মদনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গভর্নিং বডির পদ গোপনের অভিযোগ
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নেত্রকোনার মদন উপজেলার জোবাইদা রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে গভর্নিংবডির হিতৈষী প্রতিনিধি নামের পদটি গোপন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মহিউদ্দিন মার্কেটের বণিক সমিতির সভাপতি মো. আল আমীন বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, কলেজ অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন হিতৈষী পদটি নির্বাচিত না করে নিজের ক্ষমতা বলে পদটি গোপন রেখে গত ২৯ জুলাই ২০১৭ তারিখে তফসিল ঘোষণা করেন। ২০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে হিতৈষী ও রেজিস্টার চিকিৎসক পদ বাকি রেখে গভর্নিংবডির নির্বাচন দেন।
অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি কলেজে গভর্নিংবডি (সংশোধিত) সংবিধি ২০১৫, ৪(খ)এর ১, ২, ৩-এর (।, ।।, ।।।, ।া, া, া।, া।।), এতে চিকিৎসকসহ ১৫টি পদ রয়েছে। হিতৈষী পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রতি বছর কলেজ ফান্ডে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে থাকেন। যা কলেজের উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা যেত। কিন্তু কলেজ অধ্যক্ষকে বারবার এ বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি। মহিউদ্দিন মার্কেটের বণিক সমিতির সভাপতি মো. আল আমিন তালুকদার জানান, হিতৈষী পদটিতে কেন নির্বাচন দেননি এ বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখেন। এর ফলে কলেজ ১ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হল। কলেজের সার্বিক কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি। এডহক কমিটিরি শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাষক জিয়াউর রহমান বলেন, আমার জানা মতে এ পদে কোনো বিজ্ঞপ্তি ও রেজুলেশন হয়নি।
এডহক কমিটির বিদ্যোৎসাহী প্রতিনিধি আয়েশা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমি কলেজ অধ্যক্ষকে বারবার বলার পরও কোনো পদক্ষেপ নেননি। কলেজ অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি এবং পরপর দুটি রেজুলেশনও আছে। বিজ্ঞপ্তি ও রেজুলেশনের কপি দেখতে চাইলে নেত্রকোনার বাসায় আছে বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
