Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

আজ আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস

দখল দূষণের শিকার

Icon

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় হবিগঞ্জের রহস্যঘেরা সাগরদীঘি। স্থানীয়ভাবে যার পরিচিতি কমলারানীর দীঘি নামে। কথিত আছে রাজা পদ্মনাভ ৬৬ একর জমির ওপর খনন করেন এ দীঘি। তবে দীঘিতে পানি উঠছিল না। পরবর্তীতে রাজা স্বপ্নে দেখেন রানী কমলাবতী দীঘিতে না নামলে সেখানে পানি উঠবে না। পরদিনই দীঘিতে নামেন কমলাবতী। তিনি যতই নামছিলেন ততই পানি বাড়ছিল। এক পর্যায়ে দীঘি পূর্ণ হয় পানিতে। আর সেই সঙ্গে পানিতে তলিয়ে হারিয়ে যান রানী কমলাবতী। অথচ কয়েকশ’ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এ দীঘিটি এখন নানা কৌশলে ভোগদখল করছেন স্থানীয়রা। মামলা-মোকদ্দমার বেড়াজালে আটকে রেখে স্থানীয়রা বছরের পর বছর ধরে তারা শুধু ভোগদখলই করছেন না, তুলছেন মাটিও। ময়লা-আবর্জনা ফেলেও নষ্ট করা হচ্ছে এর পরিবেশ। কিন্তু দীঘিকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে বিভিন্ন সরকারের সময় ঘোষণা দেয়া হলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

সরেজমিন জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলা সদরের মাঝামাঝি স্থানে এ কমলারানীর দীঘির অবস্থান। ৬৬ একর আয়তনের জলরাশি বিশিষ্ট কমলারানীর দীঘি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দীঘি হিসেবে স্বীকৃত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ দীঘি সবার জন্য এক দর্শনীয় স্থান। দীঘির নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসেন।

স্থানীয়রা জানান, ক্রমেই দিঘীর তীর ভাঙছে। মেশিন বসিয়ে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। তীরবর্তী বাসিন্দারা ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। অনেকেই আবার সুযোগে মাটি ফেলে দখলের চেষ্টাও করে। বছরজুড়ে মাছ তো ধরছেই। কিন্তু এ ব্যাপারে কারও কোনো পদক্ষেপ নেই। চার পাড়ের বাসিন্দারা আদালতে মামলা-মোকদ্দমা করে এটি ভোগদখল করছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ জানান, পাবলিক হিজম্যান রাইট নিয়ে চার পাড়ের বাসিন্দারা আদালতে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় প্রথমে নিন্ম আদালতে সরকারের বিপক্ষে রায় হয়। পরবর্তীতে আপিলে সরকারের পক্ষে রায় হয়। এরপর তারা উচ্চ আদালতে গিয়ে একটি রিট মামলা দায়ের করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্থিতাবস্থা জারি করেন। তিনি বলেন, তবে আমরা তৎপর আছি। জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন নথি পর্যালোচনা করে কীভাবে সামনে এগোনো যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম