বাউফলে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে দিশেহারা গ্রাহক
বাউফল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাউফলে ডিসেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাধারণ গ্রাহকরা। পূর্বের পরিশোধ হওয়া বিদ্যুৎ বিলও নতুন মাসের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে যোগ করে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ সমস্যা সমাধান করতে আসা গ্রাহকদের নানা ধরনের বিভ্রান্তমূলক তথ্য দিয়েও হয়রানি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাউফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এখন পরিণত হয়েছে পল্লী বিপদ সমিতিতে। পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সম্পর্কে এমনই অভিযোগ হয়রানির শিকার গ্রাহকদের।
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের কারণে হয়রানির শিকার গ্রাহকরা জানান, নিয়মানুযায়ী এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা গত নভেম্বর মাসের বিল পরিশোধ করার পরও ডিসেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে নভেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিল যোগ করে গ্রাহকদের হাতে বিল কাগজ ধরিয়ে দেয় পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিস। যার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ গ্রাহকরা। গ্রাহকরা আরও জানান, অদ্যাবদি পর্যন্ত বিড়ম্বনার শিকার সব গ্রাহকদের কোনো সুস্পষ্ট সমাধান দিতে পারেনি পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। উপজেলার বগা ইউনিয়নের বাসিন্দা শ্রী শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, নভেম্বর মাসে ২০৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় তার বিদ্যুৎ বিল আসে ১ হাজার ৩৮ টাকা, যা তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করেন। এরপর ডিসেম্বর মাসে তিনি দেখেন ডিসেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে নভেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিল (১ হাজার ৩৮ টাকা) যোগ করে দেয়া হয়েছে।
একই অভিযোগ করেন বানাজোড়া গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব হোসেন গাজী, বগা বন্দরের বাসিন্দা আলমগীর হাওলাদার, কনকদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শামীম হাওলাদার, নাজিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু অভিযোগকারীরাই নয় বাউফল উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে এই ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের বিড়ম্বনার শিকার কয়েক হাজার গ্রাহক। একদিকে ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল অপরদিকে এই ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করাতে এসে নানা বিড়ম্বনা।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম একেএম আজাদ বলেন, এটা অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল। যেসব গ্রাহক আমাদের কাছে এ অভিযোগ নিয়ে আসছেন, আমরা তাদের সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছি।
