Logo
Logo
×

বাতায়ন

রুট ইস্কাটন গার্ডেন টু আগারগাঁও

Icon

মো. আনছার আলী খান

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রুট ইস্কাটন গার্ডেন টু আগারগাঁও

বেইলি রোডস্থ অফিসার্স ক্লাব এলাকায় বাস করতে গিয়ে ঢাকাকেন্দ্রিক নগর জীবনের ৩০টি বছর দেখতে দেখতে কেটে গেল। এই আড়াই যুগে চোখের সামনেই সরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠল উত্তরা আবাসিক এলাকার অধিকাংশ, বারিধারা এবং নিকুঞ্জ আবাসিক প্রকল্প।

বেসরকারি উদ্যোগে রামপুরা মহানগর, বনশ্রী, আফতাবনগর, পল্লবী, বসুন্ধরাসহ বৃহৎ, মাঝারি ও ছোট আকারের বেশকিছু শহর, উপশহর। আশির দশকে ঢাকা নগরীর যে পরিধি ছিল তা ইতিমধ্যে বহুলাংশে বিস্তৃতি পেয়েছে।

বাংলাদেশ সচিবালয় সংলগ্ন শহীদ নূর হোসেন চত্বরকে যেহেতু ‘ঢাকা’র ০ (জিরো) পয়েন্ট ধরা হয়, সেহেতু মূল ঢাকা বলতে জিরো পয়েন্ট এবং এতদসংলগ্ন এলাকাকেই বোঝায়। উত্তরা, মিরপুর ইত্যাদি এলাকার মানুষকে এখনও ‘ঢাকা যাবো’ বলতে শোনা যায়।

কেননা এসব এলাকা থেকে ঢাকার দূরত্ব সময়ের নিরিখে ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে চলেছে। দূরত্ব বৃদ্ধির কথা এজন্য বলা হচ্ছে যে, উত্তরা বা মিরপুর থেকে ঢাকায় আসতে যে সময় প্রয়োজন হতো তা তিন থেকে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

‘টাইম ইজ মানি’ প্রবাদটি সম্পর্কে দিন দিন মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারণে শুধু আত্মপ্রচারের জন্য নয়, চট্ জলদি কাজ শেষ করে ফেরার তাগিদে আকাশপথের গুরুত্ব ক্রমান্বয়েই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ডোমেস্টিক টার্মিনালগুলোতে জনসমাবেশ এবং অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোর ব্যস্ততা প্রমাণ করে যে, দেশের মানুষের আর্থিক সামর্থ্য বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সময়ের যথাযোগ্য ব্যবহারের তাগিদ ইতিমধ্যে আমাদের দেশেও শুরু হয়ে গেছে।

প্রয়োজনের নিরিখেই গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও উড়ন্ত গাড়ি তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। কে কার আগে এ ধরনের গাড়ি বাজারজাত করতে পারবে তা নিয়ে নীরব প্রতিযোগিতার খবর প্রায়ই প্রকাশিত হচ্ছে। যদিও নানা কারণে আমাদের দেশে এ ধরনের গাড়ির ব্যবহার দীর্ঘ প্রতীক্ষার বিষয়।

নানা কারণেই মূল ঢাকার বাইরে খুব একটা যাওয়া হয়ে ওঠে না। এ নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী নিকট-আত্মীয়দের অভিযোগের অন্ত নেই। অবসরের অফুরন্ত সময়ে নিজের এয়ারকন্ডিশন্ড গাড়িতে করে জীবনের শেষ সময়গুলোতে এখানে-সেখানে সস্ত্রীক ঘুরে বেড়ানোর শখ নিতান্ত বেরসিক না হলে কার না জাগে!

কিন্তু ঘর থেকে বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই একগাদা প্রশ্নবোধক চিহ্ন। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই গত কয়েকদিন আগে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন কমিশন ভবনে যেতে হয়েছিল। যাত্রার সময় সকাল ৯টা ৩০ মিনিট। স্ত্রীকে যথাসময়ে বেরোনোর তাগিদ।

যৎকিঞ্চিত বিলম্ব না করে সঠিক সময়ে যাত্রা শুরু। যাত্রাকালীন অভিজ্ঞতা আজকের লেখার প্রেক্ষাপট, যা এ নগরীতে বসবাসকারী সব নাগরিকের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে অনেকে ভাবলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ সমীপে তা উপস্থাপন করার সুযোগ কোথায়!

আমার সেদিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা কারও কোনো উপকারে আসবে না জেনেও পাঠকদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা মিলিয়ে নিজেকে হালকা করা এই আর কী। নিজে কর্মরত অবস্থায় সিটি কর্পোরেশনসংক্রান্ত হাজারও প্রশ্নের সমাধান দেয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু সাধ্যের মধ্যে থেকে যতটা সম্ভব ছিল তার সবটুকু করার সার্বিক চেষ্টায় কার্পণ্য ছিল না।

গাড়ি হোটেল ইন্টারকন্টিনেনটাল (পূর্বতন শেরাটন, রূপসী বাংলা ইত্যাদি) মোড় সিগন্যালে লম্বা লাইন। সঙ্গত কারণেই রাস্তা ফ্রি থাকার কথা নয়। কেননা সময়টি ছিল ‘পিক আওয়ার’। সহ্যসীমার মধ্যে কিনা তা হিসাব করিনি, তবে অধৈর্য হওয়ার আগেই গাড়ি নড়ে উঠল অর্থাৎ ট্রাফিক পুলিশ রাস্তা ছেড়েছেন।

এভাবে বলা এ জন্য যে, লাল-সবুজ বাতির স্থলে শুধু হাত জাগিয়েই চলন্ত গাড়ি থামিয়ে দেয়া সম্ভব হয় না। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তা বন্ধ করার জন্য সব পয়েন্টেই ট্রাফিক পুলিশকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায়ের মতো চলন্ত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়।

কাঠফাটা রোদ্রে অসহ্য গরমের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের এভাবে দায়িত্ব পালন সভ্যজগতে অবশ্যই অস্বস্তির কারণ। তবে বহু অর্থ ব্যয়ে সিটি কর্পোরেশন স্থাপিত ডিজিটাল সিগনাল সিস্টেম কেন কার্যকর করা গেল না এ প্রশ্নের উত্তর দিতে নিজেও ব্যর্থ হয়েছি।

সে সিস্টেমে যাত্রী সাধারণের ধৈর্যসীমার মধ্যে লাল-সবুজ বাতি জ্বলে ওঠার ব্যবস্থা ছিল। সিস্টেম স্থাপন ও কার্যকর করার কর্তৃপক্ষসমূহের সমন্বয়ের অভাবেই ট্রাফিক পুলিশকে এভাবে অমানবিক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তবে আশার কথা যে, রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের সুখবর শোনা গেছে।

আমাকে বহন করা গাড়িটি হোটেল মোড়ে ইউ টার্ন নিতেই অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেল। কারণ ইউটার্নের অনুমতি দেয়া হলেও শাহবাগ থেকে বাংলামোটরগামী যানগুলো দ্রুততার সঙ্গেই চলাচল অব্যাহত রেখেছে। যিনি ইউটার্ন নেবেন তারই যেন একমাত্র দায়িত্ব দুর্ঘটনা এড়ানোর। অন্য পক্ষের কোনোই দায়িত্ব নেই!

এ প্রসঙ্গে অতি বিনয়ের সঙ্গে আমাদের দেশের গাড়িচালক ভাইদের জানাতে চাই, উন্নত দেশগুলো ভ্রমণকালে লক্ষ করা গেছে, অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়া তারা কর্তব্য বলে মনে করেন। অথচ আমাদের দেশে ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে’। ইউটার্ন নেয়ার সময় যেহেতু বাধ্য হয়েই গাড়ির গতি নিুপর্যায়ে রাখতে হয়, কাজেই অপরপক্ষ নিয়ন্ত্রণবিহীনভাবে চললে দুর্ঘটনা অনিবার্য।

অধিকাংশ দুর্ঘটনা পাল্লা দেয়ার কারণে ঘটলেও এবং তা নিয়ে অতিসম্প্রতি দেশ অচল হয়ে পড়ার মতো পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করা গেলেও মাঠপর্যায়ে পাল্লা দেয়ার মনোবৃত্তির ন্যূনতম উন্নতি হয়নি বলেই সব পাঠক একমত পোষণ করবেন বলে বিশ্বাস করি। সে কারণেই আলো ঝলমলে নগরীর বুকে রাত-দিন দাপিয়ে বেড়ানো যানগুলো বিশেষ করে পাবলিক বাসগুলোর বর্ণনাতীত দৈন্যদশা।

সম্ভাব্য দুর্ঘটনা থেকে সৌভাগ্যক্রমে রেহাই পেয়ে বাংলামোটর ইন্টার সেকশনে দীর্ঘ অপেক্ষা। সেখানে দেখা যায় স্কাউটের কয়েকজন তরুণ সদস্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কাজে বেশ তৎপর। সম্ভবত সে কারণেই বিশৃঙ্খল কোনো ঘটনা চোখে সেখানে পড়েনি।

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, ওয়াসার পানি সরবরাহ ইত্যাদি কাজে এক সময় সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করার কথা এখনও স্মৃতিকে কটাক্ষ করে। দীর্ঘ বিরতির পর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে স্কাউট সদস্যের দায়িত্ব পালনও তেমনি ব্যতিক্রমী ঘটনা। বাংলামোটর সংলগ্ন পান্থকুঞ্জ পার্কটি ঘেরাও দেয়া দেখে মনে পড়ে যায় আমার কর্মকালীন পার্কটির ফেন্সিং উঠিয়ে সেটিকে দেয়াল দেয়ার একটি প্রস্তাবের কথা।

সঙ্গত কারণেই সে প্রস্তাবে সম্মতি দেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ সব পাবলিক প্লেস উন্মুক্ত থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরবর্তী সময়ে জানা যায়, পান্থকুঞ্জ পার্কটিতে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে।

নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পার্কটিসহ পুরনো এলিফেন্ট রোড (যা সবজিবাগান নামে খ্যাত) সংলগ্ন অবিন্যস্ত দীর্ঘ পরিসরটি ও নগরীর অন্যান্য খোলা জায়গায় মানসম্পন্ন সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে দেশের রাজধানী নগরীর উন্নয়নে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

উল্লেখযোগ্য কোনো ঝঞ্ঝাট ছাড়াই ফার্মগেট পৌঁছানো সম্ভব হল। খামারবাড়ি পুলিশ বক্স ইন্টারসেকশনে যানবাহনের লম্বা লাইন দেখে গাড়িচালক বামদিকে ইন্দিরা রোডে টার্ন নিতেই দেখা গেল রাস্তার ঠিক মাঝ বরাবর একটি সিটিং সার্ভিসের বাস দাঁড়িয়ে। যেখানে-সেখানে যাত্রী নামানো-উঠানোর সংস্কৃতিতে এরূপ দৃশ্য হরহামেশা চোখে পড়ে।

কিন্তু হাজারও হতাশার মধ্যে সেখানে একটি ব্যতিক্রমী দৃশ্য আমাকে উদ্বেলিত করল। সেখানে কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশ বাস থামিয়ে একজন বয়োবৃদ্ধকে হাত ধরে উঠিয়ে দিতে সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। ট্রাফিক পুলিশের এ রকম মানবিক দায়িত্ব পালন অন্যান্য পুলিশ সদস্যকে অবশ্যই ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করবে।

গন্তব্য আগারগাঁওস্থ নির্বাচন কমিশন ভবন বিধায় বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর হয়ে জাতীয় সংসদ ভবনকে বামে রেখে সংসদ ভবন এভিনিউ দিয়ে রোকেয়া সরণি মুখে ধীর গমন, অতঃপর স্থায়ীভাবে আটকে যাওয়ার অবস্থা।

৫, ১০, ১৫ মিনিট পার হয়ে যায়। গাড়ি নড়ে না। হলটা কী! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে অবস্থান করায় ভিআইপি মুভমেন্টও থাকার কথা নয়। কোনো কোনো গাড়িচালক ধৈর্য ধারণ করতে না পেরে ঘন ঘন হর্ন বাজাতে থাকেন। সেসবের কান ফাটা ও বিরক্তিকর শব্দে সহনশীলতার মাত্রা ভেঙে পড়তে থাকে।

এ পর্যায়ে গাড়িগুলো একটু নড়ে উঠল বলে মনে হল। ১-২ মিনিট নড়াচড়ার পর পুনরায় তা স্থির হয়ে পড়ল। অ্যাপয়েন্টমেন্ট ১০টা ৩০ মিনিটে। সে সময় পার হয়ে গেল মাঝ পথেই। বাসায় ফেরত যাওয়ার উপায়ও নেই। ফেসবুক, মোবাইল গেম ইত্যাদির মাধ্যমে শান্ত থাকার ব্যর্থহীন চেষ্টা।

চিরশান্তিপ্রিয় ও ঝামেলামুক্ত অর্ধাঙ্গিনীর নাসিকা গর্জনে ভাবতে থাকি দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে তার মতো শান্তিতে থাকার কৌশলটা রপ্ত করতে পারলে কতই না ভালো হতো। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি একজনকে ক্রমেই উত্তপ্ত করে চলেছে আর তারই সহযাত্রী পাশে বসে নিশ্চিত মনে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছেন। অংকটা সহজ হলেও চর্চা করা কঠিন।

আর তা হল পারিপার্শি^ক পরিস্থিতিকে আমল না দেয়া। আমলে না দেয়ার বিষয়ে মনে পড়ে যায় একটি ঘটনার কথা। অফিসার্স ক্লাব ঢাকার বেশ কয়েকবারের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে অনেক কাজেরই দেখভাল করতে হয়।

গাড়ি পার্কিং নিয়ে এক সিনিয়র সদস্যের সঙ্গে শুরু হয় বাক্-বিতণ্ডা, যা প্রায় অপ্রীতিকর অবস্থার উদ্ভাব ঘটায়। ঘটনাটি খুবই মনোকষ্টের কারণ হয়। মনোকষ্ট দূর করতেই হয়তো সিনিয়র একদিন উপস্থিত হন জুনিয়রের কক্ষে। পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘নেতা হতে গেলে ছোটখাটো বিষয়ে আমল দিতে নেই, তাতে অশান্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটপ্রাপ্তিতে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়।’

সময় এক সময় কেটে যায়। কারও শান্তি আর কারও অশান্তিতে। প্রায় ৪০ মিনিট পর প্লানিং কমিশনের মোড়ে এসে সামনে মেট্রোরেলের উন্নয়ন সংক্রান্ত জট এড়াতে ড্রাইভার গাড়ি বামদিকে ঘুরিয়ে বীর উত্তম খালেদ মোশাররফ এভিনিউ হয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব গেট অতিক্রম করে দ্রুতই এগিয়ে চলে।

নতুন সংস্কার করা সুপরিসর সড়কে দীর্ঘদিন পর এলাকার উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। সড়কটির শেষ মাথার একশ’ গজের মতো স্থানটি কী কারণে কর্দমাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে তার কারণ সবার কাছেই অজানা। রাস্তার এটুকু অংশ মোটরগাড়ি তো বটেই, গরুর গাড়ি চলাচলেরও অযোগ্য।

ঝুঁকি নিয়ে এটুকু রাস্তা পার হতে পারলেই আগারগাঁও মূল রাস্তা অর্থাৎ মাহবুব মোর্শেদ রোড যার দুই পাশে বাংলাদেশস্থ বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল ও সরকারি অফিসের প্রধান কার্যালয়। সেখান থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে গন্তব্য নির্বাচন কমিশন ভবন।

মূল সড়কে উঠে বামে মোড় নিয়ে একটু দূরেই ইউটার্ন। একটু সামনে বাড়লেই বামে আরেকটি লেন যা নির্বাচন কমিশন ভবনসহ এনআইএলজি, সরকারি কর্মকমিশন, পরিবেশ অধিদফতর এবং আরও বেশ কয়েকটি সরকারি দফতর। ঢুকতে গিয়ে দেখা গেল লেনের মুখ বন্ধ।

বাধ্য হয়ে প্রচণ্ড ভিড় অতিক্রম করে পাসপোর্ট অফিস, এলজিইডি লিংক রোডে ঢুকে পড়া এবং দেখা যায় সে সড়কের মুখটিও বন্ধ। সেখানে থেকে ফিরে আবারও মূল সড়ক দিয়ে বামে মোড় নিয়ে আইইডিবি ভবন হয়ে ঘুরে গন্তব্যে পদার্পণ। ইতিমধ্যে রুট ইস্কাটন গার্ডেন টু আগারগাঁও ভ্রমণে ২ ঘণ্টা সময়ক্ষেপণ।

কোনো দুঃখ থাকত না যদি এত ঘোরাঘুরির কারণ সংবলিত নোটিশগুলো সংশ্লিষ্ট মোড়গুলোতে দেখা যেত। সড়কে চলাচলকারী মানুষগুলো এ ধরনের পূর্ব নোটিশ দাবি করতে পারেন যা উন্নত বিশ্বে সবসময়ই প্রদর্শন করা হয়। এতে মানুষের সময় বাঁচে, কষ্ট কম হয়, বিরক্তি প্রশমিত হয়।

পরিবহন খাতে সড়ক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। জনগণের প্রতাশ্যাকে অবজ্ঞা করা কোনো ভালো কাজ নয়। ফেলে রাখা কাজগুলো কোনো না কোনো সময় ভোগান্তি হয়ে নিজের কাছেই ফিরে আসবে।

মো. আনছার আলী খান : অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব

khanvhi@gmail.com

রুট ইস্কাটন গার্ডেন আগারগাঁও

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম