দৌলতদিয়ায় দালালদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি
গোয়ালন্দ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশ পথ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে দালালদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যাত্রীদের জিম্মি করে বিভিন্ন কায়দায় হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। এছাড়া দূরপাল্লার যানবাহনের ভাড়া আদায় করে লোকাল বাসে যাত্রী তুলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে কুষ্টিয়াগামী রাজমহল পরিবহনের একটি লোকাল বাসের কয়েক যাত্রী দালালদের খপ্পরে পড়ার অভিযোগ করেন।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার নগর বোয়ালিয়া গ্রামের দরিদ্র সবজি ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম জানান, তিনি মাদারীপুরের শিবচর হতে পারিবারিক অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার জন্য বাস যোগে ফরিদপুর হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসেন। উদ্দেশ্য কম ভাড়ায় ট্রেন যোগে এলাকায় ফেরা। কিন্তু অল্প সময়ের জন্য ট্রেন ধরতে না পাড়ায় তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে আসেন। এখানে আসার পর দুই ব্যক্তি বাসের লোক পরিচয় দিয়ে তার কাছ কুষ্টিয়াগামী বাস ভাড়ার জন্য দুই জনের ভাড়া বাবদ ৩২০ টাকা দাবি করেন। তিনি ৫শ’ টাকার নোট বের করে দিলে তারা আরও ১শ’ টাকা দাবি করে বলে, একেক জনের ভাড়া ৩২০ টাকা। আপনার কাছ থেকে ৪০ টাকা কম নেয়া হল। এভাবে তার কাছ থেকে ৬শ’ টাকা আদায় করে তারা। কিন্তু পরে জানতে পেরেছি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত ভাড়া যাত্রী প্রতি সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা।
কুষ্টিয়া শহরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, দালালরা তাকে দূরপাল্লার ভালো বাসে তুলে দেয়ার কথা বলে ২শ’ টাকা নিয়েছে। এরপর আমাকে লোকাল বাসে তুলে দিয়েছে। এ বাসের ভাড়া জনপ্রতি ৯০/১২০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। প্রতারণা বোঝার পর দালালদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উল্টো লাঞ্ছিত হয়েছি।
রাজমহল পরিবহনের সুপার ভাইজার মো. শহীদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমরা দৌলতদিয়া ঘাটে দালালদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি। দালালরা যাত্রীদের বাস কাউন্টারের কাছে আসার আগেই বিভিন্ন কৌশলে প্রতারিত করে থাকে। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া যাই নেক না কেন আমাদের নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে ওই যাত্রীদের বাসে তুলে দেয়। এর জন্য আবার কমিশন দাবি করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের কোনো ভাড়া না দিয়েই যাত্রীদের বাসে তুলে তারা সটকে পড়ে। পড়ে ওই যাত্রীদের সঙ্গে আমাদের ঝগড়া বিবাদ লাগে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে আসছে। এর প্রতিকার হওয়া দরকার।
