Logo
Logo
×

বাতায়ন

রক্তে ভেজা এই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতেই হবে

Icon

আবদুল আউয়াল ঠাকুর

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

লেখার শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা ও বিনম্র ভালোবাসা জানাচ্ছি সেসব বীর শহীদের প্রতি, গত বছর এই দিনগুলোতে যাদের ত্যাগ, শাহাদত এ দেশের দেশপ্রেমিক জনগণের মনের স্বপ্ন ভাবনাকে বাস্তবে রূপদান করেছিলেন। প্রায় হাজারজন শিক্ষার্থী, নারী, শিশু, নাবালকের রক্তে গোটা দেশ হয়ে উঠেছিল রক্তাক্ত জনপদ। তাদের ঐতিহাসিক ত্যাগের বিনিময়ে দেশ মুক্ত হয়েছিল ভারতীয় আধিপত্যবাদের সেবাদাস ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ও শেখ হাসিনার রাহুগ্রাস থেকে। ওই শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি, যারা এখনো অসুস্থ আছেন রোগে-শোকে কাতরাচ্ছেন, তাদের জন্য রাষ্ট্র সরকার সম্ভাব্য সব করণীয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে, এই প্রত্যাশা করছি। ইতোমধ্যে ৫ আগস্ট এবং ৮ আগস্ট পালন নিয়ে কিছুটা ভিন্নধর্মী আলোচনাও হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ শব্দ নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে এবং শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ ব্যবহার নিয়ে যেসব আলোচনা হয়েছে, তার যৌক্তিক-অযৌক্তিক দিক নিয়ে অলোচনা না করেও শুধু এটুকু বলা যায় যে বিষয়টি নিয়ে ভাববার রয়েছে। যদিও এর আগে দেশের নয়, তবে এরশাদ সাহেব তার দলের অঙ্গ-সংগঠনের নামের সঙ্গে এ নতুন শব্দটি যুক্ত করেছিলেন। সে সময়ে নতুন বাংলা ছাত্রসমাজ ও নতুন বাংলা যুবসংহতি দেশের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর ভূমিকা পালন করেছে আজকের প্রেক্ষাপটে হয়তো অনেকেরই সে স্মৃতি হৃদয়ে জাগরুক রয়েছে। যাই হোক, আমরা এখন সাবেক নামেই দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে নামেই হোক, আমরা আমাদের জাতীয় বীরদের স্মরণ করার সিদ্ধান্তে অটল এবং ঐকমত্য স্থাপন করেছি। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে এটি একটি ইতিবাচক মাইলফলক। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা রক্তের বিনিময়ে গণতন্ত্র পেয়েছি। আজকের এই দিনে সব জাতীয় বীরকে আমাদের স্মরণ করতে হবে। ২৪-এর জুলাই-আগস্টে যা ঘটেছে সেটা মূলত দেশকে আধিপত্যবাদের ঘৃণ্য হামলা থেকে বাঁচাতে অব্যাহত প্রতিরোধেরই আরেকটি অধ্যায়। আমাদের তাই বিবেচনায় আনতে হবে জেনারেল (অব.) এমএজি ওসমানী, মেজর (অব.) এমএ জলিল, পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির কমরেড সিরাজ সিকদারসহ দেশপ্রেমিকদের। গভীর শ্রদ্ধায় আরও বিবেচনায় আনতে হবে শুধু আধিপত্যবাদের বিরোধিতার কারণে দেশপ্রেমিকতার কারণে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার জুডিশিয়াল কিলিং মিশনে যাদের হত্যা করেছে তাদের।

জুলাই-আগস্ট পরিবর্তনের পর আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশের নানা প্রসঙ্গ-যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমাদের ইতিহাস। বলে রাখা ভালো, একাত্তরের ভুল নিয়েও বর্তমানে আলোচনা চলমান। একাত্তরের ভুল নিয়ে কথা বলার সঙ্গে একথা মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, প্রবাসী সরকারের সঙ্গে ভারত সরকার যে গোপন সাত দফা চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তি সইয়ের পর প্রবাসী সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন। স্বাক্ষরের পর তিনি হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন কত বড় আত্মঘাতী ভুল সিদ্ধান্তে তিনি জাতি বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই ভুলের আলোচনা এখনো জীবন্ত। বলা ভালো, সেই ভুলেরই খেসারত দিতে হচ্ছে গত ৫৩ বছর ধরে এবং এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে হাজার হাজার দেশপ্রেমিককে এ পর্যন্ত প্রাণ উৎসর্গ করতে হয়েছে। আমরা সমস্বরে এখনো গাইছি, ‘কত প্রাণ হলো বলিদান’। আধিপত্যবাদের প্রথম শিকার হয়েছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল (অব.) ওসমানী। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তাকে চক্রান্তের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে দেওয়া হয়নি। জেনারেল ওসমানীকে আওয়ামী শাসকরা স্বীকৃতি দেয়নি। তার নামও তারা স্মরণ করেনি। তিনি আমৃত্যু কোনো পেনশন পর্যন্ত পাননি। আর নতুন বাংলাদেশের সূর্য উদয়ের পর প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি মেজর (অব.) এমএ জলিল। তার অপরাধ তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় বাহিনীর যুদ্ধাস্ত্র লুট করা, পোশাক-আশাক নিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। তাকেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির সভাপতি কমরেড সিরাজ সিকদার প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, পূর্ববাংলা ভারতের উপনিবেশে পরিণত হয়েছে। এই উপনিবেশ প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। এ অপরাধে সিরাজ সিকদার হচ্ছে বাংলাদেশে প্রথম ক্রশফায়ারে নিহত নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতা। আর তাকে হত্যার পর সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান দম্ভোক্তি করেছিলেন, ‘কোথায় আজ সিরাজ সিকদার’? এরপর আসুন মেজর জলিল ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আ স ম আবদুর রব গঠিত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কথা। তারা যে প্রতিরোধ তৈরি করেছিলেন, সেটাই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম রাজনৈতিক প্রতিরোধ। জাসদের বিবরণ অনুযায়ী, এই প্রতিরোধে জাসদের ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা কর্মীকে গুম, হত্যা, নির্যাতনের শিকারে পরিণত হতে হয়েছিল। অসাংবিধানিক বাহিনী রক্ষী বাহিনীর হাতে এ দেশের দেশপ্রেমিক জনগণকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ-নির্যাতন পোহাতে হয়েছিল। নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন শান্তি সেন ও তার স্ত্রী। ওই নির্যাতনের বর্ণনা কী বীভৎস! কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে তা পাঠ করাও সম্ভব নয়। বর্তমান সময়ে গুম কমিশনের যে নির্যাতনের বিবরণ প্রকাশিত হচ্ছে, এর সঙ্গে তার প্রকৃত বিবেচনাতে কোনো পার্থক্য নেই। বিবস্ত্র করে যৌনাঙ্গে নির্যাতনের যে বর্ণনা পাওয়া যাচ্ছে, তার সঙ্গে হুবুহু মিল রয়েছে সেই আমলে আওয়ামীবিরোধীদের ওপর চালানো নির্যাতনের। এসব নির্যাতন করা হয়েছিল প্রকৃত বিবেচনায় দেশকে আধিপত্যবাদরোধীদের প্রতিরোধ থেকে মুক্ত করতে। একাত্তর সালে করা ভুল থেকে যারা মুক্তির উপায় খুঁজছিল তাদের নির্মূল করা।

রাজনৈতিক নিপীড়ন-নির্যাতন দিয়ে দেশপ্রেমিক জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণেই শেষতক বাকশাল নামক একদলীয় সরকার গঠন করা হয়েছিল। এটি ছিল সংবিধানের মৌলিক স্তম্ভের পরিপন্থি। সংসদে নামমাত্র আলোচনায় একদলীয় ব্যবস্থা গঠনের প্রতিবাদ হলেও তা হালে পানি পায়নি। গোটা দেশ এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার বলিতে পরিণত হয়েছিল। সংশোধনীর নামে সংবিধানের মৌলিক পরিবর্তনের কোনো এখতিয়ার সরকারের রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে আজও কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। সেই প্রেক্ষাপটে ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়। এটি কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়। এমনকি যারা এ পরিবর্তনের ভূমিকায় ছিলেন, তাদের সঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত বিরোধও ছিল না। ব্যক্তি চরিত্রে এরা প্রত্যেকে অনুসরণীয়। জাতীয় ইতিহাসের এই ঐতিহাসিক পরিবর্তনের পর জাতীয় সংসদে তাদের দায়মুক্তিও দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় কৌশলে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আওয়ামী চক্র ভারতীয় মদদে কথিত বিচারের নামে এ পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িতদের জুডিশিয়াল কিলিং মিশনে হত্যা করে। অনেকেই এখনো দেশের বাইরে রয়েছেন। আজ সময় এসেছে তাদের ফিরিয়ে আনার। এরপর কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে শুরু হয় নয়া কিলিং মিশন। ৭১ সালের ঘটনায় যাদের ক্ষমা করা হয়েছে, তাদের পুনরায় বিচারের আওতায় আনা হয়। মূলত এ বিচার পরিচালিত হয় তাদের বিরুদ্ধে, যাদেরকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের জন্য হুমকি মনে করা হয়েছিল। এই বিচারের একটি হাস্যকর দিক হচ্ছে, রায় ঘোষণার পর শাহবাগে মঞ্চ বানিয়ে কথিত চাপ সৃষ্টি করে আইন পরিবর্তন করা। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাক্ষীকে পর্যন্ত হাজির হতে দেওয়া হয়নি। দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর সরকারি সাক্ষীকে আদালত চত্বর থেকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিচারের নামে প্রহসন চালানোর এ ধরনের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। মূলত নির্বাচনের নামে নাটকের পাশাপাশি চলেছে এসব নাটক। এই যে হাজার হাজার মানুষ দেশের নাগরিকদের হত্যা-গুম করা হয়েছে তার মূল কারণ দেশে যাতে আধিপত্যবাদ বিরোধিতার অবসান হয়, মানুষ যাতে এক সময়ে আপনা থেকেই সেবাদাসদের মেনে নেয়। ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট গুলিবিহীন ট্যাংকে অভ্যুত্থানে গিয়েছিলেন কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান। ২৪-এর জুলাইয়ে সটান বুকে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদ বলেছেন, কর গুলি। ২৪-এর বিপ্লবীদের নিয়ে আওয়ামী পুলিশ বলেছে, একজনকে গুলি করলে দশজন সামনে দাঁড়ায়। মৃত্যুকে পায়ে দলে যারা এ স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন তাদের আলাদা কোনো পরিচয় নেই। তারা এক ও অভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত। এরা জাতীয় বীর। বিশ্বাসঘাতকের গুলিতে যারা নিহত হয়েছেন, তারা যে দেশপ্রেমিক এটা নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার প্রয়োজন হয় না।

মানুষকে সুপথে আনার কথিত অপরাধে মনীষী সক্রেটিসকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তার ভক্তরা তাকে পালিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তোমরা কি চাও তোমাদের শিক্ষক অপবাদ নিয়ে বেঁচে থাকুক? মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডকে পৃথিবীর ইতিহাসে বিচারের নামে অন্যতম অবিচার মন্তব্য করে তাকে খালাস দিয়েছেন বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, বাংলাদেশসহ এই ভারতীয় উপমহাদেশের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা বদলে দেওয়া হয়েছিল এটা ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। দ্বিতীয়ত, আদালতের সামনে উপস্থাপিত সাক্ষ্যপ্রমাণ কোনো অ্যাসেসমেন্ট ছাড়াই এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, যেসব তথ্যপ্রমাণ আদালতের সামনে হাজির করা হয়েছিল, অতীতের আপিল বিভাগ এটা সঠিকভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আজহারুল ইসলামের আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে আমরা মনে করি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সত্য বিজয়ী হয়েছে। মিথ্যা পরাভূত হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, আমরা মনে করি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর একটি রিভিউ বোর্ড গঠন করে অতীতের রায়গুলো পুনর্বিবেচনা করা উচিত, যাতে মৃত্যুপরবর্তী হলেও যাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে, অবিচার করা হয়েছে, তাদের পরিবার, তাদের দল ও এদেশের মানুষ ন্যায়বিচার পেতে পারে। মনীষী সক্রেটিসের মৃত্যুর বহু বছর পর্যন্ত দুনিয়াজোড়া এ কথা উচ্চারিত হয়েছে যে, সরকারি প্ররোচনায় তাকে মিথ্য অপবাদে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি মানুষের কল্যাণ চেয়ে বিষ পেয়েছেন। আমাদের সমাজে দেশের স্বাধীনতার কথা বা দেশকে আধিপত্যবাদের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করার অভিপ্রায়ে দৃঢ় থেকে যারা আধিপত্যবাদের দোসর ফ্যাসিস্টদের হাতে জীবন হারালেন তাদের প্রতি সুবিচারের কথা কার্যত সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ বর্তমান আমলেই বলেছেন। সুতরাং এদের অবিলম্বে জাতীয় বীর ঘোষণা করা প্রয়োজন। যারা বাইরে আছেন, তাদের ফিরিয়ে মূল স্রোতে মিলিয়ে দেওয়া সময়ের দাবি। গণতন্ত্র অর্জনে আর যাতে রক্তাক্ত পিচ্ছিল পথে জনতাকে হাঁটতে না হয় সেজন্য কঠোর পন্থা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই।

আবদুল আউয়াল ঠাকুর : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম