Logo
Logo
×

রাজধানীর খবর

উদীচীর জাতীয় সাংস্কৃতিক সম্মেলন শুরু

Icon

সাংস্কৃতিক রিপোর্টার

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শুরু হল উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর জাতীয় সাংস্কৃতিক সম্মেলন। ‘দ্রোহে বিদ্রোহে বিপ্লবে, গড়ি বিশ্ব সপ্তসুরে’ স্লোগানে শুরু হয়েছে এ সম্মেলন। বৃহস্পতিবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রবীণ কৃষক নেতা, লোকশিল্পী আবুল হাশিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাসান ইমাম, গোলাম মোহাম্মদ ইদু ও কামাল লোহানী। উদ্বোধনী পর্বের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত ও সংগঠন সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের শিল্পীরা। এরপর উদ্বোধন ঘোষণা করেন উদ্বোধক আবুল হাশিম। এরপর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে টিএসসি দিয়ে শাহবাগ হয়ে আবার শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সারা দেশ থেকে আগত উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা শোভাযাত্রায় নেচে-গেয়ে আনন্দে মাতেন। শোভাযাত্রা শেষে শুরু হয় উদ্বোধনী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ‘জীবন খুঁজে পাবি’ শিরোনামের এ পরিবেশনাটি গ্রন্থনা করেছেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন। নির্দেশনা দিয়েছেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম আর সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি হাবিবুল আলম। এ পরিবেশনায় কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের দৈনন্দিন জীবন-সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা ছাড়াও দেশে চলমান সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ তুলে ধরা হয়।

এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে এ পর্বের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন। এ ছাড়াও, এতে আলোচনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাসান ইমাম, বর্তমান সহ-সভাপতি মাহমুদ সেলিম এবং উদীচীর উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। এ পর্বটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। আলোচনার পর শুরু হয় উদ্বোধনী দিনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পর্বের শুরুতেই সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ধামাইল গান পরিবেশন করেন উদীচীর দক্ষিণ সুনামগঞ্জ সংসদের শিল্পীরা। এরপর সুনামগঞ্জের দিরাই শাখার শিল্পীরা পরিবেশন করেন লোকগান। এরপর গণসঙ্গীত নিয়ে মঞ্চে আসেন উদীচী চাঁদপুর জেলা সংসদের শিল্পীরা। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন উদীচী মৌলভীবাজার জেলা সংসদের শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার পর ছিল নড়াইলের নড়াগাতি শাখার শিল্পীদের পরিবেশনা। দিনাজপুরের শিল্পীরা আদিবাসী বিয়ের গান গেয়ে মঞ্চ মাতান। আর প্রথম দিনের সর্বশেষ পরিবেশনা ছিল উদীচী সিলেট জেলা সংসদের নাটক ‘ভানুবিলের লড়াই’। এ পর্বটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কংকন নাগ।

দেশব্যাপী শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু : দেশব্যাপী একযোগে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ শিশু চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৭’। শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে দেশের ৬৪টি জেলায় চার দিনের এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। উৎসব সাজানো হয়েছে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ও শিশু নির্মাতাদের ৪০টি চলচ্চিত্র দিয়ে। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, মুনিরা মোর্শেদ মুন্নী, শিশু নির্মাতা ফারাহ জাবীন ঔশি প্রমুখ।

উৎসবের প্রথম দিনে দেখানো হয় সাতটি চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ছিল রাজু আহমেদ রানক ও দেওয়ান সানজিদুল আরাফাতের ‘বাঁশের খেলনা’, তারিক আজিজ নিশকের ‘সমান্তরাল যাত্রা’, সুমাইয়া সীমার ‘দৃষ্টি হারা গল্প’, হেমন্ত সাদীকের ‘এ লেটার টু গড’, রহমান লেলিনের ‘মন ফড়িং’, শরিফুল ইসলামের ‘স্বপ্নপাখি’ ও টোকন ঠাকুরের ‘রাজপুত্তুর’। উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার আরও ১৩টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে। ঢাকাসহ সব জেলা শিল্পকলা একাডেমি একই চলচ্চিত্র দেখানো হবে। উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত। ‘উৎসবে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ও শিশু নির্মাতাদের চলচ্চিত্র উভয় ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার প্রদান করা হবে। শিশুতোষ চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে ক্রেস্ট ও সনদপত্রের পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারের অর্থমূল্য থাকবে এক লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ৫০ হাজার টাকা ও বিশেষ জুরি পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম