতা বা কর্মীর কোনো ত্রুটি আবিষ্কার করতে পারলে, তার পেছনে তাদের ‘বট’ বাহিনী লেলিয়ে দেয় এবং বিষয়টিকে জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করার চেষ্টা করে আসছে ’২৪-এর আগস্টের পর থেকেই।

বাংলাদেশ শাসনতন্ত্রী আন্দোলনসহ কট্টর ইসলামী দলগুলোরও রয়েছে সরকারের অংশ হওয়ার বাসনা। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ভোটব্যাংক বাংলাদেশের প্রদত্ত ভোটের এক শতাংশের কাছাকাছি। ২০০১ সালে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে বেশ ভালো ফলাফল করে। সে কারণে আগামী নির্বাচনের প্রাক্কালে ইসলামী দলগুলোকে কাছে টানার একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কিন্তু তারা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার দরুন সে প্রয়াস কতটুকু সফলতা বয়ে আনবে তা এখন দেখার বিষয়।

দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কথাবার্তা শুনে এবং তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে এমনটি মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে, এই রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে ‘একঘরে’ করে ফেলার চেষ্টা করছে। বিএনপির জনপ্রিয়তা তাদের ভাবিয়ে তুলেছে যে, এ মুহূর্তে নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসীন হয়ে যাবে, যা তারা হতে দিতে ইচ্ছুক নয়। সে কারণেই ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশের সরব রাজনৈতিক দলগুলো ‘বিএনপি ঠেকাও’ নীতি গ্রহণ করেছে বলে অনেকে অনুমান করছেন। আর এ প্রয়াসকে গতিশীল করে তুলছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একটা অংশ, তাদের নির্বাচন পেছানোর নানা কৌশলের মাধ্যমে।

গত ২৮ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী শাসনতন্ত্রী আন্দোলন একটি বড় জনসভার আয়োজন করে, যে সভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব মিয়া মোহাম্মদ পরওয়ার, আমার বাংলাদেশ পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ-অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, এনসিপির নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী, সার্জিস আলম এবং বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকসহ কট্টর ইসলামপন্থি, কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতাসহ মধ্যপন্থি হিসাবে পরিচিত মতাদর্শের লোকজন। উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শগত বৈপরীত্য এত বেশি যে, তারা কীভাবে এক মঞ্চে উঠলেন, সেটাই একটা আশ্চর্যের বিষয়। তারপর তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নিয়ে যে দাবি তুললেন, তা আরও বিস্ময়কর। সরকার গঠিত নির্বাচন বিষয়ক সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট অনেক আগেই দাখিল ও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে পিআর বা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বিষয়টিকে বিবেচনার জন্যও রাখা হয়নি। তাছাড়া চলমান ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকেও জাতীয় সংসদে ‘ভোটের সংখ্যানুপাতিক হারে সংসদ-সদস্য নির্বাচনের’ বিষয়ে কোনো ঐকমত্য হয়নি। সেক্ষেত্রে ‘প্রাপ্ত ভোটার সংখ্যানুপাতিক হারে সংসদ-সদস্য’ নির্বাচনের দাবি একেবারেই বালখিল্য দাবি মনে হতে পারে। এ ধরনের নির্বাচন এই উপমহাদেশেই কখনো হয়নি। এমনকি শুধু ‘স্ক্যান্ডেনিভিয়ান’ দেশগুলো ছাড়া বিশ্বের অন্য কোথাও পদ্ধতিটির সফল বাস্তবায়ন হয়নি। নেপালে পরীক্ষামূলকভাবে চেষ্টা করা হলেও তাদের উপলব্ধি তেমন সুখকর না হওয়ায় তারা সনাতন পদ্ধতিতেই ফিরে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের সংবিধানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করা আছে। বর্তমানে কোনো সংসদ কার্যকর নেই। সেক্ষেত্রে কোনো একটি বা ১০টি দল দাবি করলেই কি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাকে উপেক্ষা করা সম্ভব, বিশেষত যখন বর্তমান সরকার এ সংবিধানের আলোকেই শপথ নিয়েছেন? সম্ভব নয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সব দল একমত হলেও এই পদ্ধতির প্রায়োগিক দিকগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা এবং জনগণকে বিষয়টি বোঝাতে দেড়-দুই বছর সময় লেগে যাবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করার জন্য বর্তমানে এ দেশে কীভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় তা বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। একটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে তাদের প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে এলাকার জনগণ তিনটি বিষয় বিবেচনা করেন, যার প্রথমটি হলো প্রার্থীর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা; দ্বিতীয়টি হলো দলীয় প্রতীক এবং তারপর প্রার্থীর কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ ও সক্ষমতা। এসব কারণেই কোনো এক দলের একজন প্রার্থী এক এলাকা থেকে নির্বাচিত হলেও অন্য এলাকায় সেই একই দলের প্রার্থী পরাজিত হন। এমনকি কোনো প্রার্থী একবার নির্বাচিত হলেই যে পরে তিনি একই এলাকা থেকে আবার নির্বাচিত হবেন, তেমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। এক্ষেত্রে তার আগের সময়কালের কার্যক্রম, সাফল্য ইত্যাদি বড় ভূমিকা রাখে বা রাখতে পারে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে ‘সংসদ সদস্য’ পদ নির্ধারণের ক্ষেত্রে সব ক্ষমতা চলে যায় দলের হাইকমান্ডের হাতে। সেক্ষেত্রে কে কে সংসদ-সদস্য হবেন এবং কোনো সংসদীয় আসনের সংসদ-সদস্য তিনি হবেন তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এলাকার জনগণেরও কোনো কার্যকর ভূমিকা থাকে না। তাছাড়া মনোনয়ন বাণিজ্যের এ দেশে দলের কর্তাব্যক্তিদের কাছে সংসদ-সদস্য পদের বিক্রি যে আরও লাভজনক ব্যবসা হয়ে যাবে, তাতে কোনো সংশয় নেই। বস্তুত এ ধরনের নির্বাচন যে এ দেশে সম্ভব নয়, তা তারা জেনেও এই দাবি তুলেছেন গূঢ় কোনো উদ্দেশ্যে, যা হতে পারে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া বা ভণ্ডুল করে দেওয়ার মতো কোনো দুরভিসন্ধিও।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসাবে এ বিষয়গুলো বিএনপিকে আরও ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে। বিএনপির নেতৃত্বকে কথা বলার ক্ষেত্রে আরও সচেতন হতে হবে। আবার জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে হবে, যাতে কোনো অসত্য প্রচারণা তাদের দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি তার কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু বিষয়টি তেমনভাবে প্রচার পায়নি। বিএনপির নিজ উদ্যোগে বিষয়টিকে দেশের জনগণকে জানাতে হবে। কারণ দলীয় কোনো নেতাকর্মীর অপকর্মের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেক্ষেত্রে দলের কার্যকর ব্যবস্থা সে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে, তা আশা করাই যায়। তাছাড়া দেশে বেশকিছু ছোট দল রয়েছে, যার নেতৃত্ব জাতীয় মানের। বিএনপিকে এ মানুষদের সংসদে আনার জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, যা বিএনপি ইতোমধ্যে তা শুরুও করেছে। কিন্তু বিএনপির স্বার্থপর আঞ্চলিক নেতাদের কারণে সে উদ্যোগ ভণ্ডুল হয়ে যেতে বসেছে। এক্ষেত্রে বিএনপির নেতৃত্বকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যে কোনো ব্যত্যয় বা বিদ্রোহকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। আন্দোলনের সঙ্গী এসব মানুষের মনে বিএনপির ওপর আস্থার সৃষ্টি করতে হবে। বিএনপির এ মুহূর্তের শীর্ষ নেতৃত্ব তারেক রহমানের এখন দেশে আসা প্রয়োজন। শোনা যাচ্ছে, তিনি আগামী ২৮ জুলাই দেশে ফিরবেন। আশা করা যায়, তিনি দেশে ফিরলে অনেক ‘মীমাংসা-অযোগ্য’ বিষয়েরও মীমাংসা হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে বিবেচনা করতে হবে যে, দীর্ঘদিনের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের পরই শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করা সম্ভব হয়েছে। এ মুহূর্তে এই সংগ্রামী দলগুলোর ক্ষমতার জন্য অন্তর্দ্বন্দ্ব স্বৈরাচারের ফিরে আসার পথকেই শুধু উন্মুক্তই করবে না, বরং তা প্রতিবেশী দেশের শোষণকেও ফিরিয়ে আনবে। তা ছাড়া নতুন কোনো ইস্যু সৃষ্টি করে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হলে তা গণতন্ত্রকেই বিপন্ন করতে পারে। দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্যই এ ধরনের কার্যক্রম থেকে সবারই বিরত থাকা প্রয়োজন। দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলো এটা নিশ্চয় উপলব্ধি করবে।

জিয়া আহমদ, এনডিসি : সাবেক সরকারি কর্মচারী ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম