পরিবর্তিত ২০ দফা প্রস্তাব প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প, দাবি পাকিস্তানের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ চলাকালে এক বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোগান, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাদবুলি, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সাউদ, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। ছবি: আল-জাজিরা
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত ২০ দফা গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রস্তাবিত খসড়ার সঙ্গে এক নয় বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
শুক্রবার স্থানীয় রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দার বলেন—আমি পরিষ্কার করে দিয়েছি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে ২০ দফা প্রকাশ করেছেন, তা আমাদের নয়। আমাদের খসড়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর প্রমাণ আমার কাছে আছে।
গত সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি, সকল বন্দির প্রত্যাবর্তন, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় নতুন রাজনৈতিক কাঠামো গঠনের কথা বলা হয়েছে। এ কাঠামোয় হামাসকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই ট্রাম্প ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে হোয়াইট হাউসে এ উদ্যোগ আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরেন।
ট্রাম্প প্রথমে হামাসকে ৭২ ঘণ্টা সময় দেন প্রস্তাব গ্রহণের জন্য। পরে এই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩–৪ দিন করেন।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ নাজ্জাল বৃহস্পতিবার আল জাজিরাকে বলেন, আমরা পরিকল্পনাটি নিয়ে আলোচনা করছি এবং শিগগিরই অবস্থান জানাব। আমরা এটিকে এমনভাবে দেখছি না যে সময় যেন আমাদের গলায় তলোয়ার হয়ে ঝুলছে।
প্রকাশিত দলিলে এটিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং কিছু আরব–মুসলিম দেশের যৌথ উদ্যোগ হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও অ্যাক্সিয়স–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়— আসল খসড়া থেকে নেতানিয়াহুর দাবিতে ‘গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন’ আনা হয়েছে।
এই পরিবর্তন আসে একটি ছয় ঘণ্টার বৈঠকের পর, যেখানে অংশ নেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং নেতানিয়াহু।
সংশোধিত পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ইসরাইল গাজা থেকে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার করবে, তবে হামাস সম্পূর্ণ নিরস্ত্র না হওয়া পর্যন্ত একটি বাফার জোনে সেনা মোতায়েন রাখবে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আটটি আরব ও মুসলিম দেশ—পাকিস্তান, কাতার, তুরস্ক, সৌদি আরবসহ অন্যরা—যৌথভাবে পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল। তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্ট করেছে, মূল খসড়ার তুলনায় ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর ঘোষিত দলিলে বড় ধরনের ফারাক আছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
