যশোরে দোকানি হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি
বড়লেখায় পুলিশ পরিদর্শকের আটক বাণিজ্য
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বড়লেখার সীমান্তবর্তী শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন রমরমা আটক বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিরাতেই মাদকসেবী, চোরাকারবারিদের আটক করে উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেন। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে বেড়াতে যাওয়া লোকজনকে আটক করে টাকা আদায় করেন। তার আটক বাণিজ্য এলাকায় ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ৯টায় শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বিয়ানীবাজারের বৈরাগীবাজার এলাকার দুই যুবক ছাদিক আহমদ ও শামীম আহমদকে মদ্যপ অবস্থায় শাহবাজপুর বাজারের একটি রাস্তা থেকে অটোরিকশাসহ আটক করেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না দিয়ে রাত সাড়ে ১২টায ৪ হাজার টাকায় তিনি তাদের ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ উঠে। এ রাতে নোহা মাইক্রোবাসে পাল্লাথল চা বাগানে যাত্রাগানের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল বিয়ানীবাজার উপজেলার চালকসহ ৯ যুবক। সেখানে গান না হওয়ায় তারা ফিরে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিয়ানীবাজার ফেরার পথে শাহবাজপুর বাজারে পুলিশ তাদের আটক করে। গাড়ির বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তাদের আটকে রাখা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা ৩৫ টাকার বিনিময়ে ছাড়া পায়। ২১ ডিসেম্বর রাতে শাহবাজপুর বাজার থেকে ৩ কেরেট অবৈধ ভারতীয় মদসহ ৩ যুবককে পুলিশ আটক করে। বিরাট অঙ্কের উৎকোচ পেয়ে তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিয়ে গিয়াস উদ্দিন গাজী নামে আটক একজনকে মাত্র ২ বোতল দেশীয় মদসহ আদালতে সোপর্দ করে।
শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বৃহস্পতিবার বিকালে যুগান্তরকে জানান, সন্দেহ হওয়ায় নোহা গাড়িসহ ৯ জন এবং অটোরিকশাসহ মদ্যপ ২ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, গাড়ির কাগজপত্র ও পরিচয় যাচাইপূর্বক মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে একজনকে আদালতে সোপর্দ এবং বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদ জব্দ করেও মাত্র দুই বোতল দেশীয় মদ জমা দেয়ার ব্যাপারে বলেন যা পেয়েছেন তা-ই জমা দিয়েছেন।
