গ্রিনল্যান্ড নিয়ে বিশেষ দূত নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প, ক্ষুব্ধ ডেনমার্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৬ এএম
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন/ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গ্রিনল্যান্ড ইস্যুতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। গ্রিনল্যান্ডের জন্য বিশেষ দূত হিসেবে লুইজিয়ানা রাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রিকে নিয়োগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বিশেষ দূত নিয়োগের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেনমার্ক।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন বলেন, তিনি এই নিয়োগে ‘ভীষণ ক্ষুব্ধ’। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লুইজিয়ানার গভর্নর ল্যান্ড্রিকে গ্রিনল্যান্ডের জন্য বিশেষ দূত করেছেন। গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।
রাসমুসেন বলেন, ল্যান্ড্রি নিয়োগ গ্রহণের সময় যে মন্তব্য করেছেন, তা তাকে আরও বিচলিত করেছে। ল্যান্ড্রি বলেছিলেন, ‘গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে কাজ করব’। এই বক্তব্যকে ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন রাসমুসেন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনকে ডেনমার্কের সার্বভৌমত্ব সম্মান করতে হবে। তিনি জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ‘ব্যাখ্যা’ চাইবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নও বিষয়টিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইইউর এক মুখপাত্র বলেন, ডেনমার্কের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা ‘অত্যন্ত জরুরি’। পরে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন দাঁড় লেয়েন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তনিও কস্তা এক যৌথ বার্তায় বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনের মূল নীতি হলো ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব। এই নীতিগুলো শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য নয়, সারা বিশ্বের দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’। তারা জানান, ইইউ ডেনমার্ক ও গ্রিনল্যান্ডের মানুষের পাশে আছে।
ডেনমার্ক ন্যাটোর মিত্র দেশ হলেও ট্রাম্প বারবার গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য এই সম্পদসমৃদ্ধ দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন। তিনি সামরিক শক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনাও নাকচ করেননি। মার্চে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘যত দূর যেতে হয়, যাবে’।
গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেন্স-ফ্রেডরিক নিয়েলসেন বলেন, ল্যান্ড্রির নিয়োগ ‘এখানে আমাদের জন্য কিছুই বদলায় না’। তবে তিনি স্বীকার করেন, এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
